আবরার নাদিম মুমশাদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটের হিসাবে গরমিল দেখা গেছে। বেশ কিছু প্রার্থীর প্রাপ্ত মোট ভোটসংখ্যা ও হলভিত্তিক প্রকাশিত ভোটের হিসাবের মধ্যে গরমিল রয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাধিক প্রার্থী এ অভিযোগ তুলে পোস্ট দেন। তাঁদের দাবি, প্রকাশিত ফলাফল সঠিক নয় এবং ভোট গণনায় অনিয়ম হয়েছে।
এমনই একজন অভিযোগকারী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করা লানজু খান। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টা নাগাদ এক ফেসবুক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলে আমার ভোট ১৫৩১টি হলেও প্রতিটি হলের ভোট গণনা করে আমার ভোট আসল ১৫৭১টি।’
গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ডাকসুর ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রতিটি হলের ফলাফল যোগ করে দেখা যায়, লানজু খানের প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে আদতেই ৪০ ভোটের গরমিল রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লানজু খান স্ট্রিমকে বলেন, ‘জয় পরাজয় আমার কাছে বিষয় না, কিন্তু আমাদের যে ভোট গণণা হয়েছে, তা সুষ্ঠু হয়েছে কি না, তার নিশ্চয়তা চাই। প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ এবং শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর করা ভোটার লিস্ট প্রকাশ করা হোক।’
সদস্য প্রার্থী আবির হাসানের হলভিত্তিক ভোট যোগ করেও একই রকম গরমিল পেয়েছে স্ট্রিম। সব হলের ভোট যোগ করে তাঁর ভোটসংখ্যা ৩ হাজার ১ শ ৬৪ হলেও, নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রাপ্ত ভোট দেখিয়েছে ৩ হাজার ১শ ২৬।
ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন সর্ব মিত্র চাকমা। মোট ভোটে গরমিলের অভিযোগ এনেছেন তিনিও। গতকাল দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ডাকসুর অনেক প্রার্থী সম্মিলিতভাবে প্রাপ্ত ভোটসংখ্যার সঙ্গে হলভিত্তিক ভোট গণনায় বেশ গরমিল পাচ্ছেন দেখে আমিও হিসাব কষতে বসেছিলাম। আমার সম্মিলিতভাবে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেখাচ্ছে ৮৯৮৮। কিন্তু হলভিত্তিক ভোটসংখ্যা হিসাব করে দেখলাম আমার প্রাপ্ত ভোট ৯৫৪৮। ৫৬০টা ভোটের ব্যবধান!’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ সাকিব। তিনিও নিজের প্রাপ্ত ভোটে গরমিলের অভিযোগ এনেছেন। গতকাল দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘হল থেকে প্রাপ্ত ভোটের লিস্ট অনুযায়ী আমার মোট ভোট সংখ্যা ৩৯৬২। কিন্তু সম্মিলিত লিস্ট এবং রেজাল্টের লিস্টে ভোট সংখ্যা ৩৯২২।’
এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে জানিয়ে সাকিব স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে প্রশাসনকে একটা লিখিত অভিযোগ দিব। অনেকেরই সাথে কথা হয়েছে আমাদের। তারা এভাবেই আগাবে, আমি নিজেও। আর যদি প্রশাসন কোন সদুত্তর না দেয়, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ চিন্তা করব। হতে পারে অনেকে আইনিভাবে আগাবে। আইনিভাবেই আমরা সামনের দিকে যাব আরকি।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক গোলাম রব্বানী স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা সব মিলিয়ে যে ফলাফল প্রকাশ করেছি, তাতে কোনো ভুল নেই। তবে হলভিত্তিক ফলাফল গণণা করতে গিয়ে হয়তো কিছু ভুল হয়েছে। তা আমার কানেও এসেছে। ভুলগুলো কীভাবে শুধরানো যায়, তা আমরা খতিয়ে দেখব।’
এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ৯ জন পোলিং এজেন্ট। আগেই পূরণ করা ব্যালট পেপারের উপস্থিতি, জাল ভোটারের আনাগোনা, পোলিং এজেন্টদের কাজে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
এ ছাড়া অভিযোগ উঠেছে, জামায়াতে ইসলামীর এক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত ভুয়া প্রেস পাস ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের উপস্থিতির মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটের হিসাবে গরমিল দেখা গেছে। বেশ কিছু প্রার্থীর প্রাপ্ত মোট ভোটসংখ্যা ও হলভিত্তিক প্রকাশিত ভোটের হিসাবের মধ্যে গরমিল রয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাধিক প্রার্থী এ অভিযোগ তুলে পোস্ট দেন। তাঁদের দাবি, প্রকাশিত ফলাফল সঠিক নয় এবং ভোট গণনায় অনিয়ম হয়েছে।
এমনই একজন অভিযোগকারী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করা লানজু খান। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টা নাগাদ এক ফেসবুক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলে আমার ভোট ১৫৩১টি হলেও প্রতিটি হলের ভোট গণনা করে আমার ভোট আসল ১৫৭১টি।’
গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ডাকসুর ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রতিটি হলের ফলাফল যোগ করে দেখা যায়, লানজু খানের প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে আদতেই ৪০ ভোটের গরমিল রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লানজু খান স্ট্রিমকে বলেন, ‘জয় পরাজয় আমার কাছে বিষয় না, কিন্তু আমাদের যে ভোট গণণা হয়েছে, তা সুষ্ঠু হয়েছে কি না, তার নিশ্চয়তা চাই। প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ এবং শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর করা ভোটার লিস্ট প্রকাশ করা হোক।’
সদস্য প্রার্থী আবির হাসানের হলভিত্তিক ভোট যোগ করেও একই রকম গরমিল পেয়েছে স্ট্রিম। সব হলের ভোট যোগ করে তাঁর ভোটসংখ্যা ৩ হাজার ১ শ ৬৪ হলেও, নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রাপ্ত ভোট দেখিয়েছে ৩ হাজার ১শ ২৬।
ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন সর্ব মিত্র চাকমা। মোট ভোটে গরমিলের অভিযোগ এনেছেন তিনিও। গতকাল দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ডাকসুর অনেক প্রার্থী সম্মিলিতভাবে প্রাপ্ত ভোটসংখ্যার সঙ্গে হলভিত্তিক ভোট গণনায় বেশ গরমিল পাচ্ছেন দেখে আমিও হিসাব কষতে বসেছিলাম। আমার সম্মিলিতভাবে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেখাচ্ছে ৮৯৮৮। কিন্তু হলভিত্তিক ভোটসংখ্যা হিসাব করে দেখলাম আমার প্রাপ্ত ভোট ৯৫৪৮। ৫৬০টা ভোটের ব্যবধান!’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ সাকিব। তিনিও নিজের প্রাপ্ত ভোটে গরমিলের অভিযোগ এনেছেন। গতকাল দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘হল থেকে প্রাপ্ত ভোটের লিস্ট অনুযায়ী আমার মোট ভোট সংখ্যা ৩৯৬২। কিন্তু সম্মিলিত লিস্ট এবং রেজাল্টের লিস্টে ভোট সংখ্যা ৩৯২২।’
এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে জানিয়ে সাকিব স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে প্রশাসনকে একটা লিখিত অভিযোগ দিব। অনেকেরই সাথে কথা হয়েছে আমাদের। তারা এভাবেই আগাবে, আমি নিজেও। আর যদি প্রশাসন কোন সদুত্তর না দেয়, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ চিন্তা করব। হতে পারে অনেকে আইনিভাবে আগাবে। আইনিভাবেই আমরা সামনের দিকে যাব আরকি।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক গোলাম রব্বানী স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা সব মিলিয়ে যে ফলাফল প্রকাশ করেছি, তাতে কোনো ভুল নেই। তবে হলভিত্তিক ফলাফল গণণা করতে গিয়ে হয়তো কিছু ভুল হয়েছে। তা আমার কানেও এসেছে। ভুলগুলো কীভাবে শুধরানো যায়, তা আমরা খতিয়ে দেখব।’
এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ৯ জন পোলিং এজেন্ট। আগেই পূরণ করা ব্যালট পেপারের উপস্থিতি, জাল ভোটারের আনাগোনা, পোলিং এজেন্টদের কাজে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
এ ছাড়া অভিযোগ উঠেছে, জামায়াতে ইসলামীর এক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত ভুয়া প্রেস পাস ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের উপস্থিতির মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
দেশে বেকারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্নাতক ডিগ্রিধারী। ঢাকায় বেকারদের সংখ্যা অন্যান্য বিভাগের তুলনায় চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে সপ্তম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক (এসইউপি) মুক্ত করতে সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খাাস
২ ঘণ্টা আগে