আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস। পান্ডা বাঁশ খায়, মানুষও খায়; তবে মেটাফোরিকালি। অনেকের মতে, বিশ্ব রাজনীতি চলে আসলে বাশ-সান্ডা তত্ত্ব অনুযায়ী। এই তত্ত্ব আমাদেরকে জানায়, বিশ্ব রাজনীতিতে, পান্ডা কেন বাঁশ খায় আর কফিল কেন সান্ডা খায়।
সৈকত আমীন
পাণ্ডার চরিত্র আমরা সবাই জানি। গোলগাল, শান্ত-শিষ্ট, সারাদিন গাছের ডালে বসে বাঁশ চিবোয়। তাকে কেউ বিরক্ত করলে কেবল হাই তুলে পাশ ফিরে ঘুমায়। পৃথিবী যদি রাজনীতি নামের ব্যাপারটাকে পাণ্ডার মতো করে চালাতো, তবে হয়তো জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের মিটিং বসত বাঁশবাগানে। প্রতিটি দেশের প্রতিনিধি হাতে বাঁশের কঞ্চি নিয়ে দাঁত ঘষে ঘষে আলোচনা করত, 'কেউ কারো পাতা খাবে না।'
কিন্তু বাস্তবতা হলো, আন্তর্জাতিক রাজনীতির দুনিয়ায় পাণ্ডা নেই, আছে কফিল। কফিলরা বাঁশ নয়, সান্ডা খায়। সান্ডা মানে এমন কিছু, যেটা সাধারণ মানুষের প্লেটে আসে না। আসলে কারো প্লেটেই এমন বিপন্ন জীব আসা উচিৎ না। কথা ছিল—ভাত, ডাল, মাছ, গম, তেল, এমনকি গণতন্ত্র পর্যন্ত সবকিছুই জনগণের নাগালে থাকবে। কিন্তু সান্ডাখোর কফিলরা সব খেয়ে ফেললো। এদিকে আমাদেরকে বললো: 'তোমরা বাঁশ খাও, এটা স্বাস্থ্যকর, ফাইবার আছে!'
চীন যেভাবে পাণ্ডাকে জাতীয় প্রতীক বানিয়েছে, তেমনি অনেক দেশের শাসক কফিলরা সান্ডা খাওয়াকেই বানিয়েছে জাতীয় কৌশল ।
জনগণের ভোট?
সান্ডা।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ?
সান্ডা।
বৈদেশিক ঋণ?
সান্ডা।
এভাবে এক সময় দেখা যায়, জাতির পেটে বাঁশ ঢুকছে, আর সান্ডা যাচ্ছে প্রাসাদে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যখন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বক্তব্য দেন, পেছনে দাঁড়িয়ে কফিলরা মনে মনে ভাবে: 'এত সবুজ গাছ কাটলে বাঁশ কমে যাবে না তো? বাঁশ না থাকলে জনগণ খাবে কী?' আবার রাশিয়ার প্রধান নেতা ভাবেন, 'সান্ডার ভেতরে কি নতুন কোনো এনার্জি রিসোর্স আছে নাকি? থাকলে সেটা খেয়েই ইউক্রেন অভিযানে নামতে হবে।'
জাতিসংঘের কাজগুলো দেখতে-শুনতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণই মনে হয়। তবে, বাস্তবে এটা বাঁশের সুষ্ঠু বণ্টন। ধনী দেশগুলো বাঁশকে রপ্তানিযোগ্য পণ্য বানিয়ে গরিব দেশগুলোকে শেখায়: 'তোমরা বাঁশ খাও, এতে ক্যালসিয়াম আছে।' আর গরিব দেশগুলো বলে: 'আমাদের সান্ডা দিন!' তখন ধনী দেশগুলো হাসে—'সান্ডা তো আমাদের ফ্রিজে, তোমাদের ভাগে শুধু বাঁশ।'
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে সান্ডার তেল নিয়ে লড়াই চলতেই থাকে। জনগণ ভাবে, তেলের লাভ তাদের কাছে যাবে। কিন্তু কফিলরা আগেই বলে দেয়: 'সান্ডা কফিলদের জন্য, তোমাদের জন্য বাঁশ।'
ফলাফল?
এক হাতে সান্ডা, আরেক হাতে অস্ত্র। মানুষ তখন কফিলদের পতাকা নাড়িয়ে আনন্দে বাঁশ খায়।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান—সবখানেই একই চিত্র। ভোট এলে কফিলরা এসে বলে: 'আমরা সান্ডা ভাগ করে দেব।' ভোট চলে গেলে দেখা যায়, সান্ডা ঢুকেছে কফিলদের পেটে, আর জনগণ বাঁশে চিবিয়ে যাচ্ছে। কখনো বাঁশ সোজা, কখনো তির্যক, কখনো আবার এতই লম্বা যে তা গলার ভেতর দিয়ে পেটে গিয়ে হজম হয় না। কিন্তু জনগণ চুপচাপ; পাণ্ডার মতো শান্ত থাকতে শিখেছে।
ইউরোপে অবশ্য সিস্টেম একটু ভিন্ন। তারা জনগণকে বাঁশ খাওয়ায়ে স্টাইল শেখায়। নাম দেয় 'অস্টেরিটি মেজারস'। জনগণ ভাবে—বাহ, বাঁশ খেলেও টেকনিকের নামটা ফ্রেঞ্চ বা জার্মান শোনাচ্ছে! ফলে গর্ব বেড়ে যায়।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কফিলরা একসাথে বসে সান্ডা খায়। কেউ মরুর সান্ডা, কেউ তেলের সান্ডা, কেউ যুদ্ধের সান্ডা। তারা টেবিলে বসে টোস্ট করে—'To world peace!' আর বাইরে জনগণ বাঁশ বাগানে দাঁড়িয়ে ভাবে: 'পিস মানে শান্তি, না পিস মানে বাঁশের টুকরা?'
