leadT1ad

বাংলার মানুষ আর ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে দেবে না: জামায়াত

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৩
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ। সংগৃহীত ছবি

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। বিদ্যমান কাঠামোতে নির্বাচন দিয়ে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম দিতে দেওয়া হবে না। ৫ দফা দাবিতে ঢাকায় আয়োজিত জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কথা বলা হয়েছে আজ।

সমাবেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বর্তমান সময় হচ্ছে জুলাই সনদ এবং জুলাই ঘোষণার আইনি ভিত্তি দেওয়ার উপযুক্ত সময়। বিদ্যমান কাঠামোতে নির্বাচন হলে আরেকটি হাসিনার জন্ম হবে। বাংলার মানুষ আর ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে দেবে না।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, 'আপনি সবাইকে ডাকুন, কন্সটিটিউশনাল অর্ডারের মাধ্যমে অথবা একটা রেফারেন্ডামের মাধ্যমে এখনো সময় আছে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিয়ে নির্বাচন করুন।'

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, 'কেউ কেউ বলছেন যে এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না। আমরা দেখছি অনেক সাংবিধানিক মেজর ইস্যুতে যে ভিন্নমতগুলো রয়েছে, আমরা বলেছি ঐকমত্য কমিশনও বলেছে দুইবারের অধিক কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। জুডিশিয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী চাইলেও হবে না। এই সংস্কার যদি এখন না হয়, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য যদি ঠিক করা না হয়, আর তা যদি নির্বাচনের আগে না হয়, বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোতে যদি আবার নির্বাচন হয়, তাহলে এই নির্বাচনের মাধ্যমে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে।'

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সরকারের উদ্দেশে আরও বলেন, 'আপনারা লেবেল প্লেইং ফিল্ড মেইনটেইন করতে পারছেন না। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কীভাবে? তাই আমাদের দাবি, আপনারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিন। সাংবিধানির অর্ডার জারি করুন। গণভোট দিন। ফ্যাসিবাদের কার্যক্রম স্থগিত করুন এবং আপনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিচার করবেন। আমাদেরও দাবি নির্বাচনের আগেই তা দৃশ্যমান করতে হবে।'

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, 'আর্টিকেল ৭-এর ভিত্তিতেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে তার আলোকে নির্বাচন দিতে হবে। এখন যদি দুই তিন মাস আলোচনার পর একটি দল বলে যে এটা পরে হবে। তাহলে কেন এতো পরিশ্রম করালেন? আমাদের দাবি পিআর মানতে হবে। সার্ভেতে ৭০ ভাগ মানুষ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। ঐকমত্য কমিশনে ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে রয়েছে। একটি দলের কেউ কেউ বলছেন, পিআর খায় না মাথায় দেয়। কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি তো এটা বলতে পারেন না। তাই পিআর বাস্তবায়নের জন্য গণভোট দিন। রায় পিআরের পক্ষে আসে, নাকি বিপক্ষে আসে, যাচাই করুন। জনগণ যদি পিআর মানে, তাহলে আপনাদেরও মানতে হবে। আর জনগণের রায় যদি পিআরের বিপক্ষে যায়, তাহলে আমরা জামায়াতে ইসলামী মেনে নেবো। কিন্তু তারা তো গণভোটকে ভয় পাচ্ছে।'

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশটি উপস্থাপন করেন দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ।

বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইট থেকে শুরু হয়ে জিপিও মোড়, পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে মৎস্যভবন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত