স্ট্রিম প্রতিবেদক
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দুপক্ষের আইনজীবীরা নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন। তবে, কেউই নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিলেন না। বরং নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে মাঝে ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে ডাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনি বাধা দূর হয়। ফলে ৯ সেপ্টেম্বরই হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির শুনানিতে বলেন, ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগে সম্পৃক্ততার অভিযোগ করা হয়। এরই মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রিটকারী বি এম ফাহমিদা আলম বামজোটের মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক প্রার্থী, যার বিরুদ্ধ রিট করা হয়েছে তিনি জিএস প্রার্থী। সুতরাং রিটকারীর ব্যক্তিগতভাবে এখানে সংক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ নেই। তাই এ রিট চলতে পারে না। অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে রিট করা হয়েছে।
শিশির মনির বলেন, জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদ ২০২২ সালে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন, এমন দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে করা হয়নি। এটা হাইকোর্টে এসে বলা হচ্ছে। এই অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে একটি ফটোকপি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ নেই। বরং আমরা দেখেছি, জুলাই বিপ্লবের সময় এসএম ফরহাদ শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে ভিপিপ্রার্থী সাদিক কায়েম বলেছেন, ২০১৮ সালে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় এসএম ফরহাদকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে আরেক ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের বলেছেন, এসএম ফরহাদ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিবিরের ঢাবি শাখার সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি সেই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফারসি বিভাগের এক ছাত্রলীগ কর্মী এসএম ফরহাদের সঙ্গে ডাকসুর জিএস প্রার্থী সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের এসএম ফরহাদকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। এই ফরহাদ এবং সেই ফরহাদ একই ব্যক্তি নন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখার আর্জি জানাচ্ছি।
রিটের পক্ষে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, একই অভিযোগে অন্যদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এসএম ফরহাদের বিষয়ে প্রার্থিতা বহাল আছে, এটা বৈষম্যমূলক। এ সময় আদালত বলেন, (ছাত্রলীগে ফরহাদের সংশ্লিষ্টতা) বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে। তখন আহসানুল করিম বলেন, না, এটা নিয়ে বিতর্ক নেই। এসএম ফরহাদ ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। তবে আমি আইনজীবী হিসেবে নিশ্চিত না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিষয়ে তদন্ত করে দেখতে পারে, তিনি ছাত্রলীগে ছিলেন কি না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটা নিশ্চিত হতে পারে। যদি ছাত্রলীগে তাঁর সম্পৃক্ততা না থাকে, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারেন। আমরা হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন চাই। আমরা নির্বাচন স্থগিত চাই না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বল্প সময়েও ফরহাদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখতে পারে।
এসএম ফরহাদের আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিকী বলেন, এসএম ফরহাদ গণমাধ্যমে বলেছেন, তিনি কখনো ছাত্রলীগে সিভি দেননি। ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ছাত্রলীগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়ে যে ছবি দেখানো হয়েছে, তা ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি হওয়ার পরের সময়ের। সেটি কেনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এসএম ফরহাদ জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালে জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের তালিকা দাখিল করেছেন, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা হিসেবে এসএম ফরহাদের নাম আছে। ছাত্রলীগের সঙ্গে এসএম ফরহাদের জড়িত থাকার বিষয়ে যে কাগজ দেখানো হয়েছে তা ফটোকপি। তা অরিজিনাল কপিও নয়। এর কোনো সোর্স তারা উল্লেখ করেননি। সর্বোচ্চ আদালত এমন ডকুমেন্ট কেন বিবেচনায় নেবে। এসএম ফরহাদ ছাত্রলীগ করেন, এই অভিযোগটাই বিতর্কিত। ছাত্রলীগে সম্পৃক্ততার অভিযোগ যাচাই করা এই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। প্রতিটি হল ও ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু এসএম ফরহাদের বিষয়ে সেখানে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচনী আপিল বোর্ড ও সর্বশেষ ভিসির কাছেও যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এসএম ফরহাদের বিষয়ে কোথাও কোনো অভিযোগ করা হয়নি, সরাসরি হাইকোর্টে আসা হয়েছে, যা বিবেচনার এখতিয়ার হাইকোর্টের নেই। ডাকসু নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে এ রিট করা হয়েছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্র মতে, নির্বাচন নিয়ে আপত্তি থাকলে নির্বাচনের তিন দিন পরে আপিল করার সুযোগ আছে। রিটকারী সে পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি।
গত সোমবার রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ডাকসুর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। যার ফলে আটকে যায় ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন। হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত নিয়মিত সিএমপি বা সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন (দেওয়ানি বিবিধ আবেদন) না করা পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে। ফলে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বাধার দেয়াল অপসারিত হয়।
সেই রিটের শুনানি ও আদেশের পথ ধরে বিষয়টি চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। এরপর সম্পূরক কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে এবং শুনানি হয়।
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো পৃথক প্যানেল ঘোষণা করেছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে এবার প্রায় ১০টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে এবার ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, যাদের মধ্যে ৬২ জন নারী প্রার্থী। সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ২১৭ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে মোট এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী ১৩টি পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দুপক্ষের আইনজীবীরা নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন। তবে, কেউই নির্বাচনের বিরুদ্ধে ছিলেন না। বরং নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে মাঝে ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে ডাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনি বাধা দূর হয়। ফলে ৯ সেপ্টেম্বরই হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির শুনানিতে বলেন, ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগে সম্পৃক্ততার অভিযোগ করা হয়। এরই মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রিটকারী বি এম ফাহমিদা আলম বামজোটের মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক প্রার্থী, যার বিরুদ্ধ রিট করা হয়েছে তিনি জিএস প্রার্থী। সুতরাং রিটকারীর ব্যক্তিগতভাবে এখানে সংক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ নেই। তাই এ রিট চলতে পারে না। অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে রিট করা হয়েছে।
শিশির মনির বলেন, জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদ ২০২২ সালে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন, এমন দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে করা হয়নি। এটা হাইকোর্টে এসে বলা হচ্ছে। এই অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে একটি ফটোকপি ছাড়া আর কোনো প্রমাণ নেই। বরং আমরা দেখেছি, জুলাই বিপ্লবের সময় এসএম ফরহাদ শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে ভিপিপ্রার্থী সাদিক কায়েম বলেছেন, ২০১৮ সালে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় এসএম ফরহাদকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে আরেক ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের বলেছেন, এসএম ফরহাদ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিবিরের ঢাবি শাখার সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি সেই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফারসি বিভাগের এক ছাত্রলীগ কর্মী এসএম ফরহাদের সঙ্গে ডাকসুর জিএস প্রার্থী সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের এসএম ফরহাদকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। এই ফরহাদ এবং সেই ফরহাদ একই ব্যক্তি নন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখার আর্জি জানাচ্ছি।
রিটের পক্ষে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, একই অভিযোগে অন্যদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এসএম ফরহাদের বিষয়ে প্রার্থিতা বহাল আছে, এটা বৈষম্যমূলক। এ সময় আদালত বলেন, (ছাত্রলীগে ফরহাদের সংশ্লিষ্টতা) বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে। তখন আহসানুল করিম বলেন, না, এটা নিয়ে বিতর্ক নেই। এসএম ফরহাদ ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। তবে আমি আইনজীবী হিসেবে নিশ্চিত না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বিষয়ে তদন্ত করে দেখতে পারে, তিনি ছাত্রলীগে ছিলেন কি না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটা নিশ্চিত হতে পারে। যদি ছাত্রলীগে তাঁর সম্পৃক্ততা না থাকে, তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারেন। আমরা হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন চাই। আমরা নির্বাচন স্থগিত চাই না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বল্প সময়েও ফরহাদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখতে পারে।
এসএম ফরহাদের আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিকী বলেন, এসএম ফরহাদ গণমাধ্যমে বলেছেন, তিনি কখনো ছাত্রলীগে সিভি দেননি। ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ছাত্রলীগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়ে যে ছবি দেখানো হয়েছে, তা ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি হওয়ার পরের সময়ের। সেটি কেনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এসএম ফরহাদ জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালে জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের তালিকা দাখিল করেছেন, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা হিসেবে এসএম ফরহাদের নাম আছে। ছাত্রলীগের সঙ্গে এসএম ফরহাদের জড়িত থাকার বিষয়ে যে কাগজ দেখানো হয়েছে তা ফটোকপি। তা অরিজিনাল কপিও নয়। এর কোনো সোর্স তারা উল্লেখ করেননি। সর্বোচ্চ আদালত এমন ডকুমেন্ট কেন বিবেচনায় নেবে। এসএম ফরহাদ ছাত্রলীগ করেন, এই অভিযোগটাই বিতর্কিত। ছাত্রলীগে সম্পৃক্ততার অভিযোগ যাচাই করা এই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। প্রতিটি হল ও ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু এসএম ফরহাদের বিষয়ে সেখানে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচনী আপিল বোর্ড ও সর্বশেষ ভিসির কাছেও যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এসএম ফরহাদের বিষয়ে কোথাও কোনো অভিযোগ করা হয়নি, সরাসরি হাইকোর্টে আসা হয়েছে, যা বিবেচনার এখতিয়ার হাইকোর্টের নেই। ডাকসু নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এসএম ফরহাদের বিরুদ্ধে এ রিট করা হয়েছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্র মতে, নির্বাচন নিয়ে আপত্তি থাকলে নির্বাচনের তিন দিন পরে আপিল করার সুযোগ আছে। রিটকারী সে পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি।
গত সোমবার রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ডাকসুর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। যার ফলে আটকে যায় ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন। হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত নিয়মিত সিএমপি বা সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন (দেওয়ানি বিবিধ আবেদন) না করা পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে। ফলে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বাধার দেয়াল অপসারিত হয়।
সেই রিটের শুনানি ও আদেশের পথ ধরে বিষয়টি চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। এরপর সম্পূরক কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে এবং শুনানি হয়।
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো পৃথক প্যানেল ঘোষণা করেছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে এবার প্রায় ১০টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে এবার ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, যাদের মধ্যে ৬২ জন নারী প্রার্থী। সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ২১৭ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে মোট এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী ১৩টি পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
গাজীপুরের টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে ফারিয়া তাছনিম জ্যোতি (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। স্থানীয় সরকার সচিব, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে
২ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাশকতা হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার। গত ৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করাসহ
২ ঘণ্টা আগে