
.png)

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গণভোট আয়োজনের সময়সূচি ও প্রক্রিয়া নিয়ে দেশের তিনটি রাজনৈতিক দল — বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে।

প্রায় এক বছর ধরে সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ ধারাবাহিক আলোচনা ছিল ‘অর্থহীন, অর্থ ও সময়ের অপচয়, প্রহসনমূলক এবং জাতির সঙ্গে প্রতারণা’।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া দেখেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে সইয়ের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন ও মাওলানা মামুনুল হকের দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা থেকে জন্ম নেয় ‘জুলাই সনদ’।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল আজ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাবে। অবশ্য বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত না হয়ে তারা সনদে সই করবে না।

সনদ সই হলেও তা বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রণয়নের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আবার গণভোটের সময় নিয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী ও নাগরিক পার্টি গণভোটের সময় নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে এখনো পর্যন্ত অনড় আছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে গণভোটের বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। শিগগিরই হয়তো ভোটের আয়োজনও করা হবে। গণভোট হলো জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট, যা কোনো নির্দিষ্ট প্রস্তাব, আইন বা রাজনৈতিক বিষয়ে নেওয়া হয়।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনা এবং একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠক বসবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নিতে বলছেন তারা।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষমতা কমিশনের নেই এবং কমিশন কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেবে না। তিনি বলেন, কমিশন কেবল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারকে সুপারিশ করতে পারে।

'নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থার প্রবর্তন বিপ্লব নয়, ক্যু হিসেবে গণ্য হবে' উল্লেখ করে জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)

এখন পর্যন্ত মোট ২৬টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে এর ওপর নিজেদের মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বরাবর জমা দিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বেলা ১টা পর্যন্ত ২৫তম ও ২৬তম দল হিসেবে কমিশনের কাছে মতামত জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও নাগরিক ঐক্য।

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার ওপর মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে সংলাপের অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জামায়াতে ইসলামীসহ খেলাফত মজলিস, এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং বাসদ-মার্কসবাদী তাদের মতামত জমা দিয়েছে। এর আগে গতকাল বিএনপি, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস,