leadT1ad

অবৈধ অনুপ্রবেশ মামলায় ছয় ভারতীয় নাগরিকের বিচার শুরু

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
অবৈধ অনুপ্রবেশ মামলায় কারাগারে বন্দি ছয় ভারতীয় নাগরিকের বিচার চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে। সংগৃহীত ছবি

চাপাইনবাবগঞ্জ আদালতে ছয় ভারতীয় বন্দীর বিচার কাজ চলছে। তাঁদের বিএসএফ বাংলাদেশে পুশব্যাক করে।

ভারতীয় নাগরিকদের আটকের পর মানবিক কারণে ফেরত দিতে দেশটির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ পুলিশ। কয়েক দফা যোগাযোগের পর নিজ দেশের নাগরিকদের ফেরত নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরে ফিরিয়ে নেয়নি দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে মামলা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায়। বর্তমানে তাঁরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

ওই ছয় ভারতীয় নিযুক্ত আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু জানান, গত ৫ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে তাঁরা আদালতে দায় স্বীকারের আবেদন করেছেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।

এ বিষয়ে একরামুল হক পিন্টু বলেন, মামলায় পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে এবং আমলি আদালত থেকে মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলি হয়েছে।

আসামিরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধ স্বীকার করে পুশব্যাকের মাধ্যমে নিজ দেশে ফেরত যেতে চাচ্ছেন। এ ছাড়া একজন আসামি অন্তঃসত্ত্বা নারী হওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনায় যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের রিলিজ দেওয়ার জন্য আদালতের সহানুভূতি চাওয়া হয়েছে। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে ২৩ অক্টোবর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

জানা গেছে, গত ২৪ জুন দিল্লি পুলিশ অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ ছয়জনকে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে আটক করে এবং ২৫ জুন বিএসএফ কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশইন করে।

ঠেলে পাঠানো ভারতের নাগরিকেরা হলেন, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারই থানার মো. দানেশ, তাঁর স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনালী বেগম ও সন্তান সাব্বির এবং একই এলাকার আজিজুল দেওয়ানের স্ত্রী সুইটি বেগম ও তাঁদের দুই ছেলে কুরবান দেওয়ান ও ইমাম দেওয়ান। তাঁদের কাছে থাকা আধার কার্ড ও ভোটার পরিচয়পত্র অবৈধ অভিবাসীর তকমা থেকে রক্ষা করতে পারেনি। কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ওই ভারতীয় নাগরিকরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বসবাস করছিলেন। পরে ২০ আগস্ট পুলিশ তাঁদের আটক করে কারাগারে পাঠায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় হওয়া মামলাটি এসআই রাজু আহমেদ তদন্ত করেছেন এবং আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এসআই রাজু আহমেদ বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় আসামির নিজের স্বীকারোক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এটি অপরাধীর সাক্ষ্য হিসেবে কাজ করে এবং বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হয়। এই মামলায় সাজা হিসেবে শুধু কারাদণ্ড নয়, অন্যান্য আইনগত শাস্তি যেমন জরিমানা ও অন্যান্য বিধিও প্রযোজ্য হতে পারে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন,শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকায় বিষয়টি মানবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আদালতের বিষয়। আদালতের যে নির্দেশনা দেবেন,তা আমাদের মানতে হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত