স্ট্রিম প্রতিবেদক
গেল এক বছরে দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেড়েছে। যাদের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তুলনায় ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া দেশে বেকারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্নাতক ডিগ্রিধারী। ঢাকায় বেকারদের সংখ্যা অন্যান্য বিভাগের তুলনায় চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সময়ের সাথে সাথে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারের চাহিদা বদলাচ্ছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সেই অনুসারে হালনাগাদ করা হচ্ছে না। যে কারণে, তরুণরা শিক্ষিত হলেও চাকরির বাজারের জন্য উপযুক্ত হচ্ছেন না।
গেল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিবিএসের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল এক দশকে বাংলাদেশে ১৫ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের কর্মক্ষম জনসংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালে এই জনসংখ্যা প্রায় ১২১ দশমিক ৭৬ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ৪২ দশমিক ২৭ মিলিয়ন, পুরুষ ১৯ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন এবং নারী ২২ দশমিক ৬০ মিলিয়ন। এ ছাড়া ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ৭০ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৫ দশমিক ১৮ মিলিয়ন এবং নারী ৩৫ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন।
আর ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৮ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ দশমিক ২১ মিলিয়ন এবং নারী ৩ দশমিক ৫২ মিলিয়ন। কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যার অনুপাত শহরাঞ্চলে তুলনামূলক বেশি, যা ৭১ দশমিক ৫১ শতাংশ, যেখানে গ্রামাঞ্চলে তা মোট জনসংখ্যার ৬৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বছরখানেক আগে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী কর্মক্ষম জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১২০ দশমিক ৬১ মিলিয়ন। দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ৪৩ দশমিক ৬২ মিলিয়ন।
এর মধ্যে পুরুষ ২০ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন এবং নারী ২৩ দশমিক ০৬ মিলিয়ন, এবং ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ৬৮ দশমিক ০৮ মিলিয়ন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন এবং নারী ৩৪ দশমিক ১৮ মিলিয়ন। ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ দশমিক ১৯ মিলিয়ন এবং নারী ৩ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন। কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যার অনুপাত শহরাঞ্চলে তুলনামূলক বেশি, যা ৭১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যেখানে এটি গ্রামাঞ্চলে মোট জনসংখ্যার ৬৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনসংখ্যাকেই শ্রমশক্তি বলা হয়। এতে কাজে নিয়োজিত কিংবা বেকার উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটি দেশের মানবসম্পদের আকার, গঠন ও ভবিষ্যৎ শ্রম সরবরাহের প্রক্ষেপণে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার-সংক্রান্ত সূচক মূল ভূমিকা রাখে।
জনসংখ্যার বেশিরভাগের বাস গ্রামে
বাংলাদেশের জনসংখ্যার বেশিরভাগ বাস করেন গ্রামাঞ্চলে। বিশেষ করে শূন্য থেকে ১৪ ও ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়স শ্রেণীতে, যেখানে নির্ভরশীলতার হার উচ্চ। শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়স শ্রেণীতে মোট ৫১ দশমিক ৮২ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে, যেখানে ৩৭ দশমিক ১৬ মিলিয়ন পল্লি এলাকায় এবং ১৪ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন শহর এলাকায় বসবাস করে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ৭৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী প্রধানত পল্লি এলাকায় এবং ৩৪ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন শহর এলাকায় বসবাস করেন। পল্লি এলাকায় ৬৫ বছর কিংবা তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি, যা ৬ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন। অন্যদিকে শহর এলাকায় বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২ দশমিক ০৫ মিলিয়ন।
বাংলাদেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যা ১৭৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন (সতেরো কোটি ছত্রিশ লাখ চার হাজার)। এর মধ্যে ১২২ দশমিক ০৪ মিলিয়ন পল্লি এলাকায় এবং ৫১ দশমিক ৬০ মিলিয়ন শহর এলাকায় বসবাস করেন।
স্নাতক ডিগ্রিধারীরাই বেশি বেকার
২০২৪ সালে যারা বেকার ছিলেন, তাদের মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের সংখ্যাই বেশি। জরিপে দেখা গেছে, বেকারদের মধ্যে এক দশমিক ২৫ শতাংশের কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।
এক দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছেন, দুই দশমিক ৯১ শতাংশ শিক্ষার মাধ্যমিক স্তর শেষ করেছেন, সাত দশমিক ১৩ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক স্তর সম্পন্ন করেছেন আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর বাইরে চার দশমিক ৫২ শতাংশ বেকার অন্য কোনো মাধ্যম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন।
দেখা গেছে যে, গ্রাম ও শহর উভয় স্থানেই নারী ও পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষিত বেকারত্বের হার নিরক্ষর বেকারত্বের হারের চেয়ে বেশি। শহর অঞ্চলে শিক্ষিত নারীর বেকারত্বের হার তুলনামূলক বেশি। শহর অঞ্চলে এ হার ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, অন্যদিকে গ্রামে শিক্ষিত নারীর বেকারত্বের হার ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, যা জাতীয় পর্যায়ে তিন দশমিক ৮১ শতাংশ। সাক্ষরতা এবং নিরক্ষরতার ভিত্তিতে বেকারত্বের হারের মধ্যে স্পষ্টত একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান রয়েছে।
ঢাকায় বেকার বেশি
সবচেয়ে বেশি বেকার ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ৬ লাখ ৮৭ হাজার বেকার আছে। এরপরের দুটি স্থানে আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগ। দেশের বিভাগওয়ারি হিসাবে ঢাকা বিভাগের পর চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ লাখ ৮৪ হাজার, রাজশাহীতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার, খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৩৯ হাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৪ হাজার বেকার আছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে মজুরি পেলে তাঁকে বেকার হিসেবে ধরা হবে না। এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী এবং সর্বশেষ এক সপ্তাহে কেউ যদি এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করার সুযোগ না পান, তাঁদের বেকার হিসেবে গণ্য করা হবে। এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সংজ্ঞা। সেই হিসেবে বাংলাদেশের বেকারসংখ্যা ২৬ লাখ ২৪ হাজার। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে জীবনধারণ অসম্ভব।
বেকারত্বের হার ২০১৫-১৬ সালে ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ, যেখানে পুরুষ ৩ দশমিক ০ শতাংশ এবং মহিলা ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তুলনায় দেখা যায়, ২০২৪ সালে বেকারত্বের হার তিন দশমিক ৬৬ শতাংশ, যার মধ্যে পুরুষ তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক ৪৬ শতাংশ। বিশেষ করে দেখা যায়, সমাজে নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়েছে।
দক্ষতার অসামঞ্জস্যতা
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাঠ্যসূচি সাজাতে হবে বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলেন, মুখস্তবিদ্যা থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োগিক শিক্ষায় বেশি জোর দিতে হবে। নাহলে দেশের বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তিকে কাজে লাগানো যাবে না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকায়। এ ছাড়া স্নাতক পর্যায়ের আরও অনেকগুলো কলেজ আছে। সবার মনোযোগ এই ঢাকাকে কেন্দ্র করে। এ কারণে উচ্চশিক্ষিত বেকারত্বের সংখ্যা ঢাকায় বেশি।’
এ সময়ে স্কিল মিসম্যাচ বা দক্ষতার অসামঞ্জস্যতার কারণেই দেশে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বেশি জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ইন্ডাস্ট্রি বা চাকরির বাজার থেকে যেটা চাওয়া হচ্ছে, সেটার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লেখাপড়ার কোনো মিল নেই।
মাহফুজ কবীর বলেন , ‘এ ক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনতে হবে, হালনাগাদ করতে হবে ও চাকরির বাজারের সঙ্গে তাল রেখে এগোতে হবে। এমনকি কোন কোন জায়গায় কোন চাকরিতে কী ধরনের দক্ষতা বাড়াতে হবে, সেটা খুঁজে বের করে শিক্ষার্থীদের সে অনুসারে দক্ষ করে তুলতে হবে। এটা বাড়াতে পারলেই বেকারত্বের সংকট কেটে যাবে।’
পলিটেকনিক্যালেও কারিকুলাম হালনাগাদ করতে হবে জানিয়ে মাহফুজ কবির বলেন, ‘সবার আগে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। সেখানে যে সরঞ্জাম দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেগুলোও সময়ের সাথে হালনাগাদ করতে হবে। প্রশিক্ষকদেরও মান বাড়াতে হবে। তারা অনেকেই জানেন না, চাকরির বাজারে কী ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন। যে কারণে সে অনুসারে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন না। মূলত তাত্ত্বিক লেখাপড়ার পাশাপাশি, ল্যাব কোর্স ও প্রয়োগিক বিষয়াদিতেও বেশি জোর দিতে হবে। সেখানে চাকরির বাজারের চাহিদাগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
দেশের শিক্ষিত জনবল থাকলেও তারা দক্ষ না বলে মন্তব্য করে মাহফুজ কবীর বলেন, তাঁরা স্নাতক হলেও চাকরির বাজারের জন্য উপযুক্ত না।
বদলাচ্ছে শ্রমবাজারের চাহিদা
শিক্ষা ও শ্রমবাজারের মধ্যে একটা সংযোগহীনতা বহুদিন ধরেই আছে জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘নিয়োগদাতাদের যদি জিজ্ঞাসা করেন, তারা বলবে লোক পাচ্ছেন না। আবার শিক্ষিতরা বলেন যে তারা কাজ পাচ্ছেন না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বরাবরের মতোই পিছিয়ে আছে।’
শ্রমবাজারের চাহিদা নিয়মিত বদলাচ্ছে মন্তব্য করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বড় একটা পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে, যা আগামীতে আরও বেশি গতিশীল হবে। একটা সময় চাকরির বাজারে বিবিএ-এমবিএর খুব চাহিদা ছিল। তারপর আসে কম্পিউটার প্রোগ্রামার। সবাই কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে প্রোগ্রামার হতে চেয়েছে। সেখানে এখন জনবল উদ্বৃত্ত আছে, যদিও তাদের কিছু এখন ফ্রিল্যান্সিং করছেন।’
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘অনলাইন লেবার সার্ভিসে বাংলাদেশের অবস্থান খুব ভালো। আগামীতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের পাঠ্যসূচি সাজাতে হবে। নাহলে এই সমস্যা থেকে যাবে। কেবল চাকরির জন্য জনবল তৈরি করলেই হবে না, উদ্যোক্তাও লাগবে।’
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক হাইটেক কর্মজীবী তৈরি করতে হবে, আন্তর্জাতিক বাজারে যাদের অনেক চাহিদা আছে। তাদের মতো করে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে চীনা ও ভারতীয়রা খুব ভালো করছেন। তাদের মতো আমাদের দেশেও তরুণদের সংখ্যা বিশাল। কিন্তু আমাদের বড় ঘাটতি হচ্ছে মৌলিক শিক্ষায়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় যদি কোয়ালিটির সংকট থাকে, তাহলে পরবর্তীতে বেশি কিছু অর্জন করা শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। মুখস্তবিদ্যার ওপর ভিত্তি করে যেই শিক্ষা আমরা দিয়ে এসেছি, সেটা থেকে বেরিয়ে
গেল এক বছরে দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেড়েছে। যাদের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তুলনায় ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া দেশে বেকারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্নাতক ডিগ্রিধারী। ঢাকায় বেকারদের সংখ্যা অন্যান্য বিভাগের তুলনায় চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সময়ের সাথে সাথে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারের চাহিদা বদলাচ্ছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সেই অনুসারে হালনাগাদ করা হচ্ছে না। যে কারণে, তরুণরা শিক্ষিত হলেও চাকরির বাজারের জন্য উপযুক্ত হচ্ছেন না।
গেল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিবিএসের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল এক দশকে বাংলাদেশে ১৫ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের কর্মক্ষম জনসংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালে এই জনসংখ্যা প্রায় ১২১ দশমিক ৭৬ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ৪২ দশমিক ২৭ মিলিয়ন, পুরুষ ১৯ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন এবং নারী ২২ দশমিক ৬০ মিলিয়ন। এ ছাড়া ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ৭০ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৫ দশমিক ১৮ মিলিয়ন এবং নারী ৩৫ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন।
আর ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৮ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ দশমিক ২১ মিলিয়ন এবং নারী ৩ দশমিক ৫২ মিলিয়ন। কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যার অনুপাত শহরাঞ্চলে তুলনামূলক বেশি, যা ৭১ দশমিক ৫১ শতাংশ, যেখানে গ্রামাঞ্চলে তা মোট জনসংখ্যার ৬৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বছরখানেক আগে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী কর্মক্ষম জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১২০ দশমিক ৬১ মিলিয়ন। দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ৪৩ দশমিক ৬২ মিলিয়ন।
