স্ট্রিম প্রতিবেদক
‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতিনিধিত্বকে পদ্ধতিগতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে—এই অভিযোগে চূড়ান্ত সনদটি প্রত্যাখ্যান করেছে নারী অধিকার সংগঠনের জোট ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত না হওয়ায় এবং পুরো প্রক্রিয়াকে ‘পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো জিইয়ে রাখার অপচেষ্টা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবাদলিপিতে ফোরামটি এই ঘোষণা দেয়। তারা সনদের পুনর্বিবেচনা এবং নারীর সরাসরি নির্বাচনের রোডম্যাপসহ সুনির্দিষ্ট দাবি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, 'জাতীয় জুলাই সনদ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী নাগরিকের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু এই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় দেশের ৫১ শতাংশ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করার অবধারিত পরিণাম যা হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তাই হয়েছে–জুলাই সনদ সকলের হয়নি।'
ফোরামটি অভিযোগ করে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বাছাইয়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ অন্যান্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় ডাকা হলেও সেখানে নারী অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়নি, যা সদিচ্ছার অভাব প্রমাণ করে।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, 'নাগরিক পরিসর থেকে নানানভাবে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে অনেকগুলি যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অক্টোবর ২০২৫-এ প্রকাশিত জুলাই জাতীয় সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি। এই সনদে বাংলাদেশের নারীর আকাঙ্ক্ষা নিদারুণভাবে অনুপস্থিত।'
ফোরামটি তাদের তিনটি মূল দাবি তুলে ধরে, যা ঐকমত্য কমিশন উপেক্ষা করেছে-- এক. রাজনৈতিক দলে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা, যা পর্যায়ক্রমে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে; দুই. শুধু ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য সাময়িকব্যবস্থা হিসেবে সংরক্ষিত ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচন নিশ্চিত করা; তিন. জুলাই সনদে একটি ধারা যুক্ত করা, যেখানে পরবর্তী সংসদ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নারীর অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ফোরাম তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, দাবি আদায়ে তারা জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও দর-কষাকষি চালিয়ে যাবে।
নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের পক্ষে এই প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে নারীপক্ষ, গণসাক্ষরতা অভিযান, নারী সংহতি, ভয়েস ফর রিফর্ম, ফেমিনিস্ট অ্যালায়েন্স অফ বাংলাদেশ (ফ্যাব), ক্ষুব্ধ নারী সমাজ, দুর্বার নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন, নাগরিক কোয়ালিশন, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক), নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, নারীর ডাকে রাজনীতি এবং বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র।
‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর প্রতিনিধিত্বকে পদ্ধতিগতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে—এই অভিযোগে চূড়ান্ত সনদটি প্রত্যাখ্যান করেছে নারী অধিকার সংগঠনের জোট ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত না হওয়ায় এবং পুরো প্রক্রিয়াকে ‘পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো জিইয়ে রাখার অপচেষ্টা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবাদলিপিতে ফোরামটি এই ঘোষণা দেয়। তারা সনদের পুনর্বিবেচনা এবং নারীর সরাসরি নির্বাচনের রোডম্যাপসহ সুনির্দিষ্ট দাবি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, 'জাতীয় জুলাই সনদ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী নাগরিকের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু এই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় দেশের ৫১ শতাংশ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করার অবধারিত পরিণাম যা হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তাই হয়েছে–জুলাই সনদ সকলের হয়নি।'
ফোরামটি অভিযোগ করে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বাছাইয়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ অন্যান্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় ডাকা হলেও সেখানে নারী অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়নি, যা সদিচ্ছার অভাব প্রমাণ করে।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, 'নাগরিক পরিসর থেকে নানানভাবে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে অনেকগুলি যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অক্টোবর ২০২৫-এ প্রকাশিত জুলাই জাতীয় সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি। এই সনদে বাংলাদেশের নারীর আকাঙ্ক্ষা নিদারুণভাবে অনুপস্থিত।'
ফোরামটি তাদের তিনটি মূল দাবি তুলে ধরে, যা ঐকমত্য কমিশন উপেক্ষা করেছে-- এক. রাজনৈতিক দলে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা, যা পর্যায়ক্রমে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে; দুই. শুধু ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য সাময়িকব্যবস্থা হিসেবে সংরক্ষিত ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচন নিশ্চিত করা; তিন. জুলাই সনদে একটি ধারা যুক্ত করা, যেখানে পরবর্তী সংসদ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নারীর অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ফোরাম তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, দাবি আদায়ে তারা জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও দর-কষাকষি চালিয়ে যাবে।
নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের পক্ষে এই প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে নারীপক্ষ, গণসাক্ষরতা অভিযান, নারী সংহতি, ভয়েস ফর রিফর্ম, ফেমিনিস্ট অ্যালায়েন্স অফ বাংলাদেশ (ফ্যাব), ক্ষুব্ধ নারী সমাজ, দুর্বার নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন, নাগরিক কোয়ালিশন, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক), নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, নারীর ডাকে রাজনীতি এবং বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র।
জুলাই জাতীয় সনদ হাতে না পাওয়া এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্টস) থাকা না থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে সনদে স্বাক্ষর করেনি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরাম। তবে অনিশ্চয়তা দূর হওয়ায় দলটি পরে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে বলে নিশ্চিত করেছে।
১৯ মিনিট আগেজুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ‘ঐতিহাসিক দিন’ অভিহিত করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দীর্ঘ আলোচনার ফসল হিসেবে এই সনদ চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণ এটিকে অনুমোদন দিলে ভবিষ্যৎ সংসদ এটি বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে।
১ ঘণ্টা আগে‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে’ এই সনদ শুরু হয়েছে। এতে সাতটি সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার করা হয়েছে—
২ ঘণ্টা আগেআলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমাদের যে চেষ্টা, সবার যে চেষ্টা, তা একদিনে সাফল্য অর্জন করবে না। কেবল একটি দলিল সেটার নিশ্চয়তা দেবে না। তবে আমরা আশা করি—এই যে জাতীয় দলিল তৈরি হয়েছে, তার বাস্তবায়ন ঘটবে। দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন ঘটবে।’
৩ ঘণ্টা আগে