মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধানবিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে গিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।
চুক্তিতে আসলে কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না, সেই স্বীকৃতি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি বাংলাদেশের একমাত্র দাবি ছিল না। বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং ১৯৭১-এর আগে যৌথ সম্পদের ন্যায্য অংশও বাংলাদেশের দাবি ছিল।
একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের বিষয়ে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে বাংলাদেশ একমত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তবে দুই দেশের অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে আগামী দিনে আলোচনা চালিয়ে যেতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দুঃখপ্রকাশের এই ঘটনাগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কখনোই আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। বাংলাদেশ বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছে যে পাকিস্তানের উচিত ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া।
দুই বছর আগেও বাংলাদেশিদের কাছে শেখ মুজিবের সমালোচনা এক অকল্পনীয় বিষয় ছিল। আজ সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝেও শোনা যাচ্ছে, ‘পাকিস্তানি আমলেই ভাল ছিলাম’ এর হাহাকার।
জুলাই গণ-অভুত্থান দিবস
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘১৯৭১ ছিল স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ। আর ২০২৪ সাল ছিল স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ ভোলেনি। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদেরকেও বাংলাদেশ ভুলবে না।
যেভাবে তিনি তরুণদের প্রভাবিত করলেন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে সেই সময়ের শাসকদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছিলেন ছফা। আবার বছরগুলোতে আমাদের দেশ যে স্বৈরশাসনের ছায়ায় ছিল, এ সময় বেঁচে থাকলে কেমন হতো ছফার ভূমিকা? কী রকম হতেন তিনি?
‘জুলাই–আন্দোলন’ আমার কাছে ছিল আমার রাজনৈতিক আত্মার আধ্যাত্মিক বহিঃপ্রকাশ। দেশচেতনার আবেগে কাতর হয়ে উঠেছিল আমার মন। আমি ঘুমের ভেতর জনতার পায়ের শব্দ শুনতে পেতাম; মানুষের সমবেত স্লোগানগুলো আমাকে প্রকম্পিত করে তুলত।