স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকার গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক নারী সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনা ঘিরে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুকে গত ৩১ জুলাই গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বুধবার (১৩ আগস্ট) অপুর ৩৫ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি আবারও আলোচনায় আসে। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন অপু। ভিডিওতে অপু চাঁদাবাজির নেপথ্য ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। এসময় তিনি স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নামও বলেন। তবে উপদেষ্টা আসিফ এ ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্রিমের পক্ষ থেকে এ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে পুলিশ গত ৩১ জুলাই রাতে গ্রেফতার করে। অপু ছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ২৬ জুলাই গুলশানের ৮৩ নম্বর রোড থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার নেতা মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদার (২১), মো. ইব্রাহিম হোসেন (২৪) এবং আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। তবে অপুকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকার ওয়ারী থেকে।
জানে আলম অপুকে গত ২ আগস্ট পুলিশ আদালতে হাজির করে। পুলিশ অপু ও অন্যান্য অভিযুক্তদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে অপুকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে অপু পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানা। তিনি স্বীকার করেন, ঘটনার দিন শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। অপু বলেন, টাকার ব্যাগ নেওয়ার পেছনে অন্যান্য সমন্বয়করা সক্রিয় ছিলেন। সে ঘটনায় তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। চারদিনের রিমান্ড শেষে ৬ আগস্ট অপুকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৩ আগস্ট ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অপু দাবি করেন, ওই দিন যারা টাকার ব্যাগ নিতে যান, তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন। তিনি জানান, অভিযানের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। অপু বলেন, ১৬ জুলাই ভোর ৫টায় পুলিশের সঙ্গে একদম অফিসিয়াল প্রক্রিয়ায় ওই জোনের ডিসি-এসিকে অবগত করে শাম্মীর বাসায় অভিযান চালানো হয়। তিনি বলছেন, অভিযানের আগে সাবেক এমপি শাম্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু পুলিশসহ তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তিনি পালিয়ে যান।
ভিডিওতে তিনি সমন্বয়কারীদের নাম প্রকাশ করেন, যারা আগে গণঅভ্যুত্থানের “মহানায়ক” হিসেবে পরিচিত ছিলেন, কিন্তু পরে চাঁদাবাজিতে জড়িত পড়েছেন। অপু ভিডিওতে অভিযোগ করেন, অভিযানের সময় এবং পরে তাকে ব্যবহার করে কিছু গোষ্ঠী রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করছে। এছাড়াও ভিডিওতে তিনি দাবি করেন যে, অভিযানের প্রক্রিয়ার সব তথ্য, ফোনকল, এবং কাকে কাকে ফোন করা হয়েছে—সবই সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা আছে এবং তা প্রকাশ করলে সত্য উদঘাটন সম্ভব।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। অপু ভিডিওতে নিজের এবং অন্যান্যদের উপস্থিতি ও কর্মকাণ্ডের বিশদ বর্ণনা দিয়ে প্রমাণ দেখানোর চেষ্টা করেছেন। ভিডিওর মাধ্যমে তিনি দাবি করেন, ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক প্রভাব ও উদ্দেশ্য রয়েছে, যা প্রকাশ করা প্রয়োজন।
ভিডিও প্রকাশের পরপরই ১৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) শাহবাগে অপুর স্ত্রী আনিসা সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, অপুকে ব্যবহার করে একটি দল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করছে। তিনি বলেন, ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অপুকে বন্দি করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে, যা অসহায় ও ব্যাকআপহীন একজন ছাত্রের জন্য অত্যন্ত শঙ্কাজনক।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় ও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিও-ছবি ছড়ানো হয়েছে, তা সকলেই দেখেছেন এবং এসব ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। আনিসা দাবি করেন, এই ধরনের ঘটনা হলে তা দেশের ছাত্র সমাজের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসা দাবি করেন, তার স্বামীর নিরাপত্তা এবং পরিবারের নিরাপত্তা নেই। তিনি বলেন, তার কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে, এবং যদি তার স্বামীকে নতুন মামলা ফাঁসানো হয় বা ক্ষতি হয়, তিনি চুপ থাকবেন না। তিনি প্রশাসন ও তদন্ত সংস্থাকে অনুরোধ করেন, ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে।
