ইরান ২০০৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়েও পেগেন্টাগনের বিশ্লেষণ ছিল তেমনই।
স্ট্রিম ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন, তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শ অনুযায়ী হয়নি। বরং ট্রাম্প নিজের ধারণা ও অনুভূতির ওপর ভরসা করে ইরানে হামলার মতো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক গোয়েন্দাসূত্র। রোববার (২২ জুন) মার্কিন গণমাধ্যম দ্যা আটলান্টিকে প্রকাশিত শেন হ্যারিসের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
ট্রাম্প শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। যে তিন গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা হয়েছে, সেগুলো হলো নাতাঞ্জ, ফর্দো ও ইস্পাহান। এগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্রবিন্দু। আগেও ওই স্থাপনাগুলোয় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
রবিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি একটি হুমকি। এ কারণে চালানো হয়েছে এই নিখুঁত সামরিক অভিযান।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলছে, ইরান ২০০৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়েও পেগেন্টাগনের বিশ্লেষণ ছিল তেমনই।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড কংগ্রেসে জানান, ইরান অনেক ইউরেনিয়াম জমা করেছে ঠিকই, কিন্তু সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটার কোনো প্রমাণ পাননি তারা।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন অবস্থান সত্ত্বেও ট্রাম্প মনে করেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি বলেন, যদি গোয়েন্দারা ভিন্ন কিছু বলে, তাহলে তারা ভুল।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জন র্যাটক্লিফ বলেন, ইরান যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। তবে এই বক্তব্যও আগে থেকে প্রতিষ্ঠিত গোয়েন্দা বিশ্লেষণের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না।
ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর চিন্তা-ভাবনা ইরানে হামলার বিষয়ে অনেকটাই মিলে গেছে। নেতানিয়াহু অনেক বছর ধরেই বলে আসছেন, ইরান কয়েক মাস বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে গত সপ্তাহে ইসরায়েল নিজেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। হামলায় নিহত হন ইরানের প্রখ্যাত কয়েকজন বিজ্ঞানী, দুর্বল হয় দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
অবশ্য, গত মাসে ইরানের প্রখ্যাত পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি-দাভানি বলেছিলেন, ইরান হয়তো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন কিংবা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এমনকি ক্ষেপণাস্ত্র না ছুড়েই, অন্য উপায়েও। ইসরায়েল এই হুমকি গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং দাভানিকে হত্যা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আইনপ্রণেতা মনে করছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় চলানো এই হামলা অপ্রয়োজনীয় এবং সময়ের আগে নেওয়া সিদ্ধান্ত। কনেকটিকাটের সিনেটর ক্রিস মারফি বলেন, প্রেসিডেন্টকে দেওয়া ব্রিফিংয়ে এমন কিছু ছিল না যা ইরানকে তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে দেখায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, গোয়েন্দা তথ্য উপেক্ষা করে নেওয়া এমন সিদ্ধান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে। ইরান প্রতিশোধ নিলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ বড় বিপদের মুখে পড়তে পারে।
অনেকেই মনে করছেন, প্রেসিডেন্টের এমন বেপরোয়া সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দেবে। কূটনৈতিক সমাধানের পথ রুদ্ধ হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন, তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শ অনুযায়ী হয়নি। বরং ট্রাম্প নিজের ধারণা ও অনুভূতির ওপর ভরসা করে ইরানে হামলার মতো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক গোয়েন্দাসূত্র। রোববার (২২ জুন) মার্কিন গণমাধ্যম দ্যা আটলান্টিকে প্রকাশিত শেন হ্যারিসের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
ট্রাম্প শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। যে তিন গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা হয়েছে, সেগুলো হলো নাতাঞ্জ, ফর্দো ও ইস্পাহান। এগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল কেন্দ্রবিন্দু। আগেও ওই স্থাপনাগুলোয় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
রবিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি একটি হুমকি। এ কারণে চালানো হয়েছে এই নিখুঁত সামরিক অভিযান।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলছে, ইরান ২০০৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়েও পেগেন্টাগনের বিশ্লেষণ ছিল তেমনই।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড কংগ্রেসে জানান, ইরান অনেক ইউরেনিয়াম জমা করেছে ঠিকই, কিন্তু সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটার কোনো প্রমাণ পাননি তারা।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন অবস্থান সত্ত্বেও ট্রাম্প মনে করেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি বলেন, যদি গোয়েন্দারা ভিন্ন কিছু বলে, তাহলে তারা ভুল।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জন র্যাটক্লিফ বলেন, ইরান যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। তবে এই বক্তব্যও আগে থেকে প্রতিষ্ঠিত গোয়েন্দা বিশ্লেষণের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না।
ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর চিন্তা-ভাবনা ইরানে হামলার বিষয়ে অনেকটাই মিলে গেছে। নেতানিয়াহু অনেক বছর ধরেই বলে আসছেন, ইরান কয়েক মাস বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে গত সপ্তাহে ইসরায়েল নিজেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। হামলায় নিহত হন ইরানের প্রখ্যাত কয়েকজন বিজ্ঞানী, দুর্বল হয় দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
অবশ্য, গত মাসে ইরানের প্রখ্যাত পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফেরেইদুন আব্বাসি-দাভানি বলেছিলেন, ইরান হয়তো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন কিংবা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এমনকি ক্ষেপণাস্ত্র না ছুড়েই, অন্য উপায়েও। ইসরায়েল এই হুমকি গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং দাভানিকে হত্যা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আইনপ্রণেতা মনে করছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় চলানো এই হামলা অপ্রয়োজনীয় এবং সময়ের আগে নেওয়া সিদ্ধান্ত। কনেকটিকাটের সিনেটর ক্রিস মারফি বলেন, প্রেসিডেন্টকে দেওয়া ব্রিফিংয়ে এমন কিছু ছিল না যা ইরানকে তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে দেখায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, গোয়েন্দা তথ্য উপেক্ষা করে নেওয়া এমন সিদ্ধান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হতে পারে। ইরান প্রতিশোধ নিলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ বড় বিপদের মুখে পড়তে পারে।
অনেকেই মনে করছেন, প্রেসিডেন্টের এমন বেপরোয়া সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দেবে। কূটনৈতিক সমাধানের পথ রুদ্ধ হবে।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ না নিলে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে যেসব দেশ বাণিজ্য করবে, তাদের ওপরেও দ্বিতীয় ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব বেশি মধুর নয়। ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। তবে গত মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্প
১৯ ঘণ্টা আগেঅতিবৃষ্টিতে ভারতের সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের টানেলের 'স্লোপিং প্রোটেকশন ওয়াল' ধসে পড়েছে।
১ দিন আগেএই নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্যের আমদানির ওপর মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশে। যা চীনের ওপর আরোপিত শুল্কের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি এবং পাকিস্তানের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
১ দিন আগে