আবদুল লতিফ খান

ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। শক্তিশালী ভূমিকম্প যদি হয়ে যায়, বাংলাদেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। কারণ, এটি নিয়ে বাংলাদেশের পূর্বপ্রস্তুতি অত্যন্ত কম। আমাদের প্রস্তুতি বাড়াতে হবে, এর বিকল্প নেই। প্রস্তুতি বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠী অর্থাৎ জনগণকে সংযুক্ত করতে হবে, তাঁদের সচেতন করা প্রয়োজন।
২০১৪-১৫ সালে আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ কিছু অঞ্চলে অ্যাসেসমেন্ট করে চিহ্নিত করে দেখেছি, সেখানকার ভবনগুলো কেমন অবস্থায় আছে। এরপর সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে। কিন্তু সেটি আর করা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে না ফেললে পরিস্থিতি খারাপ হবে।
ঢাকায় জনবসতি বেশি। রাস্তাঘাট সরু। ভবন ধসে পড়লে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌছাতে কষ্ট হবে। সে জন্য এলাকাভিত্তিক জনগণকে সম্পৃক্ত করে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে।
দুর্যোগ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনার জন্য এই মুহূর্তে আমাদের কিছু কিছু ইকুয়েপমেন্ট বা সরঞ্জাম আছে। কিন্তু কোথায় কোনটা আছে, সেটি আমরা জানি না। অর্থাৎ নির্দিষ্ট তালিকা নেই। রানা প্লাজা যেদিন ধস হলো, ওইদিন ওখানে বসে অনেক ইকুয়েপমেন্ট দিয়েছি। সেগুলোর তালিকা আছে। এভাবে সবগুলোর তালিকা থাকা দরকার; প্রয়োজনের সময় যাতে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ‘আর্থকুয়াক কন্টিনজেন্সি প্লান’ ছিল। কিন্তু ওই পরিকল্পনা নিয়ে প্রচারণা বা জনগণকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। এটি নিয়ে জনগণের মধ্যে মহড়া করতে হবে। যাতে তাঁরা জানতে পারে ভূমিকম্পের সময় করণীয় কী। আজকে টঙ্গী-গাজীপুরে শ্রমিকেরা আহত হয়েছেন। কারণ, হুড়াহুড়ি করে নামা। যেসব জায়গায় সব সময় মানুষ বেশি থাকে, বিশেষ করে করাখানা, অফিস, স্কুলে মাসে অন্তত একবার হলেও ভূমিকম্প সচেতনতা নিয়ে এক্সারসাইজ করা উচিত।
কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এগুলো হচ্ছে না। ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প যদি হয়ে যায়, বলতে কুণ্ঠিত হচ্ছি না যে ঢাকার অবস্থা হবে ভয়াবহ।
লেখক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ

ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। শক্তিশালী ভূমিকম্প যদি হয়ে যায়, বাংলাদেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। কারণ, এটি নিয়ে বাংলাদেশের পূর্বপ্রস্তুতি অত্যন্ত কম। আমাদের প্রস্তুতি বাড়াতে হবে, এর বিকল্প নেই। প্রস্তুতি বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠী অর্থাৎ জনগণকে সংযুক্ত করতে হবে, তাঁদের সচেতন করা প্রয়োজন।
২০১৪-১৫ সালে আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ কিছু অঞ্চলে অ্যাসেসমেন্ট করে চিহ্নিত করে দেখেছি, সেখানকার ভবনগুলো কেমন অবস্থায় আছে। এরপর সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে। কিন্তু সেটি আর করা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে না ফেললে পরিস্থিতি খারাপ হবে।
ঢাকায় জনবসতি বেশি। রাস্তাঘাট সরু। ভবন ধসে পড়লে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌছাতে কষ্ট হবে। সে জন্য এলাকাভিত্তিক জনগণকে সম্পৃক্ত করে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে।
দুর্যোগ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনার জন্য এই মুহূর্তে আমাদের কিছু কিছু ইকুয়েপমেন্ট বা সরঞ্জাম আছে। কিন্তু কোথায় কোনটা আছে, সেটি আমরা জানি না। অর্থাৎ নির্দিষ্ট তালিকা নেই। রানা প্লাজা যেদিন ধস হলো, ওইদিন ওখানে বসে অনেক ইকুয়েপমেন্ট দিয়েছি। সেগুলোর তালিকা আছে। এভাবে সবগুলোর তালিকা থাকা দরকার; প্রয়োজনের সময় যাতে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ‘আর্থকুয়াক কন্টিনজেন্সি প্লান’ ছিল। কিন্তু ওই পরিকল্পনা নিয়ে প্রচারণা বা জনগণকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। এটি নিয়ে জনগণের মধ্যে মহড়া করতে হবে। যাতে তাঁরা জানতে পারে ভূমিকম্পের সময় করণীয় কী। আজকে টঙ্গী-গাজীপুরে শ্রমিকেরা আহত হয়েছেন। কারণ, হুড়াহুড়ি করে নামা। যেসব জায়গায় সব সময় মানুষ বেশি থাকে, বিশেষ করে করাখানা, অফিস, স্কুলে মাসে অন্তত একবার হলেও ভূমিকম্প সচেতনতা নিয়ে এক্সারসাইজ করা উচিত।
কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এগুলো হচ্ছে না। ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প যদি হয়ে যায়, বলতে কুণ্ঠিত হচ্ছি না যে ঢাকার অবস্থা হবে ভয়াবহ।
লেখক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই সিদ্ধান্ত কেবল একটি পুরনো আইনি ব্যবস্থার প্রত্যাবর্তন নয়, বরং এটি দেশের ভঙ্গুর নির্বাচনী ব্যবস্থায় আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং গণতান্ত্রিক যাত্
৭ ঘণ্টা আগে
এই লেখা এমন এক লেখা যা বছর বছর পুনর্লিখন করা লাগে। সর্বশেষ করেছিলাম ২০২৪ এর জুনের ২৬ তারিখ কুষ্টিয়ায় চায়না ফকিরানীর বাড়িতে হামলার পরে। আজ আবার ঘষামাজা করছি, কারণ বাউল ও বাংলাদেশের অন্যতম পালাগানের শিল্পী আবুল সরকারকে 'ধর্ম অবমাননা'র দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান একটি বড় ঘটনা। এই ঘটনা আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার বিষয়ে একটি স্থায়ী ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার দাবী রাখে। আজকের পরিবর্তিত বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে এর মৌলিক গুরুত্ব আছে। তবুও জনসাধারণের আলোচনায় এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি এখ
১০ ঘণ্টা আগে
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম অর্থসচিব, দেশের আর্থিক খাতের কিংবদন্তী পুরুষ মতিউল ইসলাম আর আমাদের মধ্যে নেই। ২০ নভেম্বর ৯৫ বছর বয়সে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
১ দিন আগে