তত্ত্বাবধায়ক সরকার
রোববার ঐকমত্য কমিশনের সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াও আলোচ্যসূচিতে ছিল প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হয়।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সবমিলিয়ে পাঁচ দিন আলোচনা হয়েছে। এর পরেও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। ফলে রোববার (২০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি সমন্বিত প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এটি নিয়ে আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী আলোচনা হবে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
রোববার ঐকমত্য কমিশনের সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াও আলোচ্যসূচিতে ছিল প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হয়। ১৫তম দিনের এ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার রোববার রাতে স্ট্রিমকে বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আলোচনা ঐকমত্যের কাছাকাছি আছে। আশা করছি, আগামী মঙ্গলবার এ নিয়ে দলগুলো একমত হবে ও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাবের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে রোববার সমন্বিত প্রস্তাব উত্থাপন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করার কথা বলেছে কমিশন। তাঁদের প্রস্তাব হলো, মেয়াদ অবসান অথবা অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধানের ৫৮(খ) সংশোধনেরও প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সংসদের মেয়াদ অবসান হওয়ার ১৫ দিন আগে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে। মেয়াদ ছাড়া অন্য কোন কারণে সংসদ ভেঙে গেলে এর ১৫ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হবে।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আলোচনা ঐকমত্যের কাছাকাছি আছে। আশা করছি, আগামী মঙ্গলবার এ নিয়ে দলগুলো একমত হবে ও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’ বদিউল আলম মজুমদার, সদস্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে জাতীয় সংসদের স্পিকারের তত্ত্বাবধানে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠিত হবে। রাজনৈতিক দল ও সংসদ সদস্যদের মনোনয়নের ভিত্তিতে এ কমিটি প্রধান উপদেষ্টা বাছাই করবে।
কমিটির যে কোন বৈঠক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সভাপতিত্ব করবেন স্পিকার। কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের) ও সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি।
বাছাই কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সদস্যদের কাছ থেকে সংবিধানের ৫৮ (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির নামের প্রস্তাব আহ্বান করবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি দল এবং একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য একজন করে ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করতে পারবে।
এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাছাই কমিটি সভা করবে। তাঁরা নিজেদের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত এবং রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে প্রস্তাবিত নাম নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবে। উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন। সবশেষে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ সম্পন্ন করবেন।
এ পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা চূড়ান্ত করা না গেলে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংসদের সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দল তিনজন করে উপযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে। পাশাপাশি সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল দুইজন উপযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে। স্পিকার প্রস্তাবিত নামগুলো জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করবেন।
এরপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি দল বা জোটের প্রস্তাবিত তিনজনের মধ্য থেকে প্রধান বিরোধী দল বা জোট যে কোন একজনকে বেছে নেবে। একইভাবে প্রধান বিরোধী দল প্রস্তাবিত তিনজনের মধ্য থেকে সরকারি দল একজনকে বেছে নেবে। তৃতীয় বৃহত্তম দলের প্রস্তাবিত দুইজন থেকে সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দল একজন করে ব্যক্তিকে বেছে নেবে। এক্ষেত্রে তৃতীয় বৃহত্তম দলও সরকারি দলের প্রস্তাবিত নাম থেকে একজন ও প্রধান বিরোধী দল থেকে একজনকে বেছে নেবে। এ পদ্ধতিতে কোন একজনের ব্যাপারে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলে তিনিই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হবেন।
এরপরও একমত না হওয়া গেলে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্পিকারের তত্ত্বাবধানে বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপন ব্যালটে র্যাংকড চয়েজ পদ্ধতিতে (পছন্দের ক্রমানুসারে ভোট) সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে যেকোনো একজনকে বেছে নেবেন। রাষ্ট্রপতি তাঁকে ৯০ দিনের জন্য নিয়োগ দেবেন। এক্ষেত্রে শর্ত হলো, সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা শপথ নিতে পারবেন না।
প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে ১৫ জনকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের জন্য বেছে নেবেন। তাঁদের নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
এছাড়া কোন কারণে প্রধান উপদেষ্টার পদ শূন্য হলে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য আগের ক্রমভিত্তিক ভোটিং পদ্ধতিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তবে প্রধান উপদেষ্টা পদে পরিবর্তন হলেও উপদেষ্টা পরিষদ বহাল থাকবে। আর উপদেষ্টা পরিষদের কোনো পদ শূন্য হলে নতুন প্রধান উপদেষ্টা সেই শূন্যপদ পূরণ করতে পারবেন।
মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে সংসদ সচিবালয়ের ব্যবস্থাপনায় একই পদ্ধতিতে বাছাই কমিটি গঠিত হবে। কমিটি ১৪ দিনের মধ্যে একই পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নেবে।
বর্তমান সংবিধানে বিলুপ্ত হওয়া ৫৮(৭) (ঘ) সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের বয়সসীমা ৭২ এর স্থানে ৭৫ করা হবে।
এছাড়া ‘দৈব-দুর্বিপাকজনিত’ কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান না করতে পারলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ আরও ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। নতুন সংসদের প্রধানমন্ত্রী কার্যভার গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হবে।
গত ২ জুলাই ঐকমত্য কমিশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়। দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে একমত হয়। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের প্রস্তাব করে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এনসিসির প্রস্তাব বাদ দেয় ঐকমত্য কমিশন। এর ফলে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার রূপরেখার সুপারিশও বাদ হয়ে যায়।
এর প্রেক্ষিতে ১০ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন পদ্ধতির দুটি বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করে কমিশন। ওই দিনসহ গত রোববার ও সোমবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়। সভায় এ নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি আলাদা প্রস্তাবও উত্থাপন করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সবমিলিয়ে পাঁচ দিন আলোচনা হয়েছে। এর পরেও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। ফলে রোববার (২০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি সমন্বিত প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এটি নিয়ে আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী আলোচনা হবে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
রোববার ঐকমত্য কমিশনের সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াও আলোচ্যসূচিতে ছিল প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হয়। ১৫তম দিনের এ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার রোববার রাতে স্ট্রিমকে বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আলোচনা ঐকমত্যের কাছাকাছি আছে। আশা করছি, আগামী মঙ্গলবার এ নিয়ে দলগুলো একমত হবে ও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাবের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে রোববার সমন্বিত প্রস্তাব উত্থাপন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করার কথা বলেছে কমিশন। তাঁদের প্রস্তাব হলো, মেয়াদ অবসান অথবা অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধানের ৫৮(খ) সংশোধনেরও প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সংসদের মেয়াদ অবসান হওয়ার ১৫ দিন আগে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে। মেয়াদ ছাড়া অন্য কোন কারণে সংসদ ভেঙে গেলে এর ১৫ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হবে।
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আলোচনা ঐকমত্যের কাছাকাছি আছে। আশা করছি, আগামী মঙ্গলবার এ নিয়ে দলগুলো একমত হবে ও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’ বদিউল আলম মজুমদার, সদস্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে জাতীয় সংসদের স্পিকারের তত্ত্বাবধানে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠিত হবে। রাজনৈতিক দল ও সংসদ সদস্যদের মনোনয়নের ভিত্তিতে এ কমিটি প্রধান উপদেষ্টা বাছাই করবে।
কমিটির যে কোন বৈঠক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সভাপতিত্ব করবেন স্পিকার। কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের) ও সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি।
বাছাই কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সদস্যদের কাছ থেকে সংবিধানের ৫৮ (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির নামের প্রস্তাব আহ্বান করবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি দল এবং একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য একজন করে ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করতে পারবে।
এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাছাই কমিটি সভা করবে। তাঁরা নিজেদের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত এবং রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে প্রস্তাবিত নাম নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবে। উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন। সবশেষে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ সম্পন্ন করবেন।
এ পদ্ধতিতে প্রধান উপদেষ্টা চূড়ান্ত করা না গেলে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংসদের সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দল তিনজন করে উপযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে। পাশাপাশি সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল দুইজন উপযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবে। স্পিকার প্রস্তাবিত নামগুলো জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করবেন।
এরপর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি দল বা জোটের প্রস্তাবিত তিনজনের মধ্য থেকে প্রধান বিরোধী দল বা জোট যে কোন একজনকে বেছে নেবে। একইভাবে প্রধান বিরোধী দল প্রস্তাবিত তিনজনের মধ্য থেকে সরকারি দল একজনকে বেছে নেবে। তৃতীয় বৃহত্তম দলের প্রস্তাবিত দুইজন থেকে সরকারি দল ও প্রধান বিরোধী দল একজন করে ব্যক্তিকে বেছে নেবে। এক্ষেত্রে তৃতীয় বৃহত্তম দলও সরকারি দলের প্রস্তাবিত নাম থেকে একজন ও প্রধান বিরোধী দল থেকে একজনকে বেছে নেবে। এ পদ্ধতিতে কোন একজনের ব্যাপারে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলে তিনিই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হবেন।
এরপরও একমত না হওয়া গেলে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্পিকারের তত্ত্বাবধানে বাছাই কমিটির সদস্যরা গোপন ব্যালটে র্যাংকড চয়েজ পদ্ধতিতে (পছন্দের ক্রমানুসারে ভোট) সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে যেকোনো একজনকে বেছে নেবেন। রাষ্ট্রপতি তাঁকে ৯০ দিনের জন্য নিয়োগ দেবেন। এক্ষেত্রে শর্ত হলো, সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা শপথ নিতে পারবেন না।
প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে ১৫ জনকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের জন্য বেছে নেবেন। তাঁদের নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
এছাড়া কোন কারণে প্রধান উপদেষ্টার পদ শূন্য হলে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য আগের ক্রমভিত্তিক ভোটিং পদ্ধতিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তবে প্রধান উপদেষ্টা পদে পরিবর্তন হলেও উপদেষ্টা পরিষদ বহাল থাকবে। আর উপদেষ্টা পরিষদের কোনো পদ শূন্য হলে নতুন প্রধান উপদেষ্টা সেই শূন্যপদ পূরণ করতে পারবেন।
মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে সংসদ সচিবালয়ের ব্যবস্থাপনায় একই পদ্ধতিতে বাছাই কমিটি গঠিত হবে। কমিটি ১৪ দিনের মধ্যে একই পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নেবে।
বর্তমান সংবিধানে বিলুপ্ত হওয়া ৫৮(৭) (ঘ) সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের বয়সসীমা ৭২ এর স্থানে ৭৫ করা হবে।
এছাড়া ‘দৈব-দুর্বিপাকজনিত’ কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান না করতে পারলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ আরও ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। নতুন সংসদের প্রধানমন্ত্রী কার্যভার গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হবে।
গত ২ জুলাই ঐকমত্য কমিশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়। দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে একমত হয়। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের প্রস্তাব করে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এনসিসির প্রস্তাব বাদ দেয় ঐকমত্য কমিশন। এর ফলে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার রূপরেখার সুপারিশও বাদ হয়ে যায়।
এর প্রেক্ষিতে ১০ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন পদ্ধতির দুটি বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করে কমিশন। ওই দিনসহ গত রোববার ও সোমবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়। সভায় এ নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি আলাদা প্রস্তাবও উত্থাপন করে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম নতুন ধারার অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ঢাকা স্ট্রিম’ পরিদর্শন করেছেন। আজ রোববার (২০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর পান্থপথের ঢাকা স্ট্রিমের কার্যালয়ে আসেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেনিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা দাবি করছেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো হস্তান্তর করেছে। এ দাবি সত্য নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৭ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গণগ্রেপ্তার করছে না। বরং যারা অপরাধী, তাঁদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও বর্বরতার জন্য ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমা পাবেন না। তাকে ‘মানবতার এবং সব মায়েদের প্রতি লজ্জা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে