স্ট্রিম প্রতিবেদক

গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান বাতিল না করা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে দাবি করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। সেইসঙ্গে এই সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো আত্মোলপব্ধি নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। ‘শিক্ষা, গবেষণা ও রাজনীতি: আসন্ন ডাকসু নির্বাচন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে করে ‘ভাববৈঠকী’।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘তাঁদের (শিক্ষার্থীদের) কোনো হুঁশিয়ারিও নাই যে যদি এই শেখ হাসিনার এই ফ্যাসিস্ট সংবিধান কায়েম থাকে এবং সেনা সমর্থিত অবৈধ উপদেষ্টা সরকার কায়েম থাকে এবং যদি নির্বাচনও হয় শেখ হাসিনার সংবিধান অনুযায়ী—প্রত্যেকেই রাষ্ট্রদ্রোহী, প্রত্যেকেই কিন্তু ফাঁসির দড়িতে ঝুলবে। এই সিম্পল অনুমানটুকু ছাত্রনেতাদের মধ্যে নেই।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রক্রিয়া চলছে দাবি করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এখন আপনাদেরকে ফাঁসিতে ঝোলাবার প্রক্রিয়া চলছে। যদি নির্বাচন হয় এবং নির্বাচনের পরে এই সংবিধানের অধীনে যদি সরকার গঠিত হয়, তাহলে সেই সরকার তো আপনাদের বিচার করবে। আপনাদের যে জুলাই ঘোষণাপত্র শুনলাম, সেখানে পরিষ্কার বলা আছে আপনাদেরকে আইনি সাহায্য দেওয়া হবে। আর কিছু দেওয়া হবে না, এবং আপনাদের হুঁশ নাই!’
এ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনটি প্রস্তাব দেন ফরহাদ মজহার। সেগুলো হলো ঢাবিকে সব রকম বাইরের হস্তক্ষেপ ছাড়া জ্ঞানচর্চার একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যদি কোনো শিক্ষক বছরে দুইটা গবেষণা পিয়ার-রিভিউড জার্নালে প্রকাশ করতে না পারেন, তিনি অন্যত্র চলে যাবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পিওর সায়েন্স থাকতে হবে।
সভায় নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং প্রসঙ্গে টেনে অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘যে শিক্ষার্থীদের বয়স ২০, ২২ বা ২৩ বছর—এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে যখন এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা, ভয়াবহ সাইবার বুলিং জনপরিসরে থেকে যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো সে সমস্ত পেজ, সে সমস্ত গ্রুপের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলে না, তখন আমি বুঝি, এই শিক্ষাঙ্গনটি নারীদের জন্য ঠিক ভালো জায়গা না। এই শিক্ষাঙ্গনে যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা নারীদের কথা ভাবেন না।’
ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো, হলে পুষ্টিকর খাবার চালু, সব শিক্ষার্থীর সিটপ্রাপ্তির অধিকারসহ বেশকিছু দাবি তোলেন। এই আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ভাববৈঠকীর প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রোমেল।

গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান বাতিল না করা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে দাবি করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। সেইসঙ্গে এই সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো আত্মোলপব্ধি নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। ‘শিক্ষা, গবেষণা ও রাজনীতি: আসন্ন ডাকসু নির্বাচন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে করে ‘ভাববৈঠকী’।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘তাঁদের (শিক্ষার্থীদের) কোনো হুঁশিয়ারিও নাই যে যদি এই শেখ হাসিনার এই ফ্যাসিস্ট সংবিধান কায়েম থাকে এবং সেনা সমর্থিত অবৈধ উপদেষ্টা সরকার কায়েম থাকে এবং যদি নির্বাচনও হয় শেখ হাসিনার সংবিধান অনুযায়ী—প্রত্যেকেই রাষ্ট্রদ্রোহী, প্রত্যেকেই কিন্তু ফাঁসির দড়িতে ঝুলবে। এই সিম্পল অনুমানটুকু ছাত্রনেতাদের মধ্যে নেই।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রক্রিয়া চলছে দাবি করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এখন আপনাদেরকে ফাঁসিতে ঝোলাবার প্রক্রিয়া চলছে। যদি নির্বাচন হয় এবং নির্বাচনের পরে এই সংবিধানের অধীনে যদি সরকার গঠিত হয়, তাহলে সেই সরকার তো আপনাদের বিচার করবে। আপনাদের যে জুলাই ঘোষণাপত্র শুনলাম, সেখানে পরিষ্কার বলা আছে আপনাদেরকে আইনি সাহায্য দেওয়া হবে। আর কিছু দেওয়া হবে না, এবং আপনাদের হুঁশ নাই!’
এ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনটি প্রস্তাব দেন ফরহাদ মজহার। সেগুলো হলো ঢাবিকে সব রকম বাইরের হস্তক্ষেপ ছাড়া জ্ঞানচর্চার একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যদি কোনো শিক্ষক বছরে দুইটা গবেষণা পিয়ার-রিভিউড জার্নালে প্রকাশ করতে না পারেন, তিনি অন্যত্র চলে যাবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পিওর সায়েন্স থাকতে হবে।
সভায় নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং প্রসঙ্গে টেনে অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘যে শিক্ষার্থীদের বয়স ২০, ২২ বা ২৩ বছর—এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে যখন এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা, ভয়াবহ সাইবার বুলিং জনপরিসরে থেকে যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো সে সমস্ত পেজ, সে সমস্ত গ্রুপের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলে না, তখন আমি বুঝি, এই শিক্ষাঙ্গনটি নারীদের জন্য ঠিক ভালো জায়গা না। এই শিক্ষাঙ্গনে যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা নারীদের কথা ভাবেন না।’
ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো, হলে পুষ্টিকর খাবার চালু, সব শিক্ষার্থীর সিটপ্রাপ্তির অধিকারসহ বেশকিছু দাবি তোলেন। এই আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ভাববৈঠকীর প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রোমেল।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের চূড়ান্ত দিনে রাজধানীর চানখারপুলে সংঘটিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ধান উৎপাদনে কৃষকের সহায়তার জন্য নানা ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। কৃষিকাজকে একটি সম্মানজনক এবং আরামদায়ক পেশায় রূপান্তর করার লক্ষ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কৃষিযন্ত্র আবিষ্কারে ব্রি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
৬ ঘণ্টা আগে
চাকরির গ্রেড উন্নীতের দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন সহকারী শিক্ষকেরা।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনে পুড়েছে দেড় হাজারের বেশি ঘর। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া পরিবারগুলো ছোট সন্তান নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে বস্তির অন্য অংশে। কিন্তু বিধি বাম। ঘরপোড়া মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগে বস্তির বাড়িওয়ালারা খালি কক্ষগুলোর ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে