.png)

স্ট্রিম প্রতিবেদক

বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু ও বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার সংযোজনসহ তিন দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা একটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, ‘ক্লিনিক্যালের বারান্দায় দালালের ঠাঁই নাই’, ‘এক দুই তিন চার, দালাল তুই গদি ছাড়’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, দালাল ইজ নো মোর’—ইত্যাদি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জান্নাত জামান বলেন, ‘আজকে আমাদের তৃতীয় দিনের মতো কর্মসূচি চলছে। কাল বিকাল চারটা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া ছিল। কিন্তু তাঁরা যেহেতু আমাদের দাবি মানে নাই, তাই আমাদের আরেকটা দাবি যুক্ত হয়েছে সেটা হলো বিভাগের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। এর পিছনেও অনেক কারণ রয়েছে। উনি আমাদের যৌক্তিক দাবিকে কারও উসকানি হিসেবে মিডিয়ার সামনে বলেছেন। একটামাত্র সিলেবাসের জন্য ৫০০ টাকা করে রাখা হয়, যেটা অযৌক্তিক। এছাড়াও আমাদের কিছু কোর্স আছে যেগুলো বাইরের থেকে টিচার এসে পড়াত কিন্তু তিনি বিভাগের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি নিজে এবং তার বিভাগের (মনোবিজ্ঞান) শিক্ষক দিয়ে পড়ান। আমাদের দাবি না মানা হলে কমপ্লিট শাটডাউন চলমান থাকবে।’
আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন করছি। বিভাগের সভাপতিকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছিলাম। কিন্তু সময় পার হয়ে গেলেও তিনি আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসেননি বা দাবি মেনে নেননি। বরং তিনি আমাদের প্রতি সম্পূর্ণ অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন।’
রাইসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা পিএসসিতে আবেদন পাঠানোর জন্য একটি চিঠি তৈরি করেছিলাম এবং তাতে সভাপতির স্বাক্ষর নেওয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু তিনি স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান এবং আমাদের সঙ্গে দেখা করতেও রাজি হননি। এ কারণেই আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কালকে পর্যন্ত তাঁদের দাবিগুলো ছিলো বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার নিশ্চিতকরণ।কিন্তু বর্তমানে তাঁদের প্রাইম দাবি হচ্ছে তাঁদের বিভাগের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে নিজেদের বিভাগের কোনো শিক্ষককে সেখানে নিয়োগ করা। তাঁদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা গ্যাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাঁদের মধ্যে একটা কানেকশন তৈরি করার। তাহলে আমাদেরও একটা সিদ্ধান্তে আসতে সুবিধা হবে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি নিয়ে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু, বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার নিশ্চিতকরণ।

বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু ও বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার সংযোজনসহ তিন দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তাঁরা বিভাগের সভাপতির অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বিভাগের সামনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা একটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, ‘ক্লিনিক্যালের বারান্দায় দালালের ঠাঁই নাই’, ‘এক দুই তিন চার, দালাল তুই গদি ছাড়’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, দালাল ইজ নো মোর’—ইত্যাদি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জান্নাত জামান বলেন, ‘আজকে আমাদের তৃতীয় দিনের মতো কর্মসূচি চলছে। কাল বিকাল চারটা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া ছিল। কিন্তু তাঁরা যেহেতু আমাদের দাবি মানে নাই, তাই আমাদের আরেকটা দাবি যুক্ত হয়েছে সেটা হলো বিভাগের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। এর পিছনেও অনেক কারণ রয়েছে। উনি আমাদের যৌক্তিক দাবিকে কারও উসকানি হিসেবে মিডিয়ার সামনে বলেছেন। একটামাত্র সিলেবাসের জন্য ৫০০ টাকা করে রাখা হয়, যেটা অযৌক্তিক। এছাড়াও আমাদের কিছু কোর্স আছে যেগুলো বাইরের থেকে টিচার এসে পড়াত কিন্তু তিনি বিভাগের দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি নিজে এবং তার বিভাগের (মনোবিজ্ঞান) শিক্ষক দিয়ে পড়ান। আমাদের দাবি না মানা হলে কমপ্লিট শাটডাউন চলমান থাকবে।’
আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তিন দিন ধরে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন করছি। বিভাগের সভাপতিকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছিলাম। কিন্তু সময় পার হয়ে গেলেও তিনি আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসেননি বা দাবি মেনে নেননি। বরং তিনি আমাদের প্রতি সম্পূর্ণ অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন।’
রাইসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা পিএসসিতে আবেদন পাঠানোর জন্য একটি চিঠি তৈরি করেছিলাম এবং তাতে সভাপতির স্বাক্ষর নেওয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু তিনি স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান এবং আমাদের সঙ্গে দেখা করতেও রাজি হননি। এ কারণেই আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কালকে পর্যন্ত তাঁদের দাবিগুলো ছিলো বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার নিশ্চিতকরণ।কিন্তু বর্তমানে তাঁদের প্রাইম দাবি হচ্ছে তাঁদের বিভাগের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে নিজেদের বিভাগের কোনো শিক্ষককে সেখানে নিয়োগ করা। তাঁদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা গ্যাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাঁদের মধ্যে একটা কানেকশন তৈরি করার। তাহলে আমাদেরও একটা সিদ্ধান্তে আসতে সুবিধা হবে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি নিয়ে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু, বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার নিশ্চিতকরণ।
.png)

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও ১৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়েছে সরকার। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে ১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গেল দুদিনে মোট ২৯ জেলা নতুন ডিসি পেয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) ডিএমটিসিএল থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলেও, ছুটি বাতিলের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ সাইবার স্পেসের বিভিন্ন মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর নানা পরিকল্পনায় ব্যস্ত থাকলেও, কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর তা বাস্তবায়নের কোনো সক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগে