চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরাম
ওয়াসিম আকরাম ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কর্মী। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ১৫ তারিখ ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলায় নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনের কাছে তিনি আহত হন। পরদিন ১৬ জুলাই। এ দিন চট্টগ্রামের রাজপথে তরুণ রক্তের ধারা বয়ে যায়। সেদিন আহত অবস্থাতেই আন্দোলনে ফিরে এসেছিলেন ওয়াসিম।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ হন ওয়াসিম আকরাম। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামে ওয়াসিমের বাড়ি এসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একাধিক উপদেষ্টা। এসেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তাঁরা বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন, মায়ের মাথায় হাত রেখে বলেছেন, ‘আপনার ছেলে ইতিহাস গড়েছে।’ কিন্তু মায়ের মন তো মানে না। তাঁর একটাই প্রশ্ন, ইতিহাসে ছেলের নাম গেল, কিন্তু খুনির বিচারটা কই?
ওয়াসিম আকরাম ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কর্মী। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ১৫ তারিখ ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলায় নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনের কাছে তিনি আহত হন। পরদিন ১৬ জুলাই। এ দিন চট্টগ্রামের রাজপথে তরুণ রক্তের ধারা বয়ে যায়। সেদিন আহত অবস্থাতেই আন্দোলনে ফিরে এসেছিলেন ওয়াসিম।
ওয়াসিমের চোখে-মুখে ছিল ক্লান্তির ছাপ, পায়ে ছিল ব্যান্ডেজ। আর বুকের ভেতরে ছিল দ্রোহের আগুন। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। তবে আগের দিনের আঘাতই হয়তো কাল হয়ে দাঁড়ায় তাঁর জন্য। ওয়াসিমকে ধাওয়া করে রেলওয়ে ওভারপাসের নিচে কোণঠাসা করা হয়। সেখানেই ঠান্ডা মাথায় গুলি করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘ওয়াসিম আন্দোলনের শুরু থেকেই ছিল। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হাতে আহত হন। তারপরও ১৬ তারিখ সকালে মুরাদপুর থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেন। হয়তো আগের দিনের আঘাতই তাকে দুর্বল করে দিয়েছিল, নইলে ওকে এত সহজে ধরা যেত না।’
ওয়াসিম শহীদ হওয়ার এক বছর কেটে গেছে। প্রথম শহীদ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামের ষোলশহর স্টেশন এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রদলের নগর কমিটি। সেখানেও দ্রুত ওয়াসিম হত্যার বিচার চেয়েছেন নেতারা।
বাড়ির দেয়ালে এখনো টাঙানো ওয়াসিমের রক্তমাখা ছবি। মা বারবার ধুলা ঝাড়েন। বারান্দায় চুপচাপ বসে থাকেন, অপেক্ষা করেন ‘মা, আমি আসছি, খেতে দাও’ শোনার জন্য।
বিএনপির নেতারাও এসেছেন ওয়াসিমের বাড়ি। সরকারের উপদেষ্টারাও সান্ত্বনা দিয়েছেন। কিন্তু মামলার অগ্রগতি আলোর মুখ দেখেনি। প্রমাণ, ভিডিও, সাক্ষী সবই ছিল, তবু চার্জশিট আজও হয়নি। ওয়াসিমের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে দিনদুপুরে গুলি করল, সব মিডিয়াতে ভিডিও দেখলাম, তবু কিছু হলো না! তাহলে আমরা কাদের কাছে বিচার চাই?’
ওয়াসিমের সহপাঠীরা আজও রাজপথে নামেন তাঁর হত্যার বিচার দাবিতে। কাঁধে ব্যানার, মুখে স্লোগান—‘ওয়াসিম হত্যার বিচার চাই, ওয়াসিমের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’ তবে সেই আবেদন আজও পড়ে আছে আদালতের দরজায়। চট্টগ্রামের এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘ওয়াসিমকে রক্তাক্ত করে মারল, অথচ খুনি এখনো প্রভাবশালী নেতার ছত্রচ্ছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
মায়ের ঘরে এক কোনে রাখা ছেলের ব্যবহৃত শেষ ফোনটা মাঝে মাঝে বেজে ওঠে। ‘ফোনটা নেটওয়ার্ক পেয়ে গেছে হয়ত’ বলতে বলতে হেসে ফেলেন মা। তারপর আবার চুপ করে যান। চা-পরোটা বানানোর শব্দ আসে রান্নাঘর থেকে। অপেক্ষা করেন প্রতিদিনের মতো আজও তাঁর ছেলে এসে বলবেন ‘মা, একটু দুধ-চা দাও।’
ওয়াসিম আর সশরীরে আসবে না। কিন্তু চা-পরোটা বানানোর অভ্যাস যায় না। মায়েরা কখনো হার মানেন না।
জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ হন ওয়াসিম আকরাম। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামে ওয়াসিমের বাড়ি এসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একাধিক উপদেষ্টা। এসেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তাঁরা বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন, মায়ের মাথায় হাত রেখে বলেছেন, ‘আপনার ছেলে ইতিহাস গড়েছে।’ কিন্তু মায়ের মন তো মানে না। তাঁর একটাই প্রশ্ন, ইতিহাসে ছেলের নাম গেল, কিন্তু খুনির বিচারটা কই?
ওয়াসিম আকরাম ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল কর্মী। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ১৫ তারিখ ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলায় নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনের কাছে তিনি আহত হন। পরদিন ১৬ জুলাই। এ দিন চট্টগ্রামের রাজপথে তরুণ রক্তের ধারা বয়ে যায়। সেদিন আহত অবস্থাতেই আন্দোলনে ফিরে এসেছিলেন ওয়াসিম।
ওয়াসিমের চোখে-মুখে ছিল ক্লান্তির ছাপ, পায়ে ছিল ব্যান্ডেজ। আর বুকের ভেতরে ছিল দ্রোহের আগুন। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। তবে আগের দিনের আঘাতই হয়তো কাল হয়ে দাঁড়ায় তাঁর জন্য। ওয়াসিমকে ধাওয়া করে রেলওয়ে ওভারপাসের নিচে কোণঠাসা করা হয়। সেখানেই ঠান্ডা মাথায় গুলি করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘ওয়াসিম আন্দোলনের শুরু থেকেই ছিল। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হাতে আহত হন। তারপরও ১৬ তারিখ সকালে মুরাদপুর থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেন। হয়তো আগের দিনের আঘাতই তাকে দুর্বল করে দিয়েছিল, নইলে ওকে এত সহজে ধরা যেত না।’
ওয়াসিম শহীদ হওয়ার এক বছর কেটে গেছে। প্রথম শহীদ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামের ষোলশহর স্টেশন এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রদলের নগর কমিটি। সেখানেও দ্রুত ওয়াসিম হত্যার বিচার চেয়েছেন নেতারা।
বাড়ির দেয়ালে এখনো টাঙানো ওয়াসিমের রক্তমাখা ছবি। মা বারবার ধুলা ঝাড়েন। বারান্দায় চুপচাপ বসে থাকেন, অপেক্ষা করেন ‘মা, আমি আসছি, খেতে দাও’ শোনার জন্য।
বিএনপির নেতারাও এসেছেন ওয়াসিমের বাড়ি। সরকারের উপদেষ্টারাও সান্ত্বনা দিয়েছেন। কিন্তু মামলার অগ্রগতি আলোর মুখ দেখেনি। প্রমাণ, ভিডিও, সাক্ষী সবই ছিল, তবু চার্জশিট আজও হয়নি। ওয়াসিমের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে দিনদুপুরে গুলি করল, সব মিডিয়াতে ভিডিও দেখলাম, তবু কিছু হলো না! তাহলে আমরা কাদের কাছে বিচার চাই?’
ওয়াসিমের সহপাঠীরা আজও রাজপথে নামেন তাঁর হত্যার বিচার দাবিতে। কাঁধে ব্যানার, মুখে স্লোগান—‘ওয়াসিম হত্যার বিচার চাই, ওয়াসিমের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।’ তবে সেই আবেদন আজও পড়ে আছে আদালতের দরজায়। চট্টগ্রামের এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘ওয়াসিমকে রক্তাক্ত করে মারল, অথচ খুনি এখনো প্রভাবশালী নেতার ছত্রচ্ছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
মায়ের ঘরে এক কোনে রাখা ছেলের ব্যবহৃত শেষ ফোনটা মাঝে মাঝে বেজে ওঠে। ‘ফোনটা নেটওয়ার্ক পেয়ে গেছে হয়ত’ বলতে বলতে হেসে ফেলেন মা। তারপর আবার চুপ করে যান। চা-পরোটা বানানোর শব্দ আসে রান্নাঘর থেকে। অপেক্ষা করেন প্রতিদিনের মতো আজও তাঁর ছেলে এসে বলবেন ‘মা, একটু দুধ-চা দাও।’
ওয়াসিম আর সশরীরে আসবে না। কিন্তু চা-পরোটা বানানোর অভ্যাস যায় না। মায়েরা কখনো হার মানেন না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম নতুন ধারার অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ঢাকা স্ট্রিম’ পরিদর্শন করেছেন। আজ রোববার (২০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর পান্থপথের ঢাকা স্ট্রিমের কার্যালয়ে আসেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সবমিলিয়ে পাঁচ দিন আলোচনা হয়েছে। এর পরেও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। ফলে রোববার (২০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি সমন্বিত প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা দাবি করছেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো হস্তান্তর করেছে। এ দাবি সত্য নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৮ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গণগ্রেপ্তার করছে না। বরং যারা অপরাধী, তাঁদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে