leadT1ad

স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারবেন নাগরিকেরা

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৯: ০০
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, ০০: ৪৯
রোববার (২৭ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সংগৃহীত ছবি

পুলিশ বাহিনীর পেশাদারত্ব ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে ৯ সদস্যের স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তে এসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ কমিশনে পুলিশের বিরুদ্ধে নাগরিকেরা অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও দেবে পুলিশ কমিশন।

গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে কিছু সংশোধনী আনার পর সংশোধিত প্রস্তাব দাঁড় করায় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজনৈতিক দলগুলো এতে একমত হন বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সংশোধিত প্রস্তাবে পুলিশ কমিশনের তিনটি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো–পুলিশ যাতে আইনানুগভাবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়, তা নিশ্চিত করা; পুলিশের যেকোনো সদস্যের উত্থাপিত অভিযোগের নিষ্পত্তি; এবং নাগরিকদের পক্ষ থেকে পুলিশের কোনো সদস্যের ওপর উত্থাপিত অভিযোগের নিষ্পত্তি করা।

পুলিশ কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। আর সদস্যসচিব হবেন অবসরপ্রাপ্ত একজন পুলিশ কর্মকর্তা, যাঁর পদমর্যাদা অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের নিচে নয়।

কমিশনের সদস্য হিসেবে থাকবেন সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার মনোনীত একজন করে প্রতিনিধি। পাশাপাশি সচিব পদমর্যাদার নিচে নন, এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; জেলা জজ পদমর্যাদার নিচে নন, এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও একজন মানবাধিকারকর্মী থাকবেন কমিশনে। এই ৯ জনের মধ্যে অন্তত দুইজন হবেন নারী।

কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্যসচিবসহ কিছু সদস্য বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি থাকবে। সে কমিটির সদস্য হবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি।

পুলিশ কমিশনের কাজ কী

পুলিশ কমিশনের দায়িত্ব ও কয়েকটি কার্যপরিধি প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ সদস্যের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া, পুলিশের ওপর বেআইনি প্রভাব বা হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষা দেওয়া, পুলিশের বিরূদ্ধে নাগরিকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোন পুলিশ সদস্যকে বেআইনি চাপ বা বিধিবহির্ভূত কাজে বাধ্য করা হলে, অভিযোগের তদন্ত করে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন। পাশাপাশি পুলিশিব্যবস্থা সম্পর্কিত আইন ও বিধি যুগোপযোগীকরণ করার উদ্যোগও নেওয়া হবে।

অভিযোগের তদন্ত ও অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কমিশন চাইলে পুলিশের সিআইডি বা পিবিআইয়ের মতো সংস্থাসহ সরকারের সহায়তা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত পরিচালনা করতে পারবে। কমিশনের নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকবে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পুলিশ কমিশন গঠন করবে সরকার। আইনের ভিত্তিতে কমিশন পরিচালিত হবে। ওই আইনে প্রস্তাবিত কার্যপরিধি উল্লেখ করতে হবে।

Ad 300x250

শেখ হাসিনা, জয়, পুতুলসহ ১০০ জনের বিচার শুরু

মিয়ানমারে চার বছর পর জরুরি অবস্থা তুলে নিল জান্তা সরকার, ডিসেম্বরে নির্বাচনের ঘোষণা

এনসিপির কার্যালয়ে নারী নির্যাতনের দাবিতে ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

নিশ্চিত থাকেন, ইলেকশন দেরি হবে না: প্রেস সচিব

জমির কাঁচা ফসলও কেটে নিচ্ছে লোকজন, আতঙ্কে পাড়ের হাজারো মানুষ

সম্পর্কিত