আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস
আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। পৃথিবীর সাত মহাদেশ আর পাঁচ মহাসাগরের নানা প্রান্তের প্রায় ৬০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন তানভীর অপু ও তারেক অণু। দুই ভাইয়ের এই বিশ্বভ্রমণ নিয়ে লিখেছেন তানভীর অপু।
তানভীর অপু
পৃথিবীর সাত মহাদেশ আর পাঁচ মহাসাগরের নানা প্রান্তে আমি আর আমার ছোট ভাই তারেক অণু গত দশ বছরে ঘুরেছি প্রায় ৬০টি দেশ। এই ভ্রমণ কেবল ঘোরাঘুরি বা আনন্দ করার জন্য ছিল না। এটা ছিল প্রকৃতির বৈচিত্র্য উপলব্ধি করা, জীবনবোধ শেখা আর মানুষের সঙ্গে সংযোগ গড়ার এক অসাধারণ শিক্ষা।
আমাদের ইউরোপ ভ্রমণ শুরু হয়েছিল ফিনল্যান্ড থেকে। ২০০৬ সালে পড়াশোনার জন্য সেখানে যাই। আর সেই থেকেই ইউরোপ ঘোরার যাত্রা শুরু। ফিনল্যান্ডের পাশের দেশ এস্তোনিয়া দিয়ে শুরু হয় আমাদের এই আন্তর্জাতিক পর্বের ভ্রমণ। তারপর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১২ তলা জাহাজে যাত্রা শুরু হয়। প্রথম স্থলপথে ভ্রমণ শুরু হয় জার্মানি দিয়ে। এরপর জার্মানি থেকে আমরা ভ্রমণ করেছি হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, লিচটেনস্টাইন, সুইজারল্যান্ড আর চেক প্রজাতন্ত্র। প্রতিটি দেশ আমাদের দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা।
ইউরোপে আমরা দেখেছি পুরোনো দুর্গ, রাজপ্রাসাদ, শহরের মনোহর স্থাপত্য এবং শিল্পকলার অপূর্ব নিদর্শন। প্রতিটি শহর আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আমরা ভ্রমণ করেছি গ্রীস, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, ইউক্রেন, সার্বিয়া, বসনিয়া-হেরজেগোভিনা, কসোভো, ম্যাসাডোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মন্টিনিগ্রো, আলবেনিয়া এবং আরও বহু দেশে। এই অভিজ্ঞতা আমাদের ইউরোপীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস বোঝার গভীর শিক্ষা দিয়েছে।
ইউরোপের উত্তরের প্রান্তে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম নর্ড কেপে, আর দেখেছি পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের শহর হ্যামারফেস্ট। এই অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য এক অনন্য রোমাঞ্চকর ও স্মরণীয় অধ্যায়।
ইউরোপের পর আমাদের যাত্রা শুরু হয় এশিয়ায়। নেপালের হিমালয়ের পর্বতগুলোতে আমরা কিছুদিন ট্রেকিং করেছি। পাহাড়ি গ্রাম, নদী, প্রাচীন মন্দির আর স্থানীয় মানুষের জীবনযাপন আমাদের সামনে খুলে দিয়েছে এক নতুন দিগন্ত। ভারত ও বাংলাদেশ ভ্রমণেও আমরা পেয়েছি ভিন্ন স্বাদ। পদ্মা থেকে সুন্দরবন, সিলেটের চা বাগান থেকে পুরান ঢাকা—এই ভ্রমণ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন করে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।
এশিয়ার প্রতিটি দেশে ভ্রমণ আমাদের শিখিয়েছে, কীভাবে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে জীবনযাপন করে। স্থানীয় মানুষদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া আমাদের জন্য শিক্ষার এক নতুন ক্ষেত্র তৈরি করেছে। প্রতিটি দেশ, প্রতিটি শহর আর প্রতিটি গ্রামের সঙ্গে যে সংযোগ তৈরি হয়েছে, তা আমাদের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গিকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।
এশিয়ায় পর আমাদের দুই ভাইয়ের গন্তব্য ছিল আফ্রিকা মহাদেশ। আমরা ভ্রমণ করেছি কেনিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা, মরক্কো, মিশর। আফ্রিকার বন্য প্রকৃতি, বিশাল মরুভূমি আর বনাঞ্চল আমাদের দিয়েছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
কেনিয়ার রিফট ভ্যালি ও তুরকানা অঞ্চল, তানজানিয়ার সেরেঞ্জেটি, মিশরের প্রাচীন পিরামিড—প্রতিটি জায়গাই আমাদের ভ্রমণকে করেছে আরও সমৃদ্ধ। আফ্রিকার মানুষের জীবনধারা আর তাঁদের সঙ্গে গড়ে ওঠা সংযোগ আমাদের করেছে আরো মানবিক। আমরা শিখেছি, পৃথিবী যতই বিশাল হোক না কেন, শেখার আর বোঝার জন্য প্রতিটি যাত্রায় নতুন কিছু অপেক্ষা করে।
ল্যাটিন আমেরিকার ভ্রমণ ছিল একেবারেই রঙিন অভিজ্ঞতা। আমরা ঘুরেছি আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, মেক্সিকো, কিউবা, পানামা, কোস্টারিকা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, এল সালভাদর, বেলিজ আর গুয়াতেমালা।
ল্যাটিন আমেরিকার শহরগুলো প্রাণবন্ত, উৎসবমুখর এবং রঙিন। সেখানকার মিউজিকের ছন্দ, স্থানীয় রীতিনীতি আর স্বাদে ভরা খাবার আমাদের দিয়েছে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। প্রকৃতির দিক থেকেও ল্যাটিন আমেরিকা অসাধারণ, উদ্ভিদ আর প্রাণীর বৈচিত্র্য আমাদের মুগ্ধ করেছে।
আমাদের ভ্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের ৩২টি অঙ্গরাজ্য জুড়ে বিস্তৃত। শহরের আধুনিকতা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে আমরা সমন্বয় খুঁজেছি। ন্যাশনাল পার্ক, আধুনিক শহর, সমুদ্র সৈকত, পর্বতশৃঙ্গ—সবকিছু মিলেই আমাদের ভ্রমণকে করেছে সমৃদ্ধ। আমরা শিখেছি, বড় দেশ নানা রঙের বৈচিত্র্য ধারণ করে। আর সেই বৈচিত্র্য ভ্রমণকে দেয় আরও গভীর অভিজ্ঞতা।
অ্যান্টার্কটিকা ছিল আমাদের সবচেয়ে দুর্গম ভ্রমণের জায়গা। পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল ও দূরবর্তী এই মহাদেশে পা রাখার সময় আমরা বুঝতেই পারিনি, বরফের দেশ আমাদের কত অসাধারণ অভিজ্ঞতা, জীবনের শিক্ষা আর আবেগের মুহূর্ত উপহার দেবে। অ্যান্টার্কটিকার বিশাল বরফের মাঠ, নীল ও সাদা বরফের অসাধারণ মিল এবং কঠোর শীত আমাদের মনকে আরও দৃঢ় করেছে।
আমরা সেখানে মুখোমুখি হয়েছি পেঙ্গুইন, সীল এবং তিমির সঙ্গে। প্রকৃতির এই বিস্ময় আমাদের শিখিয়েছে মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক কতটা গভীর। আমাদের শিখিয়েছে সতর্ক থাকা, প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ করা আর জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। অ্যান্টার্কটিকার প্রতিটি দ্বীপ, উপকূল আর পরিবেশ আমাদের ভ্রমণকে রোমাঞ্চকর ও শিক্ষণীয় করেছে। আমরা সাউথ জর্জিয়া, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির সীল ও পেঙ্গুইন দেখেছি। লাখ লাখ পেঙ্গুইন একসঙ্গে দেখা অনেকটা স্বপ্নের মতো।
আমাদের এই আন্তর্জাতিক পর্বের ভ্রমণ শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে আমরা বনাঞ্চল, মরুভূমি, সমুদ্র এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, দীর্ঘ উপকূলরেখা আর সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য আমাদের জন্য ছিল এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। ওশেনিয়ার এই ভ্রমণ আমাদের শিখিয়েছে প্রকৃতির সঙ্গে আরও একাত্ম হয়ে বাঁচতে।
সব মিলিয়ে এই দীর্ঘ ভ্রমণ আমাদের জন্য শুধু আনন্দ নয়, জীবনের শিক্ষাও দিয়েছে। আমরা শিখেছি, ভ্রমণ মানে শুধু দর্শনীয় স্থান দেখা নয়; বরং জীবনবোধের পাঠ নেওয়া। আর ভ্রমণ প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ও মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরির একটি মাধ্যম।
পৃথিবীর সাত মহাদেশ আর পাঁচ মহাসাগরের নানা প্রান্তে আমি আর আমার ছোট ভাই তারেক অণু গত দশ বছরে ঘুরেছি প্রায় ৬০টি দেশ। এই ভ্রমণ কেবল ঘোরাঘুরি বা আনন্দ করার জন্য ছিল না। এটা ছিল প্রকৃতির বৈচিত্র্য উপলব্ধি করা, জীবনবোধ শেখা আর মানুষের সঙ্গে সংযোগ গড়ার এক অসাধারণ শিক্ষা।
আমাদের ইউরোপ ভ্রমণ শুরু হয়েছিল ফিনল্যান্ড থেকে। ২০০৬ সালে পড়াশোনার জন্য সেখানে যাই। আর সেই থেকেই ইউরোপ ঘোরার যাত্রা শুরু। ফিনল্যান্ডের পাশের দেশ এস্তোনিয়া দিয়ে শুরু হয় আমাদের এই আন্তর্জাতিক পর্বের ভ্রমণ। তারপর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১২ তলা জাহাজে যাত্রা শুরু হয়। প্রথম স্থলপথে ভ্রমণ শুরু হয় জার্মানি দিয়ে। এরপর জার্মানি থেকে আমরা ভ্রমণ করেছি হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, লিচটেনস্টাইন, সুইজারল্যান্ড আর চেক প্রজাতন্ত্র। প্রতিটি দেশ আমাদের দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা।
ইউরোপে আমরা দেখেছি পুরোনো দুর্গ, রাজপ্রাসাদ, শহরের মনোহর স্থাপত্য এবং শিল্পকলার অপূর্ব নিদর্শন। প্রতিটি শহর আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আমরা ভ্রমণ করেছি গ্রীস, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, ইউক্রেন, সার্বিয়া, বসনিয়া-হেরজেগোভিনা, কসোভো, ম্যাসাডোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মন্টিনিগ্রো, আলবেনিয়া এবং আরও বহু দেশে। এই অভিজ্ঞতা আমাদের ইউরোপীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস বোঝার গভীর শিক্ষা দিয়েছে।
ইউরোপের উত্তরের প্রান্তে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম নর্ড কেপে, আর দেখেছি পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের শহর হ্যামারফেস্ট। এই অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য এক অনন্য রোমাঞ্চকর ও স্মরণীয় অধ্যায়।
ইউরোপের পর আমাদের যাত্রা শুরু হয় এশিয়ায়। নেপালের হিমালয়ের পর্বতগুলোতে আমরা কিছুদিন ট্রেকিং করেছি। পাহাড়ি গ্রাম, নদী, প্রাচীন মন্দির আর স্থানীয় মানুষের জীবনযাপন আমাদের সামনে খুলে দিয়েছে এক নতুন দিগন্ত। ভারত ও বাংলাদেশ ভ্রমণেও আমরা পেয়েছি ভিন্ন স্বাদ। পদ্মা থেকে সুন্দরবন, সিলেটের চা বাগান থেকে পুরান ঢাকা—এই ভ্রমণ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন করে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।
এশিয়ার প্রতিটি দেশে ভ্রমণ আমাদের শিখিয়েছে, কীভাবে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে জীবনযাপন করে। স্থানীয় মানুষদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া আমাদের জন্য শিক্ষার এক নতুন ক্ষেত্র তৈরি করেছে। প্রতিটি দেশ, প্রতিটি শহর আর প্রতিটি গ্রামের সঙ্গে যে সংযোগ তৈরি হয়েছে, তা আমাদের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গিকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।
এশিয়ায় পর আমাদের দুই ভাইয়ের গন্তব্য ছিল আফ্রিকা মহাদেশ। আমরা ভ্রমণ করেছি কেনিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা, মরক্কো, মিশর। আফ্রিকার বন্য প্রকৃতি, বিশাল মরুভূমি আর বনাঞ্চল আমাদের দিয়েছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
কেনিয়ার রিফট ভ্যালি ও তুরকানা অঞ্চল, তানজানিয়ার সেরেঞ্জেটি, মিশরের প্রাচীন পিরামিড—প্রতিটি জায়গাই আমাদের ভ্রমণকে করেছে আরও সমৃদ্ধ। আফ্রিকার মানুষের জীবনধারা আর তাঁদের সঙ্গে গড়ে ওঠা সংযোগ আমাদের করেছে আরো মানবিক। আমরা শিখেছি, পৃথিবী যতই বিশাল হোক না কেন, শেখার আর বোঝার জন্য প্রতিটি যাত্রায় নতুন কিছু অপেক্ষা করে।
ল্যাটিন আমেরিকার ভ্রমণ ছিল একেবারেই রঙিন অভিজ্ঞতা। আমরা ঘুরেছি আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, মেক্সিকো, কিউবা, পানামা, কোস্টারিকা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, এল সালভাদর, বেলিজ আর গুয়াতেমালা।
ল্যাটিন আমেরিকার শহরগুলো প্রাণবন্ত, উৎসবমুখর এবং রঙিন। সেখানকার মিউজিকের ছন্দ, স্থানীয় রীতিনীতি আর স্বাদে ভরা খাবার আমাদের দিয়েছে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। প্রকৃতির দিক থেকেও ল্যাটিন আমেরিকা অসাধারণ, উদ্ভিদ আর প্রাণীর বৈচিত্র্য আমাদের মুগ্ধ করেছে।
আমাদের ভ্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের ৩২টি অঙ্গরাজ্য জুড়ে বিস্তৃত। শহরের আধুনিকতা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে আমরা সমন্বয় খুঁজেছি। ন্যাশনাল পার্ক, আধুনিক শহর, সমুদ্র সৈকত, পর্বতশৃঙ্গ—সবকিছু মিলেই আমাদের ভ্রমণকে করেছে সমৃদ্ধ। আমরা শিখেছি, বড় দেশ নানা রঙের বৈচিত্র্য ধারণ করে। আর সেই বৈচিত্র্য ভ্রমণকে দেয় আরও গভীর অভিজ্ঞতা।
অ্যান্টার্কটিকা ছিল আমাদের সবচেয়ে দুর্গম ভ্রমণের জায়গা। পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল ও দূরবর্তী এই মহাদেশে পা রাখার সময় আমরা বুঝতেই পারিনি, বরফের দেশ আমাদের কত অসাধারণ অভিজ্ঞতা, জীবনের শিক্ষা আর আবেগের মুহূর্ত উপহার দেবে। অ্যান্টার্কটিকার বিশাল বরফের মাঠ, নীল ও সাদা বরফের অসাধারণ মিল এবং কঠোর শীত আমাদের মনকে আরও দৃঢ় করেছে।
আমরা সেখানে মুখোমুখি হয়েছি পেঙ্গুইন, সীল এবং তিমির সঙ্গে। প্রকৃতির এই বিস্ময় আমাদের শিখিয়েছে মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক কতটা গভীর। আমাদের শিখিয়েছে সতর্ক থাকা, প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ করা আর জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। অ্যান্টার্কটিকার প্রতিটি দ্বীপ, উপকূল আর পরিবেশ আমাদের ভ্রমণকে রোমাঞ্চকর ও শিক্ষণীয় করেছে। আমরা সাউথ জর্জিয়া, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির সীল ও পেঙ্গুইন দেখেছি। লাখ লাখ পেঙ্গুইন একসঙ্গে দেখা অনেকটা স্বপ্নের মতো।
আমাদের এই আন্তর্জাতিক পর্বের ভ্রমণ শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে আমরা বনাঞ্চল, মরুভূমি, সমুদ্র এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, দীর্ঘ উপকূলরেখা আর সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য আমাদের জন্য ছিল এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। ওশেনিয়ার এই ভ্রমণ আমাদের শিখিয়েছে প্রকৃতির সঙ্গে আরও একাত্ম হয়ে বাঁচতে।
সব মিলিয়ে এই দীর্ঘ ভ্রমণ আমাদের জন্য শুধু আনন্দ নয়, জীবনের শিক্ষাও দিয়েছে। আমরা শিখেছি, ভ্রমণ মানে শুধু দর্শনীয় স্থান দেখা নয়; বরং জীবনবোধের পাঠ নেওয়া। আর ভ্রমণ প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ও মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরির একটি মাধ্যম।
আচ্ছা, মানুষ কেন বেড়াতে চায়? বেড়ালে কী হয়? এরকম প্রশ্ন আছে অনেকের মনে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘আমি চঞ্চল হে, সুদূরের পিয়াসী’। বেড়াতে না গেলে কি সুদূরকে পাওয়া যায়? রবীন্দ্রনাথ ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর বহু প্রান্তে। বেড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন চিঠি, ভ্রমণকাহিনি।
৪ ঘণ্টা আগেআজ ২৭ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব পর্যটন দিবস। অনেকের মনে প্রশ্ন আসে, কী করে ভ্রমণ করতে হয়? কোথায় যাব, কেন যাব, কী দেখব! কিন্তু জানব কী করে? আর কার সঙ্গে ভ্রমণ করবো? ব্যাগে কী কী নেব? টাকা-পয়সা কীভাবে জোগাড় করব? লিখেছেন ভূ-পর্যটক তারেক অণু।
৮ ঘণ্টা আগেকোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে নতুন গান ‘মহা জাদু’। হাবিব ওয়াহিদের কণ্ঠ-সুর আর তাজাকিস্তানের শিল্পী মেহরনিগরি রুস্তমের কণ্ঠে গানটি নতুনভাবে হাজির হয়েছে শ্রোতাদের সামনে।
১ দিন আগে১৯৮৩ সালের বসন্ত। হঠাৎ ব্রিটিশ গণমাধ্যমে আলোড়ন উঠল একটি ডায়েরিকে ঘিরে। জার্মান সাময়িকী ‘স্টার্ন’ আর ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য সানডে টাইমস’ ঘোষণা দিল, তারা নাকি খুঁজে পেয়েছে এক যুগান্তকারী নথি; অ্যাডলফ হিটলারের ‘গোপন’ ব্যক্তিগত ডায়েরি।
১ দিন আগে