.png)

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সেখান থেকে বিক্ষুব্ধ জুলাই যোদ্ধাদের সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পরবর্তীতে স্বাক্ষরের সুবিধা রেখেই জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এই স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে আলোচনায় শরিক দল কতদিন সময় পেতে তা জানায়নি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, আলোচনায় অংশ নেওয়া সব দলই স্বাক্ষরের বিষয়টি বিবেচনায় নেবে এবং স্বাক্ষর অনুষ্ঠ

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর চূড়ান্ত ভাষ্য পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে আগামী ১৭ অক্টোবর সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৫ অক্টোবর বুধবারের পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল। যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নিতে বলছেন তারা।

আমাদের দেশের গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেলো না কেনো: আলী রীয়াজ

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্যের মধ্যেই আগামী শনিবার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় হবেন বলে আশা করছেন করছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের জানান, তারা বাস্তবায়

কমিশনের সঙ্গে আইনজ্ঞদের বৈঠক
ঐক্যমত কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'আজকে জুলাই সদস বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে নানা ধরনের পরামর্শ এসেছে। তবে, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদ পাঠানোর কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। কমিশনের একটি সূত্র জানায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরবেন। তখন তাঁর হাতে জুলাই সনদের খসড়া তুলে দেওয়া হবে। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে খসড়ার কপি পাঠানো হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে এ আলোচনার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদী হবে না।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে সদস্য নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। যার সঙ্গে একমত নয় বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল। তবে এ সিদ্ধান্তের পক্ষে এনসিপি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের।

জুলাই সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজই রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোচনা শেষ করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) একথা জানিয়েছেন।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সংলাপ
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কার সংক্রান্ত যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সুস্পষ্ট ঐকমত্য হয়েছে, সেই বিষয়গুলোর একটি নির্দিষ্ট তালিকা আজ বিকেলের মধ্যেই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদের চূড়ান্ত রূপে পৌঁছাতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ২১তম দিনের আলোচনার শুরুতে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ বৈঠক আয়োজিত হয়।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কার প্রশ্নে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে গেলেও এখনো বহু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। বিশেষ করে আনুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা চালু, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের ক্ষমতার ভারসাম্য।