leadT1ad

কে এই ফ্রানচেসকা আলবানিজ, কেন আমেরিকা তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কয়েকজন সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ফ্রানচেসকা আলবানিজ। অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ৯ জুলাই ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মানবাধিকারকর্মীরা এই মার্কিন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৫: ১৩
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৫: ৫২
ফ্রানচেসকা আলবানিজ। স্ট্রিম গ্রাফিক্স

গত বুধবার বিবৃতি দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রানচেসকা আলবানিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আলবানিজ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালাচ্ছেন।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আলবানিজের প্রতিবেদন দেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা নিয়ে আলবানিজের প্রতিবেদনে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে, যেগুলো ফিলিস্তিনের জনগণকে বাস্তুচ্যুত করা এবং গাজায় চলমান গণহত্যায় ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। তাদের এ কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।

নিষেধাজ্ঞার ফলে কী হবে

নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ফ্রানচেসকা আলবানিজের সব সম্পদ জব্দ করা হবে। একই সঙ্গে ইতালির এই মানবাধিকার আইনজীবী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে আর প্রবেশ করতে পারবেন না।

কে ফ্রানচেসকা আলবানিজ

১৯৭৭ সালে ইতালির আরিয়ানো ইরপিনোতে জন্ম নেওয়া আলবানিজ একজন মানবাধিকার আইনজীবী। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার নিয়ে দুই দশকেরও বেশি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। আলবানিজ ইতালির ইউনিভার্সিটি অব পিসা থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আর লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (সোয়াস) থেকে মানবাধিকার আইনে স্নাতকোত্তর করেছেন।

Explainer Home Page (8) (2)

৪৮ বছর বয়সী এই নারী ওয়াশিংটনের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশনের একজন অ্যাফিলিয়েট স্কলার। বেথেলহেম, বিরজেইট, স্যালেন্টোসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অনাবাসিক অধ্যাপক হিসেবে ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ফিলিস্তিনিদের প্রতি মানবিক, আইনি ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া’ বিষয়ে কোর্সও পড়ান।

আন্তর্জাতিক আইন ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূতি নিয়ে তিনি আরব ও ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিষয়ে অনেক সম্মেলন এবং উন্মুক্ত অনুষ্ঠানেও তাঁকে বক্তৃতা করতে দেখা যায়। চলতি বছরের মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে আলবানিজ বলেছিলেন, তিনি আইনশাস্ত্র অধ্যয়ন করেছেন। তবে তাঁর প্রধান আগ্রহ মানবাধিকারের প্রতি। এ কারণে তিনি ইতালিতে আইন অনুশীলন করতে চাননি।

আলবানিজ তাঁর কর্মজীবনে জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মরক্কোতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে কাজ করেছেন দুই বছর। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার অফিসে মানবাধিকার কর্মকর্তা হিসেবে চার বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইনে (ইউএনআরডব্লিউএ) আইন কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

a;b 3

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের আইনি পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা রয়েছে আলবানিজের। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত ‘প্যালেস্টাইনিয়ান রিফিউজিজ ইন ইন্টারন্যাশনাল ল’ (২০২০) এবং ‘জে’অ্যাকিউস’ (২০২৪) বইয়ের সহলেখক তিনি। জাতিসংঘের বাইরে, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংগঠন ‘আরব রেনেসাঁস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর পক্ষে অভিবাসন এবং আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর গবেষণা ও আইনি সহায়তা দেন ফ্রানচেসকা আলবানিজ। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিতদের সংগঠন ‘গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অন দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন’-এর তিনি সহপ্রতিষ্ঠাতা।

২০২২ সালের ১ মে অধিকৃত ফিলিস্তিনে মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে তাঁকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেয় জাতিসংঘ। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর আরও তিন বছরের জন্য তাঁকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পদে কোনো নারী হিসেবে তিনিই প্রথম দায়িত্ব পালন করছেন।

ফ্রানচেসকা আলবানিজের ওপর পশ্চিমারা নাখোশ যে কারণে

দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি আইনি মতামত ও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন ফ্রানচেসকা আলবানিজ। এর মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনে আত্মনিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা নিয়ে ব্যাপক বঞ্চনা, ফিলিস্তিনি শিশুদের শৈশব ধ্বংস এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার ওপর দুটি প্রকাশনা। সঙ্গত কারণেই তাঁর এসব মতামত ও প্রতিবেদন ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের বেশ নাখোশ করেছে।

গত বছরের মার্চ মাসে ফ্রানচেসকা আলবানিজ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এতে তিনি গাজায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড গণহত্যার সমান বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। আলবানিজ গণহত্যা, বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস এবং ছিটমহলে ফিলিস্তিনিদের শারীরিক ধ্বংসের দিকে পরিচালিত করতে পারে এমন পরিস্থিতি তৈরির কথা উল্লেখ করেন।

ইসরায়েলের দখলদারত্বের অর্থনীতি থেকে গণহত্যার অর্থনীতি

  • গত ৩০ জুন আলবানিজ ৬০টিরও বেশি কোম্পানির নাম উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন লেখেন। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা নিয়ে আলবানিজের এ প্রতিবেদনে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো ফিলিস্তিনের জনগণকে বাস্তুচ্যুত করা ও গাজায় চলমান গণহত্যায় ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কীভাবে তাদের এ কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। এসব কোম্পানির মধ্যে গুগল, অ্যামাজন ও মাইক্রোসফ্টের মতো প্রধান মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলের দখলদারত্বের অর্থনীতিকে গণহত্যার অর্থনীতিতে রূপান্তর করার সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এবং জাতীয় বিচার ব্যবস্থাকে (ন্যাশনাল জুডিশিয়াল সিস্টেম) এসব কোম্পানি ও তাঁদের কর্পোরেট নির্বাহীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার পরিচালনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং সম্পদ জব্দ করারও আহ্বান করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রতিবেদনটিকে আলবানিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রুবিও আলবানিজকে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ‘হুমকিপূর্ণ চিঠি’ (থ্রেটেনিং লেটারস) লেখার অভিযোগ এনেছেন। তাঁর মতে, ফ্রানচেসকা আলবানিজ ‘চরম ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।’ ফলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য হলো, ‘আমরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের এই প্রচারণা সহ্য করব না, যা আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

মার্কো রুবিও আইসিসির সঙ্গে আলবানিজের জড়িত থাকার এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সুপারিশের কথাও উল্লেখ করেছেন।

গত মাসে মার্কিন সরকার ইসরায়েলি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং আফগানিস্তানে সংঘটিত মার্কিন অপরাধ তদন্তে ভূমিকা রাখার জন্য আইসিসির চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়া গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে একটি চিঠি লিখে আলবেনিজকে তাঁর পদ থেকে অপসারণের আহ্বান জানিয়েছে।

  • রুবিও জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে ‘নির্লজ্জভাবে ইহুদি-বিদ্বেষ, সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের প্রতি প্রকাশ্য অবজ্ঞা’ করার অভিযোগ এনেছেন। তবে আলবানিজ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে, ‘মিডল ইস্ট আই’-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রুবিও গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ থেকে লাভবান হওয়ার জন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

এ সময় রুবিও বলেন, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত একটি অভিজাততন্ত্র রয়েছে, যারা জেনোসাইড থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি আইনি কাঠামো রয়েছে, যা শতভাগ স্পষ্ট করে দেয় যে দখলদারত্বের সঙ্গে যেকোনো সম্পৃক্ততা বেআইনি। গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র বা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে।’

ফ্রানচেসকা আলবানিজ ও মানবাধিকারকর্মীদের প্রতিক্রিয়া

নিষেধাজ্ঞা জারির পরপরই প্রতিক্রিয়া জানতে আলবানিজের সঙ্গে যোগাযোগ করে আল-জাজিরা। মুঠোফোনে পাঠানো বার্তায় আলবানিজ জানান, তিনি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি না। তিনি এ-ও লেখেন, ‘মাফিয়া স্টাইলে ভয়ভীতি প্রদর্শনের কৌশল নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এখন রাষ্ট্রগুলোকে গণহত্যা বন্ধ করা ও এটির সংগঠকদের শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।’

যেদিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, সেদিনই এক বিবৃতিতে আলবানিজ অভিযোগ করেছিলেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেছেন। কিন্তু এরপরও ইউরোপের দেশগুলো নেতানিয়াহুকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে সহায়তা করছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে ফ্রানচেসকা আলবানিজ লিখেছেন, ‘ইতালি, ফ্রান্স ও গ্রিসের নাগরিকদের এটা জানা উচিত যে আন্তর্জাতিক আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করে নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ তাদের সবাইকে ঝুঁকিতে ফেলে ও দুর্বল করে। আমাদের সবাইকেও এটি ঝুঁকিতে ফেলে ও দুর্বল করে।’

alb1

ফ্রানচেসকা আলবানিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কঠোর সমালোচনা করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির প্রধান নানসি ওকাইল বলেছেন, জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা মনে করিয়ে দিচ্ছি, বিশেষ প্রতিবেদনকারীরা স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞ। তাঁরা সরকারকে খুশি করতে নিযুক্ত হন না; বরং তাঁরা নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত হন।’

ক্যালামার্ড এ-ও বলেন, আলবানিজ আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে ইসরায়েলের বেআইনি দখলদারত্ব, বর্ণবৈষম্য ও গণহত্যা নথিবদ্ধ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিশ্বের সব দেশের উচিত তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ঠেকাতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়া এবং বিশেষজ্ঞদের কাজ ও স্বাধীনতা রক্ষা করা।

সূত্র: আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, মিডল ইস্ট মনিটর

Ad 300x250

সম্পর্কিত