.png)

বাসস

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নের অঙ্গীকার চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই আইনটি প্রণয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়, তবে তারা আমাদের ভোট পাবে না। আমাদের একটি শক্তিশালী আইন প্রয়োজন, কারণ একটি অস্পষ্ট আইন কোনও প্রতিকার দিতে পারে না। আমাদের এই বিষয়ে আইন কমিশন এবং আইন মন্ত্রণালয়কে বাধ্য করতে হবে।’
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়ন’ বিষয়ে এক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তা।
‘নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এসডিজিস, বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)’ ও ‘সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভ’-এর যৌথ আয়োজনে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহযোগিতা করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও সুইস দূতাবাস।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই মহৎ উদ্দেশ্য সাধনে আয়োজকদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। অনুষ্ঠানের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, এটি তাঁর ‘চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, আশা ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’।
বাংলাদেশের সংবিধানকে বিশ্বের অন্যতম সেরা সংবিধান হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর বিশ্বাসের ভিত্তি নিহিত রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধানের ওপর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ও সিনিয়র আইনবিদ ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
সংলাপে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, অর্থনীতিবিদ ড. এস আর ওসমানী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র উপদেষ্টা ড্রাগান পপোভিচ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।
গত বছর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি মন্তব্য স্মরণ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পর যখন আমি তার সাথে দেখা করেছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন, এখনই সময় আপনার সমস্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এটাই সময়। আমরা যদি ন্যায়বিচার চাই, তাহলে আমাদের নাগরিকদের সার্বিক সুরক্ষা দিতে হবে। আমাদের নাগরিকদের এই ধরনের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, এই আইনটি অপরিহার্য। আমাদের সকলের জন্য সার্বিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেলের মতোই ব্যারিস্টার সারা হোসেনও বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার চান। তিনি বলেন, ‘আমরা দাবি করছি যে এটি রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করা হোক। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকেও তাদের অবশিষ্ট সময়ে মধ্যে এ ব্যাপারে একটি উদ্যোগ দেখতে চাই।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বৈষম্য অব্যাহত থাকলে আমরা একটি সভ্য রাষ্ট্র গঠন করতে পারব না।’ তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে আইনটি প্রণয়নের আহ্বান জানান।
ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন তাদের দলের সূচনার ভিত্তি। কর্মসূচিতে উত্থাপিত বেশিরভাগ প্রস্তাব তারা সমর্থন করেন। তবে তিনি আইনের সুফল সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে সব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও পরিচয় নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
অর্থনীতিবিদ ড. এস আর ওসমানী বলেন, সামাজিক বৈষম্য মোকাবেলায় ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপ থেকে ‘একনায়কতন্ত্রের দানবের’ উত্থানের ঝুঁকি থেকেই যাবে।
অনুষ্ঠানে হিজড়া, চা শ্রমিক ও হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা তাঁদের অভিজ্ঞতা, উদ্বেগ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নের অঙ্গীকার চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই আইনটি প্রণয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়, তবে তারা আমাদের ভোট পাবে না। আমাদের একটি শক্তিশালী আইন প্রয়োজন, কারণ একটি অস্পষ্ট আইন কোনও প্রতিকার দিতে পারে না। আমাদের এই বিষয়ে আইন কমিশন এবং আইন মন্ত্রণালয়কে বাধ্য করতে হবে।’
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়ন’ বিষয়ে এক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তা।
‘নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এসডিজিস, বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)’ ও ‘সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভ’-এর যৌথ আয়োজনে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহযোগিতা করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও সুইস দূতাবাস।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই মহৎ উদ্দেশ্য সাধনে আয়োজকদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। অনুষ্ঠানের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, এটি তাঁর ‘চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, আশা ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’।
বাংলাদেশের সংবিধানকে বিশ্বের অন্যতম সেরা সংবিধান হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর বিশ্বাসের ভিত্তি নিহিত রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধানের ওপর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ও সিনিয়র আইনবিদ ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
সংলাপে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, অর্থনীতিবিদ ড. এস আর ওসমানী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র উপদেষ্টা ড্রাগান পপোভিচ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।
গত বছর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি মন্তব্য স্মরণ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পর যখন আমি তার সাথে দেখা করেছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন, এখনই সময় আপনার সমস্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এটাই সময়। আমরা যদি ন্যায়বিচার চাই, তাহলে আমাদের নাগরিকদের সার্বিক সুরক্ষা দিতে হবে। আমাদের নাগরিকদের এই ধরনের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য, এই আইনটি অপরিহার্য। আমাদের সকলের জন্য সার্বিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেলের মতোই ব্যারিস্টার সারা হোসেনও বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার চান। তিনি বলেন, ‘আমরা দাবি করছি যে এটি রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করা হোক। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকেও তাদের অবশিষ্ট সময়ে মধ্যে এ ব্যাপারে একটি উদ্যোগ দেখতে চাই।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বৈষম্য অব্যাহত থাকলে আমরা একটি সভ্য রাষ্ট্র গঠন করতে পারব না।’ তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে আইনটি প্রণয়নের আহ্বান জানান।
ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন তাদের দলের সূচনার ভিত্তি। কর্মসূচিতে উত্থাপিত বেশিরভাগ প্রস্তাব তারা সমর্থন করেন। তবে তিনি আইনের সুফল সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে সব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও পরিচয় নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
অর্থনীতিবিদ ড. এস আর ওসমানী বলেন, সামাজিক বৈষম্য মোকাবেলায় ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপ থেকে ‘একনায়কতন্ত্রের দানবের’ উত্থানের ঝুঁকি থেকেই যাবে।
অনুষ্ঠানে হিজড়া, চা শ্রমিক ও হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা তাঁদের অভিজ্ঞতা, উদ্বেগ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।
.png)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আশপাশের খাবারের দোকানগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ‘হেল্থ অ্যান্ড ফুড সেফটি অ্যাসোসিয়েশন’। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর থেকে কাজলা পর্যন্ত প্রায় ১০টি খাবারের দোকানে এই কার্যক্রম চালানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামীকাল রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন শিক্ষকেরা। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করা। তিনি বলেন, সহশিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠ্যক্রম—উভয় মিলেই শিশুর নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও যুক্তিনির্ভর চিন্তার বিকাশ ঘটায়।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে।
৭ ঘণ্টা আগে