.png)

স্ট্রিম প্রতিবেদক

নির্বাচনে গুরুতর আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রার্থিতা বাতিলের স্পষ্ট বিধান যুক্ত করেই সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০২৫ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই আচরণবিধি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘আরপিও গেজেট হওয়ার পর আমরা আচরণবিধি চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। খুব দ্রুতই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
সপ্তাহ খানেক আগেই এই জ্যেষ্ঠ সচিব বলেছিলেন যে আরপিও এবং আচরণবিধি অপেক্ষাতেই এতদিন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে যেতে পারেনি।
ইসি সুত্র বলছে তারা আশা করছে আগামী দুই-তিন কার্যদিবসের মধ্যেই এই বিধিমালা গেজেট হয়ে যাবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ৩ নভেম্বর আরপিও গেজেট প্রকাশিত হয়েছে এবং এই সপ্তাহের মধ্যেই আচরণবিধি গেজেট হলে শিঘ্রই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে যাবে ইসি। তারা আশা করছে এই গেজেট প্রকাশ হতে হতে নতুন দলের নিবন্ধনসংক্রান্ত কাজও শেষ হবে ফলে কোন বাধাই থাকছে না।
চূড়ান্ত আচরণবিধির নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, নির্বাচনি প্রচারে নতুন করে বেশ কিছু কড়াকড়ি যোগ হয়েছে। বিশেষ করে পোস্টার, দেয়াল লিখন বা অঙ্কন পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পোস্টারের পরিবর্তে ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, বিলবোর্ড এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো যাবে।
ইসি বলছে প্রচারণার নির্ধারিত সময়সীমা হবে তিন সপ্তাহ যা শেষ ভবে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে। ভোট গ্রহণ শেষ হবার পরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব প্রার্থীকে নিজ নিজ প্রচারণাসামগ্রী সরিয়ে নিতে হবে।
পোস্টার নিষিদ্ধ, পরিবেশবান্ধব উপকরণে হবে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড
ধারা ৭ অনুসারে কোনো ধরনের পোস্টার ব্যবহারের সুযোগ নেই। শুধু তা-ই নয়, রেক্সিন, পলিথিন, প্লাস্টিকসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উপকরণে ছাপানো লিফলেট, ব্যানার বা ফেস্টুনও নিষিদ্ধ। মুদ্রণকারীর নাম, ঠিকানা ও প্রকাশের তারিখ উল্লেখ না থাকলে কোনো লিফলেট বা ব্যানার বা ফেস্টুন ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। ব্যানারের আকার, লিফলেটের আকার, প্রার্থীর ছবির সাইজ—সবই সংখ্যাগতভাবে নির্ধারিত করা হয়েছে। কোনো দলীয় প্রধানের ছবি যুক্ত হলে তা কেবল বর্তমান দলীয় প্রধান হতে হবে এবং ছবিটি অবশ্যই সাধারণ পোট্রেট হতে হবে, অনুষ্ঠান-অভিনয়ধর্মী ভঙ্গিমা নয়।
ইলেকট্রনিক ও ডিজিটালমাধ্যম ব্যতীত নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যবহৃত ব্যানার, লিফলেট না হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুন সাদা-কালো রঙের হতে হবে উল্লেখ করে ধারা ৭-এ বলা হয়েছে, মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও মুদ্রণের তারিখবিহীন কোন ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুন ব্যবহার করা যাবে না এবং ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুনে পলিথিনের আবরণ এবং প্লাস্টিক (পিডিসি) ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না।
বিলবোর্ড সীমা
একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন। বিজ্ঞাপনের অংশ ১৬ বাই ৯ ফুটের বেশি হতে পারবে না। তবে, বিলবোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে কোনোক্রমেই জনসাধারণের বা যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না এবং পরিবেশ বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমনভাবে বিলবোর্ড স্থাপন করা যাবে না।
সরকারি আবাসন ব্যবহারে কড়াকড়ি
সরকারি সার্কিট হাউস, ডাকবাংলো, রেস্ট হাউস— নির্বাচনে জড়িত কর্মকর্তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। ‘ভিভিআইপি সুবিধাভোগী’ তালিকায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আবার কোন প্রার্থী যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সদস্য বা সভাপতি হন, তবে তাকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে হবে। ইসির মতে, নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই এই বিধান।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারেও বাধ্যবাধকতা আরোপ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারমাধ্যম হিসেবে অনুমোদিত হলেও এর সীমাবদ্ধতা কঠোর রাখা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে অ্যাকাউন্টের সব পরিচয় তথ্য আগেই দাখিল করে তবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। ভুয়া তথ্য, ডিপফেক বা এআই–এর অপব্যবহার, নারীবিদ্বেষ, ঘৃণামূলক বক্তব্য, ভুল তথ্য, কারও চেহারা বিকৃত করা ও নির্বাচনসংক্রান্ত বানোয়াট তথ্যসহ সব ক্ষতিকর কনটেন্ট বানানো ও প্রচার এবং ধর্মীয় উত্তেজনা—সবই থাকছে নিষিদ্ধ।
যানবাহন শোডাউন নিষিদ্ধ, হেলিকপ্টার ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা
বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল ব্যবহার করেই মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না। হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাবে মাত্র দলীয় প্রধান বা সাধারণ সম্পাদকের মতো পদাধিকারীদের জন্য। সেটিও প্রচারণার উদ্দেশ্যে নয়, যাতায়াতের প্রয়োজনে। আর হেলিকপ্টার থেকে কোনো লিফলেট বা ব্যানার ছড়ানো যাবে না।
ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচার নিষিদ্ধ
মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা-গির্জা কোনো উপাসনালয়ে প্রচার করা যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি কুৎসা, উত্তেজক বক্তব্য, ধর্মীয় উসকানি, সবই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্বাচনী স্বার্থ হাসিল করতে ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার করার ক্ষেত্রেও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা— ২৮ নম্বর ধারা
এই আচরণবিধির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হলো ধারা ২৮। সেখানে বলা হয়েছে রেকর্ড, প্রমাণ বা রিপোর্ট দ্বারা প্রমাণিত হলে কোনো প্রার্থী বা তার এজেন্ট বিধিমালা ভেঙেছে, তা প্রতীয়মান হলে তাৎক্ষণিক তদন্ত আদেশ দিতে পারবে কমিশন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশন নিজেই ৯১(ঙ) / ৯১বি ধারা অনুযায়ী লিখিত আদেশে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে। বাতিলের আদেশ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হবে এবং গেজেটে প্রকাশ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে গত ১৯ জুন কমিশনার আবুল মো. সানাউল্লাহ বলেন, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান এবার আচরণবিধিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
শাস্তির বিধান, জরিমানার পরিমাণ বাড়ছে
আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি আগের মতোই ৬ মাসের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তবে জরিমানার পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা করা হয়েছে।
ক্যাম্প, তোরণ নির্মাণেও আছে বাধা-নিষেধ
নির্বাচনি প্রচারণার জন্য কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি—কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ করতে পারবে না এবং চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী কোনো সামগ্রী স্থাপন বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবেন না। এ ছাড়া চার শ বর্গফুটের অধিক স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। এই আচরণবিধি অনুসারে, প্রচারণার অংশ হিসাবে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না এবং কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না।
অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক
সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে যে তারা আচরণবিধি মেনে চলবে। প্রার্থীকেও পৃথক অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।

নির্বাচনে গুরুতর আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রার্থিতা বাতিলের স্পষ্ট বিধান যুক্ত করেই সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি-২০২৫ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই আচরণবিধি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং গেজেট প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘আরপিও গেজেট হওয়ার পর আমরা আচরণবিধি চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। খুব দ্রুতই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
সপ্তাহ খানেক আগেই এই জ্যেষ্ঠ সচিব বলেছিলেন যে আরপিও এবং আচরণবিধি অপেক্ষাতেই এতদিন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে যেতে পারেনি।
ইসি সুত্র বলছে তারা আশা করছে আগামী দুই-তিন কার্যদিবসের মধ্যেই এই বিধিমালা গেজেট হয়ে যাবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ৩ নভেম্বর আরপিও গেজেট প্রকাশিত হয়েছে এবং এই সপ্তাহের মধ্যেই আচরণবিধি গেজেট হলে শিঘ্রই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে যাবে ইসি। তারা আশা করছে এই গেজেট প্রকাশ হতে হতে নতুন দলের নিবন্ধনসংক্রান্ত কাজও শেষ হবে ফলে কোন বাধাই থাকছে না।
চূড়ান্ত আচরণবিধির নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, নির্বাচনি প্রচারে নতুন করে বেশ কিছু কড়াকড়ি যোগ হয়েছে। বিশেষ করে পোস্টার, দেয়াল লিখন বা অঙ্কন পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পোস্টারের পরিবর্তে ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, বিলবোর্ড এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো যাবে।
ইসি বলছে প্রচারণার নির্ধারিত সময়সীমা হবে তিন সপ্তাহ যা শেষ ভবে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে। ভোট গ্রহণ শেষ হবার পরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব প্রার্থীকে নিজ নিজ প্রচারণাসামগ্রী সরিয়ে নিতে হবে।
পোস্টার নিষিদ্ধ, পরিবেশবান্ধব উপকরণে হবে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড
ধারা ৭ অনুসারে কোনো ধরনের পোস্টার ব্যবহারের সুযোগ নেই। শুধু তা-ই নয়, রেক্সিন, পলিথিন, প্লাস্টিকসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উপকরণে ছাপানো লিফলেট, ব্যানার বা ফেস্টুনও নিষিদ্ধ। মুদ্রণকারীর নাম, ঠিকানা ও প্রকাশের তারিখ উল্লেখ না থাকলে কোনো লিফলেট বা ব্যানার বা ফেস্টুন ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। ব্যানারের আকার, লিফলেটের আকার, প্রার্থীর ছবির সাইজ—সবই সংখ্যাগতভাবে নির্ধারিত করা হয়েছে। কোনো দলীয় প্রধানের ছবি যুক্ত হলে তা কেবল বর্তমান দলীয় প্রধান হতে হবে এবং ছবিটি অবশ্যই সাধারণ পোট্রেট হতে হবে, অনুষ্ঠান-অভিনয়ধর্মী ভঙ্গিমা নয়।
ইলেকট্রনিক ও ডিজিটালমাধ্যম ব্যতীত নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যবহৃত ব্যানার, লিফলেট না হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুন সাদা-কালো রঙের হতে হবে উল্লেখ করে ধারা ৭-এ বলা হয়েছে, মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও মুদ্রণের তারিখবিহীন কোন ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুন ব্যবহার করা যাবে না এবং ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ও ফেস্টুনে পলিথিনের আবরণ এবং প্লাস্টিক (পিডিসি) ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না।
বিলবোর্ড সীমা
একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন। বিজ্ঞাপনের অংশ ১৬ বাই ৯ ফুটের বেশি হতে পারবে না। তবে, বিলবোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে কোনোক্রমেই জনসাধারণের বা যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না এবং পরিবেশ বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমনভাবে বিলবোর্ড স্থাপন করা যাবে না।
সরকারি আবাসন ব্যবহারে কড়াকড়ি
সরকারি সার্কিট হাউস, ডাকবাংলো, রেস্ট হাউস— নির্বাচনে জড়িত কর্মকর্তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। ‘ভিভিআইপি সুবিধাভোগী’ তালিকায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আবার কোন প্রার্থী যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সদস্য বা সভাপতি হন, তবে তাকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে হবে। ইসির মতে, নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই এই বিধান।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারেও বাধ্যবাধকতা আরোপ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারমাধ্যম হিসেবে অনুমোদিত হলেও এর সীমাবদ্ধতা কঠোর রাখা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে অ্যাকাউন্টের সব পরিচয় তথ্য আগেই দাখিল করে তবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। ভুয়া তথ্য, ডিপফেক বা এআই–এর অপব্যবহার, নারীবিদ্বেষ, ঘৃণামূলক বক্তব্য, ভুল তথ্য, কারও চেহারা বিকৃত করা ও নির্বাচনসংক্রান্ত বানোয়াট তথ্যসহ সব ক্ষতিকর কনটেন্ট বানানো ও প্রচার এবং ধর্মীয় উত্তেজনা—সবই থাকছে নিষিদ্ধ।
যানবাহন শোডাউন নিষিদ্ধ, হেলিকপ্টার ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা
বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল ব্যবহার করেই মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না। হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাবে মাত্র দলীয় প্রধান বা সাধারণ সম্পাদকের মতো পদাধিকারীদের জন্য। সেটিও প্রচারণার উদ্দেশ্যে নয়, যাতায়াতের প্রয়োজনে। আর হেলিকপ্টার থেকে কোনো লিফলেট বা ব্যানার ছড়ানো যাবে না।
ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচার নিষিদ্ধ
মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা-গির্জা কোনো উপাসনালয়ে প্রচার করা যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতি কুৎসা, উত্তেজক বক্তব্য, ধর্মীয় উসকানি, সবই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্বাচনী স্বার্থ হাসিল করতে ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যবহার করার ক্ষেত্রেও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা— ২৮ নম্বর ধারা
এই আচরণবিধির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হলো ধারা ২৮। সেখানে বলা হয়েছে রেকর্ড, প্রমাণ বা রিপোর্ট দ্বারা প্রমাণিত হলে কোনো প্রার্থী বা তার এজেন্ট বিধিমালা ভেঙেছে, তা প্রতীয়মান হলে তাৎক্ষণিক তদন্ত আদেশ দিতে পারবে কমিশন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশন নিজেই ৯১(ঙ) / ৯১বি ধারা অনুযায়ী লিখিত আদেশে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে। বাতিলের আদেশ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হবে এবং গেজেটে প্রকাশ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে গত ১৯ জুন কমিশনার আবুল মো. সানাউল্লাহ বলেন, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান এবার আচরণবিধিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
শাস্তির বিধান, জরিমানার পরিমাণ বাড়ছে
আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি আগের মতোই ৬ মাসের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তবে জরিমানার পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা করা হয়েছে।
ক্যাম্প, তোরণ নির্মাণেও আছে বাধা-নিষেধ
নির্বাচনি প্রচারণার জন্য কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি—কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ করতে পারবে না এবং চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী কোনো সামগ্রী স্থাপন বা কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবেন না। এ ছাড়া চার শ বর্গফুটের অধিক স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। এই আচরণবিধি অনুসারে, প্রচারণার অংশ হিসাবে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না এবং কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না।
অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক
সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে যে তারা আচরণবিধি মেনে চলবে। প্রার্থীকেও পৃথক অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।
.png)

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে ‘বাংলাদেশের ইতিহাস: ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিচয়’ কোর্স যুক্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এবার দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আন্দোলনে নামছেন। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের চাকরি দশম গ্রেডে উন্নীত করাসহ তিন দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামে গত এক বছরে অন্তত সাতজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর প্রায় প্রতিটিই ঘটেছে জনবহুল এলাকায়, দিনের আলোয়। তবে কোনো ঘটনার সময়ই পুলিশকে পাওয়া যায়নি। এমনকি একটি ঘটনায় পুলিশের গাড়ি কাছে থাকলেও গোলাগুলি শুরু হলে সরে যায়।
৬ ঘণ্টা আগে
শীত আসি আসি করছে। এর মধ্যে রাজধানীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের আগাম সবজি। এতে কাঁচাবাজারে ফিরেছে কিছুটা স্বস্তি। ক্রেতারা বলছেন, শীত এলে ঢাকায় বেঁচে থাকাটা সহজ হয়। সবজিটা অন্তত কিনে খাওয়া যায়।
৬ ঘণ্টা আগে