leadT1ad

খাগড়াছড়ির সহিংসতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিল এইচআরএফবি

পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৫১
হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)

পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। সংগঠনটি এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন—মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের শাহীন আনাম, নিজেরা করি’র খুশী কবির, ব্লাস্টের সারা হোসেন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামান, নাগরিক উদ্যোগের জাকির হোসেন এবং আসকের মাবরুক মোহাম্মদ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে বলপ্রয়োগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আদিবাসী তরুণ নিহত হন, অনেকে আহত হন এবং ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনাকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি জানায়, এতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবন, নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে।

প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, অতীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বহুবার সহিংসতা হলেও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। অপরাধীরা দায়মুক্তি পাওয়ায় সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তাই টেকসই শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য সরকারের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

স্মারকলিপিতে আট দফা দাবি তুলে ধরে এইচআরএফবি। এর মধ্যে রয়েছে— ধর্ষণ অভিযোগ ও সাম্প্রতিক সহিংসতার ওপর স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন; অপরাধীদের জবাবদিহি ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা; ধর্ষণের শিকার মারমা কিশোরীর ন্যায়বিচার এবং গত এক বছরে সংঘটিত আরও সাতটি ধর্ষণ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত; নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা; আদিবাসীদের মৌলিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষায় উচ্চপর্যায়ের সরকারি পদক্ষেপ।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য একটি টেকসই রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ একটি বহুজাতি ও বহু সংস্কৃতির দেশ। এই বৈচিত্র্য শক্তি, বিভেদের কারণ নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা শুধু পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য নয়, বরং জাতীয় ঐক্যের জন্য অপরিহার্য।’

এইচআরএফবি আশা প্রকাশ করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিয়ে আদিবাসীসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও শান্তি নিশ্চিত করবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত