নানা দোলাচলে বইমেলা
স্ট্রিম প্রতিবেদক
আগামী ডিসেম্বরে অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা 'স্থগিত' করেছে বাংলা একাডেমি।
আজ রোববার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২১ সেপ্টেম্বরের একটি সিদ্ধান্ত অনুসারে ডিসেম্বরে মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হলো। প্রকাশক ও অন্য অংশীজনদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে নতুন তারিখ ঠিক করা হবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, 'বইমেলা নির্বাচনের আগে করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা পরবর্তী তারিখ চূড়ান্ত করে জানাব।'
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে অমর একুশে বইমেলা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে চলতি বছরের ডিসেম্বরে করার পরিকল্পনা ছিল বাংলা একাডেমির। তবে প্রকাশকদের আপত্তির মুখে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
বাংলা একাডেমি ও বাপুস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের গোড়ার দিকে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতিকে (বাপুস) অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় ডাকা হয়। আলোচনায় ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং একই সঙ্গে পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় বইমেলার সময় পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এরপর ১১ সেপ্টেম্বর বাপুসের পক্ষ থেকে বাংলা একাডেমির কাছে বইমেলার তারিখ পরিবর্তন করে সম্ভাব্য তিনটি সময় প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, বাণিজ্যিক ও চলতি সময়ের বাস্তবতায় দুইটি সময়ে বইমেলা হতে পারে। সময়গুলো হলো—চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি অথবা আগামী বছরের ১ বা ৫ জানুয়ারি থেকে ১ বা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাপুসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে মেলার সময় এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেলাটি আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেক ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়োজনের কথা বলা হয়।
এ সিদ্ধান্তের পর দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন প্রকাশকদের একটি অংশ। যা নিয়ে প্রকাশক সমাজে বিভক্তি ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের পর বইমেলা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরপর গতকাল সংবাদমাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান জানান, নির্বাচনের পর বইমেলা আয়োজনের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় আলোচনা হয়েছে। সেটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এখন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কিংবা মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে বলতে পারবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে মেলা ডিসেম্বরে হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
বাপুসের বইমেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আবুল বাশার ফিরোজ শেখ ও সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ডিসেম্বরে মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্তের পক্ষে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এ বিবৃতিতে বলা হয়, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ পরিবর্তন করা হয়নি। মেলার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে সময় ও বাস্তবতার নিরিখে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যাঁরা এই উদ্যোগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন, তারা মূলত বাপুসের বিগত নির্বাচনে (২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) পরাজিত পক্ষ। তাদের উদ্দেশ্য মেলাকে অস্থিতিশীল করা এবং একটি মহৎ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
অন্যদিকে, ‘বৈষম্যবিরোধী প্রকাশক ফোরামের’ মতো সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। তাদের অভিযোগ, বাংলা একাডেমি এবং বাপুসের বর্তমান কমিটি তাদের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত না করে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাদের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসের সাথে একুশের যে চেতনা জড়িত, তা কোনোভাবেই বিসর্জন দেওয়া উচিত নয়। এই ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রকাশক সাঈদ বারী ও দেলোয়ার হোসেন।
আগামী ডিসেম্বরে অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা 'স্থগিত' করেছে বাংলা একাডেমি।
আজ রোববার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২১ সেপ্টেম্বরের একটি সিদ্ধান্ত অনুসারে ডিসেম্বরে মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হলো। প্রকাশক ও অন্য অংশীজনদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে নতুন তারিখ ঠিক করা হবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, 'বইমেলা নির্বাচনের আগে করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা পরবর্তী তারিখ চূড়ান্ত করে জানাব।'
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে অমর একুশে বইমেলা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে চলতি বছরের ডিসেম্বরে করার পরিকল্পনা ছিল বাংলা একাডেমির। তবে প্রকাশকদের আপত্তির মুখে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
বাংলা একাডেমি ও বাপুস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের গোড়ার দিকে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতিকে (বাপুস) অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় ডাকা হয়। আলোচনায় ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং একই সঙ্গে পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় বইমেলার সময় পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এরপর ১১ সেপ্টেম্বর বাপুসের পক্ষ থেকে বাংলা একাডেমির কাছে বইমেলার তারিখ পরিবর্তন করে সম্ভাব্য তিনটি সময় প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, বাণিজ্যিক ও চলতি সময়ের বাস্তবতায় দুইটি সময়ে বইমেলা হতে পারে। সময়গুলো হলো—চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি অথবা আগামী বছরের ১ বা ৫ জানুয়ারি থেকে ১ বা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাপুসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে মেলার সময় এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেলাটি আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেক ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়োজনের কথা বলা হয়।
এ সিদ্ধান্তের পর দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন প্রকাশকদের একটি অংশ। যা নিয়ে প্রকাশক সমাজে বিভক্তি ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের পর বইমেলা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরপর গতকাল সংবাদমাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান জানান, নির্বাচনের পর বইমেলা আয়োজনের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় আলোচনা হয়েছে। সেটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এখন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কিংবা মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে বলতে পারবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে মেলা ডিসেম্বরে হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
বাপুসের বইমেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আবুল বাশার ফিরোজ শেখ ও সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ডিসেম্বরে মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্তের পক্ষে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এ বিবৃতিতে বলা হয়, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ পরিবর্তন করা হয়নি। মেলার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে সময় ও বাস্তবতার নিরিখে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যাঁরা এই উদ্যোগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন, তারা মূলত বাপুসের বিগত নির্বাচনে (২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) পরাজিত পক্ষ। তাদের উদ্দেশ্য মেলাকে অস্থিতিশীল করা এবং একটি মহৎ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
অন্যদিকে, ‘বৈষম্যবিরোধী প্রকাশক ফোরামের’ মতো সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। তাদের অভিযোগ, বাংলা একাডেমি এবং বাপুসের বর্তমান কমিটি তাদের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত না করে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাদের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসের সাথে একুশের যে চেতনা জড়িত, তা কোনোভাবেই বিসর্জন দেওয়া উচিত নয়। এই ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রকাশক সাঈদ বারী ও দেলোয়ার হোসেন।
চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, এক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে। তিনি নাট্যকলা বিভাগের সভাপতির সঙ্গে তাঁর একটি ফোনকল রেকর্ডও সামনে এনেছেন। অবশ্য বিভাগের সভাপতি মীর মেহবুব আলমের দাবি, এই ফোনকল রেকর্ড প্রযুক্তির সাহায্যে বানানো।
৩৩ মিনিট আগেবাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা, নগরায়ন ও সংস্কৃতিতে সুফিদের অংশগ্রহণের আলাপকে জনপরিসরে হাজির করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও গবেষক তাহমিদাল জামি।
১ ঘণ্টা আগেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্যাকেজের ন্যূনতম খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা, আর সর্বোচ্চ খরচ পড়বে প্রায় ৭ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিন জন পাহাড়ি নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গুইমারায় সহিংসতায় তাদের প্রাণহানি ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগে