leadT1ad

অতঃপর ফলাফল ঘোষণা: ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল

২১: ১৮

এই জয় সব শিক্ষার্থীর—জিএস পদে জয়ী মাজহারুল

জাকসু নির্বাচনে জিএস পদে জয়ী হয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় মাজহারুল ইসলাম বলেছেন, আমরা যারা জেন-জি প্রজন্ম রয়েছি তারা কখনো এ দেশের সুষ্ঠু ভোট দেখিনি। আমাদের ভোটাধিকার দীর্ঘ সময় হরণ করে রাখা হয়েছিল। আমাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। ফ্যাসিবাদী সরকার, স্বৈরাচার, তাঁরা বরাবরই চেয়েছিল শিক্ষার্থীরা যেন ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে না পারে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে না পারে, সে কারণে দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনগুলো বন্ধ ছিলো।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যূত্থানের পর আমরা যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি, সাম্য ও ন্যায়ের স্বপ্ন দেখছি, সে জায়গায় আজ জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাজহারুল ইসলাম বলেন, `সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের যে বিজয়, সে বিজয় আমাদের নয়, এটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর বিজয়। আমরা মনে করি, এটাই চূড়ান্ত বিজয় নয়, আমরা তখনই বিজয় অর্জন করবো যেদিন এই জাকসুর দায়িত্ব পালন শেষে পরবর্তী জাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবো। সেদিন যদি শিক্ষার্থীরা স্বীকৃতি দেয় যে আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পেরেছি, আমানত রক্ষা করতে পেরেছি, সেইদিন আমরা বলবো, আমরা বিজয় অর্জন করেছি।‘

২১: ০০

সবার হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি জিতুর

জাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ের পর ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আব্দুর রশিদ জিতু। স্ট্রিমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি, `জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা আমার উপর ভরসা রেখে আমাকে ভোট দিয়েছেন। ইনশাল্লাহ আমি এই ভরসা, এই মর্যাদা রাখতে পারবো। আমি বলতে চাই যে আমি দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য, সকলের হয়ে কাজ করবো। জাকসু নির্বাচনে যারা ভোট কার্যক্রমে যারা অংশ নিয়েছেন, যারা ভোট দিয়েছেন তাদের কাছে আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।‘

১৮: ১৬

অতঃপর ফলাফল ঘোষণা: ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল

দুই দিনের নাটকীয়তা শেষে জাকসুর ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৩৩ বছর পরে হওয়া নির্বচনে সহসভাপতি (ভিপি) হয়েছেন আব্দুর রশিদ জিতু, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হয়েছেন ফেরদৌস আল হাসান এবং এজিএস (ছাত্রী) আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী জাকসুতে জিএস পদে নির্বাচিত মাজহারুল ইসলাম ইংরেজি বিভাগের (৪৮তম ব্যাচ) মাস্টার্স শিক্ষার্থী, এজিএস ফেরদৌস আল হাসান প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) মাস্টার্স শিক্ষার্থী এবং এজিএস (ছাত্রী) আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা দর্শন বিভাগের (৪৮ ব্যাচ) মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

অন্যান্য পদে নির্বাচিতদের মধ্যে আবু উবায়দা উসামা শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী। পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাফায়েত মীর; সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন ইংরেজি বিভাগের জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি; সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ জিসান আহমেদ; সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের রায়হান উদ্দিন; নাট্য সম্পাদক হিসেবে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের রুহুল ইসলাম; ক্রীড়া সম্পাদক পদে বাংলা বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের মাহমুদুল হাসান কিরণ; সহ-ক্রীড়া (ছাত্র) পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের মাহাদী হাসান; সহক্রীড়া (ছাত্রী) পদে গণিত বিভাগের ফারহানা লুবনা; আইটি ও গ্রন্থাগার পদে ফার্মেসি বিভাগের রাশেদুল ইমন লিখন; সমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন পদে আহসান লাবিব; সহসমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন পদে মাইক্রোবায়োলজি (ছাত্র) তৌহিদ ইসলাম; সহসমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন (ছাত্রী) পদে ফার্মেসি বিভাগের নিগার সুলতানা; স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের হুসনী মোবারক; পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের তানভীর রহমান জয়ী হয়েছেন।

এ ছাড়া কার্যকরী সদস্য জয়লাভ করেছেন ফাবলিহা জাহান, নাবিলা বিনতে হারুন, নুসরাত জাহান ইমা, হাফেজ তরিকুল ইসলাম, আবু তালহা ও মোহাম্মদ আলী চিশতী।

১৮: ০১

হল সংসদে বিজয়ী হলেন যাঁরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন হলে বিজয়ী হয়েছেন যারা:

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল

ভিপি: বুবলী আহমেদ

জিএস: সুমাইয়া খানম

এজিএস: নেই


জাহানারা ইমাম হল

ভিপি: মোছা মাহমুদা খাতুন

জিএস: রিজওয়ানা বুশরা

এজিএস: (দুজন সমানসংখ্যক ভোট) লামিয়া জান্নাত (প্রথম ৬ মাস, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে), সাদিয়া খাতুন (পরের ৬ মাস)।

১০ নম্বর হল

ভিপি: আসিফ মিয়া

জিএস: মো. মেহেদী হাসান

এজিএস: মো. নাদিম মাহমুদ

১৫ নম্বর ছাত্রী হল

ভিপি: মোছা. শারমিন খাতুন

জিএস: মেহনাজ মোহনা

এজিএস: মোছা. শাহানা আক্তার


বেগম সুফিয়া কামাল হল

ভিপি: জান্নাতুল নাঈম

জিএস: রুবিনা

এজিএস: সুমাইয়া আক্তার


শহীদ সালাম বরকত হল

ভিপি: মারুফ হোসেন

জিএস: মো মাসুদ রানা

এজিএস: আবরার আজিম ভূঁইয়া


মওলানা ভাসানী হল

ভিপি: আব্দুল হাই স্বপন

জিএস: হৃদয় পোদ্দার

এজিএস: রাকিব হাসান

মীর মশাররফ হোসেন হল

ভিপি: খালেদ জোবায়ের শাবাব

জিএস: শাহরিয়ার নাজিম

এজিএস: আরাফাত হোসেন

বীর প্রতীক তারামন বিবি হল

ভিপি: ফারজানা আক্তার উর্মি

জিএস: প্রিয়াংকা কর্মকার প্রিয়া

এজিএস: লাবন্য

আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল

ভিপি: জিএমএম রায়হান কবির

জিএস: আবরার শাহরিয়ার

এজিএস: রিপন মন্ডল


জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল

ভিপি: রাকিবুল ইসলাম

জিএস: আলী আহম্মদ

এজিএস: সামিন ইয়াসির লাবিব

রোকেয়া হল

ভিপি: তাসনিম খন্দকার

জিএস: নাবিলা মাহজাবিন

এজিএস: ফাহমিদা আক্তার সাউদা

২১ নম্বর ছাত্র হল

ভিপি: ইবনে শিহাব

জিএস: অলিউল্লাহ আল মাহাদী

এজিএস: তুষার আহমেদ শাওন

শহীদ রফিক জব্বার হল

ভিপি: মো মেহেদী হাসান

জিএস: শরিফুল ইসলাম

এজিএস: আরিফুল ইসলাম সাদী

১০ নম্বর ছাত্রী হল

ভিপি: ঐশী সরকার

জিএস: ফারজানা তাবাসসুম রূপা

এজিএস: প্রমা রাহা

শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হল

ভিপি: মো. সিফাতুল্লাহ

জিএস: মাহমুদুল হাসান সাকিব

এজিএস: তারেক আহমেদ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভিপি: অমিত কুমার বণিক

জিএস: মাহমুদুল হাসান ইমন

এজিএস: মির্জা আদনান ইসলাম অয়ন

বেগম খালেদা জিয়া হল

ভিপি: ফারহানা রহমান রিথী

জিএস: ফাতেমা তুজ জোহরা

এজিএস: রায়হান আরা সরকার আঁখি

প্রীতিলতা হল

ভিপি: সুমাইয়া আক্তার মিথি

জিএস: ইফফা রহমান ইফফা

এজিএস: নাফিসা তাসনিম সূচি

১৩ নম্বর ছাত্রী হল

ভিপি: নাহাদাতুন হাসানা

জিএস: মহসিনা তুবা

এজিএস: মোছা সাদিয়া মেহজাবিন

আল-বেরুনী হল

ভিপি: রিফাত আহমেদ শাকিল

জিএস: মো. মুনতাসীর বিল্লাহ খান

এজিএস: সাদমান হাসান খান

১৫: ৩২

৪৫ ঘণ্টা পর ভোট গণনা সম্পন্ন, ফল ঘোষণা অপেক্ষা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ভোট গণনা শেষ হয় বলে নিশ্চিত করেছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।

এরফলে দীর্ঘ ৪৫ ঘণ্টা পর জাকসুর ভোট গণনা শেষ হলো। এর আগে হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছিল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায়। এরপর রাত ৮টার দিকে জাকসুর ভোট গণনা শুরু হয়। সেই গণনা শেষ হয়েছে ১৮ ঘণ্টা পর।

গণনা শেষ হলেও কখন ফল প্রকাশ করা হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। এ ব্যাপারে জাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ভোট গণনা শেষ হয়ে থাকলেও আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি আছে। সেগুলো শেষ করে দ্রুতই ফল প্রকাশের চেষ্টা করবো।’

১৪: ১৫

রোববার বন্ধ থাকবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

আগামীকাল রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস ও ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্থগিত থাকবে পূর্বনির্ধারিত সব পরীক্ষা। পরশু সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ক্লাস ও অফিস যথারীতি খোলা থাকবে। তবে সব চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৩: ২০

ফল প্রকাশ করতে সন্ধ্যা ৭টা বাজতে পারে: নির্বাচন কমিশনার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ভোট গণনা শেষ হতে পারে। এরপরই ফলাফল ঘোষণা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনের ফলাফল কখন হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মনিরুজ্জামান বলেন, গণনার কাজের পরে ফলাফল ঘোষণার জন্য প্রস্তুতি আছে। সেখানে সময় লাগবে। আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ফল ঘোষণা করতে পারবেন বলে তিনি জানান।

০৯: ০৩

অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না, ভোটগণনা তৃতীয় দিনে

অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না, ভোটগণনা তৃতীয় দিনে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয় গত ১১ সেপ্টেম্বর। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে, দুয়েকটি কেন্দ্রে বাড়তি ২-৩ ঘণ্টাও লেগেছে। সব শেষ করে ব্যালট বাক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সিনেট কক্ষে নিয়ে আসতে সময় লেগেছে আরও ঘণ্টা পাঁচেক। ওইদিন রাত সোয়া ১০টায় ভোট গণনা শুরু হয়। যা আজ শনিবার তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে।

হল সংসদের ব্যালট পেপার ছিল এক পাতার, কেন্দ্রীয় সংসদের ব্যালট তিন পাতা। ফলে হলের ব্যালট গুনতে যত সময় লেগেছে, কেন্দ্রীয় সংসদের গুনতে তার চেয়ে তিনগুণ সময় লেগে যেতে পারে এমন আশঙ্কা ভোটগণনা সংশ্লিষ্টদের।

শুরুতে চারটি টেবিলে ভোটগণনা করা হলেও পরে ভোটগণনার টেবিল বাড়ানো হয়েছে। এখন মোট ১২টি টেবিলে ভোট গণনা চলছে। জাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনার প্রথম ধাপে ৯টি হলের ভোট গণনা চলছে। হলগুলো হচ্ছে: বেগম সুফিয়া কামাল হল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, শহীদ সালাম-বরকত হল, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল, খালেদা জিয়া হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল, তারামন বিবি হল ও জাহানারা ইমাম হল।

এই পরিস্থিতিতে ১৫টি হলের ভোট সংখ্যা পাঁচশোর নিচে হলেও ৬টি হলের ভোট হাজারের কাছাকাছি। ফলে ১৫টি হলের ভোট গণনা করতে ৬-৭ ঘন্টা লাগতে পারে কিন্তু বাকি ছয়টি হলের ভোট গুনতে অন্তত ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। এই পরিস্থিতিতে দুপুর নাগাদ ফল প্রকাশ সম্ভব হতে পারে।

নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আমাদের ওএমআর মেশিন দিয়ে ভোট গণনার জন্য প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এটা তো স্বাভাবিক যে ওএমআরের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি হিসাব করলে বেশি সময় লাগবে।

অবশ্য নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম রাতের মধ্যেই ফল প্রকাশের আশা দেখছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাতের মধ্যেই জাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদ ও ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

০০: ৩৯

শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা প্রহসন: বাগছাস নেতা

শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা প্রহসন: বাগছাস নেতা

নির্বাচনের একদিন পর ভোট গণনার শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা প্রহসন ছাড়া কিছু না বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান লাবিব। তিনি জাকসুতে শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেল থেকে সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক পদের প্রার্থী।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে এগারোটার দিকে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে রাত পৌনে নয়টার দিকে নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন এবং শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাবেক সহসভাপতি।

এরপর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেলের প্রার্থী আহসান লাবিব বলেন, এই মুহুর্তে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা প্রহসন ছাড়া আর কিছু না। আজকে শেষ মুহুর্তে এসে পদত্যাগ করাটা আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের আভাস দেয়। তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেয়েছিলেন নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করতে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বাকি সদস্যরা তা না মেনে নেওয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেছেন। আমরা একসময় তাঁকে গণতান্ত্রিক শিক্ষক হিসেবে জানতাম। কিন্তু তিনি আজ পরিচয় করিয়ে দিলেন, তিনি গণতন্ত্রবিরোধী এবং জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম গণতন্ত্রবিরোধী।

০০: ১৮

ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে না পেরে নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ, অভিযোগ সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে না পেরে নির্বাচন কমিশনার মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট।

আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো প্রশাসনিক ভবনের (সিনেট ভবন) সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলা হয়।

ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে না পেরে মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট।
ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে না পেরে মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এজিএস (পুরুষ) পদপ্রার্থী ফেরদৌস আল হাসান বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এটি খুবই প্রহসনমূলক আচরণ। তিনি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা। তিনি কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার কমিটিতে থাকেন? তিনি যে অভিযোগগুলো করে পদত্যাগ করেছেন, সেগুলো ভিত্তিহীন।’

ফেরদৌস আল হাসান আরও বলেন, ‘গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর আমরা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছি। আমরা দেখেছি, প্রশাসনিক নির্বাচনী ব্যবস্থার কিছু ত্রুটি ছিল, তারপরও শিক্ষার্থীরা ভোটকেন্দ্রে এসেছে। শতকরা ৬৮ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, তাঁরা জাকসু চায়, অধিকার বাস্তবায়ন করতে চায়।’

ফেরদৌস বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা টিকবে না। একটি নির্দিষ্ট ছাত্রসংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোটগণনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে বা অন্য কোনো অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করা হয়নি।’

ফেরদৌস আল হাসান বলেন, ‘পাশাপাশি ম্যানুয়ালি ভোটগণনার ক্ষেত্রে তাঁদের তেমন কোনো প্রস্তুতি ছিলো না। ভোটগ্রহণ শেষে প্রায় ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু হল সংসদের ভোট গণনা শেষ করতে পেরেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংসদের সব ভোট গনণা বাকি। সেই দায়টা পদত্যাগকারী নির্বাচন কমিশনের সদস্যকে নিতে হবে। এ দায় থেকে তিনি মুক্তি পেতে পারেন না।’

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

০০: ০৭

অভিযোগ সুরাহা ও পুনর্নির্বাচনের দাবি বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে বিশেষ একটি দলকে জেতানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা। তাঁরা বলেছেন, বিশেষ ওই দলটি মুখে সবসময় সৃষ্টিকর্তার নাম নেয়। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ের জন্য মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে।

জাকসু নির্বাচনের আগের রাতে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো' ও নির্বাচনের দিনের বিভিন্ন ‘অনিয়ম’ একই সূত্রে গাঁথা বলেও তাঁরা মন্তব্য করেছেন। নির্বাচন ঘিরে ওঠা অভিযোগের সুষ্ঠু সুরাহা ও পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছেন তাঁরা।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম এ কথা জানিয়েছে। এতে ৫৮ জন শিক্ষকের নাম রয়েছে।

বিবৃতিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা বলেছেন, আমরা এই প্রহসনের নির্বাচনের তীব্র নিন্দা জানাই ও অভিযোগগুলো সুষ্ঠু সুরাহার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানাই।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে জাকসু নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হয়। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য ও অনলাইন এক্টিভিস্টরা সেটি ফলাও করে প্রচার (ভাইরাল) করে। এ ধরনের ঘৃণ্য মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই ছাত্রদলকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অথচ বাস্তবতা হলো, ওই সময় রিটার্নিং অফিসারদের তত্ত্বাবধানে ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনের দিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে। এই বিশেষ রাজনৈতিক দল যদিও মুখে মুখে সব সময় সৃষ্টিকর্তার নাম নেয়। কিন্তু একটি নির্বাচনে বিজয়ের জন্য এরা মিথ্যাচারের মতো পাপে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত হয়নি।’

এতে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের ওই 'বিশেষ রাজনৈতিক মতাবলম্বী সদস্যদের' ও তাদের দোসর প্রভোস্টদের অপতৎপরতায় জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। জাল ভোট দেওয়া ও প্রার্থী প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকদের হয়রানি (মব) করার অভিযোগ ওঠে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (১৫ নং হল), জাহানারা ইমাম হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে।’

বিভিন্ন অভিযোগ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৫ নং হলের প্রভোস্ট সরাসরি একটি প্যানেলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যবেক্ষক দল ওই হলে ব্যালট পড়ে থাকাসহ নানা অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছেন। এছাড়াও বিস্ময়করভাবে হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে ক্রমিক নম্বর ও মুড়ি থাকলেও জাকসুর ব্যালটে এগুলো ছিলো না। অথচ "ক্রমিক নম্বর" হলো ভোটের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য ব্যালট পেপারে থাকা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা, যা গণনার জন্য ব্যবহার করা হয়।’

আরও অভিযোগ করা হয়, ‘পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা ছবি সংযুক্ত করে সরবরাহ করা হয়নি। যা ভোটার শনাক্তকরণে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি থাকায় বহু শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারেননি। দ্বৈত ভোটদানের মতো নির্বাচনী জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য নির্বাচনী অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি অনেক ক্ষেত্রেই।’

২১: ৫৩

আশা করছি রাতের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে পারব: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

আশা করছি রাতের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে পারব: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

আজ শুক্রবার রাতের মধ্যেই জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। সন্ধ্যায় সিনেট ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।

এ ছাড়া রাত সোয়া আটটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ. কে. এম. রাশিদুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইতিমধ্যে ২১টি হল সংসদের মধ্যে ১৯টির ভোট গণনা কার্যক্রম শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট দুইটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) ভোট গণনা চলছে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে এই গণনা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। জাকসু নির্বাচন কমিশন আশা করছে, আজ রাতের মধ্যে ভোট গণনা সম্পন্ন হবে এবং যথারীতি ফলাফল ঘোষণা করা হবে।’

২১: ০৯

নির্বাচন কমিশন থেকে সরে যাচ্ছেন মাফরুহী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার টিটো। নির্বাচন সংক্রান্ত অনিয়ম ও ত্রুটির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তাঁকে নানাভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

শুক্রবার রাত পৌনে নয়টায় সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার
শুক্রবার রাত পৌনে নয়টায় সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার

২০: ০১

কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর হাতেই ভোট গণনার সিদ্ধান্ত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা আজ বিকেল পাঁচটার পর কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। তবে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার পর ফের শুরু হয় ভোট গণনা।

বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি জরুরি বৈঠক আয়োজিত হয়। এ কারণেই কিছুক্ষণ ভোট গণনা বন্ধ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ বৈঠক আয়োজিত হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে, অর্থাৎ হাতেই সব ভোট গণনা করা হবে। ওএমআর যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হবে না।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। সেই সঙ্গে তিনি জানান, স্বল্প সময়ে কাজ শেষ করার জন্য ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় আরও দল যুক্ত হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাকসুর ভোটগ্রহণ শেষ হলেও এখনো ফল প্রকাশ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। হল সংসদগুলোর ভোট গণনা প্রায় শেষ হয়ে এলেও, কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়েছে।

১৮: ০২

ফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা ছাত্রদলের নারী এজিএস প্রার্থীর

ফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা ছাত্রদলের নারী এজিএস প্রার্থীর

ভোট কারচুপির অভিযোগে গতকাল জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছিল ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। তবে আজ বিকালে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ছাত্রদল প্যানেলের এজিএস প্রার্থী আঞ্জুমান ইকরা ভোটের ফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।

ইকরা লেখেন, ‘জাকসু নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের উর্ধ্বে সুষ্ঠু ভোটের জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে দায়বদ্ধ ছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের প্রকাশ্য অনিয়ম, কারচুপির পরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই রায় আমাদেরকে মেনে নিতে হবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাকসু নির্বাচনে ভরসার জায়গা থেকে এজিএস হিসেবে নির্বাচিত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দ্বায়িত্বশীলদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে নিজেদের ভুলগুলো পুনর্বিবেচনা করে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করা। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে একটা নতুন ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করবো ইনশাআল্লাহ।’

এদিকে জাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণের প্রায় প্রায় ২৪ ঘন্টা পেরোলেও এখনো হয়নি ফল প্রকাশ। চলছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা।

১৬: ০৮

১৫ হলের ভোট গণনা সম্পন্ন, আজ রাতের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা

জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা আজ রাতের মধ্যে হবে আশা প্রকাশ করেছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল ইসলাম। তিনি স্ট্রিমকে জানান, বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ ১৫ টি হলের ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৫টি হলের ভোট গণনা সন্ধ্যার মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। তারপর জাকসুর ভোট গনণা শুরু করে রাতের মধ্যেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ভোট গণনার ধীরগতি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব বলেন, শিক্ষার্থীদের আপত্তির মুখে ডিজিটালি কাউন্ট পদ্ধতি বাদ দিয়ে ম্যানুয়ালি গণনা করা হচ্ছে। তাই সময় বেশি লাগছে।

নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে সমন্বয়হীনতা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি টিম হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। সবাই সবার দায়িত্ব পালন করছেন।’

নির্বাচন প্রক্রিয়ার ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব বলেন, ‘তিনি আমাদের সম্মানীত সদস্য। তিনি তার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছেন। এতে আমাদের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়ছে না।’

১৫: ২৮

জাবি শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসের জানাজা অনুষ্ঠিত

জাবি শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌসের জানাজা অনুষ্ঠিত

‎‎জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে মৃত্যুবরণ করা শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৗসের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‎আজ জুমার নামাজের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

‎‎জাবির চারুকলা বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, আমাদের প্রিয় সহকর্মীর আচরণে কেউ কষ্ট পেলে তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন। সবাই তাঁর মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।

‎‎বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সোহেল রানা এ সময় বলেন, ‘আমরা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহ তাঁকে যেন শান্তিতে রাখেন।’

‎‎জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘তিনি একজন আদর্শ ও সকলের অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। কোনো অপরাধ থাকলে, আল্লাহ যেন তাঁকে ক্ষমা করে দেন। তাঁর পরিবারকে আল্লাহ যেন ধৈর্য দান করেন।’

জান্নাতুল ফেরদৌস জাকসু ও প্রীতিলতা হল সংসদ নির্বাচনে পোলিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্ব পালনের সময় আজ শুক্রবার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ৯টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাওন হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

১৪: ২৭

ক্যাম্পাসে শিক্ষকের মরদেহ, শোকে বিহ্বল শিক্ষার্থীরা

জাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় মারা যাওয়া শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মরদেহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে তাঁর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো কলাভবনের সামনে আনা হয়। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এর আগে, আজ সকালে নির্বাচনে ভোট গণনার সময় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন জান্নাতুল ফেরদৌস। পরে সকাল ৯টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাওন হোসেন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, জান্নাতুল ফেরদৌস জাকসু ও প্রীতিলতা হল সংসদ নির্বাচনে পোলিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

১৩: ৩১

নির্বাচনের ফলাফল পেতে হতে পারে সন্ধ্যা

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। গতকাল রাত সোয়া ১০টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনার ফলে অনেকটা ধীরগতিতে লক্ষ করা গেছে। যার কারণে নির্বাচনের প্রায় ১৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ভোট গণনা শেষ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

ভোট গণনার গতি অনুযায়ী দুপুরের পর শেষ হবে হল সংসদের ভোট গণনা। ইতিমধ্যে ১৯ টি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বাকি আছে আরও ৩টি হল। তারপর শুরু হবে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ধারণা, সন্ধ্যার পর জাকসু নির্বাচনের ফলাফল দেওয়া যাবে। নির্বাচন কমিশনের সদস্য রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা জানান, ১ ঘণ্টার বিরতিতে যাবে সংশ্লিষ্টরা। জুম্মার নামাজ ও সদ্য প্রয়াত শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। এর পর ২টা থেকে আবারও শুরু হবে হবে ভোট গণনা।

১১: ৫২

ফল ফেসবুকে: অব্যবস্থাপনায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ ইসি মাফরুহী

জাকসু নির্বাচনের ফলাফল ফেসবুকে প্রকাশ হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার টিটো। আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

স্ট্রিমকে অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার টিটো জানান, নির্বাচন উপলক্ষে টানা কয়েকরাত নির্ঘুম কাটানোয়, গতকাল ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর দায়িত্বরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর নির্বাচন নিয়ে একের পর এক অভিযোগ ওঠায় নির্বাচন কমিশনার হিসাবে বিব্রতবোধ করছেন তিনি। নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা অব্যবস্থাপনায় তিনি নিজেও হতাশ বলে জানান।

মাফরুহী সাত্তার বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশনের কাজ কী? কমিশনের কাজ কারা করছেন? ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কারা ফলাফল প্রকাশ করছেন?’

ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কাছে পুরো পরিস্থিতিকে ‘অস্বাভাবিক’ মনে হচ্ছে উল্লেখ করে মাফরুহী সাত্তার টিটো বলেন, ‘দায়িত্ব পালনকালে একজন শিক্ষকের মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। তাঁর মতো আমি নিজেও হতে পারতাম। এখন এমন অবস্থা চলছে।’

নির্বাচনে কমিশন সদস্য সচিবে রফিকুল আলমের বরাত দিয়ে তিনি জানান, প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট গণনার কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় দুপুর গড়িয়ে যাবে।

১১: ২৬

জাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় শিক্ষকের মৃত্যু

জাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় শিক্ষকের মৃত্যু

জাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার সময় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক শিক্ষক মারা গেছেন। আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাওন হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, জান্নাতুল ফেরদৌস জাকসু ও প্রীতিলতা হল সংসদ নির্বাচনে পোলিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন কমিশন ভবনের তৃতীয় তলায় উঠার পরই করিডোরে সহকর্মীদের সামনে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তখন সহকর্মীরা দ্রুত তাকে স্ট্রেচারে করে নিচে নামিয়ে আনেন। পরে জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, অচেতন হওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাওন হোসেন বলেন, ‘সকাল ৯টায় জান্নাতুল ফেরদৌসকে হাসপাতালে আনা হয় এবং সকাল ৯টা ৪ মিনিটে ইমার্জেন্সি বিভাগে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’

০৮: ৪৯

১০ হলের ভোট গণনা শেষ, ফল ঘোষণা দুপুরে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ১০টি আবাসিক হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বাকি ১১টি হলের গণনার কাজ চলছে। এরপর কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ভোট গণনা শুরু হবে।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক আহমেদ সুমন এই তথ্য জানিয়েছেন। আহমেদ সুমন স্ট্রিমকে বলেন, আমি নিজেও গণনার সময় ছিলাম। মোট দুটি টেবিলে ভোট গণনার কাজ চলছে। ভোরের দিকে বেশ কয়েকটি হলের প্রার্থীদের এজেন্ট উপস্থিত না থাকায় কিছুক্ষণ গণনা বন্ধ রাখা হয়। তবে যেসব হলের প্রার্থীদের এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন, সেসব হলের ভোট গণনা অব্যাহত আছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হয়। পরে হলের কেন্দ্রগুলো থেকে ভোট বাক্সগুলো সিনেট ভবনে আনা হয়। পরে রাত ১০টার কিছু পরে শুরু হয় ভোট গণনা।

সিনেট ভবনে কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, একসঙ্গে দুটি করে হলের ভোট গণনা করা হবে। প্রথমে হল সংসদের, এরপর কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা হবে।

সিনেট হলে পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা চলছে। যেখানে শুধুমাত্র হল সংসদের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত রয়েছেন।

এদিকে, ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেলের প্রার্থীরা গতকাল বিকেল ৩ টার পর থেকে ভোট বর্জন করায়, অনেকটাই ভাটা পড়ে জাকসুর ভোটের আমেজে।

রাত পৌনে ৩টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এখন শুধু হল সংসদের ভোট গণনা চলছে। হলের ভোট গণনা শেষ হলে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শুরু হবে। মনে হচ্ছে, জুমার নামাজের আগে শেষ হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মকর্তারা সারাদিন হলে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন আবার তারা সিনেট ভবনে ভোট গণনায় দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাভাবিকভাবেই তারা ক্লান্ত। এ কারণে ভোট গণনা ধীর গতিতে হচ্ছে। সকালে যদি ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়; তারপর কেন্দ্রের ব্যালট গণনা শুরু হবে। সব মিলিয়ে ফলাফল ঘোষণা করতে করতে নামাজের পর চলে যেতে পারে।’

