leadT1ad

সংশোধিত আরপিও বৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের

জোটে থাকলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকেই

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪৪
হাইকোর্ট ভবন। ছবি: বাসস

জোটের শরিক দলের প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নিলেও শরিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকেই ভোট করতে হবে।

আরপিওর ওই বিধি নিয়ে রিট খারিজ করে আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ রায় দেন বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেশাদ ইমাম, সাহেদুল আজম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে শুনানিতে এনসিপির আইনজীবী জহুরুল ইসলাম মূসাসহ অন্যরা রুলের বিরোধিতা করেন।

এর আগে জোটবদ্ধ নির্বাচনে শরিকদের প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ বন্ধের বিধান চ্যালেঞ্জ করে গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেছিলেন ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। রুলে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। আজ সেই রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে রায় দিলেন আদালত।

বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতিতে দীর্ঘদিন ধরে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে শরিক দলগুলোর বড় দলের প্রতীক ব্যবহারের রেওয়াজ ছিল। কিন্তু গত ৩ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করে। নতুন এই বিধানে বলা হয়, নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও তাদের ভোট করতে হবে নিজ নিজ দলের প্রতীকে।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল।

বিএনপি শুরু থেকেই জোটবদ্ধ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বাধ্যবাধকতা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে তাদের আপত্তির কথা জানায়। এ ছাড়া জোটভুক্ত হতে আগ্রহী কিছু ছোট দলের মধ্যেও সরকারের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল।

উল্লেখ্য, মাঝখানে সরকার এই বিষয়টি বাদ দিতে পারে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে জামায়াতে ইসলামী ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায়। শেষ পর্যন্ত ওই বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং আজ হাইকোর্টের রায়েও তা বহাল থাকল।

Ad 300x250

সম্পর্কিত