leadT1ad

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালিত

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ২০
স্ট্রিম গ্রাফিক

‘আমি সেই মেয়ে, আমিই পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিই: সংকটে মেয়েরা থাকে সামনের সারিতে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস’। এ উপলক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে।

২০১২ সাল থেকে ১১ অক্টোবর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। এ দিবস উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা। এ ছাড়া এর লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে—শিক্ষার অধিকার, পুষ্টি, আইনি সহায়তা, ন্যায়বিচার পাওয়া, চিকিৎসা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক বিয়ে রোধ করা।

বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমে প্রকল্প হিসেবে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের জন্ম হয়। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ‘কারণ আমি একজন মেয়ে’ নামের আন্দোলন থেকে এই দিবসের ধারণা আসে। পরে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উদযাপনের প্রস্তাব দেয় কানাডা। ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর এই প্রস্তাব রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয় এবং ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর তারিখে প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘প্রত্যেক মেয়ে, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে, সমতা, সুযোগ ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রাখে। এই আন্তর্জাতিক দিবসে, আসুন আমরা মেয়েদের জন্য একটি উন্নত বিশ্ব গড়তে নিজেদেরকে পুনরায় অঙ্গীকারাবদ্ধ করি।’

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট আন্নালেনা বেয়ারবক মেয়েদের নির্ভয়ে তাঁদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য উৎসাহিত করে বলেছেন, ‘কোনো পুরুষ, কোনো আইন, কোনো পদ্ধতি, এমনকি আপনাদের নিজেদের ভয়ও আপনাকে থামাতে পারবে না।’

দিবসটি উপলক্ষে ইউনাইটেড নেশনস চাইল্ড ফান্ডের (ইউনিসেফ) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পৃথিবীর অনেক দেশে মেয়েরা এখনও নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করতে পারেন না বা চাইলেই কোথাও যেতে পারেন না। তবে কিছু কিছু দেশে এই চিত্রের পরিবর্তন হয়েছে। সেসব দেশে মেয়েরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা থেকে শুরু করে কাজও করতে পারছেন। কিন্তু যেসব দেশে বাঁধা পাচ্ছেন, সেখানে এখনও মেয়েরা অনেকটাই পিছিয়ে আছেন। জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদেরকে লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে।

এতে আরও বলা হয়, এ বছরের থিমটি একাধিক সংকটের মুখে মেয়েদের নেতৃত্বকে স্বীকৃতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছে। সারা বিশ্বের মেয়েরা আজকের সবচেয়ে বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসছেন। তাঁদের সম্প্রদায়গুলো সংগঠিত হচ্ছে, জলবায়ু নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন তাঁরা, সহিংসতার অবসানের দাবি জানাচ্ছেন। এতকিছু করার পরেও প্রায়ই তাঁদের কণ্ঠস্বরকে দাবিয়ে রাখা হয়, তাঁদের কাজের মূল্যায়ন হয় না এমনকি তাঁদের প্রয়োজন বা অধিকারগুলোকে একপাশে ঠেলে দেওয়া হয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত