প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণায় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে, এই ঘোষণার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা জনগণের অভিপ্রায় ও গণদাবিকে উপেক্ষা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে খুবই পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, প্রধান উপদেষ্টার একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণায় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে এই সংকটের নিরসন হবে।’
জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল দীর্ঘদিন ধরেই সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের মতে, একই দিনে দুটি ভোট আয়োজন করলে সংকট তৈরি হবে।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির কথা বলেছেন এবং তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু গণভোট প্রসঙ্গে তিনি জনগণের অভিপ্রায় এবং গণদাবি উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের ঘোষণা দিয়েছেন।’
একই দিনে ভোট আয়োজনের সংকট ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘জনগণের অভিপ্রায় ছিল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং নির্বাচনের আগে কী কী সংস্কার হলো, তা জাতি জানবে, ভোটাররা জানবেন, একটি মাইন্ডসেট তৈরি হবে এবং তার ওপর তারা হ্যাঁ-না মতামত দেবেন। কিন্তু একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে ভোটাররা জুলাই চার্টার সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনেই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন এবং প্রতীকে ভোট দেবেন। এটা সংকট তৈরি করবে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল জানিয়েছেন, সমমনা আট দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তারা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন। এর আগে তারা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের আরও বিস্তারিত পর্যালোচনা করবেন।