leadT1ad

ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই: আপিল বিভাগ

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৫
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। সংগৃহীত ছবি

হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালতের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আয়োজনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এদিকে, হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের এই স্থগিতাদেশ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ বুধবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বনাম বি এম ফাহমিদা আলম ও অন্যান্য’ নামে বিষয়টি শুনানির জন্য এক নম্বর ক্রমিকে ছিল।

আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন এস এম ফরহাদ, যিনি শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৮ আগস্ট রিট করেন ডাকসু নির্বাচনের একজন প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম। তিনি ডাকসু নির্বাচনে বামজোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১’, ‘অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী।

শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘ফারসি বিভাগের এক ছাত্রলীগ কর্মী এস এম ফরহাদের সঙ্গে ডাকসুর জিএস প্রার্থী সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের এস এম ফরহাদকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। এই ফরহাদ এবং সেই ফরহাদ একই ব্যক্তি নন। জিএস প্রার্থী ফরহাদকে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ার কারণে হল থেকে ২০১৮ সালে বের করে দেওয়া হয়েছিল। রিটকারী তাঁর অভিযোগ নিয়ে ডাকসু আপিল বোর্ডের কাছে যাননি। এই রিট চলতে পারে না।’

গত সোমবার রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ডাকসুর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। যার ফলে আটকে যায় ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন। হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত নিয়মিত সিএমপি বা সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন (দেওয়ানি বিবিধ আবেদন) না করা পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে। ফলে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বাধার দেয়াল অপসারিত হয়।

সেই রিটের শুনানি ও আদেশের পথ ধরে বিষয়টি চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে। এরপর সম্পূরক কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে এবং শুনানি হয়।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো পৃথক প্যানেল ঘোষণা করেছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে এবার প্রায় ১০টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচনে এবার ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, যাদের মধ্যে ৬২ জন নারী প্রার্থী। সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ২১৭ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে মোট এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী ১৩টি পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

Ad 300x250

ডাকসু নির্বাচনে নারীবিদ্বেষী সাইবার বুলিং: নারীর আত্মবিশ্বাসে আঘাত

বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি বন্ধে কাজ করবে ইউজিসি ও ইউএন উইমেন

হাসিনা-ঘনিষ্ঠদের পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ: তিনটি রাজি, দুটি সময় চাইছে

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য: নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকব না

কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ এক হলো

সম্পর্কিত