তিস্তা-তোর্সার উথালপাতাল ঢেউ যেমন এখানে আছে, তেমনই আছে মৈষাল (মহিষপালক), গাড়িয়াল (গাড়িচালক) বা মাহুতের দীর্ঘ প্রবাসে অপেক্ষায় থাকা একাকিত্ব। এই একাকিত্বের ভেতর থেকেই জন্ম নেয় ভাওয়াইয়ার সেইসব অনবদ্য সৃষ্টি, যা প্রেম, বিরহ এবং মানুষের গোপন আকাঙ্ক্ষার কথা বলে।
খাইরুল বাসারের গান ইউটিউবে শুনতে গিয়ে কমেন্টবক্সে চোখ পড়ল। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘খাইরুল বাসারের গানে আলাদা একটা পিনিক আছে।’ এই ‘পিনিক’ আসলে 'ক্যাচি' আর লিরিকে-টিউনে রেপিটেটিভ ফর্মের কারণে হুকলাইন মুখস্ত হয়ে যাওয়া। আর সঙ্গে বাংলা ঢোলের মাথাদোলানো সাউন্ডস্কেপ।
আমার প্রিয় গায়ক আসিফ একটা সাবধানী পোস্ট দিছেন ফেসবুকে। পোস্ট দেইখা আমি হাসতে হাসতে শেষ। দেইখা মনে হইলো, মুরুব্বি, মুরুব্বি উঁহু হু হু!
১৯৫০ সাল। মাত্র ২১ বছর বয়স তখন কিশোর কুমারের। বছর চারেক আগেই আভাস কুমার গাঙ্গুলী নাম পাল্টে হয়েছেন ‘কিশোর কুমার’। গায়ক হিসেবে তেমন পরিচিত নন তখনও। তাঁর দাদা অশোক কুমার সে সময় হিন্দি সিনেমার আইকনিক অভিনেতা। অশোকের ছোট ভাই হিসেবেই মানুষ তাঁকে চেনে।
সেই গান তাঁর আর গাওয়া হয়নি
হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের গান নিয়ে বলার মতো যোগ্যতা আমার নেই। তবে গেল তিরিশ বছরে বাংলাদেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি একজন অনন্য একজন শিল্পী।
শাফিন আহমেদের মৃত্যুর এক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলা গান এখনো তাঁকে হারানোর ব্যথা ভুলতে পারেনি। সংগীতপ্রেমীরা টের পাচ্ছেন তাঁর শূন্যতা। আজ আমরা ফিরে তাকাতে চাই ১৮ বছরের এক তরুণ শাফিন আহমেদের দিকে। কীভাবে তিনি ‘মাইলস’ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন—শুরুর সেই ঘটনা আজ মনে করতে চাই।
ওজি অসবোর্ন। যাঁকে আমরা চিনি হেভি মেটাল মিউজিকের ‘গডফাদার’ হিসেবে। কিন্তু ওজির শুরুটা ছিল অনেক সাধারণ, অনেক কষ্টের। আসল নাম জন মাইকেল অসবোর্ন। জন্ম ১৯৪৮ সালের ৩ ডিসেম্বর, ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের অ্যাস্টনে।
বুধবার রাতে (১৬ জুলাই) ম্যাসাচুসেটসের জিলেট স্টেডিয়ামে কনসার্ট চলাকালে ক্যামেরা ঘুরিয়ে দর্শকদের দিকে নজর দিচ্ছিল আয়োজকেরা। সেখানে হঠাৎ সহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাস্ট্রোনোমার’ সিইও অ্যান্ডি বায়রনকে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই। ঢাকার রাস্তায় শিক্ষার্থীদের ওপর চলছিল পুলিশি দমন। সেদিনই রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ। আর ঠিক এমন সময় ইউটিউবে এসে হাজির হয় একটা গান—‘কথা ক’। নারায়ণগঞ্জের তরুণ র্যাপার সেজান যেন গলা ফাটিয়ে একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন—‘কথা ক, দেশটা বলে স্বাধীন, তাইলে খ্যাচটা কই রে?’
বাংলার ফোকলোরের প্রবাদ, লোককাহিনি, ঘেটুগান, ভূতের গল্প—আবারও ফিরে এসেছে ডিজিটাল মাধ্যমে। ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়েব সিরিজ আর কার্টুনে ভেসে বেড়াচ্ছে শিকড়ের গল্পগুলো। নতুন প্রজন্মকে শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত রাখছে এই ডিজিটাল মাধ্যমে ফোকলরের আবার ফিরে আসা।
আজ ১১ মে বব মার্লের মৃত্যুবার্ষিকী। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ক্যানসারের কাছে হার মেনে মারা যান তিনি। তিনি ছিলেন বঞ্চিতদের কণ্ঠস্বর, জ্যামাইকান আত্মপরিচয়ের প্রতীক ও রেগে সংগীতের জাগরণের দূত। 'নো ওম্যান, নো ক্রাই' তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় গান। কিন্তু এই গানটি অনেক সময় শ্রোতারা ভুলভাবে বুঝেছেন। এই গান তৈরির
শতাব্দীকা ঊর্মি অনেক মানুষ জন্মান, বেঁচে থাকেন এবং হারিয়ে যান। কেউ কেউ থেকে যান বইয়ের পাতায়, কেউ মনের ভেতর। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ঠিক শেষ দলটার মানুষ। তিনি গান লিখতেন। নাটক লিখতেন। রাজনীতি করতেন। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিচয়- তিনি ছিলেন একজন স্বপ্নবান মানুষ। তীব্রভাবে দেশপ্রেমিক