leadT1ad

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে ২ ঘণ্টা পর রাস্তা ছাড়লেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
রাস্তা ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। স্ট্রিম ছবি

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় ছেড়েছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর ২টার দিকে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মাশফিক ইসলাম দেওয়ান নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

রাস্তা ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ইতিহাস ১৫০ বছরের ইতিহাস। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা এই দশম গ্রেড মামার বাড়ির মোয়ার মত পায় নাই। এই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা আন্দোলন, সংগ্রাম এবং কর্মক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এই দশম গ্রেড অর্জন করেছে।’

মাশফিক আরও বলেন, ‘আজ সারা বাংলাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নিজ নিজ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান, বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতেছে। আগামীকাল সারা বাংলাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নিজ নিজ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অভিমুখে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কর্মসূচি পালন করবে।’

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের নেতা জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, ‘আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশে, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে এক ধরনের কুচক্রী মহল এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য নেমে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ প্রতিবাদ জানাই। যারা এদেশের কারিগরি শিক্ষা ধ্বংসের জন্য নেমেছে, তারা দেশের উন্নয়নে কখনোই কাজে আসবে না।’

অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস, ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী, তেঁজগাও, হাতিরঝিল, মগবাজার ও কাওরান বাজারসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তার দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে রাস্তা ছাড়ার কথা বলেছেন। পরে তাঁরা ২টা ১০ মিনিটের দিকে রাস্তা ছেড়ে দিয়েছেন। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।’

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো—

১. প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন কর্তৃক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।

২. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবির পক্ষে পরিচালিত সব কার্যক্রম রাষ্ট্র কর্তৃক অবিলম্বে বন্ধ করা।

৩. কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের উত্থাপিত যৌক্তিক ছয় দফা দাবির রূপরেখা ও সুপারিশ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা

৪. ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন চালু করা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত