ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
আজ সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার ১৩তম দিনে নারী আসন বিলুপ্তির প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্ত করে মোট আসনের ৩৩ শতাংশে শুধু নারী প্রার্থীকে সরাসরি মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব জানিয়েছে। এ প্রস্তাবে সরাসরি ‘না’ জানিয়েছে অধিকাংশ দল। অন্যান্য দলগুলো নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে হ্যাঁ এবং না এর মাঝামাঝি মত প্রকাশ করেছে।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সংসদে নারী আসন বাড়ানোর প্রস্তাবে অধিকাংশ দল একমত। তবে সরাসরি নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন চেয়েছে।
আজ সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার ১৩তম দিনে নারী আসন বিলুপ্তির প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার স্ট্রিমকে বলেন, সংসদে নারী আসন নিয়ে কমিশনের প্রস্তাবনার পর আজ কিছুটা আলোচনা হয়েছে। তবে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামীকাল এ বিষয়ে আবারও আলোচনা হবে।
সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে সংসদীয় আসন ৪০০-তে উন্নীত করে ১০০টিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছিল। আজকের প্রস্তাবনার সঙ্গে এর খুব বেশি তফাৎ নেই। আজকে রাজনৈতিক দলগুলো কিছু মত দিয়েছে। নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো নিয়ে দ্বিমত নেই। নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ করা বাকি। -বদিউল আলম মজুমদার, সদস্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
এ সব বৈঠকের আগে সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিশন দুটি সংসদের নারী আসনের বিষয়ে আলাদা মতামত দিয়েছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ হলো সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ৪০০ আসন থাকবে। এর মধ্যে ১০০টি নির্বাচনী এলাকায় শুধু নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যদিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সংসদের ৫০ টি সংরক্ষিত নারী আসনকে ১০০ তে উন্নীত করার সুপারিশ করে। সবমিলিয়ে ৪০০ আসনের প্রস্তাব দেয় এই কমিশন। এর মধ্যে প্রত্যেক নির্বাচনে ১০০ আসন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্ধারণ করার পরামর্শ ছিল কমিশনের।
ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি বলতে এক সংসদীয় নির্বাচনে যে ১০০ আসনে নারী প্রার্থীরা অংশ নেবেন পরের নির্বাচনের ওইসব আসন সব প্রার্থীর (নারী–পুরুষ নির্বিশেষে) জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এরপর বাকি আসনের মধ্যে ১০০ টিতে নারীরা নির্বাচন করবেন। এভাবে প্রতি নির্বাচনে আসন ঘুরতে থাকবে।
এই দুই কমিশনের সুপারিশ প্রস্তাবনা আকারে ঐকমত্য কমিশনের সভায় উত্থাপন করা হয়েছিল। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার নতুন করে প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়।
নতুন উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, সংবিধানে উল্লিখিত জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্ত হবে। দলগুলো মোট প্রার্থীর মধ্যে ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থীতা নিশ্চিত করবে।
বদিউল আলম মজুমদার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে সংসদীয় আসন ৪০০-তে উন্নীত করে ১০০টিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছিল। আজকের প্রস্তাবনার সঙ্গে এর খুব বেশি তফাৎ নেই। আজকে রাজনৈতিক দলগুলো কিছু মত দিয়েছে। নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো নিয়ে দ্বিমত নেই। নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ করা বাকি।
সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এই নির্বাচনটাও বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই হওয়া উচিত। সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত নির্বাচন বাস্তবায়ন করা দুরূহ। এখনও রাজনৈতিক দলে নারীদের ৩৩ শতাংশ পদে রাখাটাই নিশ্চিত করা যায়নি। -সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
নারীদের নির্ধারিত আসন বাড়ানোর ব্যাপারে দলগুলোর অধিকাংশই একমত। তবে মতবিরোধ মূলত নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দল নারীদের নির্ধারিত আসন বাড়িয়ে সেটিকে সংরক্ষিত হিসেবেই দেখতে চায়। আবার কিছু দল নারীদের নির্ধারিত আসনে সরাসরি নির্বাচন দেখতে চায়।
জাতীয় সংসদে নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত রাখার বিধান যুক্ত হয়। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে এ আসনের সংখ্যা ৫০-এ উন্নীত করা হয়। এই ৫০ আসন নির্ধারণ করা হয় আনুপাতিক হারে। যেখানে নির্বাচনে জয়ের শতকরা হারের ভিত্তিতে সংরক্ষিত আসন পায় রাজনৈতিক দল।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এই নির্বাচনটাও বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই হওয়া উচিত। সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত নির্বাচন বাস্তবায়ন করা দুরূহ। এখনও রাজনৈতিক দলে নারীদের ৩৩ শতাংশ পদে রাখাটাই নিশ্চিত করা যায়নি।
কমিশনের বৈঠকের মধ্যাহ্নের সময় ব্রিফিংয়ের সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, কমিশন এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন বাধ্যবাধকতার কথা বলেছে। আমরা এটি সমর্থন করি। তবে এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
সংরক্ষিত আসন বাতিল কিংবা ৩৩ শতাংশ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন— কমিশনের এই দুই প্রস্তাবের কোনটাই এই মুহূর্তে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, আমরা ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বলেছি, সংরক্ষিত আসন রেখে ২০ শতাংশ আসনে নারীদের সরাসরি আসনে ভোট হবে।
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেন, আমরা বলেছি, নারীরা সরাসরি নির্বাচিত হবেন। তবে পদ্ধতি কী হবে সেটা আলোচনা হতে পারে।
বর্তমান বাস্তবতায় ৩০ শতাংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কঠিন বলে মন্তব্য আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের। তিনি বলেন, আমরা এবার ৫ শতাংশ মনোনয়ন দেওয়ার ব্যপারে মত দিয়েছি।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্ত করে মোট আসনের ৩৩ শতাংশে শুধু নারী প্রার্থীকে সরাসরি মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব জানিয়েছে। এ প্রস্তাবে সরাসরি ‘না’ জানিয়েছে অধিকাংশ দল। অন্যান্য দলগুলো নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে হ্যাঁ এবং না এর মাঝামাঝি মত প্রকাশ করেছে।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সংসদে নারী আসন বাড়ানোর প্রস্তাবে অধিকাংশ দল একমত। তবে সরাসরি নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন চেয়েছে।
আজ সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার ১৩তম দিনে নারী আসন বিলুপ্তির প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
জানতে চাইলে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার স্ট্রিমকে বলেন, সংসদে নারী আসন নিয়ে কমিশনের প্রস্তাবনার পর আজ কিছুটা আলোচনা হয়েছে। তবে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামীকাল এ বিষয়ে আবারও আলোচনা হবে।
সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে সংসদীয় আসন ৪০০-তে উন্নীত করে ১০০টিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছিল। আজকের প্রস্তাবনার সঙ্গে এর খুব বেশি তফাৎ নেই। আজকে রাজনৈতিক দলগুলো কিছু মত দিয়েছে। নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো নিয়ে দ্বিমত নেই। নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ করা বাকি। -বদিউল আলম মজুমদার, সদস্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
এ সব বৈঠকের আগে সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিশন দুটি সংসদের নারী আসনের বিষয়ে আলাদা মতামত দিয়েছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ হলো সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ৪০০ আসন থাকবে। এর মধ্যে ১০০টি নির্বাচনী এলাকায় শুধু নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যদিকে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সংসদের ৫০ টি সংরক্ষিত নারী আসনকে ১০০ তে উন্নীত করার সুপারিশ করে। সবমিলিয়ে ৪০০ আসনের প্রস্তাব দেয় এই কমিশন। এর মধ্যে প্রত্যেক নির্বাচনে ১০০ আসন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্ধারণ করার পরামর্শ ছিল কমিশনের।
ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি বলতে এক সংসদীয় নির্বাচনে যে ১০০ আসনে নারী প্রার্থীরা অংশ নেবেন পরের নির্বাচনের ওইসব আসন সব প্রার্থীর (নারী–পুরুষ নির্বিশেষে) জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এরপর বাকি আসনের মধ্যে ১০০ টিতে নারীরা নির্বাচন করবেন। এভাবে প্রতি নির্বাচনে আসন ঘুরতে থাকবে।
এই দুই কমিশনের সুপারিশ প্রস্তাবনা আকারে ঐকমত্য কমিশনের সভায় উত্থাপন করা হয়েছিল। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার নতুন করে প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়।
নতুন উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, সংবিধানে উল্লিখিত জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্ত হবে। দলগুলো মোট প্রার্থীর মধ্যে ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থীতা নিশ্চিত করবে।
বদিউল আলম মজুমদার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে সংসদীয় আসন ৪০০-তে উন্নীত করে ১০০টিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছিল। আজকের প্রস্তাবনার সঙ্গে এর খুব বেশি তফাৎ নেই। আজকে রাজনৈতিক দলগুলো কিছু মত দিয়েছে। নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো নিয়ে দ্বিমত নেই। নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ করা বাকি।
সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এই নির্বাচনটাও বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই হওয়া উচিত। সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত নির্বাচন বাস্তবায়ন করা দুরূহ। এখনও রাজনৈতিক দলে নারীদের ৩৩ শতাংশ পদে রাখাটাই নিশ্চিত করা যায়নি। -সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
নারীদের নির্ধারিত আসন বাড়ানোর ব্যাপারে দলগুলোর অধিকাংশই একমত। তবে মতবিরোধ মূলত নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দল নারীদের নির্ধারিত আসন বাড়িয়ে সেটিকে সংরক্ষিত হিসেবেই দেখতে চায়। আবার কিছু দল নারীদের নির্ধারিত আসনে সরাসরি নির্বাচন দেখতে চায়।
জাতীয় সংসদে নারী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নারীদের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষিত রাখার বিধান যুক্ত হয়। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে এ আসনের সংখ্যা ৫০-এ উন্নীত করা হয়। এই ৫০ আসন নির্ধারণ করা হয় আনুপাতিক হারে। যেখানে নির্বাচনে জয়ের শতকরা হারের ভিত্তিতে সংরক্ষিত আসন পায় রাজনৈতিক দল।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এই নির্বাচনটাও বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই হওয়া উচিত। সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত নির্বাচন বাস্তবায়ন করা দুরূহ। এখনও রাজনৈতিক দলে নারীদের ৩৩ শতাংশ পদে রাখাটাই নিশ্চিত করা যায়নি।
কমিশনের বৈঠকের মধ্যাহ্নের সময় ব্রিফিংয়ের সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, কমিশন এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন বাধ্যবাধকতার কথা বলেছে। আমরা এটি সমর্থন করি। তবে এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
সংরক্ষিত আসন বাতিল কিংবা ৩৩ শতাংশ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন— কমিশনের এই দুই প্রস্তাবের কোনটাই এই মুহূর্তে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, আমরা ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বলেছি, সংরক্ষিত আসন রেখে ২০ শতাংশ আসনে নারীদের সরাসরি আসনে ভোট হবে।
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেন, আমরা বলেছি, নারীরা সরাসরি নির্বাচিত হবেন। তবে পদ্ধতি কী হবে সেটা আলোচনা হতে পারে।
বর্তমান বাস্তবতায় ৩০ শতাংশ আসনে নারীদের মনোনয়ন দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কঠিন বলে মন্তব্য আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের। তিনি বলেন, আমরা এবার ৫ শতাংশ মনোনয়ন দেওয়ার ব্যপারে মত দিয়েছি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে বহু জাতিগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে বসবাস করছে। কিন্তু ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর প্রণীত ৭২-এর সংবিধান তাদের যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি। সর্বোচ্চ নাগরিক মর্যাদাও দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেতারেক রহমান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। কোনো আবেগতাড়িত বা ভুল সিদ্ধান্তে যাতে চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
১৬ ঘণ্টা আগেসোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের ইতিহাসে প্রথম একক জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করেছে। কিন্তু এই সমাবেশে অনুপস্থিত ছিল দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল ও জামায়াতের একসময়ের জোটসঙ্গী বিএনপি।
১ দিন আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তারা এনসিপির গাড়িবহরের পথরোধ এবং পথসভার মঞ্চ ভাঙচুর করেছেন।
১ দিন আগে