স্ট্রিম ডেস্ক
চিন্তাবিদ ও দার্শনিক ইবনে খালদুনের জন্মদিন আজ ২৭ মে । চাকরি ও সমাজ নিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু ধারণা রেখে গেছেন তিনি। দক্ষ কর্মী খুঁজে পাওয়া নিয়ে এই মনীষীর ছিল কিছু বিচিত্র চিন্তা। বিস্তারিত লিখেছেন শতাব্দীকা ঊর্মি
ইবনে খালদুনের দৃষ্টিকোণ থেকে চাকরিজীবী ও চাকরিদাতার সম্পর্ক এবং চাকরির ক্ষেত্রে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বেশ গভীর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। ১৩৭৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত বই ‘আল-মুকাদ্দিমা’য় তিনি এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর মতে, চাকরি শুধু জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম নয়, বরং রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চাকরিজীবীরা রাষ্ট্রের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে শাসক এবং সমাজের মধ্যে এক ধরণের সেতুবন্ধন তৈরি করেন। ইবনে খালদুন চাকরিজীবীদের দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন—উচ্চ পর্যায়ের এবং নিম্ন পর্যায়ের চাকরিজীবী।
কর্মক্ষমতার রকমফের
ইবনে খালদুন কর্মক্ষমদের চার ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম শ্রেণির ব্যক্তিরা উচ্চ দক্ষতা এবং বিশ্বস্ততার অধিকারী। এই ধরনের ব্যক্তিদের মাধ্যমে কাজ সফল হতে পারে, কিন্তু তাদের কাজ করানোর প্রক্রিয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কম রাখে এবং বেশি বেতন চায়।
দ্বিতীয় শ্রেণির ব্যক্তিরা হলো এমন কর্মী যার কোনোটিই নেই—দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা উভয়ই তাদের মধ্যে অনুপস্থিত থাকে। এরা মালিক ও নিজেদের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।
যে চাকরিজীবীরা কাজের চেয়ে বেতন বেশি চান
ইবনে খালদুন উচ্চ পর্যায়ের চাকরিজীবীদের এমন ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন যারা শাসকের ক্ষমতার উৎস এবং শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতার অধিকারী। এরা সবসময় শাসক বা ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় থাকে। এরা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে। তবে এসব ব্যক্তিরা কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শাসন বা দায়িত্ব গ্রহণে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ তারা অধিকাংশ সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নয় এবং তারা প্রভাবশালী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাদের আস্থার সঙ্গে কাজ করা কঠিন, কারণ তারা কর্মের জন্য বেশি বেতন চায়।
যে চাকরিজীবীরা অদক্ষ হলেও প্রয়োজনীয়
নিম্ন পর্যায়ের চাকরিজীবীদের প্রয়োজন পড়ে যখন ক্ষমতাসীনরা তাদের প্রাচুর্য এবং ক্ষমতার অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে দক্ষতার অভাবে ভোগে। তারা সাধারণত সহজ ও নিন্মমানের কাজ করার জন্য উপযুক্ত এবং এসব কাজের জন্য তারা নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে। ইবনে খালদুন বলেন, এই ধরনের চাকরিজীবীদের অদক্ষতা এবং কর্মক্ষেত্রে মূল্যায়ন কম থাকলেও, তারা সহজ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।
আরও দুই ধরনের কর্মী
ইবনে খালদুন বলেন, যদি কর্মী দক্ষ হয় কিন্তু বিশ্বস্ত না হয়, তবুও তাকে নিয়োগ করা উচিত, কারণ তার দক্ষতা কাজে লাগানোর সম্ভাবনা বেশি। তবে তার প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন যাতে সে নিজের স্বভাবের কারণে কোনো ক্ষতি না করে। অপরদিকে, যদি কর্মী বিশ্বস্ত হয় কিন্তু অদক্ষ হয়, তবে তার দ্বারা কাজের অনেক ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং, এই ধরনের কর্মী নিয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ইবনে খালদুনের মতে, চাকরির ক্ষেত্রে সফল নির্বাচন এবং নির্ভরযোগ্য কর্মী খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। শাসক বা মালিকের জন্য সঠিক কর্মী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কর্মীদের দক্ষতা এবং বিশ্বস্ততার মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। বিশ্বস্ত, দক্ষ এবং সঠিক কর্মী নির্বাচন যেকোনো কর্মক্ষেত্রের সফলতা এবং উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয়।
চিন্তাবিদ ও দার্শনিক ইবনে খালদুনের জন্মদিন আজ ২৭ মে । চাকরি ও সমাজ নিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু ধারণা রেখে গেছেন তিনি। দক্ষ কর্মী খুঁজে পাওয়া নিয়ে এই মনীষীর ছিল কিছু বিচিত্র চিন্তা। বিস্তারিত লিখেছেন শতাব্দীকা ঊর্মি
ইবনে খালদুনের দৃষ্টিকোণ থেকে চাকরিজীবী ও চাকরিদাতার সম্পর্ক এবং চাকরির ক্ষেত্রে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বেশ গভীর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। ১৩৭৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত বই ‘আল-মুকাদ্দিমা’য় তিনি এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর মতে, চাকরি শুধু জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম নয়, বরং রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চাকরিজীবীরা রাষ্ট্রের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে শাসক এবং সমাজের মধ্যে এক ধরণের সেতুবন্ধন তৈরি করেন। ইবনে খালদুন চাকরিজীবীদের দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন—উচ্চ পর্যায়ের এবং নিম্ন পর্যায়ের চাকরিজীবী।
কর্মক্ষমতার রকমফের
ইবনে খালদুন কর্মক্ষমদের চার ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম শ্রেণির ব্যক্তিরা উচ্চ দক্ষতা এবং বিশ্বস্ততার অধিকারী। এই ধরনের ব্যক্তিদের মাধ্যমে কাজ সফল হতে পারে, কিন্তু তাদের কাজ করানোর প্রক্রিয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কম রাখে এবং বেশি বেতন চায়।
দ্বিতীয় শ্রেণির ব্যক্তিরা হলো এমন কর্মী যার কোনোটিই নেই—দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা উভয়ই তাদের মধ্যে অনুপস্থিত থাকে। এরা মালিক ও নিজেদের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।
যে চাকরিজীবীরা কাজের চেয়ে বেতন বেশি চান
ইবনে খালদুন উচ্চ পর্যায়ের চাকরিজীবীদের এমন ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন যারা শাসকের ক্ষমতার উৎস এবং শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতার অধিকারী। এরা সবসময় শাসক বা ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় থাকে। এরা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করে। তবে এসব ব্যক্তিরা কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শাসন বা দায়িত্ব গ্রহণে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। কারণ তারা অধিকাংশ সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নয় এবং তারা প্রভাবশালী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাদের আস্থার সঙ্গে কাজ করা কঠিন, কারণ তারা কর্মের জন্য বেশি বেতন চায়।
যে চাকরিজীবীরা অদক্ষ হলেও প্রয়োজনীয়
নিম্ন পর্যায়ের চাকরিজীবীদের প্রয়োজন পড়ে যখন ক্ষমতাসীনরা তাদের প্রাচুর্য এবং ক্ষমতার অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে দক্ষতার অভাবে ভোগে। তারা সাধারণত সহজ ও নিন্মমানের কাজ করার জন্য উপযুক্ত এবং এসব কাজের জন্য তারা নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে। ইবনে খালদুন বলেন, এই ধরনের চাকরিজীবীদের অদক্ষতা এবং কর্মক্ষেত্রে মূল্যায়ন কম থাকলেও, তারা সহজ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।
আরও দুই ধরনের কর্মী
ইবনে খালদুন বলেন, যদি কর্মী দক্ষ হয় কিন্তু বিশ্বস্ত না হয়, তবুও তাকে নিয়োগ করা উচিত, কারণ তার দক্ষতা কাজে লাগানোর সম্ভাবনা বেশি। তবে তার প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন যাতে সে নিজের স্বভাবের কারণে কোনো ক্ষতি না করে। অপরদিকে, যদি কর্মী বিশ্বস্ত হয় কিন্তু অদক্ষ হয়, তবে তার দ্বারা কাজের অনেক ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং, এই ধরনের কর্মী নিয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ইবনে খালদুনের মতে, চাকরির ক্ষেত্রে সফল নির্বাচন এবং নির্ভরযোগ্য কর্মী খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। শাসক বা মালিকের জন্য সঠিক কর্মী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কর্মীদের দক্ষতা এবং বিশ্বস্ততার মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। বিশ্বস্ত, দক্ষ এবং সঠিক কর্মী নির্বাচন যেকোনো কর্মক্ষেত্রের সফলতা এবং উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয়।
যা লিখলাম, যা ভাবছি, যা লিখতে চাই, তা আমার বড় নিজস্ব কথা। কারণ, সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে নিয়ে আমার যে শোক, তা আমার একান্তই পারিবারিক, ব্যক্তিগত।
৯ ঘণ্টা আগেলাজলো ক্রাসনাহোরকাই ১৯৫৪ সালে হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন। অন্য কোথাও যেতে না পারার সময় দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু চিহ্নিত করা যায় (গোয়েন্দা পুলিশ তাঁর পাসপোর্ট জব্দ করেছিল); এবং তাঁর উপন্যাস, যেমন সেইটানটাঙ্গো ও দ্য মেলানকোলি অব রেজিস্ট্যান্স-এ প্রায় অসহনীয় শ্বাসরুদ্ধকর অনুভূতি খুঁজে পাওয়া যায়।
১৩ ঘণ্টা আগেআজ চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের মৃত্যুদিন। বাংলার গ্রামীণ কৃষিজীবি সম্প্রদায়কে অন্যরূপে চিত্রিত করেছেন তিনি। কৃষককে এই রূপে চিত্রিত করার পেছনে কী ছিল তাঁর ভাবনা?
১৬ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর ইতিহাসে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের মৃত্যু তাঁদের অস্তিত্বকে মুছে দেয় না, বরং আরও জীবন্ত করে তোলে, আরও প্রেরণার উৎসে পরিণত করে। চে গুয়েভারা ঠিক তেমনই এক নাম।
১ দিন আগে