স্ট্রিম প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টার ২৮ দফার জুলাই ঘোষণাপত্রকে একটি অপূর্ণাঙ্গ বিবৃতি বলেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কখন কীভাবে এটি কার্যকর করা হবে উল্লেখ না করে ঘোষণাপত্রটিকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে দলটি।
আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
তারা বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্রে গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। পরবর্তী সরকারের হাতে এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়ায় মানুষের আত্মত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাইয়ের চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের এই রূপরেখা প্রত্যাশা পূরণ না করায় জনগণের মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রমুখ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণাকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে বলেছে জামায়াত। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ না করে 'একতরফা' নির্বাচনের সময় ঘোষণার সমালোচনা করেছেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রকে আইনি ভিত্তি দিয়ে এটিকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৯ দফা যা এক দফায় রূপান্তরিত হয়েছিল; সে বিষয়টিও ঘোষণাপত্রে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল রাষ্ট্র সংস্কার। এ জন্য ৬টি কমিশন গঠন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দুই পর্বে দুই মাসেরও বেশি সময় আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় ১৯টি বিষয়ে ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্রে এসবের উল্লেখ নেই। ঘোষণাপত্রটি কখন কীভাবে কার্যকর করা হবে তাও উল্লেখ না করে ঘোষণাকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে। পরবর্তী সরকারের হাতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়ায় হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তা না করায় জাতি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পূর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করার দীর্ঘ দিনের যে ঐতিহ্য তা উপেক্ষা করে জুলাই ঘোষণার দিনেই নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে।‘ এরপরও জাতীয় স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াত।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন করে অধ্যাদেশ, এলএফও (লিগাল ফেমওয়ার্ক অর্ডার) বা গণভোটের মাধ্যমে আইনি ভিত্তি দেওয়া করা না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বিফলে যাবে বলে মন্তব্য করেন মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অতীতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের কাজ সুসম্পন্ন করে বর্তমান সরকারকেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এই সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ২৮ দফার জুলাই ঘোষণাপত্রকে একটি অপূর্ণাঙ্গ বিবৃতি বলেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কখন কীভাবে এটি কার্যকর করা হবে উল্লেখ না করে ঘোষণাপত্রটিকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে দলটি।
আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
তারা বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্রে গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। পরবর্তী সরকারের হাতে এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়ায় মানুষের আত্মত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাইয়ের চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের এই রূপরেখা প্রত্যাশা পূরণ না করায় জনগণের মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রমুখ।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণাকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হতে হবে বলেছে জামায়াত। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ না করে 'একতরফা' নির্বাচনের সময় ঘোষণার সমালোচনা করেছেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রকে আইনি ভিত্তি দিয়ে এটিকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৯ দফা যা এক দফায় রূপান্তরিত হয়েছিল; সে বিষয়টিও ঘোষণাপত্রে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল রাষ্ট্র সংস্কার। এ জন্য ৬টি কমিশন গঠন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দুই পর্বে দুই মাসেরও বেশি সময় আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় ১৯টি বিষয়ে ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণাপত্রে এসবের উল্লেখ নেই। ঘোষণাপত্রটি কখন কীভাবে কার্যকর করা হবে তাও উল্লেখ না করে ঘোষণাকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে। পরবর্তী সরকারের হাতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়ায় হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তা না করায় জাতি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পূর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করার দীর্ঘ দিনের যে ঐতিহ্য তা উপেক্ষা করে জুলাই ঘোষণার দিনেই নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে।‘ এরপরও জাতীয় স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াত।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন করে অধ্যাদেশ, এলএফও (লিগাল ফেমওয়ার্ক অর্ডার) বা গণভোটের মাধ্যমে আইনি ভিত্তি দেওয়া করা না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বিফলে যাবে বলে মন্তব্য করেন মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অতীতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের কাজ সুসম্পন্ন করে বর্তমান সরকারকেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এই সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসের প্রথম বর্ষপূর্তি ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে কক্সবাজার ভ্রমণ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৫ নেতাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এই পাঁচ নেতা হলেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ
২ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, এই ঘোষণায় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা নতুন এক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপান্তরের সূচনা করবে। এটা হবে একটি প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ, যা গড়ে উঠবে সমতা, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
৪ ঘণ্টা আগেসিপিবি মনে করছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নয়, একটি নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিন আগে গঠিত হবে। তারা ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
৪ ঘণ্টা আগে