স্ট্রিম প্রতিবেদক
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করছেন শিক্ষকেরা। তাঁদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিকেল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান এবং সর্বজনীন বদলি।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করার কারণে সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হাইকোর্ট, পল্টন, গুলিস্তান কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে এই সমাবেশ শুরু হয়। সারা দেশে থেকে আসা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন।
সমাবেশে আসা শিক্ষকেরা জানান, তাঁদের একটাই দাবি, এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এই সমাবেশে এসেছেন রাজশাহীর বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আজাদ আলী। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা জাতীয় স্কেলেই বেতন পান। কিন্তু তাঁদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয় মাত্র ১ হাজার টাকা। চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা। উৎসব ভাতা মূল স্কেলের ৫০ শতাংশ। এসব ভাতাগুলো সরকারিদের ন্যায় দিলেই তাঁদের মানবেতর জীবনের একটু লাগব হতো। এটাই তাঁদের বর্তমান মানবিক সরকারের কাছে দাবি।
জাতীয় স্কেলেই বেতন পান তাহলে আপনারা আন্দোলনে কেন প্রশ্ন করলে আজাদ বলেন, ‘আমাদের স্কেল ঠিক আছে কিন্তু ভাতাগুলো ঠিক নাই। জাতীয় প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন, তাঁরা বাড়ি ভাড়া পান মূল স্কেলের ৪৫ শতাংশ। তাঁরা চিকিৎসা ভাতা পান মাসে ১৫ শ টাকা। আর আমাদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দেওয়ার কথা বলেছিলেন সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা ও বর্তমান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। কিন্তু সেটাও আমরা পাচ্ছি না। তাই আমরা হতাশ হয়ে এখানে সমাবেত হয়েছি।’
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী আরেকজন শিক্ষক বরিশালের সৈয়দ বজলুল হক কলেজের আবদুস সবুর। ‘আমাদের প্রথম এবং প্রধান দাবী হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ।’ বলেন তিনি। এছাড়াও আরও জানান, দেশের বর্তামান পরিস্থিতিতে আপাতত সেটা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেন সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুত ঘোষণা অনুযায়ী তাঁদের বাড়িভাড়া ৪৫ শতাংশ দেওয়া হয়। সরকারি নিয়মে যেন বাকি ভাতাগুলো দেওয়া হয় তাঁদের।
মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসেছেন সহকারি শিক্ষক অনিল সরকার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি যখন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বসি, তখন আমার প্রতিযোগী ছিল প্রায় ১২ লাখ। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমার এখান আসতে হয়েছে। তার আগে পড়াশোনার কথা তো বাদই দিলাম। এই জার্নি শেষে যদি আমার বারো/সাড়ে বারো হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতে হয়, সেটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে মেধাবীরা কখনো শিক্ষকতা পেশায় আসবে না। যদি আসেও, সে তাঁর পুরো সময়টা প্রতিষ্ঠানে দিবে না। কারণ তাঁর তো ফ্যামিলি চালাতে হবে। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। কোনো উন্নতি হবে না। তাই শিক্ষাব্যবস্থা বাঁচাতে অবশ্যই আমাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
জোটের নেতারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই ২২তম দিনে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বাড়ানো এবং আগামী বাজেটে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেন। বাজেটে এই বরাদ্দ থাকলেও এখনো সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয় নি।
শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ধারাবাহিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এদিকে শিক্ষকদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্যে সচিবালয়ে গিয়েছেন।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করছেন শিক্ষকেরা। তাঁদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিকেল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান এবং সর্বজনীন বদলি।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করার কারণে সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হাইকোর্ট, পল্টন, গুলিস্তান কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে এই সমাবেশ শুরু হয়। সারা দেশে থেকে আসা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন।
সমাবেশে আসা শিক্ষকেরা জানান, তাঁদের একটাই দাবি, এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এই সমাবেশে এসেছেন রাজশাহীর বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আজাদ আলী। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা জাতীয় স্কেলেই বেতন পান। কিন্তু তাঁদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয় মাত্র ১ হাজার টাকা। চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা। উৎসব ভাতা মূল স্কেলের ৫০ শতাংশ। এসব ভাতাগুলো সরকারিদের ন্যায় দিলেই তাঁদের মানবেতর জীবনের একটু লাগব হতো। এটাই তাঁদের বর্তমান মানবিক সরকারের কাছে দাবি।
জাতীয় স্কেলেই বেতন পান তাহলে আপনারা আন্দোলনে কেন প্রশ্ন করলে আজাদ বলেন, ‘আমাদের স্কেল ঠিক আছে কিন্তু ভাতাগুলো ঠিক নাই। জাতীয় প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন, তাঁরা বাড়ি ভাড়া পান মূল স্কেলের ৪৫ শতাংশ। তাঁরা চিকিৎসা ভাতা পান মাসে ১৫ শ টাকা। আর আমাদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দেওয়ার কথা বলেছিলেন সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা ও বর্তমান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। কিন্তু সেটাও আমরা পাচ্ছি না। তাই আমরা হতাশ হয়ে এখানে সমাবেত হয়েছি।’
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী আরেকজন শিক্ষক বরিশালের সৈয়দ বজলুল হক কলেজের আবদুস সবুর। ‘আমাদের প্রথম এবং প্রধান দাবী হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ।’ বলেন তিনি। এছাড়াও আরও জানান, দেশের বর্তামান পরিস্থিতিতে আপাতত সেটা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেন সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুত ঘোষণা অনুযায়ী তাঁদের বাড়িভাড়া ৪৫ শতাংশ দেওয়া হয়। সরকারি নিয়মে যেন বাকি ভাতাগুলো দেওয়া হয় তাঁদের।
মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসেছেন সহকারি শিক্ষক অনিল সরকার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমি যখন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বসি, তখন আমার প্রতিযোগী ছিল প্রায় ১২ লাখ। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমার এখান আসতে হয়েছে। তার আগে পড়াশোনার কথা তো বাদই দিলাম। এই জার্নি শেষে যদি আমার বারো/সাড়ে বারো হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতে হয়, সেটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে মেধাবীরা কখনো শিক্ষকতা পেশায় আসবে না। যদি আসেও, সে তাঁর পুরো সময়টা প্রতিষ্ঠানে দিবে না। কারণ তাঁর তো ফ্যামিলি চালাতে হবে। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। কোনো উন্নতি হবে না। তাই শিক্ষাব্যবস্থা বাঁচাতে অবশ্যই আমাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
জোটের নেতারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই ২২তম দিনে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপদেষ্টা উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বাড়ানো এবং আগামী বাজেটে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেন। বাজেটে এই বরাদ্দ থাকলেও এখনো সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয় নি।
শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ধারাবাহিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
এদিকে শিক্ষকদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্যে সচিবালয়ে গিয়েছেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাভাতা বাড়ানোর আশ্বাস পেয়েছেন জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা। ওই আশ্বাস বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়ে রাস্তা ছেড়েছেন তাঁরা।
৩০ মিনিট আগেরেজাউল ইসলামের নামে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের একাধিক মামলা রয়েছে। এ ধরনের ঘটনার জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন।
১ ঘণ্টা আগেউভয়প্রান্তে ছয়টি ট্রেন আটকা পড়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেন রয়েছে। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের রেল যোগাযোগে সিডিউল।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ওষুধ শিল্প নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকারের অস্বচ্ছ ও একপেশে নীতিসহ কিছু বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা এ খাতে ঝুঁকি তৈরি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে