স্ট্রিম ডেস্ক
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের এক বক্তব্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা এবং তাঁর ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে। ট্রাভেল ডকুমেন্ট হলো এমন একটি সরকারি নথি, যা কোনো ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে এবং তাঁকে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ বা অন্য দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়।
এর মধ্যে রয়েছে—সাধারণ পাসপোর্ট, কূটনৈতিক পাসপোর্ট, রিফিউজি ট্রাভেল ডকুমেন্ট, ল্যাসেজ-পাসে বা জরুরি ভ্রমণ নথি। এই নথিগুলো কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব, পরিচয় এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাচাই করে। বিশেষ করে রাজনৈতিক বা আইনি কারণে কারও পাসপোর্ট বাতিল হলে বা নতুন পাসপোর্ট পাওয়া না গেলে, সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষ ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিতে পারে।
ট্রাভেল ডকুমেন্ট রাজনৈতিক নেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যখন তারা নিজ দেশে আইনি বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হন। এই নথিগুলো তাদের নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার এবং আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ দেয়। তারেক রহমানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক নেতার জীবনেই একটা সময়ে ট্রাভেল ডকুমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।
বিএনপির শীর্ষ নেতা হিসেবে তারেক রহমান ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হন। পরে ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি গত প্রায় দেড় যুগ সপরিবার যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তাঁর এই দীর্ঘ নির্বাসন এবং সম্ভাব্য দেশে ফেরা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা চলছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় সাজা হয়েছিল। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই সব মামলা থেকে তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাঁর দেশে ফেরার আইনি বাধা দূর হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমান কখন ফিরবেন, সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত। তিনি এই দেশের নাগরিক, যে কোনো সময় ফিরতে পারেন। তবে, ট্রাভেল ডকুমেন্ট বা পাসপোর্ট নিয়ে কোনো সমস্যা হলে আমরা তা সমাধান করব।’ তিনি আরও জানান, তারেক রহমানের পাসপোর্টের জন্য কোনো আবেদন করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও তাঁর জানা নেই। তবে প্রয়োজনে সরকার সহায়তা প্রদান করবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং তারেক রহমানের ট্রাভেল ডকুমেন্টের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনাকে সামনে এনেছে। তারেক রহমান দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে থাকায় তাঁর পাসপোর্টের বৈধতা বা নাগরিকত্বের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই তিনি কীভাবে এবং কোন নথি ব্যবহার করে দেশে ফিরবেন, তা নিয়ে সরকারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিষয়টিকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। ট্রাভেল ডকুমেন্ট বলতে এখানে পাসপোর্ট বা বিশেষ ভ্রমণ নথি বোঝানো হচ্ছে, যা তাঁর ফেরার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপিসহ দেশের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে তাঁর ফেরার প্রত্যাশা বেড়েছে। ফলে, তাঁর ভ্রমণ নথির বিষয়টি শুধু আইনি নয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিষয়টি নিয়ে এতো আলোচনা।
তারেক রহমানের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে আলোচনার কারণ তাঁর দীর্ঘ নির্বাসন, আইনি মামলার নিষ্পত্তি এবং দেশে ফেরার সম্ভাবনার সঙ্গে জড়িত। সরকারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি এবং বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রমে তাঁর ভূমিকার গুরুত্ব এই আলোচনাকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করেছে। তাঁর ফেরার সিদ্ধান্ত এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নথির বিষয়টি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে।
ট্রাভেল ডকুমেন্ট দক্ষিণ এশিয়ার আরও অনেক রাজনৈতিক নেতারই বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে দেশ ত্যাগ করেছিলেন এবং তাঁর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বা বিশেষ ভ্রমণ নথি ব্যবহৃত হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য নেতারা, যেমন শেখ হাসিনা, নওয়াজ শরীফ, আশরাফ ঘানি এবং সম্প্রতি থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ‘গোপনে’ দেশ ছেড়ে ট্রাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে বিদেশে বসবাস করেছেন বা করছেন। এই নথিগুলো তাদের নিরাপত্তা এবং আইনি অবস্থান নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-আন্দোলনের মুখে দেশ ত্যাগ করেন। তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখানে আশ্রয় নেন। তাঁর দেশ ত্যাগের জন্য পাসপোর্ট বা বিশেষ ট্রাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। ভারত সরকার তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে, তবে তাঁর ভ্রমণ নথির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে জানা যায়নি।
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশব্যাপী গণ-আন্দোলনের মুখে দেশ ত্যাগ করেন। তিনি প্রথমে মালদ্বীপে পালিয়ে যান, এরপর সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন এবং পরে থাইল্যান্ডে যান। তিনি সামরিক বিমানে মালদ্বীপে যান এবং সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য সাধারণ পাসপোর্ট বা বিশেষ ট্রাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসেন।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর তিনি প্রায় পাঁচ বছর লন্ডনে বসবাস করেন। নওয়াজ শরীফ তাঁর পাসপোর্ট ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন। তবে, ২০২১ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁর পাসপোর্ট কর্তৃক বাতিল করে দেয়। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন। তিনি সম্ভবত বিশেষ ভ্রমণ নথি বা যুক্তরাজ্যের আশ্রয় নীতির সুবিধা নিয়ে সেখানে থাকেন। তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসেন ২০২৩ সালে।
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ২০২১ সালের আগস্টে তালেবানের কাবুল দখলের সময় দেশ ত্যাগ করেন। তিনি প্রথমে উজবেকিস্তানে পালিয়ে যান এবং পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) আশ্রয় নেন। ঘানি সম্ভবত তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা বিশেষ ভ্রমণ নথি ব্যবহার করে দেশ ত্যাগ করেন। আরব আমিরাত সরকার তাঁকে মানবিক ভিত্তিতে আশ্রয় দিয়েছে।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের এক বক্তব্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা এবং তাঁর ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে। ট্রাভেল ডকুমেন্ট হলো এমন একটি সরকারি নথি, যা কোনো ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে এবং তাঁকে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ বা অন্য দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়।
এর মধ্যে রয়েছে—সাধারণ পাসপোর্ট, কূটনৈতিক পাসপোর্ট, রিফিউজি ট্রাভেল ডকুমেন্ট, ল্যাসেজ-পাসে বা জরুরি ভ্রমণ নথি। এই নথিগুলো কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব, পরিচয় এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাচাই করে। বিশেষ করে রাজনৈতিক বা আইনি কারণে কারও পাসপোর্ট বাতিল হলে বা নতুন পাসপোর্ট পাওয়া না গেলে, সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষ ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিতে পারে।
ট্রাভেল ডকুমেন্ট রাজনৈতিক নেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যখন তারা নিজ দেশে আইনি বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হন। এই নথিগুলো তাদের নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার এবং আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ দেয়। তারেক রহমানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক নেতার জীবনেই একটা সময়ে ট্রাভেল ডকুমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।
বিএনপির শীর্ষ নেতা হিসেবে তারেক রহমান ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হন। পরে ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি গত প্রায় দেড় যুগ সপরিবার যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তাঁর এই দীর্ঘ নির্বাসন এবং সম্ভাব্য দেশে ফেরা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা চলছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় সাজা হয়েছিল। তবে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই সব মামলা থেকে তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাঁর দেশে ফেরার আইনি বাধা দূর হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমান কখন ফিরবেন, সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত। তিনি এই দেশের নাগরিক, যে কোনো সময় ফিরতে পারেন। তবে, ট্রাভেল ডকুমেন্ট বা পাসপোর্ট নিয়ে কোনো সমস্যা হলে আমরা তা সমাধান করব।’ তিনি আরও জানান, তারেক রহমানের পাসপোর্টের জন্য কোনো আবেদন করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও তাঁর জানা নেই। তবে প্রয়োজনে সরকার সহায়তা প্রদান করবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং তারেক রহমানের ট্রাভেল ডকুমেন্টের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনাকে সামনে এনেছে। তারেক রহমান দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে থাকায় তাঁর পাসপোর্টের বৈধতা বা নাগরিকত্বের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই তিনি কীভাবে এবং কোন নথি ব্যবহার করে দেশে ফিরবেন, তা নিয়ে সরকারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিষয়টিকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। ট্রাভেল ডকুমেন্ট বলতে এখানে পাসপোর্ট বা বিশেষ ভ্রমণ নথি বোঝানো হচ্ছে, যা তাঁর ফেরার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপিসহ দেশের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে তাঁর ফেরার প্রত্যাশা বেড়েছে। ফলে, তাঁর ভ্রমণ নথির বিষয়টি শুধু আইনি নয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিষয়টি নিয়ে এতো আলোচনা।
তারেক রহমানের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে আলোচনার কারণ তাঁর দীর্ঘ নির্বাসন, আইনি মামলার নিষ্পত্তি এবং দেশে ফেরার সম্ভাবনার সঙ্গে জড়িত। সরকারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি এবং বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রমে তাঁর ভূমিকার গুরুত্ব এই আলোচনাকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করেছে। তাঁর ফেরার সিদ্ধান্ত এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নথির বিষয়টি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে।
ট্রাভেল ডকুমেন্ট দক্ষিণ এশিয়ার আরও অনেক রাজনৈতিক নেতারই বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে দেশ ত্যাগ করেছিলেন এবং তাঁর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বা বিশেষ ভ্রমণ নথি ব্যবহৃত হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য নেতারা, যেমন শেখ হাসিনা, নওয়াজ শরীফ, আশরাফ ঘানি এবং সম্প্রতি থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ‘গোপনে’ দেশ ছেড়ে ট্রাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে বিদেশে বসবাস করেছেন বা করছেন। এই নথিগুলো তাদের নিরাপত্তা এবং আইনি অবস্থান নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-আন্দোলনের মুখে দেশ ত্যাগ করেন। তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখানে আশ্রয় নেন। তাঁর দেশ ত্যাগের জন্য পাসপোর্ট বা বিশেষ ট্রাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। ভারত সরকার তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে, তবে তাঁর ভ্রমণ নথির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে জানা যায়নি।
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশব্যাপী গণ-আন্দোলনের মুখে দেশ ত্যাগ করেন। তিনি প্রথমে মালদ্বীপে পালিয়ে যান, এরপর সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন এবং পরে থাইল্যান্ডে যান। তিনি সামরিক বিমানে মালদ্বীপে যান এবং সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য সাধারণ পাসপোর্ট বা বিশেষ ট্রাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসেন।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর তিনি প্রায় পাঁচ বছর লন্ডনে বসবাস করেন। নওয়াজ শরীফ তাঁর পাসপোর্ট ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেন। তবে, ২০২১ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁর পাসপোর্ট কর্তৃক বাতিল করে দেয়। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন। তিনি সম্ভবত বিশেষ ভ্রমণ নথি বা যুক্তরাজ্যের আশ্রয় নীতির সুবিধা নিয়ে সেখানে থাকেন। তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসেন ২০২৩ সালে।
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ২০২১ সালের আগস্টে তালেবানের কাবুল দখলের সময় দেশ ত্যাগ করেন। তিনি প্রথমে উজবেকিস্তানে পালিয়ে যান এবং পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) আশ্রয় নেন। ঘানি সম্ভবত তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা বিশেষ ভ্রমণ নথি ব্যবহার করে দেশ ত্যাগ করেন। আরব আমিরাত সরকার তাঁকে মানবিক ভিত্তিতে আশ্রয় দিয়েছে।
রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের ১৯ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত প্রতিবেদনে আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণ হয়।
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের এডমিনকে তলব করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেগত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন পাভেল।
৩ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে দেড় লাখের বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে