স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদসহ ২৮টি পদের ২৩টিতেই জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে প্রথম এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ক্যাম্পাস ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশের মানুষের মধ্যেই। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ধরে সবার ধারণা ছিল রাত ৮টা থেকে সর্বোচ্চ ১০টার মধ্যেই ফলাফল জানা যাবে। তবে এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ফল ঘোষণা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ ঘণ্টা সময় নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাবির নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।
ডাকসু ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। রাতে সিনেট ভবনে উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, এর আগে কখনও ডাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণায় এত বিলম্ব হয়নি। আবার ডাকসুতে এত সময় লাগলে, জাতীয় নির্বাচনে কী হবে— এমন প্রশ্নও তোলেন কেউ কেউ। যদিও এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
তবে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে থেকেই ‘পক্ষপাত’, ‘ভোটে কারচুপি’, ‘অব্যবস্থাপনা‘ ও ‘অনিয়ম’সহ নানা অভিযোগ এনেছেন প্রার্থীরা। এমনকি নির্বাচন বয়কটের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
রাতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ডাকসুতে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘চলিতেছে সার্কাস। কে কে দেখতেসেন?!’ পরে আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।’
ভিপি পদে বিজয়ী সাদিক কায়েম যেখানে ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন, সেখানে উমামা ফাতেমা ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান, তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।
উমামারও আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের এজিএস পদপ্রার্থী আবদুল কাদের। তিনি ডাকসু নির্বাচনের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনাকে ও পক্ষপাতকে ঘিরে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনেন। রাতে ডাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরেরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
অবশ্য শিবিরের পাশাপাশি ছাত্রদলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন এই বাগছাস নেতা। তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে ‘মেকানিজম’ (কারসাজি) করেছেন আর ছাত্রদল বাইরে থেকে ‘মেকানিজম’ করছে।
আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলেছি, এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ অথর্ব এবং নতজানু কমিশন। এরা দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ভাগ ছাত্রদলের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে, অন্যটি শিবিরের। প্রচারণা থেকে মনোনয়নপত্র পর্যন্ত তারা অনেক বিধিনিষেধ দিলেও প্রার্থীরা নিয়ম ভঙ্গ করেছে, কিন্তু কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
আবদুল কাদের বলেন, ‘আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতিতে নিমজ্জিত। আমরা দেখেছি, ভিসি, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টররা সবাই ভাগাভাগির মাধ্যমে পদ বণ্টন করেছেন। অনেকে জামায়াতপন্থী, অনেকে বিএনপিপন্থী। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে।’
সব মিলিয়ে আজকের নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা আন্তরিকভাবে অংশ নিলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও দলীয় প্রভাবের কারণে এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আবদুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করছি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
একইভাবে সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের এজিএস পদপ্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিএনপি ও জামাত ডাকসুকে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরিণত করেছে। দুই পক্ষই ক্যাম্পাসের আশেপাশে লোকবল জড়ো করতেছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘ডাকসুতে ভাগ বাটোয়ারা করার পাঁয়তারা করতেছে। ছাত্রদল পেশিশক্তির মহড়া দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুমকি দিচ্ছে ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য। আমরা মাঠে আছি।’
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ‘প্রতিরোধ পর্ষদের’ সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসুও। তিনি মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টায় এক ফেসবুক পোস্টে ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘এমন রেজাল্ট বানাইসে যে ছাড়তেও পারতেসে না। আহা রে। কৌন বানেগা এবারের ভিপি নুর!’
এর আগে, রাত পৌনে দশটার দিকে ফেসবুকে অপর এক পোস্টে মেঘমল্লার বলেন, ভোটের নামে প্ল্যানড ইঞ্জিনিয়ারিং চলতেসে। সবই খবর পাইতেসি। যে ধারা অব্যাহত আছে তাতে ডিটেইল রেজাল্ট দেখলে আপনারা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বুঝবেন। আপাতত এতটুকুই বললাম। এই প্রশাসন যে শিবিরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অংশ হচ্ছে এটা স্পষ্ট। আমরা শেষ ভোটটা কাউন্ট হওয়া পর্যন্ত দেখব। এই কথাগুলা একটা বছর ধরে বলতেসি। এবার হাতেনাতে দেখবেন উল্লেখ করে পোস্টে তিনি বলেন, স্যাম্পল সাইজ ছোট। আরেকটু দেখি।
অন্যদিকে ডাকসুর ফলাফলকে ‘পরিকল্পিত প্রহসন’ বলে অভিযোগ করে শুরুর দিকেই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজের ফেইসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।’
এমনকি নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে মাঝরাতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন বিএনপি ও তার ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে সেখানে অবস্থান নিয়ে ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও এক হও’, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, ছাত্রদলের অঙ্গীকার’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। যদিও সেসময় শাহবাগ থানার সামনের রাস্তা বন্ধ ছিল। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিলেন। সেসময় কাউকে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদসহ ২৮টি পদের ২৩টিতেই জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে প্রথম এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ক্যাম্পাস ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশের মানুষের মধ্যেই। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ধরে সবার ধারণা ছিল রাত ৮টা থেকে সর্বোচ্চ ১০টার মধ্যেই ফলাফল জানা যাবে। তবে এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ফল ঘোষণা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৬ ঘণ্টা সময় নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাবির নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।
ডাকসু ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। রাতে সিনেট ভবনে উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, এর আগে কখনও ডাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণায় এত বিলম্ব হয়নি। আবার ডাকসুতে এত সময় লাগলে, জাতীয় নির্বাচনে কী হবে— এমন প্রশ্নও তোলেন কেউ কেউ। যদিও এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
তবে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে থেকেই ‘পক্ষপাত’, ‘ভোটে কারচুপি’, ‘অব্যবস্থাপনা‘ ও ‘অনিয়ম’সহ নানা অভিযোগ এনেছেন প্রার্থীরা। এমনকি নির্বাচন বয়কটের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
রাতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ডাকসুতে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘চলিতেছে সার্কাস। কে কে দেখতেসেন?!’ পরে আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।’
ভিপি পদে বিজয়ী সাদিক কায়েম যেখানে ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন, সেখানে উমামা ফাতেমা ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান, তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট।
উমামারও আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের এজিএস পদপ্রার্থী আবদুল কাদের। তিনি ডাকসু নির্বাচনের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনাকে ও পক্ষপাতকে ঘিরে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনেন। রাতে ডাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরেরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
অবশ্য শিবিরের পাশাপাশি ছাত্রদলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন এই বাগছাস নেতা। তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে ‘মেকানিজম’ (কারসাজি) করেছেন আর ছাত্রদল বাইরে থেকে ‘মেকানিজম’ করছে।
আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলেছি, এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ অথর্ব এবং নতজানু কমিশন। এরা দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ভাগ ছাত্রদলের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে, অন্যটি শিবিরের। প্রচারণা থেকে মনোনয়নপত্র পর্যন্ত তারা অনেক বিধিনিষেধ দিলেও প্রার্থীরা নিয়ম ভঙ্গ করেছে, কিন্তু কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
আবদুল কাদের বলেন, ‘আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতিতে নিমজ্জিত। আমরা দেখেছি, ভিসি, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টররা সবাই ভাগাভাগির মাধ্যমে পদ বণ্টন করেছেন। অনেকে জামায়াতপন্থী, অনেকে বিএনপিপন্থী। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে।’
সব মিলিয়ে আজকের নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা আন্তরিকভাবে অংশ নিলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও দলীয় প্রভাবের কারণে এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আবদুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করছি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
একইভাবে সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের এজিএস পদপ্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিএনপি ও জামাত ডাকসুকে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরিণত করেছে। দুই পক্ষই ক্যাম্পাসের আশেপাশে লোকবল জড়ো করতেছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘ডাকসুতে ভাগ বাটোয়ারা করার পাঁয়তারা করতেছে। ছাত্রদল পেশিশক্তির মহড়া দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুমকি দিচ্ছে ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য। আমরা মাঠে আছি।’
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ‘প্রতিরোধ পর্ষদের’ সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসুও। তিনি মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টায় এক ফেসবুক পোস্টে ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘এমন রেজাল্ট বানাইসে যে ছাড়তেও পারতেসে না। আহা রে। কৌন বানেগা এবারের ভিপি নুর!’
এর আগে, রাত পৌনে দশটার দিকে ফেসবুকে অপর এক পোস্টে মেঘমল্লার বলেন, ভোটের নামে প্ল্যানড ইঞ্জিনিয়ারিং চলতেসে। সবই খবর পাইতেসি। যে ধারা অব্যাহত আছে তাতে ডিটেইল রেজাল্ট দেখলে আপনারা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বুঝবেন। আপাতত এতটুকুই বললাম। এই প্রশাসন যে শিবিরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অংশ হচ্ছে এটা স্পষ্ট। আমরা শেষ ভোটটা কাউন্ট হওয়া পর্যন্ত দেখব। এই কথাগুলা একটা বছর ধরে বলতেসি। এবার হাতেনাতে দেখবেন উল্লেখ করে পোস্টে তিনি বলেন, স্যাম্পল সাইজ ছোট। আরেকটু দেখি।
অন্যদিকে ডাকসুর ফলাফলকে ‘পরিকল্পিত প্রহসন’ বলে অভিযোগ করে শুরুর দিকেই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজের ফেইসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।’
এমনকি নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে মাঝরাতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন বিএনপি ও তার ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে সেখানে অবস্থান নিয়ে ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও এক হও’, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, ছাত্রদলের অঙ্গীকার’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। যদিও সেসময় শাহবাগ থানার সামনের রাস্তা বন্ধ ছিল। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিলেন। সেসময় কাউকে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমি আজকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানাই যাঁরা ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তাঁদের। এটাই গণতন্ত্রের রীতি।’
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থী ফাতিমা তাসনিম জুমা মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩১টি ভোট।
৮ ঘণ্টা আগেডাকসুর ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ডাকসুতে পদ আছে ২৮টি। এর মধ্যে সদস্যপদ ১৩টি। সদস্যপদে ফলাফল ঘোষণা চলছে।
৯ ঘণ্টা আগে