স্ট্রিম প্রতিবেদক

উত্তরাঞ্চলের চার জেলা—রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উজানের ঢল এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন গতকাল সন্ধ্যায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তাপাড়ে অঞ্চলগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সতর্ক করেছে।
বন্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, পাটগ্রাম, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তা ছাড়া ডুবে গেছে ফসলি জমিও।
বন্যা দেখা দিয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নেও। গতকাল রাতে পূর্ব ও পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী এবং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম ও আশপাশের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।
তবে নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি নামতে শুরু করায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, গতকাল বেলা তিনটার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। বিকেলের পর থেকেই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে—সন্ধ্যা ছয়টার সময় তা বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছে যায় এবং রাত ১১টার দিকে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ সেন্টিমিটার। তবে রাতের পর থেকে পানি নামতে শুরু করে। আজ একই পয়েন্টে তিস্তার পানি সকাল ৯টার দিকে ৩ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টার দিকে ১০ সেন্টিমিটার এবং বেলা ৩টার দিকে ২০ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
পানি কমছে কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদেও। আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বেলা ৩টার তথ্য অনুযায়ী, এই নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।
তবে পানি বাড়ছে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। কিন্তু পানি বাড়লে, এটি এখনো বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
অন্যদিকে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে পানি সমতল স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী গণমাধ্যমে জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা নদীর জিরো পয়েণ্টের কাছাকাছি কালীগঞ্জ নামক স্থানে একটি বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। সেটি মেরামতে কাজ চলমান আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের প্রতিটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পানি কমতে শুরু করলেও পানি বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গের দুই পয়েন্টে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বেলা ৩টার তথ্য অনুযায়ী, ভোলার লোয়ার মেঘনা নদীর দৌলতখান পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে এটি এখনো বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
অন্যদিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৭১ সেন্টিমিটার। তবে এটি এখনো বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে নদীতে পানি বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা করছেন না পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভোলার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। আজ বিকেলে তিনি স্ট্রিমকে জানান, নদী এখনো খুব বেশি উত্তাল নয়। মূলত উজান থেকে আসা ঢলের কারণে নদীর পানি বাড়ছে। আগামী দুই-তিন দিন নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানাচ্ছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের আপার করতোয়া-আপার আত্রাই, টাঙ্গন, পুনর্ভবা, ঘাঘট, আত্রাই, মহানন্দা, যমুনেশ্বরী ও করতোয়া নদীসমূহের পানি সমতল আগামী দুইদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু তৃতীয় দিন সমতল স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র।
অন্যদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পারে চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী, মাতামুহুরী, হালদা ও সাঙ্গু নদীর পানি । তবে পরের দুই দিন এটি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

উত্তরাঞ্চলের চার জেলা—রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উজানের ঢল এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন গতকাল সন্ধ্যায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তাপাড়ে অঞ্চলগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সতর্ক করেছে।
বন্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, পাটগ্রাম, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তা ছাড়া ডুবে গেছে ফসলি জমিও।
বন্যা দেখা দিয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নেও। গতকাল রাতে পূর্ব ও পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী এবং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম ও আশপাশের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।
তবে নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি নামতে শুরু করায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, গতকাল বেলা তিনটার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। বিকেলের পর থেকেই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে—সন্ধ্যা ছয়টার সময় তা বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছে যায় এবং রাত ১১টার দিকে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ সেন্টিমিটার। তবে রাতের পর থেকে পানি নামতে শুরু করে। আজ একই পয়েন্টে তিস্তার পানি সকাল ৯টার দিকে ৩ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টার দিকে ১০ সেন্টিমিটার এবং বেলা ৩টার দিকে ২০ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
পানি কমছে কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদেও। আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বেলা ৩টার তথ্য অনুযায়ী, এই নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।
তবে পানি বাড়ছে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। কিন্তু পানি বাড়লে, এটি এখনো বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
অন্যদিকে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে পানি সমতল স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী গণমাধ্যমে জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা নদীর জিরো পয়েণ্টের কাছাকাছি কালীগঞ্জ নামক স্থানে একটি বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। সেটি মেরামতে কাজ চলমান আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের প্রতিটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পানি কমতে শুরু করলেও পানি বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গের দুই পয়েন্টে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বেলা ৩টার তথ্য অনুযায়ী, ভোলার লোয়ার মেঘনা নদীর দৌলতখান পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে এটি এখনো বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
অন্যদিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৭১ সেন্টিমিটার। তবে এটি এখনো বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে নদীতে পানি বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা করছেন না পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভোলার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। আজ বিকেলে তিনি স্ট্রিমকে জানান, নদী এখনো খুব বেশি উত্তাল নয়। মূলত উজান থেকে আসা ঢলের কারণে নদীর পানি বাড়ছে। আগামী দুই-তিন দিন নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানাচ্ছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের আপার করতোয়া-আপার আত্রাই, টাঙ্গন, পুনর্ভবা, ঘাঘট, আত্রাই, মহানন্দা, যমুনেশ্বরী ও করতোয়া নদীসমূহের পানি সমতল আগামী দুইদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু তৃতীয় দিন সমতল স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র।
অন্যদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাড়তে পারে চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী, মাতামুহুরী, হালদা ও সাঙ্গু নদীর পানি । তবে পরের দুই দিন এটি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের চূড়ান্ত দিনে রাজধানীর চানখারপুলে সংঘটিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
ধান উৎপাদনে কৃষকের সহায়তার জন্য নানা ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। কৃষিকাজকে একটি সম্মানজনক এবং আরামদায়ক পেশায় রূপান্তর করার লক্ষ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কৃষিযন্ত্র আবিষ্কারে ব্রি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাকরির গ্রেড উন্নীতের দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন সহকারী শিক্ষকেরা।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনে পুড়েছে দেড় হাজারের বেশি ঘর। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া পরিবারগুলো ছোট সন্তান নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে বস্তির অন্য অংশে। কিন্তু বিধি বাম। ঘরপোড়া মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগে বস্তির বাড়িওয়ালারা খালি কক্ষগুলোর ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে