সাত মাস আগে সিজার অপারেশনের সময় ফরিদা ইয়াসমিনের পেটে নন-স্টেরাইল গজ রেখে সেলাই করে দিয়েছিলেন চিকিৎসক। তারপর ব্যথার জন্য বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তাঁর পেটে আবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এবার বের করা হয়েছে গজ।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
সাত মাস আগে ফেনীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রসূতির অস্ত্রোপচারের (সিজার অপারেশন) মাধ্যমে একটি সন্তান জন্ম দেন ফরিদা ইয়াসমিন (৪০) নামে এক গৃহবধূ। চার দিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে পেটে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। পুনরায় তাঁকে ওই চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে ব্যথানাশক ঔষধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তাঁকে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার চিকিৎসা নিয়েছেন ওই মা।
এবার আরেক বেসরকারি চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেটে বস্তু সাদৃশ কিছু ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর পেট থেকে বের করা হয় প্রায় ১ ফুট নন-স্টেরাইল গজ। প্রায় ১ কেজি ওজনের গজটি তাঁর সন্তান জন্মের সিজারের সময়ই পেটের ভেতর রেখে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল।
এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ফেনী শহরের আল-কেমী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তারের বিরুদ্ধে ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ফরিদার ভাই। বিষয়টি জানাজানির পর স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাত মাস আগে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাসলিমা আক্তারের অধীনে ফরিদা ইয়াসমিন সন্তান জন্ম দেন। তিনি জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর গ্রামের প্রবাসী মহিউদ্দিনের স্ত্রী।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আল-কেমী হাসপাতালে প্রসূতি মা ফরিদা ইয়াসমিনের সিজার অপারেশন করেন চিকিৎসক তাসলিমা আক্তার। এর চার দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠানোর পর থেকেই পেটে ব্যথা অনুভব করেন ফরিদা। এতে পুনরায় ডা. তাসলিমার কাছে নিয়ে গেলে ব্যথার ঔষধ দিয়ে ছেড়ে দেন তিনি। তবে এরপর সাত মাসে ফরিদাকে নিয়ে আরও কয়েকজন চিকিৎসক ও হাসপাতালের শরণাপন্ন হন তাঁর স্বজনেরা।
এবার ফেনী শহরের আল বারাকা হাসপাতালে নেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফরিদার পেটে বস্তু সাদৃশ কিছু রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। পরে তাঁর পেটে আবার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। বুধবার রাতে সার্জারি বিশেষজ্ঞ আজিজ উল্লাহ অস্ত্রোপচার করে ভুক্তভোগী ফরিদার পেট থেকে প্রায় ১ কেজি ওজনের ১ ফুট একটি নন-স্টেরাইল গজ বের করেন।
স্বামী মহিউদ্দিন জানান, তাঁর স্ত্রীর ব্যথার চিকিৎসায় ৭ মাসে তার প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এতে তাঁর পরিবার ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
ভাই মো. শাহ ফয়সাল জানান, ফরিদার শারীরিক সমস্যা নিয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা ৭ মাস শারীরিক ও মানসিকভাবে পীড়নের মধ্যে ছিলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ বাবদ ৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চিকিৎসক তাসলিমা আক্তার মোবাইল ফোনে স্ট্রিমকে বলেন, ‘প্রসূতি ফরিদা ইয়াসমিনের সিজার অপারেশ একটা টিম ওয়ার্ক ছিলে। তারপরও ভুলবসত তাঁর পেটে গজ থেকে যেতে পারে। আমরা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টা মীমাংসার উদ্যোগ নেব।’
ফেনীর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, ‘সিজার অপারেশনের সময় এক নারীর পেটে নন-স্টেরাইল গজ থেকে যাওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাত মাস আগে ফেনীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রসূতির অস্ত্রোপচারের (সিজার অপারেশন) মাধ্যমে একটি সন্তান জন্ম দেন ফরিদা ইয়াসমিন (৪০) নামে এক গৃহবধূ। চার দিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে পেটে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। পুনরায় তাঁকে ওই চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে ব্যথানাশক ঔষধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তাঁকে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার চিকিৎসা নিয়েছেন ওই মা।
এবার আরেক বেসরকারি চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেটে বস্তু সাদৃশ কিছু ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর পেট থেকে বের করা হয় প্রায় ১ ফুট নন-স্টেরাইল গজ। প্রায় ১ কেজি ওজনের গজটি তাঁর সন্তান জন্মের সিজারের সময়ই পেটের ভেতর রেখে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল।
এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ফেনী শহরের আল-কেমী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তারের বিরুদ্ধে ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ফরিদার ভাই। বিষয়টি জানাজানির পর স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাত মাস আগে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাসলিমা আক্তারের অধীনে ফরিদা ইয়াসমিন সন্তান জন্ম দেন। তিনি জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর গ্রামের প্রবাসী মহিউদ্দিনের স্ত্রী।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আল-কেমী হাসপাতালে প্রসূতি মা ফরিদা ইয়াসমিনের সিজার অপারেশন করেন চিকিৎসক তাসলিমা আক্তার। এর চার দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠানোর পর থেকেই পেটে ব্যথা অনুভব করেন ফরিদা। এতে পুনরায় ডা. তাসলিমার কাছে নিয়ে গেলে ব্যথার ঔষধ দিয়ে ছেড়ে দেন তিনি। তবে এরপর সাত মাসে ফরিদাকে নিয়ে আরও কয়েকজন চিকিৎসক ও হাসপাতালের শরণাপন্ন হন তাঁর স্বজনেরা।
এবার ফেনী শহরের আল বারাকা হাসপাতালে নেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফরিদার পেটে বস্তু সাদৃশ কিছু রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। পরে তাঁর পেটে আবার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। বুধবার রাতে সার্জারি বিশেষজ্ঞ আজিজ উল্লাহ অস্ত্রোপচার করে ভুক্তভোগী ফরিদার পেট থেকে প্রায় ১ কেজি ওজনের ১ ফুট একটি নন-স্টেরাইল গজ বের করেন।
স্বামী মহিউদ্দিন জানান, তাঁর স্ত্রীর ব্যথার চিকিৎসায় ৭ মাসে তার প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এতে তাঁর পরিবার ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
ভাই মো. শাহ ফয়সাল জানান, ফরিদার শারীরিক সমস্যা নিয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা ৭ মাস শারীরিক ও মানসিকভাবে পীড়নের মধ্যে ছিলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ বাবদ ৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চিকিৎসক তাসলিমা আক্তার মোবাইল ফোনে স্ট্রিমকে বলেন, ‘প্রসূতি ফরিদা ইয়াসমিনের সিজার অপারেশ একটা টিম ওয়ার্ক ছিলে। তারপরও ভুলবসত তাঁর পেটে গজ থেকে যেতে পারে। আমরা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টা মীমাংসার উদ্যোগ নেব।’
ফেনীর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, ‘সিজার অপারেশনের সময় এক নারীর পেটে নন-স্টেরাইল গজ থেকে যাওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আহত 'জুলাই যোদ্ধা'দের চিকিৎসা বঞ্চিত হওয়া, পরিবারের সদস্যদের আইনি সুরক্ষার অভাব এবং ১৭ অক্টোবরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিনিধিরা।
২১ মিনিট আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেরেমিট্যান্সযোদ্ধাদের জন্য পাসপোর্টের ফি কমানো হবে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেটগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা সরাসরি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ই-গেট
১ ঘণ্টা আগেসরকার চালাতে গিয়ে কিছু ভুলত্রুটি হয়, শেখ হাসিনাও করেছেন বলে যুক্তি দিয়েছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১-এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় আইনজীবী আমির হোসেন শেখ হাসিনাকে নিরপরাধ দাবি করেন এবং তাঁর খাল
২ ঘণ্টা আগে