অবশেষে প্রশ্ন দাঁড়ায়: কেন বাঁশ খায় পাণ্ডা আর কফিল খায় সান্ডা?
উত্তর সহজ—পাণ্ডা বাঁশ ছাড়া বাঁচতে পারে না, আর কফিল সান্ডা ছাড়া ঘুমাতে পারে না। পাণ্ডার পেটে বাঁশ গেলে সে হাসে, কফিলের পেটে সান্ডা গেলে জনগণ কাঁদে।
ভবিষ্যতে যদি একদিন জনগণ পাণ্ডা থেকে শিখে নেয়, খাওয়ার বদলে বাঁশ ব্যবহারের বিবিধ কৌশল, তাহলে কফিলদের সান্ডার ভোজ চিরতরে ভেস্তে যাবে। তখন সান্ডা ভাগ হবে সবার মাঝে, আর বাঁশ দেখে কফিলরা থাকবে দৌড়ের ওপর।
পাণ্ডার চরিত্র আমরা সবাই জানি। গোলগাল, শান্ত-শিষ্ট, সারাদিন গাছের ডালে বসে বাঁশ চিবোয়। তাকে কেউ বিরক্ত করলে কেবল হাই তুলে পাশ ফিরে ঘুমায়। পৃথিবী যদি রাজনীতি নামের ব্যাপারটাকে পাণ্ডার মতো করে চালাতো, তবে হয়তো জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলের মিটিং বসত বাঁশবাগানে। প্রতিটি দেশের প্রতিনিধি হাতে বাঁশের কঞ্চি নিয়ে দাঁত ঘষে ঘষে আলোচনা করত, 'কেউ কারো পাতা খাবে না।'
কিন্তু বাস্তবতা হলো, আন্তর্জাতিক রাজনীতির দুনিয়ায় পাণ্ডা নেই, আছে কফিল। কফিলরা বাঁশ নয়, সান্ডা খায়। সান্ডা মানে এমন কিছু, যেটা সাধারণ মানুষের প্লেটে আসে না। আসলে কারো প্লেটেই এমন বিপন্ন জীব আসা উচিৎ না। কথা ছিল—ভাত, ডাল, মাছ, গম, তেল, এমনকি গণতন্ত্র পর্যন্ত সবকিছুই জনগণের নাগালে থাকবে। কিন্তু সান্ডাখোর কফিলরা সব খেয়ে ফেললো। এদিকে আমাদেরকে বললো: 'তোমরা বাঁশ খাও, এটা স্বাস্থ্যকর, ফাইবার আছে!'
চীন যেভাবে পাণ্ডাকে জাতীয় প্রতীক বানিয়েছে, তেমনি অনেক দেশের শাসক কফিলরা সান্ডা খাওয়াকেই বানিয়েছে জাতীয় কৌশল ।
জনগণের ভোট?
সান্ডা।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ?
সান্ডা।
বৈদেশিক ঋণ?
সান্ডা।
এভাবে এক সময় দেখা যায়, জাতির পেটে বাঁশ ঢুকছে, আর সান্ডা যাচ্ছে প্রাসাদে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যখন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বক্তব্য দেন, পেছনে দাঁড়িয়ে কফিলরা মনে মনে ভাবে: 'এত সবুজ গাছ কাটলে বাঁশ কমে যাবে না তো? বাঁশ না থাকলে জনগণ খাবে কী?' আবার রাশিয়ার প্রধান নেতা ভাবেন, 'সান্ডার ভেতরে কি নতুন কোনো এনার্জি রিসোর্স আছে নাকি? থাকলে সেটা খেয়েই ইউক্রেন অভিযানে নামতে হবে।'
জাতিসংঘের কাজগুলো দেখতে-শুনতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণই মনে হয়। তবে, বাস্তবে এটা বাঁশের সুষ্ঠু বণ্টন। ধনী দেশগুলো বাঁশকে রপ্তানিযোগ্য পণ্য বানিয়ে গরিব দেশগুলোকে শেখায়: 'তোমরা বাঁশ খাও, এতে ক্যালসিয়াম আছে।' আর গরিব দেশগুলো বলে: 'আমাদের সান্ডা দিন!' তখন ধনী দেশগুলো হাসে—'সান্ডা তো আমাদের ফ্রিজে, তোমাদের ভাগে শুধু বাঁশ।'
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে সান্ডার তেল নিয়ে লড়াই চলতেই থাকে। জনগণ ভাবে, তেলের লাভ তাদের কাছে যাবে। কিন্তু কফিলরা আগেই বলে দেয়: 'সান্ডা কফিলদের জন্য, তোমাদের জন্য বাঁশ।'
ফলাফল?
এক হাতে সান্ডা, আরেক হাতে অস্ত্র। মানুষ তখন কফিলদের পতাকা নাড়িয়ে আনন্দে বাঁশ খায়।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান—সবখানেই একই চিত্র। ভোট এলে কফিলরা এসে বলে: 'আমরা সান্ডা ভাগ করে দেব।' ভোট চলে গেলে দেখা যায়, সান্ডা ঢুকেছে কফিলদের পেটে, আর জনগণ বাঁশে চিবিয়ে যাচ্ছে। কখনো বাঁশ সোজা, কখনো তির্যক, কখনো আবার এতই লম্বা যে তা গলার ভেতর দিয়ে পেটে গিয়ে হজম হয় না। কিন্তু জনগণ চুপচাপ; পাণ্ডার মতো শান্ত থাকতে শিখেছে।
ইউরোপে অবশ্য সিস্টেম একটু ভিন্ন। তারা জনগণকে বাঁশ খাওয়ায়ে স্টাইল শেখায়। নাম দেয় 'অস্টেরিটি মেজারস'। জনগণ ভাবে—বাহ, বাঁশ খেলেও টেকনিকের নামটা ফ্রেঞ্চ বা জার্মান শোনাচ্ছে! ফলে গর্ব বেড়ে যায়।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কফিলরা একসাথে বসে সান্ডা খায়। কেউ মরুর সান্ডা, কেউ তেলের সান্ডা, কেউ যুদ্ধের সান্ডা। তারা টেবিলে বসে টোস্ট করে—'To world peace!' আর বাইরে জনগণ বাঁশ বাগানে দাঁড়িয়ে ভাবে: 'পিস মানে শান্তি, না পিস মানে বাঁশের টুকরা?'
অবশেষে প্রশ্ন দাঁড়ায়: কেন বাঁশ খায় পাণ্ডা আর কফিল খায় সান্ডা?
উত্তর সহজ—পাণ্ডা বাঁশ ছাড়া বাঁচতে পারে না, আর কফিল সান্ডা ছাড়া ঘুমাতে পারে না। পাণ্ডার পেটে বাঁশ গেলে সে হাসে, কফিলের পেটে সান্ডা গেলে জনগণ কাঁদে।
ভবিষ্যতে যদি একদিন জনগণ পাণ্ডা থেকে শিখে নেয়, খাওয়ার বদলে বাঁশ ব্যবহারের বিবিধ কৌশল, তাহলে কফিলদের সান্ডার ভোজ চিরতরে ভেস্তে যাবে। তখন সান্ডা ভাগ হবে সবার মাঝে, আর বাঁশ দেখে কফিলরা থাকবে দৌড়ের ওপর।
আজ নিজের আত্মকথা শোনাবার জন্য প্রাণটা আইঢাঁই করছে। কত আর অন্যের কমেন্ট বক্স আর মেসেঞ্জারে গুঁতোগুঁতি করে বেড়াব? মাঝে সাঝে তো নিজের কথাও বলতে ইচ্ছা করে। মানছি, আমার কোনো মন নেই। তাই বলে কি ‘মনের কথাও’ থাকতে নেই?
১ দিন আগেতথ্যের কেয়ামত বা ইনফরমেশন এপক্যালিপ্স শুরু হয়ে গেছে– এ কথা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়। চারিদিকে তথ্যের ছড়াছড়ি, কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা বোঝা দুষ্কর। অনেকেই মানছে না মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার বুলি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল। জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সারদের প্রোপাগান্ডা। মিসইনফরমেশনকে টক্কর দিতে ফ্যাক্ট চেকি
২ দিন আগে‘প্যারা নাই, চিল’ দর্শনের সূচনা করেছিলেন টাক মাথার এক দার্শনিক। নাম এপিকিউরাস। খ্রিস্টপূর্ব ৩৭১ সালে সামোসে জন্ম। ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে তিনি খেলাধুলা তেমন করেননি, পাবজি ও টিকটক তখনও আসেনি, তাই তিনি সময় কাটাতেন একটা কাজ করতেই। সেই কাজের নাম ‘ভাবনা’। আর ভাবতে ভাবতেই এপিকিউরাস বুঝলেন, মানুষ জীবনে
৩ দিন আগেলোকটা ছিল একেবারে ওজি মিনিমালিস্ট ইনফ্লুয়েন্সার। বাড়ি-ঘর নাই, ধনসম্পদ নাই, গ্ল্যামার নাই। সে মানি হাইস্ট-এর বার্লিনের মতো ক্ষমতালোভী নয়, বরং এমন এক অ্যান্টি-হিরো, যে সবার নজর কাড়ে কিন্তু কারো ধনরত্ন কাড়ে না। আপোষহীন, প্রথাভাঙা এই দার্শনিককে নিয়েই এই লেখা।
১১ দিন আগে