এর মধ্যে পুরুষ ২০ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন এবং নারী ২৩ দশমিক ০৬ মিলিয়ন, এবং ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা ৬৮ দশমিক ০৮ মিলিয়ন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন এবং নারী ৩৪ দশমিক ১৮ মিলিয়ন। ৬৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সী কর্মক্ষম ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ দশমিক ১৯ মিলিয়ন এবং নারী ৩ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন। কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যার অনুপাত শহরাঞ্চলে তুলনামূলক বেশি, যা ৭১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যেখানে এটি গ্রামাঞ্চলে মোট জনসংখ্যার ৬৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনসংখ্যাকেই শ্রমশক্তি বলা হয়। এতে কাজে নিয়োজিত কিংবা বেকার উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটি দেশের মানবসম্পদের আকার, গঠন ও ভবিষ্যৎ শ্রম সরবরাহের প্রক্ষেপণে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার-সংক্রান্ত সূচক মূল ভূমিকা রাখে।
জনসংখ্যার বেশিরভাগের বাস গ্রামে
বাংলাদেশের জনসংখ্যার বেশিরভাগ বাস করেন গ্রামাঞ্চলে। বিশেষ করে শূন্য থেকে ১৪ ও ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়স শ্রেণীতে, যেখানে নির্ভরশীলতার হার উচ্চ। শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়স শ্রেণীতে মোট ৫১ দশমিক ৮২ মিলিয়ন জনসংখ্যা রয়েছে, যেখানে ৩৭ দশমিক ১৬ মিলিয়ন পল্লি এলাকায় এবং ১৪ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন শহর এলাকায় বসবাস করে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ৭৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী প্রধানত পল্লি এলাকায় এবং ৩৪ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন শহর এলাকায় বসবাস করেন। পল্লি এলাকায় ৬৫ বছর কিংবা তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি, যা ৬ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন। অন্যদিকে শহর এলাকায় বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২ দশমিক ০৫ মিলিয়ন।
বাংলাদেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যা ১৭৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন (সতেরো কোটি ছত্রিশ লাখ চার হাজার)। এর মধ্যে ১২২ দশমিক ০৪ মিলিয়ন পল্লি এলাকায় এবং ৫১ দশমিক ৬০ মিলিয়ন শহর এলাকায় বসবাস করেন।
স্নাতক ডিগ্রিধারীরাই বেশি বেকার
২০২৪ সালে যারা বেকার ছিলেন, তাদের মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের সংখ্যাই বেশি। জরিপে দেখা গেছে, বেকারদের মধ্যে এক দশমিক ২৫ শতাংশের কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।
এক দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছেন, দুই দশমিক ৯১ শতাংশ শিক্ষার মাধ্যমিক স্তর শেষ করেছেন, সাত দশমিক ১৩ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক স্তর সম্পন্ন করেছেন আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর বাইরে চার দশমিক ৫২ শতাংশ বেকার অন্য কোনো মাধ্যম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন।
দেখা গেছে যে, গ্রাম ও শহর উভয় স্থানেই নারী ও পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষিত বেকারত্বের হার নিরক্ষর বেকারত্বের হারের চেয়ে বেশি। শহর অঞ্চলে শিক্ষিত নারীর বেকারত্বের হার তুলনামূলক বেশি। শহর অঞ্চলে এ হার ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, অন্যদিকে গ্রামে শিক্ষিত নারীর বেকারত্বের হার ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, যা জাতীয় পর্যায়ে তিন দশমিক ৮১ শতাংশ। সাক্ষরতা এবং নিরক্ষরতার ভিত্তিতে বেকারত্বের হারের মধ্যে স্পষ্টত একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান রয়েছে।
ঢাকায় বেকার বেশি
সবচেয়ে বেশি বেকার ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ৬ লাখ ৮৭ হাজার বেকার আছে। এরপরের দুটি স্থানে আছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগ। দেশের বিভাগওয়ারি হিসাবে ঢাকা বিভাগের পর চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ লাখ ৮৪ হাজার, রাজশাহীতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার, খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৩৯ হাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৪ হাজার বেকার আছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে মজুরি পেলে তাঁকে বেকার হিসেবে ধরা হবে না। এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী এবং সর্বশেষ এক সপ্তাহে কেউ যদি এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করার সুযোগ না পান, তাঁদের বেকার হিসেবে গণ্য করা হবে। এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সংজ্ঞা। সেই হিসেবে বাংলাদেশের বেকারসংখ্যা ২৬ লাখ ২৪ হাজার। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে জীবনধারণ অসম্ভব।
বেকারত্বের হার ২০১৫-১৬ সালে ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ, যেখানে পুরুষ ৩ দশমিক ০ শতাংশ এবং মহিলা ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তুলনায় দেখা যায়, ২০২৪ সালে বেকারত্বের হার তিন দশমিক ৬৬ শতাংশ, যার মধ্যে পুরুষ তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং নারী তিন দশমিক ৪৬ শতাংশ। বিশেষ করে দেখা যায়, সমাজে নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়েছে।
দক্ষতার অসামঞ্জস্যতা
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পাঠ্যসূচি সাজাতে হবে বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁরা বলেন, মুখস্তবিদ্যা থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োগিক শিক্ষায় বেশি জোর দিতে হবে। নাহলে দেশের বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তিকে কাজে লাগানো যাবে না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকায়। এ ছাড়া স্নাতক পর্যায়ের আরও অনেকগুলো কলেজ আছে। সবার মনোযোগ এই ঢাকাকে কেন্দ্র করে। এ কারণে উচ্চশিক্ষিত বেকারত্বের সংখ্যা ঢাকায় বেশি।’
এ সময়ে স্কিল মিসম্যাচ বা দক্ষতার অসামঞ্জস্যতার কারণেই দেশে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বেশি জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ইন্ডাস্ট্রি বা চাকরির বাজার থেকে যেটা চাওয়া হচ্ছে, সেটার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লেখাপড়ার কোনো মিল নেই।
মাহফুজ কবীর বলেন , ‘এ ক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনতে হবে, হালনাগাদ করতে হবে ও চাকরির বাজারের সঙ্গে তাল রেখে এগোতে হবে। এমনকি কোন কোন জায়গায় কোন চাকরিতে কী ধরনের দক্ষতা বাড়াতে হবে, সেটা খুঁজে বের করে শিক্ষার্থীদের সে অনুসারে দক্ষ করে তুলতে হবে। এটা বাড়াতে পারলেই বেকারত্বের সংকট কেটে যাবে।’
পলিটেকনিক্যালেও কারিকুলাম হালনাগাদ করতে হবে জানিয়ে মাহফুজ কবির বলেন, ‘সবার আগে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। সেখানে যে সরঞ্জাম দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেগুলোও সময়ের সাথে হালনাগাদ করতে হবে। প্রশিক্ষকদেরও মান বাড়াতে হবে। তারা অনেকেই জানেন না, চাকরির বাজারে কী ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন। যে কারণে সে অনুসারে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন না। মূলত তাত্ত্বিক লেখাপড়ার পাশাপাশি, ল্যাব কোর্স ও প্রয়োগিক বিষয়াদিতেও বেশি জোর দিতে হবে। সেখানে চাকরির বাজারের চাহিদাগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
দেশের শিক্ষিত জনবল থাকলেও তারা দক্ষ না বলে মন্তব্য করে মাহফুজ কবীর বলেন, তাঁরা স্নাতক হলেও চাকরির বাজারের জন্য উপযুক্ত না।
বদলাচ্ছে শ্রমবাজারের চাহিদা
শিক্ষা ও শ্রমবাজারের মধ্যে একটা সংযোগহীনতা বহুদিন ধরেই আছে জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘নিয়োগদাতাদের যদি জিজ্ঞাসা করেন, তারা বলবে লোক পাচ্ছেন না। আবার শিক্ষিতরা বলেন যে তারা কাজ পাচ্ছেন না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বরাবরের মতোই পিছিয়ে আছে।’
শ্রমবাজারের চাহিদা নিয়মিত বদলাচ্ছে মন্তব্য করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে বড় একটা পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে, যা আগামীতে আরও বেশি গতিশীল হবে। একটা সময় চাকরির বাজারে বিবিএ-এমবিএর খুব চাহিদা ছিল। তারপর আসে কম্পিউটার প্রোগ্রামার। সবাই কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে প্রোগ্রামার হতে চেয়েছে। সেখানে এখন জনবল উদ্বৃত্ত আছে, যদিও তাদের কিছু এখন ফ্রিল্যান্সিং করছেন।’
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘অনলাইন লেবার সার্ভিসে বাংলাদেশের অবস্থান খুব ভালো। আগামীতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের পাঠ্যসূচি সাজাতে হবে। নাহলে এই সমস্যা থেকে যাবে। কেবল চাকরির জন্য জনবল তৈরি করলেই হবে না, উদ্যোক্তাও লাগবে।’
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক হাইটেক কর্মজীবী তৈরি করতে হবে, আন্তর্জাতিক বাজারে যাদের অনেক চাহিদা আছে। তাদের মতো করে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে চীনা ও ভারতীয়রা খুব ভালো করছেন। তাদের মতো আমাদের দেশেও তরুণদের সংখ্যা বিশাল। কিন্তু আমাদের বড় ঘাটতি হচ্ছে মৌলিক শিক্ষায়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় যদি কোয়ালিটির সংকট থাকে, তাহলে পরবর্তীতে বেশি কিছু অর্জন করা শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। মুখস্তবিদ্যার ওপর ভিত্তি করে যেই শিক্ষা আমরা দিয়ে এসেছি, সেটা থেকে বেরিয়ে
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে সপ্তম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক (এসইউপি) মুক্ত করতে সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খাাস
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৫টা ১১ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এ ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল ভারতের আসামে।
৪ ঘণ্টা আগে