সবার আগে কাজী নজরুল ইসলাম এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের ব্যালট বাক্স খুলে গণনা শুরু হয়। প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর এই ক্যাম্পাসে গতকাল সকাল ৯টা থেকে ২১টি হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এতে ভোট পড়েছে প্রায় ৮ হাজার।

২৩: ০০

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু

অবশেষে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট হলে আজ রাত সোয়া দশটার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল পাঁচটায়। তবে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা পাঁচটার পরেও ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

ভোটগ্রহণ শেষে ২১ টি হল থেকে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে নেওয়া হয়। এরপর রাত সোয়া দশটার দিকে ভোটগণনা শুরু হয়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনের ফল পেতে আগামীকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টম্বর) দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’

এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রদল ছাড়াও আরও চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

২২: ১১

জাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মিছিল, পুনর্নির্বাচনের দাবি

জাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মিছিল, পুনর্নির্বাচনের দাবি

জাকসু নির্বাচন বয়কট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিল বের করেন শাখা ছাত্রদল মনোনীত জাকসুর প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে শাখা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বলেন, জাকসুর নির্বাচন বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।

২১: ১১

ফল পেতে আগামীকাল দুপুর হতে পারে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলছে। নির্বাচনের ফল পেতে আগামীকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টম্বর) দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

১৯: ১৮

এবার ভোট বয়কট প্রগতিশীলদের, পুনর্নির্বাচন দাবি

জাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন প্রগতিশীল সংগঠনের প্রার্থীরা। এই দাবিতে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও একাত্মতা জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান বলেন, ‘আমরা অনিয়মের নির্বাচন বয়কট করছি। দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্বাচন দাবি করছি।’

তিনি বলেন, ‘পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন করে নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করতে হবে।’

সম্প্রীতির এক্য ছাড়াও এই দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংশপ্তক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদের প্রার্থীরা। পাশাপাশি কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও সংহতি জানান।

এর আগে ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা।

১৮: ১৮

ছাত্রদলের পর নির্বাচন বর্জন সংশপ্তক পর্ষদের

ছাত্রদলের পর জাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে বামপন্থীদের একাংশের প্যানেল সংশপ্তক পর্ষদও। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় প্যানেলটি। প্রশাসনের ন্যাক্কারজনক ভূমিকা এবং ছাত্রশিবিরকে ভোট জালিয়াতিতে সহায়তা করার প্রতিবাদে প্যানেলটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।

প্যানেলটি অভিযোগ করে, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ছাত্রী সংস্থার শিক্ষার্থীরা জাল ভোট দিচ্ছিল এবং শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ব্যালট পেপার গিয়েছে ৪০০টি।

এ ছাড়া, ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত না করার কারণে যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছিল এবং রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণ মিলেছে বলে জানায় প্যানেলটি। প্রতিটি হলেই বিভিন্ন সংগঠনের বহিরাগতের অবস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণও এ বয়কটের পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে ‘অনিয়মের প্রশাসন ও ছাত্রশিবিরের এই ভোট ডাকাতির চক্রান্তকে’ প্রতিহত করতে জাকসুতে অংশগ্রহণকারী সব প্যানেল ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়।

১৮: ০৬

নির্বাচন বর্জন করে যা বললেন বিএনপিপন্থী দুই শিক্ষক

জাকসু নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিপন্থী শিক্ষক নাহরিন ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, এই দায়িত্বে (মনিটরিংয়ের) থাকা মানে, নিজেদের কাছে নিজেদের জবাবদিহিতা নাই। আমরা যদি এইরকম প্রহসন দেখে এই নির্বাচনের সাথে থাকি, তাহলে কোনোভাবেই আমার নিজের কাছে, আমার বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকতে পারব না। এইজন্য আমরা..আমরা যারা দায়িত্বে আছি, যে শিক্ষকরা, আমরা এই নির্বাচন বর্জন করলাম।’

আরেক শিক্ষক শামীমা সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচনের সময় কেন তারা নতুন নতুন ভোটার তৈরি করছে? এই জায়গা থেকে আমার মনে হচ্ছে, এখানে নানান ধরণের অনিয়ম হচ্ছে। আমরা গতকাল থেকেই শুনতে পাচ্ছিলাম, আপনারা ফেসবুকে দেখেছেন, অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। কেন অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হলো? নিশ্চয়ই এটার পেছনে উদ্দেশ্য আছে। আমার মনে হয়েছে, আজকের যে নির্বাচনটা, সেটা ছিল আসলে একটা সাজানো নাটক। এই নাটক দেখে মনে হয়েছে, আমাদের সরে আসা দরকার। সেই জায়গা থেকে আমরা আসলে এই নির্বাচনটাকে বর্জন করেছি।’

১৭: ৫০

শেষ হলো জাকসুর ভোটগ্রহণ, এখন ফলের অপেক্ষা

দিনব্যাপী নানা উত্তেজনা ও ঘটনার মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টা নাগাদ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা পাঁচটার পরেও ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এখন ভোট গণনার প্রস্তুতি চলছে। এখন ফল জানার অপেক্ষা।

শুরুতে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার কথা থাকলেও, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণ করা হবে ম্যানুয়ালি।

আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ৯টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু হলে ভোটগ্রহণ শুরু হতে দেরি হয়।

বিকেল পৌনে চারটা নাগাদ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। কিছু শিক্ষকও এর পর পরই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

জাকসুতে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ এবং ছাত্র ৬ হাজার ১৫ জন। একই সঙ্গে ২১টি হল সংসদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়।

১৬: ৫৭

কারচুপির অভিযোগে এনে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা বিএনপিপন্থী তিন শিক্ষকের

কারচুপির অভিযোগে এনে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা বিএনপিপন্থী তিন শিক্ষকের

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে এনে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিপন্থী তিন শিক্ষক। তাঁরা হলেন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা ও নাহরিন ইসলাম খান। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয়ভাবে জাকসু নির্বাচন মনিটরিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। বাকি দুজন হলের মনিটরিং করছিলেন।

তাঁরা ভোট বর্জনের ঘোষণাও দেন। তাঁরা জানান, আরো কয়েকজন শিক্ষক একই ঘোষণা দেবেন।

১৬: ৪৫

যেসব অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল

ভোট বর্জনের পর ভোটগ্রহণের অসঙ্গতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে দরখাস্ত দিয়েছে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান ও জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী প্যনেলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনারের কাছে দরখাস্ত দিয়েছেন।

তাঁদের দেওয়া দরখাস্তে বলা হয়, আজকের ভোট গ্রহণের সময় বিভিন্ন অসঙ্গতি আমাদেরকে হতাশ করেছে। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে জেতানোর জন্য প্রশাসন ফ্যাসিবাদ স্টাইলে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে।

দরখাস্তে তাঁরা কিছু অসঙ্গতির কথাও উল্লেখ করেছেন। যেমন, যথাসমযে ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া; প্রার্থীদেরকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে না দেওয়া; নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে শিবির সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের হাতে লিফলেট বিতরণ; ১৫ নং হলে জাল ভোট দেওয়া ও ভিপি প্রার্থীকে হেনস্থা; কিছু কেন্দ্রে ভোট কারচুপির মহোৎসব; অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার না করা; ভোটার ভালিকায় ছবি না থাকায় একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া ইত্যাদি।

১৫: ৫০

জাকসু নির্বাচন বয়কট করল ছাত্রদল

ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটায় মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল মনোনীত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী। এসময় তার সঙ্গে ছাত্রদল মনোনীত অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈশাখী বলেন, ‘তাজউদ্দীন হলে আমাদের ঢুকতে দেয়নি। তালিকায় ভোটারদের ছবি নেই, ২১ নং হলে মব সৃষ্টি করা হয়েছে। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে হাত তোলা হয়েছে।’

এই নির্বাচন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে অভিযোগ করে বৈশাখী বলেন, ‘জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আমরা চাইনি। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালটেই ভোট হচ্ছে। ১০ থেকে ২০ শতাংশ ব্যালট শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা?

তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েদের হলে একই মেয়ে বারবার ভোট দিতে গেছেন। শিবিরপন্থী সাংবাদিকরা মিসবিহ্যাভ করেছেন ছাত্রদলের প্রার্থীদের সঙ্গে, সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটি কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন। তাই নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি। নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।‘

১৫: ৪৩

মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন ছাত্রদল নেতা

প্রক্টর অফিসে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহান। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ও প্রক্টর একেএম রাশিদুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জাকসুর ভোটগ্রহণ চলাকালে অবৈধভাবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে অবস্থান করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

১৫: ০৬

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের

জাকসু নির্বাচনে অনিয়ম ও কারসাজির অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’। নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন জামায়াত-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম। এ ছাড়া, প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা প্রদান এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানোর অভিযোগও তোলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সিয়াম অভিযোগ করেন, ভোট শুরু হওয়ার পর ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণ করলেও দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ছিলেন নির্বিকার।

এই প্যানেলের প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে সিয়াম বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা চারটা কেন্দ্র থেকে ফিরে এসেছি। সেখানে কেন্দ্রের পরিস্থিতি কেমন, তা দেখতে ঢুকতে চেয়েছিলাম। শুধু কেন্দ্র না, যেখানে অন্য প্রার্থীরা দাঁড়িয়ে আছেন, সেই পর্যন্তও আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু আমরা জানতাম, রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে প্রার্থীরা পাঁচ থেকে সাত মিনিটের জন্য কেন্দ্র ভিজিট করতে পারবে। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারছি না।‘

সিয়াম আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিদর্শনের অনুমতি দিলেও অনেক কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছেন। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন একটি নির্দিষ্ট সংগঠনকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটের মাধ্যমে যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিয়াম।

১৪: ৫১

ক্যাম্পাসের বাইরে ‘জড়ো হচ্ছেন বহিরাগতরা’, শিবির-ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ক্যাম্পাসের বাইরে ‘জড়ো হচ্ছেন বহিরাগতরা’, শিবির-ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের বাইরে বহিরাগতরা ভিড় জমাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীদের অভিযোগ, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের বাইরে ভিড় করেছেন। আর ছাত্রশিবির একই অভিযোগ করছেন, ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা স্পষ্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুধু অবস্থান করছে, কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করছে। বাইরে ছাত্রদল-বিএনপি অবস্থান করছে। যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

ছাত্রশিবিরের ভিপি পদপ্রার্থী আরিফুল্লাহ বলেন, ‘খবর পাচ্ছি ক্যাম্পাসের চারপাশে ছাত্রদল অবস্থান করছে। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হলে ছাত্রদল প্রভাব বিস্তার করছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। জাহানারা ইমাম হলে গার্ডকে মারধর করা হয়েছে।’

এর আগে, ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের বহিরাগতরা অবস্থান নিয়েছেন।

১৪: ২০

ব্যালট পেপার কেনায় কোনো পক্ষপাত হয়নি: জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ব্যালট পেপার কেনায় কোনো পক্ষপাত হয়নি: জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ব্যালট পেপার ও ভোটগণনার মেশিন কেনার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট দলের প্রতি পক্ষপাত ছিল না বলে দাবি করেছেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। আজ দুপুরে মওলানা ভাসানী হলে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।

এর কিছুক্ষণ আগে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলকে জয়ী করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই জামায়াতে ইসলামীর এক অখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ও ভোট গণনার ওএমআর মেশিন কেনা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মনিরুজ্জমান জানান, জামায়াত বা পছন্দের কোনো দলকে এই কাজ দেওয়া হয়নি। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কাজ যাচাই করে সেখান থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ সময় তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যাল বিষয়ে জানি না, আমি ইংরেজি সাহিত্যের।’

পরীক্ষায় ব্যালট পেপারের কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে সেটি বাতিল হতে পারে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, সবাই তাঁদের আয়োজনে সন্তুষ্ট।

১৩: ৫৭

কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদল নেতাদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ, হট্টগোল

কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদল নেতাদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ, হট্টগোল

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে (সাবেক বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল) স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ খবর পেয়ে ‘ভোট কারচুপির জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে’—এমন অভিযোগ তুলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান এবং জিএস প্রার্থী ৫-৭ জন নেতাকর্মী নিয়ে হলটিতে প্রবেশ করেন। তাঁরা হলের দোতলায় ভোট কেন্দ্রের সামনে গেলে তাঁদের সামনে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এরপর ‘হলের ভেতরে ছাত্র কেন’ স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানায় ওই হলের ছাত্রীরা। এ সময় হলের কর্মচারীদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে হলের ছাত্রীরা সেখান থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বের করে দেন।

হল সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়ে এসেছেন।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাংলা বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র জিসান ছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে হলের কর্মচারীদের ‘ধাক্কা দেওয়ার’ অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা গেলে তাঁদের সঙ্গেও জিসান ‘খারাপ আচরণ’ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সাংবাদিকরা তাঁকে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জাকসুতে বাগছাস সমর্থিত প্যানেল ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’-এর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা। বিষয়টি নিয়ে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘এখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ছাত্রদলের নেতারা হলের ভেতর ঢুকে যাবেন কেন? এখানে মেয়েদের প্রাইভেসির বিষয় আছে তো। তাঁরা দলবেঁধে হলে ঢুকে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছেন। এখানে শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনা হচ্ছে, অভিযোগ আসতেই পারে। আমি নিজেই তো অন্য প্যানেলের, তাই বলে কি ছেলেদের নিয়ে হলে ঢুকে পড়বো।’

তবে হলে কোনো ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন ১৫ নং ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা নাসরীন জলি। তিনি বলেন, ‘হলে এখন পর্যন্ত কোনো ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি। ১৫ নং ছাত্রী হলে যেটা হয়েছে, ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাচ্ছিল। এজন্য হল প্রশাসন নতুন কালি না আসা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ স্থগিত করে রেখেছিল।’

১৩: ৩৪

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানের ব্যালট পেপার দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে: ছাত্রদল

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানের ব্যালট পেপার দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে: ছাত্রদল

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালট পেপার দিয়ে জাকসু নির্বাচন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় প্যানেলটির জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী ও এজিএস প্রার্থী (পুরুষ) সাজ্জাদউল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

সাদী অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলকে জয়ী করার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই জামায়াতে ইসলামীর এক অখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ও ভোট গণনার ওএমআর মেশিন কেনা হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলে প্রশাসন মেশিনে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে একই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা ব্যালট পেপার দিয়েই আজকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছাত্রশিবির এই প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা করে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে জয়ী হওয়ার নীলনকশা করছে বলেও অভিযোগ করেন সাদী।

ক্যাম্পাসের আশপাশে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জানানো হয়। এমন পরিস্থিতি থাকলে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে অনুৎসাহিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্রদল।

১৩: ১৭

শিবিরের এজেন্ডা নিয়ে আমার হাতে ব্যালট পেপার ধরিয়ে দিয়েছে: ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী

শিবিরের এজেন্ডা নিয়ে আমার হাতে ব্যালট পেপার ধরিয়ে দিয়েছে: ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী

ভোটকেন্দ্রের সামনে ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখীর হাতে ‘ব্যালটপেপার’ দেখা গেছে, এমন অভিযোগের বিষয় নিয়ে ১৫ নং ছাত্রীহলের সামনে হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

পরে তানজিলা হোসেন বৈশাখী সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর হাতে কেউ একজন সেই ব্যালটপেপার ধরিয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করেছেন। তবে তার নাম ও পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

বৈশাখী বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর একজন মেয়ে ও তাঁর সঙ্গে এক সাংবাদিক এসে আমার হাতে ভাঁজ করা ব্যালট পেপার ধরিয়ে দিলেন। তারপর একজন সাংবাদিক লাইভ করা শুরু করলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন, আমি নাকি ভেতর থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে এসেছি, শিবির জিতে যাবে এজন্য। তাহলে তো এটা বোঝাই যায় কার এজেন্ডা সার্ভ করছে।’ তবে সেই সময় পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে প্রবেশই করেননি বলেও দাবি করেন এই প্রার্থী।

ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের ভেতরে ছাত্রদলের লিফলেট নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি জানি না।’

১২: ৫৮

জাবির হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক

জাবির হল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আটক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতাকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আটকৃত হাফিজুর রহমান সোহান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি ভোট চলাকালে অবৈধভাবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে অবস্থান করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষক, পোলিং এজেন্ট এবং কর্মকর্তারা গত রাত থেকেই সতর্ক আছি। আমি গত রাত সাড়ে ১২টায় এই হল থেকে গিয়েছি। সকাল ১১টার দিকে আমরা খবর পেয়েছি ছাত্রদলের একজন এই হলে অবস্থান করছেন। খবর পাওয়া মাত্রই আমি সেখানে গিয়ে তাঁকে আটক করে প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করেছি। সে এখন প্রক্টর অফিসে আছে।’

নির্বাচনের আচরণবিধির অনুযায়ী এটি ‘শাস্তিযোগ্য হতে পারে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন প্রক্টর অফিস এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। আমি হলের প্রভোস্ট হিসেবে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল, সেটি নিয়েছি।’

১২: ২১

জালভোটের অভিযোগ ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থীর

জালভোটের অভিযোগ ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থীর

ফজিলাতুন্নেসা হলে ঢুকতে ‘বাধা দেওয়া হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানজিনা হোসেন বৈশাখী। তাঁর দাবি, ভেতরে জালভোট হচ্ছে বলে তাঁরা খবর পেয়েছে।

ফজিলাতুন্নেসা হল ছাড়াও অন্য কেন্দ্রগুলোতেও প্রার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বৈশাখী বলেন, ‘শিবিরপন্থীরা আমাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আমরা খবর পেয়েছি, ভেতরে জালভোট হচ্ছে এবং সেখানে (সব প্রার্থীর) পোলিং এজেন্টও নেই। নির্দিষ্ট একটি দলের পোলিং এজেন্ট আছে।’

১২: ০৪

জাকসুতেও জয়ী হওয়ার প্রত্যয় শিবির সমর্থিত ভিপিপ্রার্থীর

জাকসুতেও জয়ী হওয়ার প্রত্যয় শিবির সমর্থিত ভিপিপ্রার্থীর

ভোট দিতে এসে ডাকসুর মতো জাকসুতেও জয়ের আশা ব্যক্ত করেছেন শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ এর ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান জেনারেশন বিগত সময়ে স্বৈরশাসন দেখেছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে শিক্ষার্থীরা দেখছে ছাত্রশিবির সহনশীলতার রাজনীতি করে। জাকসুতে যদি একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে এখানেও আমরা পুরো প্যানেলে জয়ী হতে পারব।’

১১: ৫৯

আড়াই ঘণ্টায় এক কেন্দ্রে ২১ শতাংশ ভোট

আড়াই ঘণ্টায় এক কেন্দ্রে ২১ শতাংশ ভোট

মওলানা ভাসানী হল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে। আড়াই ঘণ্টায় ওই কেন্দ্রে ১১১টি ভোট পড়েছে। সেই হিসাবে ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মহসিন জানান, এই হলে মোট ভোটার ৫১৪ জন।

১১: ৪২

অন্তত ৫ কেন্দ্রে দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরুর অভিযোগ

জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৯টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অন্তত পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে দেরিতে শুরু হয়েছে ভোট। এর মধ্যে ফজিলাতুন্নেসা হলে ৪৫ ও মীর মশাররফ হলে ৩৫ মিনিট দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এ ছাড়াও মওলানা ভাসানী হলে ২০, কাজী নজরুল হলে ১৬ এবং ১০ নম্বর হলে ১৫ মিনিট পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মওলানা ভাসানী হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মহসিন স্ট্রিমকে জানান, এমন নির্বাচন আয়োজনের অভিজ্ঞতা তাঁদের এই প্রথম। নিয়ম-কানুন মেনে সব শুরু করতে তাই খানিকটা দেরি হয়েছে।

১১: ০৬

বৃষ্টিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট

বৃষ্টিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট

সকাল থেকে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটগ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টা যেতে না যেতেই সকাল পৌনে ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, রয়েছে মেঘের গর্জনও।

তবে ভোটকেন্দ্রগুলো হলে হওয়ায় ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে বৃষ্টির কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে বৃষ্টি আসার পরপরই বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ঘটেছে। ফলে ভোটকেন্দ্রগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।

১১: ০০

২১টি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা

জাকসু নির্বাচনে ২১টি ভোটকেন্দ্রে ২২৪টি বুথ বসানো হয়েছে। কেন্দ্রের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে প্রায় ৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এসব সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে কেন্দ্রের পরিবেশ নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি টিম, প্রক্টরিয়াল বডি ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পুরো ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করবেন। দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। জাকসুর জন্য তিন পৃষ্ঠার এবং দুটি হলের জন্য দুই পৃষ্ঠার এবং বাকি হলগুলোর জন্য এক পাতার ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে।

সকালে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, কেন্দ্রগুলোতে দুই স্তরের সিসিটিভি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।

১০: ৫২

ভোটারদের ‘অমোচনীয় কালি না দেওয়ার’ অভিযোগ

জাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের অমোচনীয় কালি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাগছাস সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদের এজিএস প্রার্থী আল আমিন এমন অভিযোগ করেন। পাশাপাশি আবু তৌহিদ মো. সিয়াম প্রার্থীদের কেন্দ্রের সামনে প্রচারপত্র বিতরণেরও অভিযোগ করেন।

সিয়াম স্ট্রিমকে বলেন, ‘অনেক ভোটার ভোট দেওয়ার পরও অমোচনীয় কালি দেওয়া হচ্ছে না। অনেক প্রার্থী কেন্দ্রের সামনে প্রচারপত্র বিতরণের অভিযোগ এসেছে।’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদের এজিএস প্রার্থী আল আমিন বলেন, ‘আমাদের হলে ভোট দেওয়ার সময় কোনো ভোটারের আঙুলের ওপর মার্ক দেওয়া হচ্ছে না। শুধু সই নিয়ে ব্যালট পেপার দিচ্ছে।’

শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বাঁধন ও ইশতিয়াক স্ট্রিমকে জানান, তারা তাদের হলে ভোট দিয়েছেন। তবে অমোচনীয় কালি দেওয়া হয়নি।

বাঁধন বলেন, ‘কালি কোনো ফ্যাক্টর নয়, কারণ তিন ধাপের যাচাই শেষে একজন ভোটার বুথে প্রবেশ করেন। আর কালি মোছার কেউ পরিকল্পনা করলে সেটাও সম্ভব। হলে সবাই সবাইকে চেনেন, কাজেই জাল ভোট দেওয়া অসম্ভব।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের পোলিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার মন্ডল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে আমাদের মার্কার সরবরাহ করা হয়নি।’

পরে সকাল ১০টার দিকে নির্বাচন কমিশন অফিসে মাফরুহী সাত্তারকে ফোন করে অভিযোগ জানান সিয়াম।

অন্যদিকে, শহীদ রফিক জব্বার হলে মোট ভোটার ৬৫১ জন। প্রথম এক ঘণ্টা ২০ মিনিটে এই হলে ভোট পড়েছে ৫৮টি। এই হলে ছাত্রদের হাতে কালো মার্কার কলম দিয়ে দাগ দেওয়া হচ্ছে। হলের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে মার্কার পেয়েছি।’

১০: ১৬

ডাকসুর চেয়েও জাকসুতে ভোট গণনায় বেশি সময় লাগতে পারে

ডাকসুর তুলনায় জাকসুতে ভোটার কম হলেও ভোট গণনায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার স্ট্রিমকে জানান, ম্যানুয়ালি ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জাকসুর ভোট গণনায় দেরি হবে। প্রার্থীদের আপত্তি আমলে নিয়ে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোট গণনায় সারারাত লাগতে পারে।

১০: ১২

দুই বিষয়ে অভিযোগ শিবির-সমর্থিত ভিপিপ্রার্থীর

ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপিপ্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কিন্তু দুইটি বিষয়ে আমরা অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে—প্রথমত, ছাত্রদলের নেতাকর্মী, যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে, তাঁরা ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল সন্ধ্যায়ও বলেছিল, সন্ধ্যা ৬টা থেকে কোনো সাবেক শিক্ষার্থী, কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। কিন্তু আমরা তাঁদের দেখতে পাচ্ছি।’

দ্বিতীয় বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শহীদ সালাম বরকত হলে মোট ভোটারের সংখ্যার চেয়ে অন্তত ১৫০টি ব্যালট বেশি পাওয়া গেছে। ভোটারের চেয়ে ব্যালট বেশি হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগের।’

০৯: ৩৭

জাকসু নির্বাচন ঘিরে: ক্যাম্পাসজুড়ে কড়া নিরাপত্তা

৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ৮ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন আনসার ও ১৬০০ পুলিশ সদস্য ও ২০০ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে খোঁজখবর নিয়েছি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো ধরনের হুমকি নেই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।’

ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্ট্রিম ছবি
ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্ট্রিম ছবি

এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

০৯: ৩১

জাকসু নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ শিবির সভাপতির

জাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ‘ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। বুধবার রাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।

জাহিদুল বলেন, ‘জাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। হাসবুনাল্লাহ।’

জাহিদুল ইসলামের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট
জাহিদুল ইসলামের ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট

০৯: ১৮

জাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু, শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি

জাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু, শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টার কিছুক্ষণ পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

ভোট দিতে এসে ভাসানী হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৩ বছর আমাদের অধিকার আদায়ের কথা বলার মতো কোনো প্রতিনিধি ছিল না। যেহেতু এতদিন পর সেই সুযোগটা আসছে, সেজন্য সকাল সকালেই যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চলে এসেছি। যাঁরা আমাদের পক্ষে কথা বলবেন বা শিক্ষার্থীদের হয়েই কথা বলবেন, তারাই যেন নির্বাচিত হন; এই প্রত্যাশা করছি।’

প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এক ভোটার। স্ট্রিম ছবি
প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এক ভোটার। স্ট্রিম ছবি

যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁদের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কোনো দলীয় দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন না করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্যই যেন তাঁরা কাজ করেন এবং ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে।’

ভোটগ্রহণের আগে প্রার্থী ও সাংবাদিকদের ফাঁকা ব্যালট বাক্স দেখিয়ে নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে মোট ২২৪টি বুথে দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ চলবে।

২১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা নির্বাচনী দায়িত্বে রয়েছেন। ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ভোট দেবেন। ভোটগ্রহণ শেষে ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করা হবে।

ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ব্যালটবাক্স খুলে দেখান নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্ট্রিম ছবি
ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ব্যালটবাক্স খুলে দেখান নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্ট্রিম ছবি

০৮: ৫৮

সাতসকালে হলে জাবি শিবির সভাপতি, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা

সাতসকালে হলে জাবি শিবির সভাপতি, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা

জাকসু নির্বাচনের ভোট শুরু হবে সকাল ৯টায়, তবে এর প্রায় আড়াই ঘণ্টা আগে ক্যাম্পাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে প্রবেশ করেছেন জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহিবুর রহমান। এসময় শিক্ষার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।

আজ বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে এই বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও স্ট্রিমের কাছে এসেছে। ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘তিনি এই হলের কেউ নন, কীভাবে এখানে ঢোকেন।’ এসময় পাশ থেকে আরেকজন জানতে চান, তিনি কি নির্বাচন করছেন? এর উত্তরে অপরজন বলেন, ‘তাঁর ছাত্রত্ব শেষ, তিনি ৪৭ ব্যাচের।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো অনুমতি ও পাস কার্ড ছাড়াই হলে প্রবেশ করেছেন মুহিবুর রহমান।

০৮: ৪৬

৩৩ বছর পর জাকসু: ভোটের প্রস্তুতি সম্পন্ন, শুরু ৯টায়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ২১টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বুথ থাকবে ২২৪টি। ২১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহাকারী পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিভিন্ন প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এক হাজারের বেশি পুলিশের সদস্য মোতায়ের রাখা হবে। প্রয়োজনে বাড়ানো হবে। পুলিশ সদস্যের অধিকাংশই ক্যাম্পাসের বাইরের দিকে অবস্থান করবেন। ভোটকেন্দ্রগুলোতে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

কেন্দ্রের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রায় ৮০টি সিসিটিভি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এসব সিসি ক্যামেরা দিয়ে কেন্দ্রের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করা হবে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ দল, প্রক্টরিয়াল বডি এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পুরো ক্যাম্পাসে দায়িত্ব পালন করবেন। দুজন ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবেন।

ভোটকেন্দ্রে আনা হয়েছে খালি ব্যালটবাক্স। স্ট্রিম ছবি
ভোটকেন্দ্রে আনা হয়েছে খালি ব্যালটবাক্স। স্ট্রিম ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পরের বছরই প্রথম জাকসু নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮১, ১৯৮৯, ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালসহ মোট ৮ বার নির্বাচন হয়েছে। ১৯৯২ সালে শেষবারের মতো নির্বাচন হয়। কিন্তু ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ছাত্ররা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালালে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ভেঙে দেয় প্রশাসন।

জাকসুতে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ এবং ছাত্র ৬ হাজার ১৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। একই সঙ্গে ২১টি হল সংসদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।

সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী ৯ জন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

একেকটি হলে পদসংখ্যা ১৫। ২১টি হল সংসদে মোট পদ ৩১৫টি। এতে ৪৭৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী নেই। একজন করে প্রার্থী রয়েছে ৬৭টি পদে। সে হিসেবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট হবে।

ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্ট্রিম ছবি
ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্ট্রিম ছবি

জাকসুতে মোট সাতটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে চারটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ও তিনটি আংশিক প্যানেল রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলো হলো ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল, ছাত্রশিবির–সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ–সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম।

আংশিক প্যানেল দিয়েছে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ এবং ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ। এ ছাড়া অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন।