তুফায়েল আহমদ
চলতি বছরের আগস্টে ভারত সফলভাবে তার অগ্নি-৫ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইআরবিএম) পরীক্ষা চালায়। নিখাদ জ্বালানি (সলিড ফুয়েল) চালিত তিন স্তরের এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি। এ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভারত তার পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এছাড়াও অগ্নি-৫ এর সংস্করণের মাধ্যমে মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকেল (এমআইআরভি) তৈরি করা এবং এর পাল্লা ৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অবধি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
অগ্নি-৫-এর মাধ্যমে ভারত চীনের মূল ভূখণ্ডের বেইজিং ও সাংহাইয়ের মতো প্রধান শহরগুলোতেও অস্ত্রবাহী পারমাণবিকে আঘাত হানতে সক্ষম। এ ধরনের সক্ষমতা চীনের পারমাণবিক ও প্রচলিত সামরিক হিসাব–নিকাশে মৌলিক পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে। তার ওপর, একটি ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম অর্থাৎ এমআইআরভি-এর উন্নয়নের মাধ্যমে ভারতের অস্ত্রাগারে নতুন শক্তি যোগ হতে যাচ্ছে।
সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনার ঠিক আগেই এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, ভারতের উদ্দেশ্য কেবল সক্ষমতারই নয়, কৌশলগত অভিপ্রায়েরও ইঙ্গিত দেওয়া।
এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি বেইজিং ও ইসলামাবাদের কূটনীতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ–আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এখন মূল প্রশ্ন হলো ভারতের এই বাড়তি সক্ষমতা আসলে ক্ষমতার ভারসাম্য কতটা বদলাবে এবং ভারতের প্রধান কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও পাকিস্তান এই নতুন বাস্তবতাকে কীভাবে দেখছে।
ভারতের অগ্নি–৫ পরীক্ষা একাধিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এর প্রভাব তাৎক্ষণিক নয়, বরং ধাপে ধাপে স্পষ্ট হবে। এই পরীক্ষা ভারতের দীর্ঘপাল্লার প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হওয়ারই প্রমাণ দিচ্ছে। অগ্নি–৫-এর মাধ্যমে ভারত চীনের গভীর অঞ্চলে, এমনকি পূর্ব উপকূল পর্যন্ত এবং পাকিস্তানের সর্বত্র আঘাত হানতে সক্ষম। অগ্নি-৫ অন্যদেশের কমান্ড ও কন্ট্রোল নোড এবং ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ও পারমাণবিক সম্পদে হামলার হুমকি বাড়াবে।
যদিও ভারতের অস্ত্রভান্ডারের সংখ্যা এখনো চীনের তুলনায় অনেক কম। তবে প্রযুক্তিগত দক্ষতায় ভারত ক্রমশ এগোচ্ছে। এমআইআরভির মতো সক্ষমতা কৌশলগত বিকল্প বাড়াবে এবং সংখ্যাগত ঘাটতি কিছুটা পুষিয়ে দেবে।
এই পরীক্ষা রাতারাতি কৌশলগত বাস্তবতাকে পাল্টে দেবে না। বেশি ওয়ারহেডের (পারমাণবিক উপাদান সমৃদ্ধ) মজুদ, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর জন্য উন্নততর পরিকাঠামো, প্রতিষ্ঠিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য বৃহত্তর সম্পদ চীনকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। তার ওপর ‘প্রথমে ব্যবহার না করা’ (নো-ফার্স্ট-ইউজ) নীতি এবং ভৌগোলিক বাস্তবতা ভারতের প্রতিরোধ সক্ষমতাকে কার্যকরভাবে প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। তবে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দুই দেশকেই অস্ত্রের পেছনে আরও ব্যয়বহুল বিনিয়োগে ঠেলে দিতে পারে এবং অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ভারতের অগ্নি–৫ পরীক্ষা তার প্রতিরোধ অবস্থানকে; বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে আরও মজবুত করে। এই বার্তাও দেয় যে নয়াদিল্লি কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চায়।
চীনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ও বিশ্লেষণ মতে, ভারতের অগ্নি-৫ পরীক্ষা ও এমআইআরভি-সক্ষমতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে চীন, তবে অনেক ক্ষেত্রেই কম গুরুত্ব দেখানো হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, এই ‘কম গুরুত্ব’ দেওয়াটা আসলে চীনের কৌশলগত অবস্থান। চীন ঠিকই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে, তবে প্রকাশ্যে দেখাচ্ছে তারা চিন্তিত নয়।
চীনের সরকারি প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে সংযত। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বশেষ অগ্নি-৫ পরীক্ষার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজউইকের বিশ্লেষণ মতে, প্রকাশ্যে তীব্র নিন্দা না করার পেছনে চীনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আছে। চলমান সীমান্ত আলোচনা ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে চীন ভারতের সঙ্গে কোনো প্রকার উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।
সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক-পাল্টাশুল্কের ঘটনায় চীন ও ভারত প্রায় একই অবস্থানে। চীন এই সময় কোনো উগ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে পরিস্থিতিকে আরও প্রতিকূল করতে চায় না। তাছাড়া চীন দীর্ঘকাল ধরে এই অঞ্চলে প্রভাবশালী পারমাণবিক শক্তি হওয়ায় কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছে।
তবে চীনের বিশেষজ্ঞ ও থিঙ্ক-ট্যাঙ্কগুলোর বিশ্লেষণে ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে। এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের এমআইআরভি সক্ষমতা চীনের অনেক অঞ্চলকেই সাময়িক বিপদে ফেলে দিতে পারে। ফলে প্রতিরক্ষার জন্য চীনকে নিজের আর্লি ওয়ার্নিং, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ও দ্বিতীয় আঘাত (বিশেষত সাবমেরিন-ভিত্তিক প্রতিরোধ) জোরদার করতে হতে পারে।
কৌশলগতভাবে চীন ভারতকে ‘সমপর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী’ নয়, বরং ‘আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জার’ হিসেবে দেখতে চায়। ভারতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে কূটনীতির মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তার। চীনের বিশাল পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার (আনুমানিক ৬০০ ওয়ারহেড) এখনও ভারতের চেয়ে প্রায় তিন বা ততোধিক গুণ বেশি। যতক্ষণ পর্যন্ত চীন তার ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং কৌশলগত মতবাদের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে পারবে, ততক্ষণ ভারতের পরীক্ষাকে অস্তিত্বের সংকট হিসেবে দেখার সম্ভাবনা কম।
তা সত্ত্বেও, ভারতের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্ভবত চীনকে তার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা, সুরক্ষিত কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল এবং কৌশলগত শক্তির আধুনিকীকরণে আরও বেশি মনোযোগ দিতে চাপ দেবে। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কেও চীনের হিসাব-নিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে চীন সংযত থাকলেও ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান সে পথে হাঁটেনি।
সরকারি বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অগ্নি–৫ পরীক্ষার নিন্দা জানায়, একে ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। পাকিস্তান এ পরীক্ষাকে ভারতের অস্ত্র সঞ্চয়ের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বর্ণনা করে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি।
দ্য ইকোনমিকস টাইমসের প্রতিবেদন মতে, পাকিস্তানি ভাষ্যকার এবং কৌশলগত বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি—বিশেষ করে এমআইআরভি, দীর্ঘ পাল্লা এবং আরও উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্ল্যাটফর্ম পাকিস্তানের প্রতিরোধ সক্ষমতাকে হ্রাস করতে পারে।
ভারতের সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের বিপরীতে পাকিস্তান ঐতিহাসিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি ও পারমাণবিক অস্ত্রের মিশ্রণের ওপর নির্ভর করে এসেছে। ভারতের এই উন্নতি পাকিস্তানকে তার নিজস্ব কৌশলগত শক্তি, পাল্টা আক্রমণের সক্ষমতা বা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও বেশি বিনিয়োগ করতে বাধ্য করতে পারে।
এর পাশাপাশি পাকিস্তান অভিযোগ করছে, আন্তর্জাতিক রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুব কম যাচাই-বাছাই বা প্রতিরোধের মাধ্যমে ভারতকে এ ধরনের সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করছে।
এশিয়ান টাইমসের প্রতিবেদন মতে, অগ্নি-৫ পরীক্ষার জবাবে পাকিস্তান হয়ত এমআইআরভি–সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন, উন্নত ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম, বাড়তি প্রস্তুতিমূলক অবস্থা তৈরির গতি বাড়াবে।
ভারতের অগ্নি–৫ পরীক্ষা একাধিক কৌশলগত প্রশ্ন উত্থাপন করে, যা নির্ধারণ করবে ক্ষমতার ভারসাম্য আদৌ পাল্টাবে কি না।
একটি প্রশ্ন হলো নীতি ও ঘোষিত অবস্থান। ভারত নো-ফার্স্ট-ইউজ (এনএফইউ) নীতি অর্থাৎ, কোনো দেশ আগে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না, শুধু তখনই ব্যবহার করবে যখন শত্রু তার ওপর পারমাণবিক হামলা চালাবে, এই নীতি মেনে চলে। একইসঙ্গে ভারত ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধের কথা বলে। অর্থাৎ, অল্প কিন্তু যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র রাখা, যাতে শত্রু ভয় পায় এবং আক্রমণ করার সাহস না করে।
তবে অগ্নি-৫-এর পাল্লা, এমআইআরভির সক্ষমতা এই নীতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা প্রশ্নের জন্ম দেয়। ইতিমধ্যেই কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা জরুরি পরিস্থিতিতে এনএফইউ নিয়ে নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরেকটি বিষয় হলো অস্ত্র প্রতিযোগিতা বা নিরাপত্তায় উভয়সংকটের পরিস্থিতি। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন পাকিস্তান পাল্টা ব্যবস্থা নিতে চাপ অনুভব করতে পারে এবং চীন তার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা জোরদার বা অস্ত্রভান্ডার বাড়ানোর প্রয়োজন বোধ করতে পারে। এতে ব্যয় বাড়ে, ভুল হিসাবের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি সীমান্ত বিতর্ক, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সংঘর্ষের ইতিহাসে জর্জরিত এই অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র প্রশ্ন নতুন মাত্রা যোগ করে।
সবশেষে আন্তর্জাতিক চাপ ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটও গুরুত্বপূর্ণ। পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে বটে, কিন্তু উন্নত সক্ষমতা অর্জন আন্তর্জাতিক মহলে বাড়তি নজর কাড়ে। ভারতকে তাই বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও কূটনৈতিক চাপ সামলাতে হবে।
পাকিস্তান হয়তো সরাসরি এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলবে, আর চীন প্রকাশ্যে উত্তেজনা না বাড়িয়ে পেছন থেকে নীরবে কলকাঠি নাড়বে।
অগ্নি-৫-এর পরীক্ষা আঞ্চলিক ভারসাম্যকে ‘বদলে দেবে’ কি না, তা কেবল প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে না। বরং ভারত কীভাবে এই সক্ষমতা মোতায়েন ও রক্ষা করে, প্রতিদ্বন্দ্বীরা সীমা কোথায় টানে এবং সংকটকালে কীভাবে পরিচালনা করে তার ওপর নির্ভর করে। ভারত যদি দায়িত্বশীল আচরণ করে তবে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা সম্ভব; অন্যথায় ভুল হিসাবের ঝুঁকি বাড়বে।
তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস. নিউজউইক, এশিয়া টাইমস, বুলেটিন অব দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস, আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন।
চলতি বছরের আগস্টে ভারত সফলভাবে তার অগ্নি-৫ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইআরবিএম) পরীক্ষা চালায়। নিখাদ জ্বালানি (সলিড ফুয়েল) চালিত তিন স্তরের এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি। এ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভারত তার পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এছাড়াও অগ্নি-৫ এর সংস্করণের মাধ্যমে মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকেল (এমআইআরভি) তৈরি করা এবং এর পাল্লা ৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অবধি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
অগ্নি-৫-এর মাধ্যমে ভারত চীনের মূল ভূখণ্ডের বেইজিং ও সাংহাইয়ের মতো প্রধান শহরগুলোতেও অস্ত্রবাহী পারমাণবিকে আঘাত হানতে সক্ষম। এ ধরনের সক্ষমতা চীনের পারমাণবিক ও প্রচলিত সামরিক হিসাব–নিকাশে মৌলিক পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে। তার ওপর, একটি ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম অর্থাৎ এমআইআরভি-এর উন্নয়নের মাধ্যমে ভারতের অস্ত্রাগারে নতুন শক্তি যোগ হতে যাচ্ছে।
সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনার ঠিক আগেই এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, ভারতের উদ্দেশ্য কেবল সক্ষমতারই নয়, কৌশলগত অভিপ্রায়েরও ইঙ্গিত দেওয়া।
এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি বেইজিং ও ইসলামাবাদের কূটনীতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ–আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এখন মূল প্রশ্ন হলো ভারতের এই বাড়তি সক্ষমতা আসলে ক্ষমতার ভারসাম্য কতটা বদলাবে এবং ভারতের প্রধান কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও পাকিস্তান এই নতুন বাস্তবতাকে কীভাবে দেখছে।
ভারতের অগ্নি–৫ পরীক্ষা একাধিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এর প্রভাব তাৎক্ষণিক নয়, বরং ধাপে ধাপে স্পষ্ট হবে। এই পরীক্ষা ভারতের দীর্ঘপাল্লার প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হওয়ারই প্রমাণ দিচ্ছে। অগ্নি–৫-এর মাধ্যমে ভারত চীনের গভীর অঞ্চলে, এমনকি পূর্ব উপকূল পর্যন্ত এবং পাকিস্তানের সর্বত্র আঘাত হানতে সক্ষম। অগ্নি-৫ অন্যদেশের কমান্ড ও কন্ট্রোল নোড এবং ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ও পারমাণবিক সম্পদে হামলার হুমকি বাড়াবে।
যদিও ভারতের অস্ত্রভান্ডারের সংখ্যা এখনো চীনের তুলনায় অনেক কম। তবে প্রযুক্তিগত দক্ষতায় ভারত ক্রমশ এগোচ্ছে। এমআইআরভির মতো সক্ষমতা কৌশলগত বিকল্প বাড়াবে এবং সংখ্যাগত ঘাটতি কিছুটা পুষিয়ে দেবে।
এই পরীক্ষা রাতারাতি কৌশলগত বাস্তবতাকে পাল্টে দেবে না। বেশি ওয়ারহেডের (পারমাণবিক উপাদান সমৃদ্ধ) মজুদ, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর জন্য উন্নততর পরিকাঠামো, প্রতিষ্ঠিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য বৃহত্তর সম্পদ চীনকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। তার ওপর ‘প্রথমে ব্যবহার না করা’ (নো-ফার্স্ট-ইউজ) নীতি এবং ভৌগোলিক বাস্তবতা ভারতের প্রতিরোধ সক্ষমতাকে কার্যকরভাবে প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। তবে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দুই দেশকেই অস্ত্রের পেছনে আরও ব্যয়বহুল বিনিয়োগে ঠেলে দিতে পারে এবং অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ভারতের অগ্নি–৫ পরীক্ষা তার প্রতিরোধ অবস্থানকে; বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে আরও মজবুত করে। এই বার্তাও দেয় যে নয়াদিল্লি কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চায়।
চীনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ও বিশ্লেষণ মতে, ভারতের অগ্নি-৫ পরীক্ষা ও এমআইআরভি-সক্ষমতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে চীন, তবে অনেক ক্ষেত্রেই কম গুরুত্ব দেখানো হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, এই ‘কম গুরুত্ব’ দেওয়াটা আসলে চীনের কৌশলগত অবস্থান। চীন ঠিকই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে, তবে প্রকাশ্যে দেখাচ্ছে তারা চিন্তিত নয়।
চীনের সরকারি প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে সংযত। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বশেষ অগ্নি-৫ পরীক্ষার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজউইকের বিশ্লেষণ মতে, প্রকাশ্যে তীব্র নিন্দা না করার পেছনে চীনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আছে। চলমান সীমান্ত আলোচনা ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে চীন ভারতের সঙ্গে কোনো প্রকার উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।
সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক-পাল্টাশুল্কের ঘটনায় চীন ও ভারত প্রায় একই অবস্থানে। চীন এই সময় কোনো উগ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে পরিস্থিতিকে আরও প্রতিকূল করতে চায় না। তাছাড়া চীন দীর্ঘকাল ধরে এই অঞ্চলে প্রভাবশালী পারমাণবিক শক্তি হওয়ায় কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছে।
তবে চীনের বিশেষজ্ঞ ও থিঙ্ক-ট্যাঙ্কগুলোর বিশ্লেষণে ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে। এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের এমআইআরভি সক্ষমতা চীনের অনেক অঞ্চলকেই সাময়িক বিপদে ফেলে দিতে পারে। ফলে প্রতিরক্ষার জন্য চীনকে নিজের আর্লি ওয়ার্নিং, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ও দ্বিতীয় আঘাত (বিশেষত সাবমেরিন-ভিত্তিক প্রতিরোধ) জোরদার করতে হতে পারে।
কৌশলগতভাবে চীন ভারতকে ‘সমপর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী’ নয়, বরং ‘আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জার’ হিসেবে দেখতে চায়। ভারতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে কূটনীতির মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তার। চীনের বিশাল পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার (আনুমানিক ৬০০ ওয়ারহেড) এখনও ভারতের চেয়ে প্রায় তিন বা ততোধিক গুণ বেশি। যতক্ষণ পর্যন্ত চীন তার ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং কৌশলগত মতবাদের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে পারবে, ততক্ষণ ভারতের পরীক্ষাকে অস্তিত্বের সংকট হিসেবে দেখার সম্ভাবনা কম।
তা সত্ত্বেও, ভারতের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্ভবত চীনকে তার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা, সুরক্ষিত কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল এবং কৌশলগত শক্তির আধুনিকীকরণে আরও বেশি মনোযোগ দিতে চাপ দেবে। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কেও চীনের হিসাব-নিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে চীন সংযত থাকলেও ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান সে পথে হাঁটেনি।
সরকারি বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অগ্নি–৫ পরীক্ষার নিন্দা জানায়, একে ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। পাকিস্তান এ পরীক্ষাকে ভারতের অস্ত্র সঞ্চয়ের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বর্ণনা করে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি।
দ্য ইকোনমিকস টাইমসের প্রতিবেদন মতে, পাকিস্তানি ভাষ্যকার এবং কৌশলগত বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি—বিশেষ করে এমআইআরভি, দীর্ঘ পাল্লা এবং আরও উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্ল্যাটফর্ম পাকিস্তানের প্রতিরোধ সক্ষমতাকে হ্রাস করতে পারে।
ভারতের সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের বিপরীতে পাকিস্তান ঐতিহাসিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি ও পারমাণবিক অস্ত্রের মিশ্রণের ওপর নির্ভর করে এসেছে। ভারতের এই উন্নতি পাকিস্তানকে তার নিজস্ব কৌশলগত শক্তি, পাল্টা আক্রমণের সক্ষমতা বা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও বেশি বিনিয়োগ করতে বাধ্য করতে পারে।
এর পাশাপাশি পাকিস্তান অভিযোগ করছে, আন্তর্জাতিক রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুব কম যাচাই-বাছাই বা প্রতিরোধের মাধ্যমে ভারতকে এ ধরনের সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করছে।
এশিয়ান টাইমসের প্রতিবেদন মতে, অগ্নি-৫ পরীক্ষার জবাবে পাকিস্তান হয়ত এমআইআরভি–সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন, উন্নত ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম, বাড়তি প্রস্তুতিমূলক অবস্থা তৈরির গতি বাড়াবে।
ভারতের অগ্নি–৫ পরীক্ষা একাধিক কৌশলগত প্রশ্ন উত্থাপন করে, যা নির্ধারণ করবে ক্ষমতার ভারসাম্য আদৌ পাল্টাবে কি না।
একটি প্রশ্ন হলো নীতি ও ঘোষিত অবস্থান। ভারত নো-ফার্স্ট-ইউজ (এনএফইউ) নীতি অর্থাৎ, কোনো দেশ আগে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না, শুধু তখনই ব্যবহার করবে যখন শত্রু তার ওপর পারমাণবিক হামলা চালাবে, এই নীতি মেনে চলে। একইসঙ্গে ভারত ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধের কথা বলে। অর্থাৎ, অল্প কিন্তু যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র রাখা, যাতে শত্রু ভয় পায় এবং আক্রমণ করার সাহস না করে।
তবে অগ্নি-৫-এর পাল্লা, এমআইআরভির সক্ষমতা এই নীতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা প্রশ্নের জন্ম দেয়। ইতিমধ্যেই কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা জরুরি পরিস্থিতিতে এনএফইউ নিয়ে নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরেকটি বিষয় হলো অস্ত্র প্রতিযোগিতা বা নিরাপত্তায় উভয়সংকটের পরিস্থিতি। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন পাকিস্তান পাল্টা ব্যবস্থা নিতে চাপ অনুভব করতে পারে এবং চীন তার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা জোরদার বা অস্ত্রভান্ডার বাড়ানোর প্রয়োজন বোধ করতে পারে। এতে ব্যয় বাড়ে, ভুল হিসাবের ঝুঁকি বাড়ে। পাশাপাশি সীমান্ত বিতর্ক, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সংঘর্ষের ইতিহাসে জর্জরিত এই অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র প্রশ্ন নতুন মাত্রা যোগ করে।
সবশেষে আন্তর্জাতিক চাপ ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটও গুরুত্বপূর্ণ। পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে বটে, কিন্তু উন্নত সক্ষমতা অর্জন আন্তর্জাতিক মহলে বাড়তি নজর কাড়ে। ভারতকে তাই বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও কূটনৈতিক চাপ সামলাতে হবে।
পাকিস্তান হয়তো সরাসরি এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলবে, আর চীন প্রকাশ্যে উত্তেজনা না বাড়িয়ে পেছন থেকে নীরবে কলকাঠি নাড়বে।
অগ্নি-৫-এর পরীক্ষা আঞ্চলিক ভারসাম্যকে ‘বদলে দেবে’ কি না, তা কেবল প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে না। বরং ভারত কীভাবে এই সক্ষমতা মোতায়েন ও রক্ষা করে, প্রতিদ্বন্দ্বীরা সীমা কোথায় টানে এবং সংকটকালে কীভাবে পরিচালনা করে তার ওপর নির্ভর করে। ভারত যদি দায়িত্বশীল আচরণ করে তবে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা সম্ভব; অন্যথায় ভুল হিসাবের ঝুঁকি বাড়বে।
তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস. নিউজউইক, এশিয়া টাইমস, বুলেটিন অব দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস, আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন।
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সরকারের অবস্থানের ভিন্নতা দেখা দিয়েছিল। জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে বিভেদ থাকলেও সব রাজনৈতিক দলের কণ্ঠেই ছিল এই উদ্বেগ — ‘আগামী নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং’।
১৪ ঘণ্টা আগেগাজায় প্রায় দুই বছরের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানির দৃশ্য যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে নতুন সচেতনতা তৈরি করেছে। একের পর এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলকে ঘিরে মার্কিন জনমত বদলাচ্ছে এবং ইসরায়েলের প্রতি অনুকূল মনোভাব কমছে।
১ দিন আগেপাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিছক সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না, বরং ছিল অস্তিত্ব রক্ষার এক মরিয়া প্রচেষ্টা। ভারতের পারমাণবিক সক্ষমতার মুখে সৃষ্ট নিরাপত্তাহীনতা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ় সংকল্প ও আন্তর্জাতিক চাপকে পাশ কাটিয়ে প্রযুক্তি হাসিলের অধ্যবসায় পাকিস্তানকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছিল।
২ দিন আগেইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং হামাসকে সমর্থন করার কারণে ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইসরায়েল কাতারে হামলা করেছে ধারণা করা হয়। এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিয়েছে বলে দাবি করা যেতে পারে।
২ দিন আগে