.png)

সাইম রানা

সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কয়েকটি ধর্মীয় দলের পক্ষ থেকে বিরোধিতা উঠেছে। দলগুলো বলতে চেয়েছে, ধর্ম বিষয়ে পাঠদানের শিক্ষক না নিয়ে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
এর মধ্যে কয়েক দফায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানামুখী ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছে। এ সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথম যে সমস্যা চোখে পড়ে, তা হলো বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বিশেষায়িত শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই আছে সংকট। কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞানের মতো আবশ্যিক বিষয়েও কোনো বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। সাধারণত বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে যেকোনো ডিসিপ্লিনের সনদপ্রাপ্তদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
ইসলাম ধর্ম বা অন্যান্য ধর্মবিষয়ক পাঠদানের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম চালু আছে -- যেহেতু এই বিষয়টিও আবশ্যিক। ফলে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা থেকে পাশ করা যেকোনো ব্যক্তিই বিশেষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাচ্ছেন। ফলে মাদ্রাসা থেকে পাশ করা ব্যক্তির ধর্মীয় শিক্ষক হতে কোনো বাধা থাকছে না।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষকের দক্ষতা অনুযায়ী পাঠদানের বিষয় নির্ধারণ করে দেয়। এভাবেই পঁয়ষট্টি হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে। ধর্মীয় শিক্ষার পাঠদানেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু সমস্যা হলো বিশেষায়িত ঐচ্ছিক বিষয়ে শিক্ষাদান নিয়ে; যেমন শারীরিক ও মানসিক শিক্ষা, সংগীত, চারু ও কারুকলার মতো বিষয়কে সাধারণ শিক্ষকের মাধ্যমে পাঠদান করে যথার্থ ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিষয়-সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ শিক্ষক প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশে প্রায় তিরিশ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে সংগীত, নাটক, চারু ও কারুকলা বিষয়ক ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী পাশ করে বের হচ্ছে। তারা বিশেষায়িত শিক্ষায় দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও তাদের মেধা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মননশীলতা ও সুকুমারবৃত্তির পদ্ধতিগত বিকাশের বাধা পাচ্ছে।
যদি এমন হতো যে সংগীত শিক্ষক নেওয়ার কারণে ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাহলে ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগপ্রার্থীরা এক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলতে পারতেন। কিন্তু তা তো হচ্ছে না। বরং মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষায় সনদপ্রাপ্তরা অন্যান্য সাধারণ ডিগ্রিধারীদের মতো সমান সুবিধার অনুকূলেই আছেন। তাহলে বাধা কোথায়? আমার বোধগম্য নয়।
আধুনিক কালে সংগীত শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি ও মিডিয়ার গুরুত্ব সুগভীর। একজন শিশু নৈতিক জ্ঞান কি শুধু ধর্ম থেকেই পায়? নাকি ভাষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, পরিবেশ, ইতিহাস, দর্শন সবকিছু থেকেই পেতে পারে? আর শুদ্ধ সংগীতের পাঠ শিশুর মনকে কোমল ও প্রশান্ত করে, মেধার প্রখরতা বাড়ায়। এ বিষয়ে শতশত গবেষণা আছে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমান ধর্মচর্চা করেন সাংগীতিক উপাদানকে মাধ্যম করে। বিশ্বের মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে সংগীতকে কীভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়, সেসব দেশের সিলেবাস দেখলেই তা জানা যাবে। ইসলামে সমা, মানকাবাত, হামদ-নাত, কাওয়ালি, মিলাদ, গজল কত ধরনের সংগীত রয়েছে। উন্নত পর্যায়ের পরিবেশনের জন্য তা কি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া সম্ভব? আমার মনে হয় না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ধর্মীয় বক্তার বক্তব্য এসেছে যে তাঁরা সংগীত শেখাকে নিষিদ্ধের তালিকায় রাখতে চান। এই পুরনো সংলাপ সব ধর্ম থেকেই এসেছিলো। কিন্তু যখন সংগীত ব্যবসায়িক সাফল্যের বড় মঞ্চে রূপ লাভ করল, তখন খ্রিস্টান পুরোহিতরাও আর বিরোধিতা করে নি।
