জুলাই সনদ শিগগির বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
জুলাই সনদ শিগগির বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ সইয়ের আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমাদের যে চেষ্টা, সবার যে চেষ্টা, তা একদিনে সাফল্য অর্জন করবে না। কেবল একটি দলিল সেটার নিশ্চয়তা দেবে না। তবে আমরা আশা করি—এই যে জাতীয় দলিল তৈরি হয়েছে, তার বাস্তবায়ন ঘটবে। দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন ঘটবে।’
জুলাই সনদ দিকনির্দেশক হিসেবে ভবিষ্যত বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পরিচালনা করবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে মতপার্থক্য না থাকলে তা গণতান্ত্রিক হয় না। আমাদের মতের পার্থক্য থাকবে, পথের পার্থক্য থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বহু স্রোত যেন মোহনায় এসে মেলে; যেন আমরা বলতে পারি—আমাদের অনেক স্রোত; মোহনা একটি, সেটি হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি জানান, বহুমত সত্ত্বেও দেশের সবাই যেকোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর বিষয়ে একমত। সেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশার স্মারক যতটুকু অর্জিত হয়েছে তার প্রথম পদক্ষেপ জুলাই সনদ।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের এই দিন, বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অভূতপূর্ব ও অনন্য সময়। একটি ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য এটি আমাদের দীর্ঘপথের যাত্রার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ মানুষের আত্মদানের মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের আদর্শকে ধারণ করে যে রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল গত ৫৩ বছর ধরে এটি বারবার হোঁচট খেয়েছে। তবে বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রাণপণ লড়াই করে গণতন্ত্র এবং জবাবদিহিমূলক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়াস চালিয়েছেন। এর অনন্য উদাহরণ হলো ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান, ২০১৮ সালে কোটা বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এবং সর্বোপরি ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থান।’
‘আমাদের যে স্বপ্ন, বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা—তাকে ধারণ করে এগিয়ে নিয়ে যেতে, সবার জন্য একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা, সেই দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্যই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় এক বছর ধরে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই জাতীয় সনদে উপনীত হয়েছে,’ যোগ করেন এ অধ্যাপক।
জুলাই সনদ রাষ্ট্রের একটি সামাজিক চুক্তি মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, এই জাতীয় সনদ কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি নয়, এটি নাগরিক, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের একটি সামাজিক চুক্তি। এই সামাজিক চুক্তি, এই প্রত্যাশা—এর প্রত্যেকটি বিষয়ে জড়িত আছে বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম, তাদের কষ্ট ও প্রচেষ্টা।
জুলাই সনদ শিগগির বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ সইয়ের আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমাদের যে চেষ্টা, সবার যে চেষ্টা, তা একদিনে সাফল্য অর্জন করবে না। কেবল একটি দলিল সেটার নিশ্চয়তা দেবে না। তবে আমরা আশা করি—এই যে জাতীয় দলিল তৈরি হয়েছে, তার বাস্তবায়ন ঘটবে। দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন ঘটবে।’
জুলাই সনদ দিকনির্দেশক হিসেবে ভবিষ্যত বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পরিচালনা করবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে মতপার্থক্য না থাকলে তা গণতান্ত্রিক হয় না। আমাদের মতের পার্থক্য থাকবে, পথের পার্থক্য থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বহু স্রোত যেন মোহনায় এসে মেলে; যেন আমরা বলতে পারি—আমাদের অনেক স্রোত; মোহনা একটি, সেটি হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি জানান, বহুমত সত্ত্বেও দেশের সবাই যেকোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর বিষয়ে একমত। সেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশার স্মারক যতটুকু অর্জিত হয়েছে তার প্রথম পদক্ষেপ জুলাই সনদ।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আজকের এই দিন, বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অভূতপূর্ব ও অনন্য সময়। একটি ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য এটি আমাদের দীর্ঘপথের যাত্রার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ মানুষের আত্মদানের মাধ্যমে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের আদর্শকে ধারণ করে যে রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল গত ৫৩ বছর ধরে এটি বারবার হোঁচট খেয়েছে। তবে বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রাণপণ লড়াই করে গণতন্ত্র এবং জবাবদিহিমূলক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়াস চালিয়েছেন। এর অনন্য উদাহরণ হলো ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান, ২০১৮ সালে কোটা বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এবং সর্বোপরি ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থান।’
‘আমাদের যে স্বপ্ন, বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা—তাকে ধারণ করে এগিয়ে নিয়ে যেতে, সবার জন্য একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা, সেই দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্যই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় এক বছর ধরে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই জাতীয় সনদে উপনীত হয়েছে,’ যোগ করেন এ অধ্যাপক।
জুলাই সনদ রাষ্ট্রের একটি সামাজিক চুক্তি মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, এই জাতীয় সনদ কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি নয়, এটি নাগরিক, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের একটি সামাজিক চুক্তি। এই সামাজিক চুক্তি, এই প্রত্যাশা—এর প্রত্যেকটি বিষয়ে জড়িত আছে বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম, তাদের কষ্ট ও প্রচেষ্টা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে শনিবার আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
১ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, আমি মনে করি না পুরো বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, তবে আংশিক বক্তব্য কেটে বলা হয়েছে। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না, আমি তা বিশ্বাস করি না।
১ ঘণ্টা আগেদেলোয়ার হোসেন আজিজী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আমরা যেন আন্দোলন করতে গিয়ে বিশৃঙ্খল না করি। আমরা তাকে আশ্বস্ত করেছি।
২ ঘণ্টা আগেআমরা প্রয়াত সহকর্মী স্বর্ণময়ীর পরিবারের সঙ্গে আছি। তাঁর পরিবারের সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবার প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করার অনুরোধ করছি। আমরা ঢাকা স্ট্রিম পরিবার যেকোনো ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলাম এবং থাকব। কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সচেতন ও অঙ্গীকারবদ্ধ।
৩ ঘণ্টা আগে