স্ট্রিম প্রতিবেদক
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন প্রায় ৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এতো সময় লাগার কারণ জানালেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ ছিল খোলা জায়গা ও বাতাস বেশি থাকা।
তিনি বলেন, ‘এই কার্গোর পুরোটাই খোলা জায়গা এবং ভেতরে ছিল খোপ খোপ করা। এখানে সিংহভাগ মালামালই ছিল দাহ্য পদার্থ। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। আমরা একদিক দিয়ে আগুন নেভাই অন্যদিক দিয়ে আগুন ধরে যায়। এর প্রধান কাণে হলো বাতাস। বাতাসের অক্সিজেনের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’
আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের আমদানি কার্গোর ৮ নম্বর গেইটে সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার সংবার পেয়ে ২টা ৫০ মিনিটেই আমাদের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আমরা আসার আগেই সিভিল অ্যাভিয়েশনের যে ফায়ার ফাইটিং ছিল তারা কাজ শুরু করেছিল। এরপর একে একে আমাদের ৩৭টি ইউনিট কাজে যোগ দিয়েছে। রাত ৯ টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।’
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘এখনও আমরা আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন আর বাড়ার কোনো শঙ্কা নাই। আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক এবং ডমেস্টিক ফ্লাইট চালু হয়ে গিয়েছে।’
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেছেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে আমাদের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেস। আমরা শুনেছি আনসারের কিছু সদস্য সম্ভবত প্রাথমিকভাবে আহত হয়েছেন। তবে সংখ্যাটা এখনো কনফার্ম না।
ফায়ারের ডিজি বলেন, ‘আমাদের যে জায়গায় আগুনটা আগুনের ঘটনা—এটা হচ্ছে আমদানি কার্গো রাখার জায়গা। আনুমানিক ৪০০ গজ বাই ৪০০ গজের মত জায়গা। যেখানে খোলা জায়গায় এবং ভেতরে বদ্ধ জায়গায় বা বিভিন্ন স্টোরে বিভিন্ন মালামালগুলি রক্ষিত ছিল। আমরা সেগুলিতেই আগুন নেভানোর কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকব। নির্বাপণের পর আমরা কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব হ্যান্ডওভার করে চলে যাব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটু বলতে চাই আমাদের এই কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুলিশ বিজিবি আমাদের বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিভানোর কাজে আমাদের সহযোগিতা করেছে।’
আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কি কি সমস্যায় পড়েছেন এমন প্রশ্নে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেছেন, ‘বড় প্রবলেম ছিল বাতাস, আপনারা দেখেছেন যেহেতু এটা খোলা জায়গা ছিল, তাই প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের একটা বেঘাত ঘটিয়েছে। যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে। যে কারণে আপনারা অনেক উপরে পর্যন্ত ধোঁয়া দেখতে পেয়েছেন। নিচে হয়তো আগুন অল্প ছিল। কিন্তু বাতাসের কারণে আপনাদের কাছে মনে হয়েছে অনেক বড় উপরে ধোঁয়া উঠছে। বাতাস একটা আমাদের সমস্যা ছিল বাতাসের উইন্ড ডিরেকশন।’
তিনি বলেন, ‘দুই নাম্বার হচ্ছে ভিতরে যে কার্গোর যে ভেতরের জায়গাগুলি এগুলি খোপ খোপ করা। ফলে এবং এই খোপের মধ্যে আবার দেয়াল দেওয়া ছিল। ফলে প্রত্যেকটা খোপ পরিষ্কার ক্লিয়ার করে করে আমাদের আগুন নেভাতে হয়েছে। এটা আমাদের একটা ডিফিকাল্টিস ছিল। আর কিছু কার্গো ছিল খোলা জায়গায়। তো খোলা জায়গায় যেহেতু কার্গো ছিল আপনারা দেখেছেন এয়ারপোর্টে খোলা জায়গায় কিছু কার্গো থাকে। সেগুলোতে খুব সহজে আগুন ধরে গেছে। যেহেতু বাতাস ছিল বাতাসের ফ্লোতে দ্রুত আগুনটা ছড়িয়ে পড়ছে। যাই হোক আমরা সবকিছু আমাদের কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা দ্রুত সময়ে চেষ্টা করেছি যাতে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট এবং ডমেস্টিক চালু করে দেওয়া যায়।’
এক প্রশ্নের উত্তরে ফায়ার ডিজি বলেন, ‘আগুন নির্বাপণের কাজ চলছিল, তখন আমরা একদিকে আগুন নিভিয়েছি আরেকদিকে আমরা জায়গা করে দিয়েছি জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আসার জন্য। এটা কিন্তু একটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও কাজ করেছি। কাজ শেষে আমরা বুঝবো কোন কোন জায়গায় আমরা প্রবলেম ফেস করেছি। কারণ আমরা তো সবাই বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছি। কোথাও কোনো সমস্যা ছিল কিনা তা এখন বলার সুযোগ নাই। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হলে আমরা যাচাই বাছাই করে বলতে পারব। এই মুহূর্তে এটা আসলে বলা সম্ভব নয়। এখন আমাদের কাছে প্রথম প্রায়রিটি হচ্ছে আগুনটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাপণ করে ফেলা। এজন্য ইতোমধ্যে আমি আমার বক্তব্যে বলেছি আমরা যখন এসেছি তখন তো আগুন ছিল, আগুন অলমোস্ট ডেভেলপড স্টেজে।’
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘কার্গোর মধ্যে প্রচুর খোলা জায়গা ছিল। ছোট ছোট কম্পার্টমেন্ট। যে আইটেমগুলো ছিল শুকনা, এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। দাহ্য পর্দাথের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে ফায়ার ফাইট করতে হয়েছে, বাট আমাদের প্রথম চেষ্টা যেটা ছিল এয়ারপোর্টের এই আমদানি কার্গো থেকে আর কোনদিকেই যেন আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে কিছু কিছু তথ্য ছিল যে কোথাও কোথাও কেমিক্যাল জাতীয় আইটেম ইম্পোর্ট করা থাকতে পারে। আপনারা জানেন কেমিক্যাল জাতীয় আইটেম যদি থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে একটু বেশি সেফটি মেজারটা নিতে হয়। কারণ এখানে মানুষের জীবন হানির একটা ব্যাপার থাকে। সেটা আমরা করেছি। তবে যাই হোক আমরা কেমিক্যাল ছিল কিনা এটা এখন বলা যাবে না। তবে আমরা কিছু কিছু নিল ফ্রেম দেখেছি। কিন্তু তার মানে যে কেমিক্যাল ছিল এটা বলা যাবে না। এটা আমরা যখন নির্বাপণ হবে তখন আমরা ওভারঅল এটা বলতে পারব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগছে আপনারা যদি তদন্ত করেন দেখতে পারেন ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সেখানে যথাযথ নোটিশ প্রদান করা ইনসপেকশন করা তাদেরকে সতর্ক করা লাইসেন্স না দিয়ে এগুলো সব করা হয়েছে। কিন্তু আপনাকে বলার পর আপনি যদি আইন না মানেন তাহলে আইন না মানার জন্য যাদের দায়িত্ব তাদেরকে এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। মানুষকে আগুন লাগলে বা কোন দুর্যোগ করলে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। তাদেরকে উদ্ধার করা। কিন্তু আইন প্রয়োগের জায়গাটা আসলে আরও অন্যান্য অথরিটির আছে। তবে আমরা মানুষকে সচেতন করি। মানুষকে বুঝাই।’
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘এই যে তিনটা দুর্ঘটনা, খোঁজ নেন প্রত্যেকটা ঘটনাই দেখবেন আমাদের কোনো না কোনো ইনভলভমেন্ট ছিল সচেতন করার ব্যাপারে। তাদেরকে জরিপ করে তাদের ফায়ার সেফটি প্ল্যান নেওয়ার ব্যাপারে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। তবে আপনি এটা বলতে পারেন সমন্বিত একটা চেষ্টার মনে হয় খুবই প্রয়োজন।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন প্রায় ৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এতো সময় লাগার কারণ জানালেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ ছিল খোলা জায়গা ও বাতাস বেশি থাকা।
তিনি বলেন, ‘এই কার্গোর পুরোটাই খোলা জায়গা এবং ভেতরে ছিল খোপ খোপ করা। এখানে সিংহভাগ মালামালই ছিল দাহ্য পদার্থ। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। আমরা একদিক দিয়ে আগুন নেভাই অন্যদিক দিয়ে আগুন ধরে যায়। এর প্রধান কাণে হলো বাতাস। বাতাসের অক্সিজেনের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’
আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের আমদানি কার্গোর ৮ নম্বর গেইটে সামনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার সংবার পেয়ে ২টা ৫০ মিনিটেই আমাদের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আমরা আসার আগেই সিভিল অ্যাভিয়েশনের যে ফায়ার ফাইটিং ছিল তারা কাজ শুরু করেছিল। এরপর একে একে আমাদের ৩৭টি ইউনিট কাজে যোগ দিয়েছে। রাত ৯ টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।’
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘এখনও আমরা আমরা নির্বাপণের কাজ করছি। আগুন আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন আর বাড়ার কোনো শঙ্কা নাই। আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক এবং ডমেস্টিক ফ্লাইট চালু হয়ে গিয়েছে।’
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেছেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে আমাদের দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেস। আমরা শুনেছি আনসারের কিছু সদস্য সম্ভবত প্রাথমিকভাবে আহত হয়েছেন। তবে সংখ্যাটা এখনো কনফার্ম না।
ফায়ারের ডিজি বলেন, ‘আমাদের যে জায়গায় আগুনটা আগুনের ঘটনা—এটা হচ্ছে আমদানি কার্গো রাখার জায়গা। আনুমানিক ৪০০ গজ বাই ৪০০ গজের মত জায়গা। যেখানে খোলা জায়গায় এবং ভেতরে বদ্ধ জায়গায় বা বিভিন্ন স্টোরে বিভিন্ন মালামালগুলি রক্ষিত ছিল। আমরা সেগুলিতেই আগুন নেভানোর কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকব। নির্বাপণের পর আমরা কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব হ্যান্ডওভার করে চলে যাব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটু বলতে চাই আমাদের এই কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুলিশ বিজিবি আমাদের বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিভানোর কাজে আমাদের সহযোগিতা করেছে।’
আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কি কি সমস্যায় পড়েছেন এমন প্রশ্নে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেছেন, ‘বড় প্রবলেম ছিল বাতাস, আপনারা দেখেছেন যেহেতু এটা খোলা জায়গা ছিল, তাই প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে অক্সিজেনের একটা বেঘাত ঘটিয়েছে। যেটা আগুনকে জ্বালাতে সহায়তা করে। যে কারণে আপনারা অনেক উপরে পর্যন্ত ধোঁয়া দেখতে পেয়েছেন। নিচে হয়তো আগুন অল্প ছিল। কিন্তু বাতাসের কারণে আপনাদের কাছে মনে হয়েছে অনেক বড় উপরে ধোঁয়া উঠছে। বাতাস একটা আমাদের সমস্যা ছিল বাতাসের উইন্ড ডিরেকশন।’
তিনি বলেন, ‘দুই নাম্বার হচ্ছে ভিতরে যে কার্গোর যে ভেতরের জায়গাগুলি এগুলি খোপ খোপ করা। ফলে এবং এই খোপের মধ্যে আবার দেয়াল দেওয়া ছিল। ফলে প্রত্যেকটা খোপ পরিষ্কার ক্লিয়ার করে করে আমাদের আগুন নেভাতে হয়েছে। এটা আমাদের একটা ডিফিকাল্টিস ছিল। আর কিছু কার্গো ছিল খোলা জায়গায়। তো খোলা জায়গায় যেহেতু কার্গো ছিল আপনারা দেখেছেন এয়ারপোর্টে খোলা জায়গায় কিছু কার্গো থাকে। সেগুলোতে খুব সহজে আগুন ধরে গেছে। যেহেতু বাতাস ছিল বাতাসের ফ্লোতে দ্রুত আগুনটা ছড়িয়ে পড়ছে। যাই হোক আমরা সবকিছু আমাদের কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা দ্রুত সময়ে চেষ্টা করেছি যাতে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট এবং ডমেস্টিক চালু করে দেওয়া যায়।’
এক প্রশ্নের উত্তরে ফায়ার ডিজি বলেন, ‘আগুন নির্বাপণের কাজ চলছিল, তখন আমরা একদিকে আগুন নিভিয়েছি আরেকদিকে আমরা জায়গা করে দিয়েছি জিনিসপত্র বের করে নিয়ে আসার জন্য। এটা কিন্তু একটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও কাজ করেছি। কাজ শেষে আমরা বুঝবো কোন কোন জায়গায় আমরা প্রবলেম ফেস করেছি। কারণ আমরা তো সবাই বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছি। কোথাও কোনো সমস্যা ছিল কিনা তা এখন বলার সুযোগ নাই। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হলে আমরা যাচাই বাছাই করে বলতে পারব। এই মুহূর্তে এটা আসলে বলা সম্ভব নয়। এখন আমাদের কাছে প্রথম প্রায়রিটি হচ্ছে আগুনটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাপণ করে ফেলা। এজন্য ইতোমধ্যে আমি আমার বক্তব্যে বলেছি আমরা যখন এসেছি তখন তো আগুন ছিল, আগুন অলমোস্ট ডেভেলপড স্টেজে।’
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘কার্গোর মধ্যে প্রচুর খোলা জায়গা ছিল। ছোট ছোট কম্পার্টমেন্ট। যে আইটেমগুলো ছিল শুকনা, এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। দাহ্য পর্দাথের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে ফায়ার ফাইট করতে হয়েছে, বাট আমাদের প্রথম চেষ্টা যেটা ছিল এয়ারপোর্টের এই আমদানি কার্গো থেকে আর কোনদিকেই যেন আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে কিছু কিছু তথ্য ছিল যে কোথাও কোথাও কেমিক্যাল জাতীয় আইটেম ইম্পোর্ট করা থাকতে পারে। আপনারা জানেন কেমিক্যাল জাতীয় আইটেম যদি থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে একটু বেশি সেফটি মেজারটা নিতে হয়। কারণ এখানে মানুষের জীবন হানির একটা ব্যাপার থাকে। সেটা আমরা করেছি। তবে যাই হোক আমরা কেমিক্যাল ছিল কিনা এটা এখন বলা যাবে না। তবে আমরা কিছু কিছু নিল ফ্রেম দেখেছি। কিন্তু তার মানে যে কেমিক্যাল ছিল এটা বলা যাবে না। এটা আমরা যখন নির্বাপণ হবে তখন আমরা ওভারঅল এটা বলতে পারব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগছে আপনারা যদি তদন্ত করেন দেখতে পারেন ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সেখানে যথাযথ নোটিশ প্রদান করা ইনসপেকশন করা তাদেরকে সতর্ক করা লাইসেন্স না দিয়ে এগুলো সব করা হয়েছে। কিন্তু আপনাকে বলার পর আপনি যদি আইন না মানেন তাহলে আইন না মানার জন্য যাদের দায়িত্ব তাদেরকে এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। মানুষকে আগুন লাগলে বা কোন দুর্যোগ করলে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। তাদেরকে উদ্ধার করা। কিন্তু আইন প্রয়োগের জায়গাটা আসলে আরও অন্যান্য অথরিটির আছে। তবে আমরা মানুষকে সচেতন করি। মানুষকে বুঝাই।’
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘এই যে তিনটা দুর্ঘটনা, খোঁজ নেন প্রত্যেকটা ঘটনাই দেখবেন আমাদের কোনো না কোনো ইনভলভমেন্ট ছিল সচেতন করার ব্যাপারে। তাদেরকে জরিপ করে তাদের ফায়ার সেফটি প্ল্যান নেওয়ার ব্যাপারে। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। তবে আপনি এটা বলতে পারেন সমন্বিত একটা চেষ্টার মনে হয় খুবই প্রয়োজন।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে বিজিত প্রার্থীদের উদ্যোগে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপাঁচ দিনের ব্যবধানে দেশের তিন স্থানে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ শনিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেছে আগুন লাগে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইম লিমিটেড’ নামের কারখ
৩ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার আগে পানির উৎস খুঁজে পেতে ১০-১২ মিনিট সময় ব্যয় হয়েছে। পরে পাশের একটি পুকুরে গিয়ে পানি নিয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেছেন। এমন তথ্য দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করছে।
৪ ঘণ্টা আগে