বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘বীর’ শব্দটি এক বিশেষ অর্থ বহন করে। এর অর্থ হচ্ছে, যাঁরা দেশের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও মানবিক ন্যায়ের জন্য লড়েছেন, তাঁরাই বীর। কিন্তু সময় বদলে গেছে। কখনো কখনো অস্ত্র হাতে যুদ্ধ না করেও কেউ ‘জাতীয় বীর’ হতে পারেন। যদি তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন। নির্বিঘ্নে সত্য বলতে পারেন।
আজ আবরার ফাহাদের শাহাদাতবার্ষিকী
ভাইকে হারানোর পর ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আজও মনে হয়, যেন সেই ভয়াল সকালটা ঠিক গতকালই ছিল। সময় যতই এগিয়ে যাচ্ছে, ততই মনে হয়, তাঁর অনুপস্থিতি আরও গভীর হয়ে উঠছে। আমার জীবনের প্রতিটি আনন্দ, প্রতিটি প্রাপ্তি, এমনকি প্রতিটি দুঃখের মাঝখানে কোথাও না কোথাও তাঁর ছায়া লেগে আছে।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর। এদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে ঘটে গেছে মর্মান্তিক এক ঘটনা
ঘটনার শুরু বুয়েট দিয়ে। গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি—সরকারি চাকরিতে নবম গ্রেডে শুধু ন্যূনতম বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ দিতে হবে, দশম গ্রেডেও ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের পাশাপাশি বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নিয়োগ পরীক
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিদল বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন ও উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রধানের পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশের প্রকৌশল খাতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালের পর থেকে পদোন্নতি ও গ্রেড-সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের কারণে নতুন প্রজন্মের বিএসসি স্নাতকরা (গ্র্যাজুয়েট) উদ্বিগ্ন।
পাঁচ মাস ধরে বুয়েটের (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। এখন কর্মসূচি রূপ নিয়েছে আন্দোলনের। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পদোন্নতি ও পদমর্যাদা নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আবারও আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবি, চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে দশম গ্রেডের উপ-সহকারী পদটি তাদের জন্য বহাল র
নতুন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপের মতো হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ ও প্রমোশন নিয়ে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ থেকে জন্ম নিয়েছে প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। তাদের অভিযোগ, ডিপ্লোমাধারীরা কোটা ও প্রমোশনের মাধ্যমে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন, অথচ বিএসসি ডিগ্রিধারীরা অবহেলিত হচ্ছেন।
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত
আন্দোলন কোন পথে, যা বললেন আন্দোলনকারী মো: লাজিম আল মুত্তাকিন
এই আন্দোলন বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশায় বিদ্যমান গভীর সংকটকে প্রতিফলিত করছে। ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বিভাজন এখনো বড় বিতর্কের বিষয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বর্তমান ব্যবস্থায় প্রকৌশল পেশার যোগ্যতা ও মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ে (বুয়েট) বেলা ১২টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে প্রতিদিনের মতো কর্মব্যস্ততা নেই, চারদিকে শুনশান নীরবতা। ছাত্র-শিক্ষকদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি। তাঁরা কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেননি।
স্ট্রিমের মুখোমুখি বুয়েট শিক্ষার্থী লাজিম আল মুত্তাকিন
আজ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। দেশের প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী লাজিম আল মুত্তাকিনের সঙ্গে কথা বলেছে স্ট্রিম।
তিন দাবিতে করা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন নিয়ে স্ট্রিমের পক্ষ থেকে বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক আইনুন নিশাতের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়। জবাবে আইনুন নিশাত তাঁর মতামত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এই দাবিগুলো সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং দেশের স্বার্থে এগুলো বাস্তবায়ন করা দরকার। আমি এই প্রসঙ্গে