এ চাঁদাবাজির ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পরে অপুর সঙ্গে তার কোনো ধরনের যোগাযোগ বা সম্পৃক্ততা ছিল না। তিনি ঘটনার সাথে তার নাম জড়ানোর খবর পেয়ে ‘অবাক’ হয়েছেন।
সজীব ভূঁইয়া জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন যে, অপুর স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং সেখানে দাবি করা হয়েছে অপুকে গুম করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তিনি এই অভিযোগকে অত্যন্ত শঙ্কাজনক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এটা যদি সত্য হয়, তবে এটি দেশের জন্য এবং ছাত্র সমাজের জন্য খুবই গুরুতর।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি যেন ৫ আগস্টের আগের অবস্থায় ফিরে না যায়, সে বিষয়ে তার শঙ্কা আছে। তিনি উল্লেখ করেন, ওই ঘটনার সময় ভিডিওতে যে ব্যক্তি হেলমেট পরে মোটরবাইকে যাচ্ছিল, তার সঙ্গে তার কোনো সংযোগ নেই। তিনি বলেন, তিনি প্রায়ই রাতে কিছু রেস্তোরাঁয় যেতেন, কিন্তু ওই দিন সেখানে গিয়েছিলেন কি না, তা মনে করতে পারছেন না।
সজীব ভূঁইয়া দাবি করেন, এই ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং পুরো ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ প্রমাণ দিতে পারেনি যে আমার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে। বরং যেই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সেটি একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় নেওয়া হয়েছে। একজনকে জোরপূর্বক নিয়ে সেখানে স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি অত্যন্ত গুরুতর এবং দেশের জন্য চিন্তার বিষয়।”
উপদেষ্টা বলেন, তার পরিবার এই ঘটনার কারণে যথেষ্ট চাপে রয়েছে, তবে তিনি ইতিমধ্যেই বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং আগামী দিনগুলোতেও প্রমাণের ভিত্তিতে নিজের অবস্থান রক্ষা করবেন। তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন, সমস্ত তথ্য ও প্রমাণ দেখে ঘটনার সঠিক দিকটি বোঝার চেষ্টা করতে।
ঢাকার গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক নারী সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনা ঘিরে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুকে গত ৩১ জুলাই গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বুধবার (১৩ আগস্ট) অপুর ৩৫ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি আবারও আলোচনায় আসে। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন অপু। ভিডিওতে অপু চাঁদাবাজির নেপথ্য ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। এসময় তিনি স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নামও বলেন। তবে উপদেষ্টা আসিফ এ ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে স্ট্রিমের পক্ষ থেকে এ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে পুলিশ গত ৩১ জুলাই রাতে গ্রেফতার করে। অপু ছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ২৬ জুলাই গুলশানের ৮৩ নম্বর রোড থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার নেতা মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদার (২১), মো. ইব্রাহিম হোসেন (২৪) এবং আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। তবে অপুকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকার ওয়ারী থেকে।
জানে আলম অপুকে গত ২ আগস্ট পুলিশ আদালতে হাজির করে। পুলিশ অপু ও অন্যান্য অভিযুক্তদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে অপুকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে অপু পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানা। তিনি স্বীকার করেন, ঘটনার দিন শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। অপু বলেন, টাকার ব্যাগ নেওয়ার পেছনে অন্যান্য সমন্বয়করা সক্রিয় ছিলেন। সে ঘটনায় তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। চারদিনের রিমান্ড শেষে ৬ আগস্ট অপুকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৩ আগস্ট ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে অপু দাবি করেন, ওই দিন যারা টাকার ব্যাগ নিতে যান, তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন। তিনি জানান, অভিযানের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। অপু বলেন, ১৬ জুলাই ভোর ৫টায় পুলিশের সঙ্গে একদম অফিসিয়াল প্রক্রিয়ায় ওই জোনের ডিসি-এসিকে অবগত করে শাম্মীর বাসায় অভিযান চালানো হয়। তিনি বলছেন, অভিযানের আগে সাবেক এমপি শাম্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু পুলিশসহ তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তিনি পালিয়ে যান।
ভিডিওতে তিনি সমন্বয়কারীদের নাম প্রকাশ করেন, যারা আগে গণঅভ্যুত্থানের “মহানায়ক” হিসেবে পরিচিত ছিলেন, কিন্তু পরে চাঁদাবাজিতে জড়িত পড়েছেন। অপু ভিডিওতে অভিযোগ করেন, অভিযানের সময় এবং পরে তাকে ব্যবহার করে কিছু গোষ্ঠী রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করছে। এছাড়াও ভিডিওতে তিনি দাবি করেন যে, অভিযানের প্রক্রিয়ার সব তথ্য, ফোনকল, এবং কাকে কাকে ফোন করা হয়েছে—সবই সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা আছে এবং তা প্রকাশ করলে সত্য উদঘাটন সম্ভব।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। অপু ভিডিওতে নিজের এবং অন্যান্যদের উপস্থিতি ও কর্মকাণ্ডের বিশদ বর্ণনা দিয়ে প্রমাণ দেখানোর চেষ্টা করেছেন। ভিডিওর মাধ্যমে তিনি দাবি করেন, ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক প্রভাব ও উদ্দেশ্য রয়েছে, যা প্রকাশ করা প্রয়োজন।
ভিডিও প্রকাশের পরপরই ১৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) শাহবাগে অপুর স্ত্রী আনিসা সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, অপুকে ব্যবহার করে একটি দল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করছে। তিনি বলেন, ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অপুকে বন্দি করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে, যা অসহায় ও ব্যাকআপহীন একজন ছাত্রের জন্য অত্যন্ত শঙ্কাজনক।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় ও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিও-ছবি ছড়ানো হয়েছে, তা সকলেই দেখেছেন এবং এসব ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। আনিসা দাবি করেন, এই ধরনের ঘটনা হলে তা দেশের ছাত্র সমাজের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসা দাবি করেন, তার স্বামীর নিরাপত্তা এবং পরিবারের নিরাপত্তা নেই। তিনি বলেন, তার কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে, এবং যদি তার স্বামীকে নতুন মামলা ফাঁসানো হয় বা ক্ষতি হয়, তিনি চুপ থাকবেন না। তিনি প্রশাসন ও তদন্ত সংস্থাকে অনুরোধ করেন, ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে।
এ চাঁদাবাজির ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পরে অপুর সঙ্গে তার কোনো ধরনের যোগাযোগ বা সম্পৃক্ততা ছিল না। তিনি ঘটনার সাথে তার নাম জড়ানোর খবর পেয়ে ‘অবাক’ হয়েছেন।
সজীব ভূঁইয়া জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন যে, অপুর স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং সেখানে দাবি করা হয়েছে অপুকে গুম করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তিনি এই অভিযোগকে অত্যন্ত শঙ্কাজনক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এটা যদি সত্য হয়, তবে এটি দেশের জন্য এবং ছাত্র সমাজের জন্য খুবই গুরুতর।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি যেন ৫ আগস্টের আগের অবস্থায় ফিরে না যায়, সে বিষয়ে তার শঙ্কা আছে। তিনি উল্লেখ করেন, ওই ঘটনার সময় ভিডিওতে যে ব্যক্তি হেলমেট পরে মোটরবাইকে যাচ্ছিল, তার সঙ্গে তার কোনো সংযোগ নেই। তিনি বলেন, তিনি প্রায়ই রাতে কিছু রেস্তোরাঁয় যেতেন, কিন্তু ওই দিন সেখানে গিয়েছিলেন কি না, তা মনে করতে পারছেন না।
সজীব ভূঁইয়া দাবি করেন, এই ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং পুরো ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ প্রমাণ দিতে পারেনি যে আমার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে। বরং যেই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সেটি একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় নেওয়া হয়েছে। একজনকে জোরপূর্বক নিয়ে সেখানে স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি অত্যন্ত গুরুতর এবং দেশের জন্য চিন্তার বিষয়।”
উপদেষ্টা বলেন, তার পরিবার এই ঘটনার কারণে যথেষ্ট চাপে রয়েছে, তবে তিনি ইতিমধ্যেই বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং আগামী দিনগুলোতেও প্রমাণের ভিত্তিতে নিজের অবস্থান রক্ষা করবেন। তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন, সমস্ত তথ্য ও প্রমাণ দেখে ঘটনার সঠিক দিকটি বোঝার চেষ্টা করতে।
সিলেট বিভাগের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা দেওয়ার পক্ষে ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা–উন–নবী। গত ২৯ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে দেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারির ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত এক সভায় এ মতামত দেন তিনি।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ছয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের বামনশিকড় গ্রামে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মতিহার থানা-পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৮), ছেলে মাহিম(১৪) ও মেয়ে মিথিলা (৩)।
৩ ঘণ্টা আগে