ধর্মের বিচারে অনেক কিছুই মেনে নেওয়া যায়না; যেমন সোশাল মিডিয়া, মোবাইল টেকনোলোজি, কিংবা ফ্যাশন, শেয়ার বাজার, ব্যাংকিং, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি। কিন্তু সেগুলো নিয়ে আর কথা শোনা যায় না। কারণ তার সুবিধা সকলেই ভোগ করছে।
সংগীতের ধারকেরা সংগীত নিয়ে বড় মিশনের স্বপ্ন দেখেনি বলে এই মাধ্যমকে সামাজিকীকরণের মাধ্যমে উপকার পাওয়া যাচ্ছে না। উচ্চতর শিক্ষায় নৃবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, মালটিমিডিয়া প্রযুক্তি, আর্কিওলজি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে সংগীতের সুগভীর সংযোগ রয়েছে। এ সব দিক নিয়ে বিদ্ব্যৎজনের সীমিত ভাবনার কারণে সংগীতবিদ্যা আজ চাপে পড়েছে।
মিডিয়া বিস্তারের কারণে গান শোনা থেকে কাউকে থামিয়ে রাখা সম্ভব নয় -- যদি কেউ তা শুনতে চায়। ফলে এ বিষয়ে শিক্ষা ও মনন না থাকলে আমদানিকৃত এমন কিছু সংগীতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আচ্ছন্ন হবে, যা শুদ্ধ ও সাধনার সংগীত নয়।
ভালো সংগীত মানুষের হৃদয়কে প্রশমিত করে। আবার খারাপ সংগীত বিপথগামী করে। ধার্মিকগণ তাদের ধ্যান সাধনায়ও যে সুর গ্রহণ করতে পারেন, তার ইতিহাস বহু প্রাচীন। উচ্চ রুচিশীল সংগীতচর্চার ভালো পরিবেশের জন্য তাই প্রাথমিক পর্যায় থেকেই সংগীতের অভিযোজন দরকার।
শিক্ষাহীন ধর্ম যেরকম একজন ধার্মিককে উগ্র করতে পারে, শিক্ষাহীন সংগীতও একইভাবে অপসংস্কৃতির দিকে ধাবিত করতে পারে। ফলে সংগীত শিক্ষাকে ঐচ্ছিক না রেখে বরং আবশ্যিক করার দাবি রাখি। এ নিয়ে সংকীর্ণতার রাজনীতি কখনোই কাম্য হতে পারে না।

সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কয়েকটি ধর্মীয় দলের পক্ষ থেকে বিরোধিতা উঠেছে। দলগুলো বলতে চেয়েছে, ধর্ম বিষয়ে পাঠদানের শিক্ষক না নিয়ে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
এর মধ্যে কয়েক দফায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানামুখী ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছে। এ সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথম যে সমস্যা চোখে পড়ে, তা হলো বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বিশেষায়িত শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই আছে সংকট। কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞানের মতো আবশ্যিক বিষয়েও কোনো বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। সাধারণত বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে যেকোনো ডিসিপ্লিনের সনদপ্রাপ্তদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
ইসলাম ধর্ম বা অন্যান্য ধর্মবিষয়ক পাঠদানের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম চালু আছে -- যেহেতু এই বিষয়টিও আবশ্যিক। ফলে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা থেকে পাশ করা যেকোনো ব্যক্তিই বিশেষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাচ্ছেন। ফলে মাদ্রাসা থেকে পাশ করা ব্যক্তির ধর্মীয় শিক্ষক হতে কোনো বাধা থাকছে না।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষকের দক্ষতা অনুযায়ী পাঠদানের বিষয় নির্ধারণ করে দেয়। এভাবেই পঁয়ষট্টি হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে। ধর্মীয় শিক্ষার পাঠদানেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু সমস্যা হলো বিশেষায়িত ঐচ্ছিক বিষয়ে শিক্ষাদান নিয়ে; যেমন শারীরিক ও মানসিক শিক্ষা, সংগীত, চারু ও কারুকলার মতো বিষয়কে সাধারণ শিক্ষকের মাধ্যমে পাঠদান করে যথার্থ ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিষয়-সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ শিক্ষক প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশে প্রায় তিরিশ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে সংগীত, নাটক, চারু ও কারুকলা বিষয়ক ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী পাশ করে বের হচ্ছে। তারা বিশেষায়িত শিক্ষায় দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও তাদের মেধা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মননশীলতা ও সুকুমারবৃত্তির পদ্ধতিগত বিকাশের বাধা পাচ্ছে।
যদি এমন হতো যে সংগীত শিক্ষক নেওয়ার কারণে ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাহলে ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগপ্রার্থীরা এক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলতে পারতেন। কিন্তু তা তো হচ্ছে না। বরং মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষায় সনদপ্রাপ্তরা অন্যান্য সাধারণ ডিগ্রিধারীদের মতো সমান সুবিধার অনুকূলেই আছেন। তাহলে বাধা কোথায়? আমার বোধগম্য নয়।
আধুনিক কালে সংগীত শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি ও মিডিয়ার গুরুত্ব সুগভীর। একজন শিশু নৈতিক জ্ঞান কি শুধু ধর্ম থেকেই পায়? নাকি ভাষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, পরিবেশ, ইতিহাস, দর্শন সবকিছু থেকেই পেতে পারে? আর শুদ্ধ সংগীতের পাঠ শিশুর মনকে কোমল ও প্রশান্ত করে, মেধার প্রখরতা বাড়ায়। এ বিষয়ে শতশত গবেষণা আছে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমান ধর্মচর্চা করেন সাংগীতিক উপাদানকে মাধ্যম করে। বিশ্বের মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে সংগীতকে কীভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়, সেসব দেশের সিলেবাস দেখলেই তা জানা যাবে। ইসলামে সমা, মানকাবাত, হামদ-নাত, কাওয়ালি, মিলাদ, গজল কত ধরনের সংগীত রয়েছে। উন্নত পর্যায়ের পরিবেশনের জন্য তা কি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া সম্ভব? আমার মনে হয় না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ধর্মীয় বক্তার বক্তব্য এসেছে যে তাঁরা সংগীত শেখাকে নিষিদ্ধের তালিকায় রাখতে চান। এই পুরনো সংলাপ সব ধর্ম থেকেই এসেছিলো। কিন্তু যখন সংগীত ব্যবসায়িক সাফল্যের বড় মঞ্চে রূপ লাভ করল, তখন খ্রিস্টান পুরোহিতরাও আর বিরোধিতা করে নি।
ধর্মের বিচারে অনেক কিছুই মেনে নেওয়া যায়না; যেমন সোশাল মিডিয়া, মোবাইল টেকনোলোজি, কিংবা ফ্যাশন, শেয়ার বাজার, ব্যাংকিং, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি। কিন্তু সেগুলো নিয়ে আর কথা শোনা যায় না। কারণ তার সুবিধা সকলেই ভোগ করছে।
সংগীতের ধারকেরা সংগীত নিয়ে বড় মিশনের স্বপ্ন দেখেনি বলে এই মাধ্যমকে সামাজিকীকরণের মাধ্যমে উপকার পাওয়া যাচ্ছে না। উচ্চতর শিক্ষায় নৃবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, মালটিমিডিয়া প্রযুক্তি, আর্কিওলজি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে সংগীতের সুগভীর সংযোগ রয়েছে। এ সব দিক নিয়ে বিদ্ব্যৎজনের সীমিত ভাবনার কারণে সংগীতবিদ্যা আজ চাপে পড়েছে।
মিডিয়া বিস্তারের কারণে গান শোনা থেকে কাউকে থামিয়ে রাখা সম্ভব নয় -- যদি কেউ তা শুনতে চায়। ফলে এ বিষয়ে শিক্ষা ও মনন না থাকলে আমদানিকৃত এমন কিছু সংগীতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আচ্ছন্ন হবে, যা শুদ্ধ ও সাধনার সংগীত নয়।
ভালো সংগীত মানুষের হৃদয়কে প্রশমিত করে। আবার খারাপ সংগীত বিপথগামী করে। ধার্মিকগণ তাদের ধ্যান সাধনায়ও যে সুর গ্রহণ করতে পারেন, তার ইতিহাস বহু প্রাচীন। উচ্চ রুচিশীল সংগীতচর্চার ভালো পরিবেশের জন্য তাই প্রাথমিক পর্যায় থেকেই সংগীতের অভিযোজন দরকার।
শিক্ষাহীন ধর্ম যেরকম একজন ধার্মিককে উগ্র করতে পারে, শিক্ষাহীন সংগীতও একইভাবে অপসংস্কৃতির দিকে ধাবিত করতে পারে। ফলে সংগীত শিক্ষাকে ঐচ্ছিক না রেখে বরং আবশ্যিক করার দাবি রাখি। এ নিয়ে সংকীর্ণতার রাজনীতি কখনোই কাম্য হতে পারে না।
.png)

রাশিয়াতে যখন ১৯১৭ সালে বিপ্লব ঘটল, তখন বহির্বিশ্ব তাৎক্ষণিকভাবে এর গভীরতা অনুধাবন করতে পারেনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক ডামাডোলের মধ্যে এটিকে অনেকেই আরেকটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে গণ্য করেছিল। তবে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তির সংগ্রামে লিপ্ত দরিদ্র দেশগুলোর কাছে এই বিপ্লব এক নতুন দৃষ্টিকোণ এনে দেয়।
১২ ঘণ্টা আগে
১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের মতো কিছু মানবজাতির ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাদের আপাত বিজয় ঘটছে। সেই ডামাডোলে একটি ঘটনা যেন ভুলেই গেছে সবাই। আমি এমন একটি বিষয়ের উপর জোর দিতে চাই। আর তা হোল ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লব। এই বিপ্লব ছিল মানবজাতির ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা।
১৩ ঘণ্টা আগে
৭ নভেম্বরের তাৎপর্য বুঝতে হলে এর পূর্ববর্তী ঘটনাবলি অনুধাবন করা জরুরি। ১৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর জাতি এক চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এর মধ্যেই ৩ নভেম্বর সংঘটিত হয় একটি পাল্টা অভ্যুত্থান, যার নেতৃত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তাৎপর্যপূর্ণ দিনগুলোর একটি হলো ৭ নভেম্বর ১৯৭৫। এই দিন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মোড়-ফেরানো দিন। দিনটিকে কেউ বলেন ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লব’। বিরোধীরা বলেন, ‘রাষ্ট্রবিপর্যয়ের সূচনা’।
১৬ ঘণ্টা আগে