.png)
২০২৪ সালের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর সময় ফেসবুকজুড়ে ভাইরাল হয় একটি গান, ‘একটু দাঁড়াও দাঁড়াও ইয়া মুহাম্মদ; আমি নয়নভরে তোমায় দেখব।’ গানটি বহু শিল্পীই গেয়েছেন। কিন্তু আমরা কি জানি বহুশ্রুত গানের মূল শিল্পী কে?

গৌতম কে শুভ

২০২৪ সালের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর সময় হঠাৎই ফেসবুকে ভাইরাল হয় একটি গান, ‘একটু দাঁড়াও দাঁড়াও ইয়া মুহাম্মদ/ আমি নয়নভরে তোমায় দেখব।’ গানটি বহু শিল্পীই গেয়েছেন। কিন্তু আমরা কি জানি বহুশ্রুত গানের মূল শিল্পী কে?
এ গানের প্রথম শিল্পীর নাম মো. ইব্রাহীম। গানটির গীতিকারও তিনি। কাওয়ালির ঢংয়ে গাওয়া এ গান প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৭ সালে বের হওয়া তাঁর শেষ অ্যালবাম ‘ভাবদরিয়া’য়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে লেখা এ গানের কথা ও সুরের এমন এক আচ্ছন্নতা আছে, যা বিভিন্ন শিল্পী ও শ্রোতাকে আকৃষ্ট করে।

তাই ইউটিউব ঘাঁটলে এখন মো. ইব্রাহীমের লেখা ও গাওয়া গানটির অনেকগুলো কাভার ভার্সন পাওয়া যায়। নানান ঘরানার শিল্পীরা গানটি গেয়েছেন। পালাগান-বিচারগানের-বাউলগানের পেশাদার শিল্পীসহ এই প্রজন্মের তরুণরাও ইউকুলেলে বাজিয়ে গেয়েছেন এ গান।
তবে যিনি এই গান লিখেছিলেন এবং প্রথমে গেয়েছিলেন, সেই মো. ইব্রাহীম সম্পর্কে কতটা জানি আমরা?
গেল শতকের আশির দশক। বাংলা গানের আকাশে ভিন্ন এক গানের ধারা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন মো. ইব্রাহীম। স্বাধীনতার পর থেকেই গানের সঙ্গে গভীরভাবে তাঁর জড়িয়ে পড়া। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন নিজের আলাদা জগত। যেখানে বিচ্ছেদ, মরমি আর কাওয়ালি প্রাণ পায় তাঁর দরাজ কণ্ঠে।
মো. ইব্রাহীম প্রথম জনপ্রিয়তা পান আশির দশকে। তখন ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগ। ক্যাসেটে ক্যাসেটে বাজত তাঁর গান। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এই শিল্পীর গানগুলো নাগরিক মানুষের কাছে অতটা পরিচিতি না পেলেও গ্রাম-গঞ্জের অলিগলিতে নিয়মিতই শোনা যেত তাঁর গান। ক্যাসেট প্লেয়ার থেকে ভেসে আসত মোহমাখা বিষণ্ণ সুর। বিশেষত মফস্সলের ক্যাসেট বিক্রির দোকানগুলোতে সারি সারি সাজানো থাকত তাঁর অ্যালবাম।

সেই সময়কার শ্রোতারা এখনো গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন ইব্রাহীমের গান। তাঁর গানে আশা-নিরাশার পাশাপাশি পাওয়া যায় আধ্যাত্মিকতার এক অপূর্ব মিশেল। ইব্রাহীমের গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘কী আছে জীবনে আমার’, ‘কোনো একদিন আমায় তুমি খুঁজবে’, ‘তুমি কি কখনো জানতে চেয়েছ’ ইত্যাদি।
সংগীতবোদ্ধাদের মতে, মো. ইব্রাহীমের কণ্ঠের শক্তি ছিল একটু অন্য রকম, যা সরাসরি ছুঁয়ে যেত শ্রোতাদের হৃদয়। জীবদ্দশায় মোট ৪১টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন। বিচ্ছেদ আর মরমি গানের পাশাপাশি ইসলামি গানে তাঁর দখল ছিল দারুণ। এ শিল্পীর অ্যালবামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘কী আছে জীবনে আমার’, ‘মাটির দেহ যাবে পচে’, ‘ভাব দরিয়া’, ‘নিষ্ঠুর পৃথিবী’, ‘আর কান্দাইও না’, ‘সৃষ্টি রহস্য’, ‘কাওয়ালী’ প্রভৃতি।

শুধু একক অ্যালবামই নয়, সিনেমার গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন মো. ইব্রাহীম। জানা যায়, সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার শ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। বলা ভালো, অ্যালবামের বেশির ভাগ গানই শিল্পীর নিজের লেখা ও সুর করা। তবে অন্যদের লেখা ও সুরেও কিছু গান গেয়েছেন তিনি।
মো. ইব্রাহীম ছিলেন নিভৃতচারী শিল্পী। আলো-ঝলমলে তারকাখ্যাতির বাইরে দাঁড়িয়ে ভক্তদের মনের মণিকোঠায় তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন মরমি আর বিচ্ছেদি সুরের মোহমায়ায়।
২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন মো. ইব্রাহীম। আজও আমরা যখন তাঁর গানগুলো শুনি, হয়তো জানিও না যে জীবৎকালে কোন দুঃখের ভেলায় ভেসে বেড়িয়েছিলেন তিনি। গলা খুলে গেয়েছিলেন, ‘একটু দাঁড়াও দাঁড়াও ইয়া মুহাম্মদ তোমায় নয়ন ভরে আমি দেখব…’।

২০২৪ সালের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর সময় হঠাৎই ফেসবুকে ভাইরাল হয় একটি গান, ‘একটু দাঁড়াও দাঁড়াও ইয়া মুহাম্মদ/ আমি নয়নভরে তোমায় দেখব।’ গানটি বহু শিল্পীই গেয়েছেন। কিন্তু আমরা কি জানি বহুশ্রুত গানের মূল শিল্পী কে?
এ গানের প্রথম শিল্পীর নাম মো. ইব্রাহীম। গানটির গীতিকারও তিনি। কাওয়ালির ঢংয়ে গাওয়া এ গান প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৭ সালে বের হওয়া তাঁর শেষ অ্যালবাম ‘ভাবদরিয়া’য়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে লেখা এ গানের কথা ও সুরের এমন এক আচ্ছন্নতা আছে, যা বিভিন্ন শিল্পী ও শ্রোতাকে আকৃষ্ট করে।

তাই ইউটিউব ঘাঁটলে এখন মো. ইব্রাহীমের লেখা ও গাওয়া গানটির অনেকগুলো কাভার ভার্সন পাওয়া যায়। নানান ঘরানার শিল্পীরা গানটি গেয়েছেন। পালাগান-বিচারগানের-বাউলগানের পেশাদার শিল্পীসহ এই প্রজন্মের তরুণরাও ইউকুলেলে বাজিয়ে গেয়েছেন এ গান।
তবে যিনি এই গান লিখেছিলেন এবং প্রথমে গেয়েছিলেন, সেই মো. ইব্রাহীম সম্পর্কে কতটা জানি আমরা?
গেল শতকের আশির দশক। বাংলা গানের আকাশে ভিন্ন এক গানের ধারা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন মো. ইব্রাহীম। স্বাধীনতার পর থেকেই গানের সঙ্গে গভীরভাবে তাঁর জড়িয়ে পড়া। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন নিজের আলাদা জগত। যেখানে বিচ্ছেদ, মরমি আর কাওয়ালি প্রাণ পায় তাঁর দরাজ কণ্ঠে।
মো. ইব্রাহীম প্রথম জনপ্রিয়তা পান আশির দশকে। তখন ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগ। ক্যাসেটে ক্যাসেটে বাজত তাঁর গান। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এই শিল্পীর গানগুলো নাগরিক মানুষের কাছে অতটা পরিচিতি না পেলেও গ্রাম-গঞ্জের অলিগলিতে নিয়মিতই শোনা যেত তাঁর গান। ক্যাসেট প্লেয়ার থেকে ভেসে আসত মোহমাখা বিষণ্ণ সুর। বিশেষত মফস্সলের ক্যাসেট বিক্রির দোকানগুলোতে সারি সারি সাজানো থাকত তাঁর অ্যালবাম।

সেই সময়কার শ্রোতারা এখনো গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন ইব্রাহীমের গান। তাঁর গানে আশা-নিরাশার পাশাপাশি পাওয়া যায় আধ্যাত্মিকতার এক অপূর্ব মিশেল। ইব্রাহীমের গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘কী আছে জীবনে আমার’, ‘কোনো একদিন আমায় তুমি খুঁজবে’, ‘তুমি কি কখনো জানতে চেয়েছ’ ইত্যাদি।
সংগীতবোদ্ধাদের মতে, মো. ইব্রাহীমের কণ্ঠের শক্তি ছিল একটু অন্য রকম, যা সরাসরি ছুঁয়ে যেত শ্রোতাদের হৃদয়। জীবদ্দশায় মোট ৪১টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন। বিচ্ছেদ আর মরমি গানের পাশাপাশি ইসলামি গানে তাঁর দখল ছিল দারুণ। এ শিল্পীর অ্যালবামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘কী আছে জীবনে আমার’, ‘মাটির দেহ যাবে পচে’, ‘ভাব দরিয়া’, ‘নিষ্ঠুর পৃথিবী’, ‘আর কান্দাইও না’, ‘সৃষ্টি রহস্য’, ‘কাওয়ালী’ প্রভৃতি।

শুধু একক অ্যালবামই নয়, সিনেমার গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন মো. ইব্রাহীম। জানা যায়, সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার শ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। বলা ভালো, অ্যালবামের বেশির ভাগ গানই শিল্পীর নিজের লেখা ও সুর করা। তবে অন্যদের লেখা ও সুরেও কিছু গান গেয়েছেন তিনি।
মো. ইব্রাহীম ছিলেন নিভৃতচারী শিল্পী। আলো-ঝলমলে তারকাখ্যাতির বাইরে দাঁড়িয়ে ভক্তদের মনের মণিকোঠায় তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন মরমি আর বিচ্ছেদি সুরের মোহমায়ায়।
২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন মো. ইব্রাহীম। আজও আমরা যখন তাঁর গানগুলো শুনি, হয়তো জানিও না যে জীবৎকালে কোন দুঃখের ভেলায় ভেসে বেড়িয়েছিলেন তিনি। গলা খুলে গেয়েছিলেন, ‘একটু দাঁড়াও দাঁড়াও ইয়া মুহাম্মদ তোমায় নয়ন ভরে আমি দেখব…’।
.png)

জীবনের অর্থ অনুসন্ধান চিন্তাশীল মানুষের একটি স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা। কেউ তা সন্ধান করতে পেরেছে, কেউ চেষ্টা করে গোটা জীবনই পার করেছে। আবার কেউ মাঝপথে হাল ছেড়ে দিয়েছে। জীবন আপাত মধুর হলেও নেতিবাচকতা তার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। এই নেতি বা শূন্যতার বোধ অবশ্য বাস্তবতা থেকেই আসে।
৪ ঘণ্টা আগে
মুক্তিযুদ্ধের একজন কিংবদন্তী সেক্টর কমান্ডার হয়েও ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই সামরিক আদালতে ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছিল তাঁকে। তিনি কর্নেল তাহের। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নিঃসঙ্কচিত্তের বীর, বিপ্লবী ও ট্র্যাজিক হিরো।
৮ ঘণ্টা আগে
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গতিপথ নির্ধারণী দিন। এ দিন সিপাহী-জনতার বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন। সেই সময়ে ৮ নভেম্বরের সংবাদপত্রের সব খবর ছিল তাঁকে ঘিরেই।
১৩ ঘণ্টা আগে
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গতিপথ নির্ধারণী দিন। এ দিন সিপাহী-জনতার বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন, নিহত হন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ। ঘটনাপ্রবাহের অন্যতম নায়ক কর্নেল আবু তাহেরের জন্য অপেক্ষা করছিল এক করুণ পরিণতি।
১৫ ঘণ্টা আগে