'সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন কোন সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তণ করলে, সেটি বিপ্লব না বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হয়। গৌরবময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোন দল বা গোষ্ঠী এরূপ অসম্মানজনক পথে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করলে, সেটি হবে জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।'
স্ট্রিম প্রতিবেদক
'নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থার প্রবর্তন বিপ্লব নয়, ক্যু হিসেবে গণ্য হবে' উল্লেখ করে জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
৩ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা এক চিঠির মাধ্যমে বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের কাছে তাদের মতামত জানিয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে তারা এই চিঠি দেয়।
জুলাই জাতীয় সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া বৃহস্পতিবারও জাতীয় সংসদে কমিশনের সভায় চূড়ান্ত করা যায়নি। গত ১৬ আগস্ট এ খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোকে দেওয়া হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জুলাই জাতীয় সনদকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অন্যতম দলিল উল্লেখ করে দলটি বলেছে, 'এটি গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যাশার প্রতি এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী সকল জনগণের প্রতি জাতির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় স্বীকৃতি ও বিনম্র কৃতজ্ঞতার স্মারক। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এই সনদের বাস্তবায়ন জ্বলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ও চেতনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এর মধ্য দিয়েই সূচনা হবে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহির পক্ষে বাংলাদেশের নতুন যাত্রার।'
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আস্থা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার গত ৬ জুনের ভাষণের সূত্র ধরে বিএনপি বলেছে, 'কী প্রক্রিয়ায় জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হবে, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হলে আমাদের প্রথমেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এতদসংক্রন্ত ভাষণের প্রতি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং "জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫"-এর বিষয়ে তাঁর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।'
৬ জুন জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার বলেন, 'আগামী জুলাই মাসেই সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি "জুলাই সনদ" প্রস্তুত করে আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব বলে আশা করছি। এই জুলাই সনদ হলো একটি প্রতিশ্রুতি। একটা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে সেগুলোর মধ্য থেকে রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টিতে একমত হয়েছে, তার তালিকা থাকবে এই সনদে। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির কাছে সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে, জুলাই সনদ অনুযায়ী আশু করণীয় সংস্কার কাজগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাকি অংশের বেশ কিছু কাজও আমরা শুরু করে যেতে চাই। আশা করি, অবশিষ্ট অংশ পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।'
জুন মাসের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা তিন ধাপে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কথা বলেছেন উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপি বলেছে, 'প্রথমত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের "আশুকরণীয় সংস্কার কাজগুলো" বাস্তবায়ন করবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান সরকার জুলাই সনদের বাকি অংশের বেশকিছু কাজের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করবে। এবং তৃতীয়ত, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।'
বিএনপি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে 'অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত' উল্লেখ করে বলেছে, তারা ওই বাস্তবায়ন কৌশল সমর্থন করে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো অন্যথা করার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই।
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা
কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার সুচিন্তিত ধারণার বাইরে গিয়ে নানাবিধ নিত্যনতুন ধারণা বা পন্থার কথা বলছে উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপির বক্তব্য হলো, যেসব ধারণা বা পন্থা যথেষ্ট সুচিন্তিত ও বাস্তবসম্মত নয়, সেসব ধারণা বাস্তবায়ন করলে জুলাই অভ্যুত্থান বিপ্লব নয়, বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি বলেছে, 'প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদের পরিচ্ছেদ ২ (সংস্কার কমিশন গঠন) এ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হয়নি। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা চলমান থাকা অবস্থায় প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদকে "সুপ্রা-কনস্টিটিউশনাল ইনস্ট্রুমেন্ট" হিসেবে মর্যাদা দানের চেষ্টা আইনি ও সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্ভব, অসঙ্গত ও অগ্রহণযোগ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন কোন সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তণ করলে, সেটি বিপ্লব না বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হয়। গৌরবময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোন দল বা গোষ্ঠী এরূপ অসম্মানজনক পথে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করলে, সেটি হবে জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একইসাথে একথা স্মরণে রাখা আবশ্যক যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার কোনরূপ বিপজ্জনক চেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মতও নয়।'
সংবিধান সংস্কার বাদ দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিএনপির প্রস্তাব
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে বিএনপি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলেছে, 'বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের সংবিধান সংস্কারবিষয়ক সুপারিশ ছাড়া অন্যান্য আশুকরণীয় সুপারিশসমূহ কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই বাস্তবায়ন করবে। এই উদ্দেশ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ জারি, বিধি প্রণয়ন, প্রশাসনিক আদেশ জারি, প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ বা অন্য কোন বৈধ কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে।'
যেসব কাজ অন্তর্বর্তী সরকার করে যেতে পারবে না, সেসব সংস্কারের কাজ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা বাস্তবায়ন করবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর এবং নির্বাচনী ইশতেহারে বাস্তবায়নের বিষয় উল্লেখ করে জাতির কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সনদ বাস্তবায়নের আইনি বাধ্যবাধকতা রাখার লক্ষ্যে আগামী রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
'নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থার প্রবর্তন বিপ্লব নয়, ক্যু হিসেবে গণ্য হবে' উল্লেখ করে জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
৩ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা এক চিঠির মাধ্যমে বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজের কাছে তাদের মতামত জানিয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে তারা এই চিঠি দেয়।
জুলাই জাতীয় সনদের পূর্ণাঙ্গ খসড়া বৃহস্পতিবারও জাতীয় সংসদে কমিশনের সভায় চূড়ান্ত করা যায়নি। গত ১৬ আগস্ট এ খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোকে দেওয়া হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জুলাই জাতীয় সনদকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অন্যতম দলিল উল্লেখ করে দলটি বলেছে, 'এটি গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যাশার প্রতি এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী সকল জনগণের প্রতি জাতির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় স্বীকৃতি ও বিনম্র কৃতজ্ঞতার স্মারক। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এই সনদের বাস্তবায়ন জ্বলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ও চেতনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে এর মধ্য দিয়েই সূচনা হবে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহির পক্ষে বাংলাদেশের নতুন যাত্রার।'
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আস্থা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার গত ৬ জুনের ভাষণের সূত্র ধরে বিএনপি বলেছে, 'কী প্রক্রিয়ায় জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হবে, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে হলে আমাদের প্রথমেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এতদসংক্রন্ত ভাষণের প্রতি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং "জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫"-এর বিষয়ে তাঁর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।'
৬ জুন জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার বলেন, 'আগামী জুলাই মাসেই সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি "জুলাই সনদ" প্রস্তুত করে আমরা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব বলে আশা করছি। এই জুলাই সনদ হলো একটি প্রতিশ্রুতি। একটা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে সেগুলোর মধ্য থেকে রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টিতে একমত হয়েছে, তার তালিকা থাকবে এই সনদে। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির কাছে সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে, জুলাই সনদ অনুযায়ী আশু করণীয় সংস্কার কাজগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাকি অংশের বেশ কিছু কাজও আমরা শুরু করে যেতে চাই। আশা করি, অবশিষ্ট অংশ পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।'
জুন মাসের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা তিন ধাপে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কথা বলেছেন উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপি বলেছে, 'প্রথমত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের "আশুকরণীয় সংস্কার কাজগুলো" বাস্তবায়ন করবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান সরকার জুলাই সনদের বাকি অংশের বেশকিছু কাজের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করবে। এবং তৃতীয়ত, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।'
বিএনপি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে 'অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত' উল্লেখ করে বলেছে, তারা ওই বাস্তবায়ন কৌশল সমর্থন করে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো অন্যথা করার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই।
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা
কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার সুচিন্তিত ধারণার বাইরে গিয়ে নানাবিধ নিত্যনতুন ধারণা বা পন্থার কথা বলছে উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপির বক্তব্য হলো, যেসব ধারণা বা পন্থা যথেষ্ট সুচিন্তিত ও বাস্তবসম্মত নয়, সেসব ধারণা বাস্তবায়ন করলে জুলাই অভ্যুত্থান বিপ্লব নয়, বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি বলেছে, 'প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদের পরিচ্ছেদ ২ (সংস্কার কমিশন গঠন) এ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হয়নি। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা চলমান থাকা অবস্থায় প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদকে "সুপ্রা-কনস্টিটিউশনাল ইনস্ট্রুমেন্ট" হিসেবে মর্যাদা দানের চেষ্টা আইনি ও সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্ভব, অসঙ্গত ও অগ্রহণযোগ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন কোন সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তণ করলে, সেটি বিপ্লব না বরং ক্যু হিসেবে গণ্য হয়। গৌরবময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোন দল বা গোষ্ঠী এরূপ অসম্মানজনক পথে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করলে, সেটি হবে জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একইসাথে একথা স্মরণে রাখা আবশ্যক যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার কোনরূপ বিপজ্জনক চেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মতও নয়।'
সংবিধান সংস্কার বাদ দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিএনপির প্রস্তাব
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে বিএনপি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বলেছে, 'বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের সংবিধান সংস্কারবিষয়ক সুপারিশ ছাড়া অন্যান্য আশুকরণীয় সুপারিশসমূহ কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই বাস্তবায়ন করবে। এই উদ্দেশ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ জারি, বিধি প্রণয়ন, প্রশাসনিক আদেশ জারি, প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ বা অন্য কোন বৈধ কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে।'
যেসব কাজ অন্তর্বর্তী সরকার করে যেতে পারবে না, সেসব সংস্কারের কাজ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা বাস্তবায়ন করবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর এবং নির্বাচনী ইশতেহারে বাস্তবায়নের বিষয় উল্লেখ করে জাতির কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সনদ বাস্তবায়নের আইনি বাধ্যবাধকতা রাখার লক্ষ্যে আগামী রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের এসব প্রস্তাব বিবেচনা করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় গণপরিষদ গঠনের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করবে বলে চিঠিতে এনসিপি আশা প্রকাশ করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত নতুন গেজেটে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালাকে ‘ইসলামবিরোধী এজেন্ডা’ আখ্যায়িত করে বিবৃতি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে চলমান তদন্তের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিষেধা
২ দিন আগেবিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় তাঁদের এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগে