leadT1ad

‘লকডাউন’ ঘিরে জাকসু ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর অবস্থান কর্মসূচি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ০১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদগুলো আগামী ১৩ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচির লক্ষ্য—শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশে সম্ভাব্য নাশকতা বা ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা।

জাকসু সূত্রে জানা যায়, শহীদ সালাম-বরকত হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হল সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনওয়ালিয়া সংলগ্ন ফটকে (২ নম্বর বিশমাইল গেট) অবস্থান করবে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল সংসদ ও শহীদ রফিক-জব্বার হল সংসদের একটি অংশ গেরুয়া এলাকা সংলগ্ন ফটকে অবস্থান করবে। তাজউদ্দীন আহমদ হল ও ২১ নম্বর ছাত্র হল (সাবেক শেখ রাসেল হল) অবস্থান করবে জেনারেটর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। আমবাগান এলাকা সংলগ্ন ফটকে অবস্থান করবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল সংসদ। আল-বেরুনী হল সংসদ অবস্থান করবে ইসলামনগর এলাকা সংলগ্ন ফটকে। ১০ নম্বর ছাত্রহল (সাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল) ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন প্রান্তিক গেটে অবস্থান করবে। মীর মশাররফ হোসেন হল সংসদ অবস্থান করবে সেই হল সংলগ্ন ফটকে। বিশমাইল ফটকে অবস্থান করবে মওলানা ভাসানী হল সংসদ।

জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আগামী ১৩ তারিখে দেশে নাশকতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রধান ফটকগুলোতে অবস্থান করবো।” তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রী হলগুলোর নেতারা ডেইরি গেটসহ প্রধান ফটকে কেন্দ্রীয় সংসদের সাথে থাকবে—এতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

জাকসু ও হল সংসদের পাশাপাশি আজ রাত থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক সংগঠনগুলোও। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করবে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তবে সংগঠনটি জাকসুর সাথে সম্মিলিতভাবে কর্মসূচি না করে নিজস্ব অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে স্ট্রিমকে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জহির উদ্দিন বাবর। তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তাদের পেটোয়া বাহিনী ছাত্রলীগের যেকোন অপতৎপরতা রুখে দিতে বদ্ধ পরিকর। শাখা ছাত্রদল সবসময় যেকোন সন্ত্রাস রুখে দিতে প্রস্তুত আছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক অবস্থানে থাকবে শাখা ছাত্রশিবির। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকে সারারাত আমরা অবস্থান করবো। এছাড়া কালকে সারাদিনও সোচ্চার থাকবে শাখা ছাত্রশিবির।

অন্যদিকে রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন প্রধান ফটকে (ডেইরি গেইট) অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে শাখা ছাত্রশক্তি। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশক্তির সংগঠক জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, আমরা নিজস্ব ব্যানারেই ডেইরি গেটে অবস্থান নিবো। সেখানে আমাদের সাথে জাকসু ও অন্যান্য সংগঠনও থাকবে।

তবে অবস্থান নেওয়ার ব্যাপারে নীরব বাম সংগঠনগুলো-জাকসু ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সাথে সংহতি প্রকাশ করলেও, জাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক) ব্যাতীত কোন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়নি অন্যান্য প্রগতিশীল বাম সংগঠনগুলো।

অবস্থান কর্মসূচির ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক), জাবি শাখার সভাপতি অদ্রি অংকুর বলেন, আমরা আজকে অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে কি কি কার্যক্রম থাকবে তা আমরা দ্রুতই ঠিক করবো। তবে কোন কর্মসূচি করছে না শাখা ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ (ইমন-তানজিম)। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, জাকসুকে তাদের পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের সাথে সংহতি জ্ঞাপন করছি। তবে আমি মনে করছি এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত ছিলো এবং জাকসু এখানে অবজার্ভারের ভূমিকা পালন করতে পারতো। বিষয়টি যতটা না রাজনৈতিক, তার চেয়ে বেশি প্রশাসনিক। কোন প্রকার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন, ১৩ তারিখ ঘিরে আমাদের বিশেষ কোন কর্মসূচি নেই। তবে আমরা জাকসু ও অন্যান্য সংগঠনগুলোর সাথে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। যদি কোন নাশকতা সৃষ্টি হয়, তাহলে আমরা সর্বদা রাজপথে নামার জন্য প্রস্তুত আছি।

সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাবি শাখা। তবে তারা কোন কর্মসূচি করছে না বলে জানিয়েছেন দলটির সংগঠক সোহাগী সামিয়া। তিনি বলেন, আমরা কখনোই চাই না কোনো ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন বাংলাদেশে হোক।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত