.png)
জুলাই সনদের আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তির জন্য ‘গণপরিষদ নির্বাচন’ ও ‘নতুন সংবিধানের’ দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের গঠিত দলটির এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সেপ্টেম্বর ঐক্যমত্য কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে এ বিষয়ে মতামত জানিয়েছে বিএনপি। দলটি মনে করে, ‘ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হয়নি। সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন কোনো সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করলে, সেটি বিপ্লব না বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হয়।’ আর সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার কোনোরূপ ‘বিপজ্জনক চেষ্টা’ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মতও নয় বলেও মনে করে দলটি।

স্ট্রিম প্রতিবেদক

‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি মনে করে, ‘ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হয়নি। সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন কোনো সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করলে, সেটি বিপ্লব না বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হয়।’ আর সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার কোনোরূপ ‘বিপজ্জনক চেষ্টা’ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মতও নয় বলেও মনে করে দলটি।
জুলাই জাতীয় সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া বৃহস্পতিবারও জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় চূড়ান্ত করা যায়নি। গত ১৬ আগস্ট এই খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোকে দেওয়া হয়েছিল।
এই ইস্যুতে গত ৩ সেপ্টেম্বর এক চিঠির মাধ্যমে বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের কাছে তাদের মতামত জানিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীের সই করা চিঠিতে জুলাই জাতীয় সনদকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অন্যতম দলিল উল্লেখ করে দলটি বলেছে, ‘এটি গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যাশার প্রতি এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী সকল জনগণের প্রতি জাতির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় স্বীকৃতি ও বিনম্র কৃতজ্ঞতার স্মারক। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এই সনদের বাস্তবায়ন জ্বলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ও চেতনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এর মধ্য দিয়েই সূচনা হবে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহির পক্ষে বাংলাদেশের নতুন যাত্রার।’
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আস্থা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার গত ৬ জুনের ভাষণের সূত্র ধরে বিএনপি বলেছে, 'কী প্রক্রিয়ায় জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হবে, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হলে আমাদের প্রথমেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এতদসংক্রান্ত ভাষণের প্রতি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’-এর বিষয়ে তাঁর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।'
৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার বলেন, ‘আগামী জুলাই মাসেই সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘‘জুলাই সনদ’’ প্রস্তুত করে আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব বলে আশা করছি। এই জুলাই সনদ হলো একটি প্রতিশ্রুতি। একটা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টিতে একমত হয়েছে; তার তালিকা থাকবে এই সনদে। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির কাছে সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে, জুলাই সনদ অনুযায়ী আশু করণীয় সংস্কার কাজগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাকি অংশের বেশ কিছু কাজও আমরা শুরু করে যেতে চাই। আশা করি, অবশিষ্ট অংশ পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।'
জুন মাসের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা তিন ধাপে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কথা বলেছেন উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপি বলেছে, 'প্রথমত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের ‘‘আশুকরণীয় সংস্কার কাজগুলো’’ বাস্তবায়ন করবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান সরকার জুলাই সনদের বাকি অংশের বেশকিছু কাজের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং তৃতীয়ত, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।’
বিএনপি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে 'অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত' উল্লেখ করে বলেছে, তারা ওই বাস্তবায়ন কৌশল সমর্থন করে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো অন্যথা করার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই।
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা
কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার সুচিন্তিত ধারণার বাইরে গিয়ে নানাবিধ নিত্যনতুন ধারণা বা পন্থার কথা বলছে উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপির বক্তব্য হলো, যেসব ধারণা বা পন্থা যথেষ্ট সুচিন্তিত ও বাস্তবসম্মত নয়, সেসব ধারণা বাস্তবায়ন করলে জুলাই অভ্যুত্থান বিপ্লব নয়, বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি বলেছে, 'প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদের পরিচ্ছেদ ২ (সংস্কার কমিশন গঠন) এ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে— বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হয়নি। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা চলমান থাকা অবস্থায় প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদকে ‘‘সুপ্রা কনস্টিটিউশনাল ইনস্ট্রুমেন্ট" হিসেবে মর্যাদা দানের চেষ্টা আইনি ও সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্ভব, অসঙ্গত ও অগ্রহণযোগ্য।’
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন কোনো সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করলে, সেটি বিপ্লব না বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হয়। গৌরবময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনো দল বা গোষ্ঠী এরূপ অসম্মানজনক পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে, সেটি হবে জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একইসঙ্গে একথা স্মরণে রাখা আবশ্যক যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার কোনোরূপ বিপজ্জনক চেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মতও নয়।’
সংবিধান সংস্কার বাদ দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিএনপির প্রস্তাব
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে বিএনপি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলেছে, 'বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের সংবিধান সংস্কারবিষয়ক সুপারিশ ছাড়া অন্যান্য আশুকরণীয় সুপারিশগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই বাস্তবায়ন করবে। এই উদ্দেশ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ জারি, বিধি প্রণয়ন, প্রশাসনিক আদেশ জারি, প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ বা অন্য কোন বৈধ কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে।'
যেসব কাজ অন্তর্বর্তী সরকার করে যেতে পারবে না, সেসব সংস্কারের কাজ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা বাস্তবায়ন করবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে সই এবং নির্বাচনী ইশতেহারে বাস্তবায়নের বিষয় উল্লেখ করে জাতির কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সনদ বাস্তবায়নের আইনি বাধ্যবাধকতা রাখার লক্ষ্যে আগামী রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।

‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি মনে করে, ‘ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হয়নি। সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন কোনো সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করলে, সেটি বিপ্লব না বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হয়।’ আর সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার কোনোরূপ ‘বিপজ্জনক চেষ্টা’ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মতও নয় বলেও মনে করে দলটি।
জুলাই জাতীয় সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া বৃহস্পতিবারও জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় চূড়ান্ত করা যায়নি। গত ১৬ আগস্ট এই খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোকে দেওয়া হয়েছিল।
এই ইস্যুতে গত ৩ সেপ্টেম্বর এক চিঠির মাধ্যমে বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের কাছে তাদের মতামত জানিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীের সই করা চিঠিতে জুলাই জাতীয় সনদকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অন্যতম দলিল উল্লেখ করে দলটি বলেছে, ‘এটি গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যাশার প্রতি এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী সকল জনগণের প্রতি জাতির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় স্বীকৃতি ও বিনম্র কৃতজ্ঞতার স্মারক। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এই সনদের বাস্তবায়ন জ্বলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ও চেতনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এর মধ্য দিয়েই সূচনা হবে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহির পক্ষে বাংলাদেশের নতুন যাত্রার।’
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আস্থা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার গত ৬ জুনের ভাষণের সূত্র ধরে বিএনপি বলেছে, 'কী প্রক্রিয়ায় জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হবে, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হলে আমাদের প্রথমেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এতদসংক্রান্ত ভাষণের প্রতি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’-এর বিষয়ে তাঁর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।'
৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার বলেন, ‘আগামী জুলাই মাসেই সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘‘জুলাই সনদ’’ প্রস্তুত করে আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব বলে আশা করছি। এই জুলাই সনদ হলো একটি প্রতিশ্রুতি। একটা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টিতে একমত হয়েছে; তার তালিকা থাকবে এই সনদে। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির কাছে সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে, জুলাই সনদ অনুযায়ী আশু করণীয় সংস্কার কাজগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাকি অংশের বেশ কিছু কাজও আমরা শুরু করে যেতে চাই। আশা করি, অবশিষ্ট অংশ পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।'
জুন মাসের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা তিন ধাপে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কথা বলেছেন উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপি বলেছে, 'প্রথমত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের ‘‘আশুকরণীয় সংস্কার কাজগুলো’’ বাস্তবায়ন করবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান সরকার জুলাই সনদের বাকি অংশের বেশকিছু কাজের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং তৃতীয়ত, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।’
বিএনপি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে 'অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত' উল্লেখ করে বলেছে, তারা ওই বাস্তবায়ন কৌশল সমর্থন করে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো অন্যথা করার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই।
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা
কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার সুচিন্তিত ধারণার বাইরে গিয়ে নানাবিধ নিত্যনতুন ধারণা বা পন্থার কথা বলছে উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপির বক্তব্য হলো, যেসব ধারণা বা পন্থা যথেষ্ট সুচিন্তিত ও বাস্তবসম্মত নয়, সেসব ধারণা বাস্তবায়ন করলে জুলাই অভ্যুত্থান বিপ্লব নয়, বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি বলেছে, 'প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদের পরিচ্ছেদ ২ (সংস্কার কমিশন গঠন) এ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে— বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হয়নি। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা চলমান থাকা অবস্থায় প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদকে ‘‘সুপ্রা কনস্টিটিউশনাল ইনস্ট্রুমেন্ট" হিসেবে মর্যাদা দানের চেষ্টা আইনি ও সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্ভব, অসঙ্গত ও অগ্রহণযোগ্য।’
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন কোনো সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করলে, সেটি বিপ্লব না বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হয়। গৌরবময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনো দল বা গোষ্ঠী এরূপ অসম্মানজনক পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে, সেটি হবে জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একইসঙ্গে একথা স্মরণে রাখা আবশ্যক যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার কোনোরূপ বিপজ্জনক চেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মতও নয়।’
সংবিধান সংস্কার বাদ দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিএনপির প্রস্তাব
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে বিএনপি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলেছে, 'বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের সংবিধান সংস্কারবিষয়ক সুপারিশ ছাড়া অন্যান্য আশুকরণীয় সুপারিশগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই বাস্তবায়ন করবে। এই উদ্দেশ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ জারি, বিধি প্রণয়ন, প্রশাসনিক আদেশ জারি, প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ বা অন্য কোন বৈধ কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে।'
যেসব কাজ অন্তর্বর্তী সরকার করে যেতে পারবে না, সেসব সংস্কারের কাজ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা বাস্তবায়ন করবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে সই এবং নির্বাচনী ইশতেহারে বাস্তবায়নের বিষয় উল্লেখ করে জাতির কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সনদ বাস্তবায়নের আইনি বাধ্যবাধকতা রাখার লক্ষ্যে আগামী রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
.png)

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে, দলটির অপর অংশের আয়োজিত দশম জাতীয় সম্মেলন সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে কোনো করণীয় নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার নেতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
১৭ ঘণ্টা আগে
‘ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা ৫ ঘণ্টা করার ঘোষণা জামায়াত আমিরের’ এমন শিরোনামের একটি খবর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এক পক্ষ বলছেন, জামায়াত আমিরের এই বক্তব্য নারীবিরোধী। আরেক পক্ষ বলছেন, আমিরের বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমের ফটোকার্ডে সঠিকভাবে উদ্ধৃত হয়নি।
১৭ ঘণ্টা আগে
বিধিমালায় শাপলা প্রতীক না থাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। স্ব-বিবেচনায় অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৮ ঘণ্টা আগে