leadT1ad

ইসরায়েল প্রশ্নে কী বলছে আমেরিকার জনমত

ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনমতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতেও বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। হয়তো এখনই ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সহায়তার নীতিতে বড় কোনও পরিবর্তন আসবে না। তবে ধীরে ধীরে এই সহায়তা কমতে থাকবে তা নিশ্চিত।

মাহবুবুল আলম তারেক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫১
স্ট্রিম গ্রাফিক

গত সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। মার্কিন জনমানসেও জায়নবাদী বয়ানই প্রভাবশালী ছিল। শক্তিশালী ইহুদি লবি, ইভানজেলিকাল খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী এবং মূলধারার গণমাধ্যম তা ধরে রেখেছিল। মার্কিন সরকারগুলো ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা এবং জাতিসংঘে কূটনৈতিক সুরক্ষা দিয়েছে। মার্কিন সংসদে দুই দলের নিরঙ্কুশ সমর্থনও ছিল নিশ্চিত। তাই এই ‘বিশেষ সম্পর্ক’কে ভাঙনের সম্ভাবনাহীন বলেও ধারণা করা হত।

কিন্তু গাজায় গণহত্যার পর সেই বয়ান প্রথমবারের মতো বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। প্রায় দুই বছরের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানির দৃশ্য যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে নতুন সচেতনতা তৈরি করেছে। একের পর এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলকে ঘিরে মার্কিন জনমত বদলাচ্ছে এবং ইসরায়েলের প্রতি অনুকূল মনোভাব কমছে। গাজায় তাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা বাড়ছে এবং এমনকি গণহত্যার অভিযোগও মূলধারার আলোচনায় প্রবেশ করেছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় শিবিরেই ইসরায়েলের প্রতি অন্ধ সমর্থনের প্রবণতা কমছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে হয়তো এখনই ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতিতে বড় কোনও পরিবর্তন আসবে না। ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা, অর্থায়ন, নিরাপত্তা সহযোগিতা ও কূটনৈতিক সমর্থন সবই অব্যাহতই থাকবে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই সহায়তা কমতে থাকবে তা নিশ্চিত।

ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব বাড়ছে

চলতি বছরের মার্চে পিউ রিসার্চের এক জরিপে দেখা যায়, ২০২২ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব ৪২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ডেমোক্রেটদের মধ্যে এই হার ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এই পরিবর্তন প্রজন্মভেদে আরও বেশি স্পষ্ট। এমনকি সাধারণত সংযত মনোভাবাপন্ন ৫০ বছরের বেশি বয়সী ডেমোক্রেটদের মধ্যেও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ৪৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে।

সহানুভূতির দিক থেকেও বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। এবছর আগস্টে দ্য ইকোনমিস্ট ও ইউগভের জরিপে দেখা যায়, ডেমোক্রেটদের ৪৪ শতাংশ ফিলিস্তিনিদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল, যেখানে ইসরায়েলিদের পক্ষে মাত্র ১৫ শতাংশ। স্বতন্ত্র ভোটারদের মধ্যে এ হার যথাক্রমে ৩০ এবং ২১ শতাংশ।

একই জরিপে দেখা যায়, অধিকাংশ মার্কিনি মনে করেন গাজায় ইসরায়েলের বোমা বর্ষণ অন্যায্য। প্রায় ৭৮ শতাংশ মার্কিনি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চান। এমনকি ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের ৭৫ শতাংশও যুদ্ধবিরতি চান। ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে; দ্বিমত পোষণ করেছেন মাত্র ২৮ শতাংশ।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো, ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ও সমর্থন কমানোর পক্ষে। রিপাবলিকানদের মধ্যেও ২৪ শতাংশ এ মত দিয়েছেন।

গত জুলাইয়ে গ্যালাপের জরিপেও দেখা গেছে, মাত্র ৩২ শতাংশ আমেরিকান গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন। ২০২৩-এর নভেম্বরে এই সমর্থন ছিল ৫০ শতাংশ এবং ২০২৪ সালের শুরুর দিকে ছিল ৩৬ শতাংশ।

বর্তমানে গাজায় হামলার বিরোধিতার হারও দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। এপি-এনওআরসি-র সেপ্টেম্বরের এক জরিপে ৫৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া ‘অতিরিক্ত বেশি হয়ে গেছে’। ২০২৩ সালের শেষদিকে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০ শতাংশ।

হার্ভার্ড-হ্যারিস জরিপে দেখা যায়, তরুণ মার্কিনিদের ৪০ শতাংশ ইসরায়েলের চেয়ে হামাসকে সমর্থন করছেন। এটি মূলত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ হলেও, তরুণদের মাঝে ইসরায়েলের ‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী’, এই বয়ানের প্রভাব ভেঙে পড়ছে। একই জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ২৭ শতাংশ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সমর্থন করছেন। একসময় হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসে তিনি যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেতেন, তার তুলনায় এটি বড় ধাক্কা।

কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের আগস্ট জরিপে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার ইসরায়েলের প্রতি অতিরিক্ত মার্কিন সামরিক সহায়তার বিরোধিতা করছেন। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে এই হার ছিল ৪১ শতাংশ।

এদিকে, শিকাগো কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৩৭ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ‘অতিরিক্ত সমর্থন’ দিচ্ছে। ২০২৪ সালে এ হার ছিল ৩০ শতাংশ।

রেসপনসিবল স্টেটক্রাফটের এক জরিপ অনুযায়ী, ৪১ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল। ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের মধ্যে এ হার আরও বেশি— ৬৭ শতাংশ।

ইউগভ/ইকোনমিস্টের আরেক জরিপেও একই প্রবণতা দেখা যায়। সেখানে ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে একমত হয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এই মনোভাব আরও জোরালোভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। সাংবাদিক আলী আবুনিমাহ গ্যালাপের জরিপের ফলাফল তুলে ধরে জানান, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী আমেরিকানদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন মাত্র ৯ শতাংশ।

পিউ রিসার্চের জরিপে দেখা গেছে, ১৮–২৯ বছর বয়সী তাদের মধ্যে মাত্র ১৬ শতাংশ ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার পক্ষে।

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের বিশ্লেষণ নিশ্চিত করেছে যে এগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ফল নয়। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে এ প্রবণতা দ্রুত বেড়েছে। বিশেষ করে ডেমোক্রেট সমর্থক ও তরুণদের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব বেশি স্পষ্ট।

এর আগেও ২০২৪ সালের গ্যালাপ ও অ্যাক্সিওস জরিপে এ পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। আর এ বছরের মার্চের মধ্যেই সেখানে দেখা যায়, ইসরায়েলের প্রতি অসন্তোষ সমর্থনের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে।

রাষ্ট্রীয় নীতিতে এই জনমতের প্রভাব কতটা পড়বে

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্ক এমন একটি ইস্যু, যা বিরলভাবে দেশটির উভয় দলেরই সমর্থন পায়। তাই এটি বদলাতে অনেক সময় লাগবে।

আল-জাজিরার বিশ্লেষক জসিম আল-আজাওয়ি বলেন, বয়স্ক ভোটাররা— যারা দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক— প্রজন্মগত পরিবর্তনের ফলে ধীরে ধীরে প্রভাব হারাচ্ছেন। নতুন প্রজন্ম ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল। এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণও ধীরে ধীরে পাল্টে যাবে। তবে এখন প্রশ্নটি আর ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করবে কি না’, তা নয় বরং ‘কখন করবে’ তাতে এসে দাঁড়িয়েছে।

তাঁর মতে, অল্প সময়ের মধ্যেও হয়তো কিছু পরিবর্তন হতে পারে। যদি নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হঠাৎ বিরোধ দেখা দেয়, তাহলে ট্রাম্প জনমতের পাল্টে যাওয়া ধারা কাজে লাগাতে পারেন। এতে তিনি দাবি করতে পারবেন যে তিনি জনগণের মতামত শুনছেন। তবে এমন নাটকীয় পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম।

জসিম আল-আজাওয়ি বলেন, জনমতের চাপে কংগ্রেসে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনাই বরং বেশি। যারা একগুঁয়েভাবে ইসরায়েলপন্থী অবস্থান ধরে রাখবেন, তারা তরুণ ও উদ্যমী প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন। তরুণরা আইপ্যাকের (এআইপিএসি) মতো ইসরায়েলপন্থী সংগঠনের অর্থায়ন প্রত্যাখ্যান করতে পারেন।

তবে এই পরিবর্তনের পথ কঠিন হবে। প্রভাবশালী ইসরায়েলপন্থী লবিগুলো বিপুল সম্পদ ব্যয় করে এমন প্রার্থীদেরকে হারানোর চেষ্টা করবে, যারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি দেখায় বা ইসরায়েলকে বিনা প্রশ্নে সমর্থন দেওয়ার নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। অন্যদিকে, অর্থনীতি ও সামাজিক সমস্যার মতো বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রাধান্য পেতে থাকবে। পররাষ্ট্রনীতি সচরাচর নির্বাচনের মূল ইস্যু হয় না।

তার মতে, এই পরিবর্তন আপাতত দ্বিদলীয়ভাবে ঘটবে না। কারণ রিপাবলিকানরা ইসরায়েলের প্রতি স্থির সমর্থন বজায় রাখছে। এখন মূলত ডেমোক্রেট শিবিরেই পরিবর্তনের চাপ বেশি। বাইডেনের প্রেসিডেন্সির পর থেকে তরুণ প্রজন্ম ডেমোক্রেট নেতাদের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে। উদাহরণস্বরূপ, নিউইয়র্কে মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রাইমারি বিজয় এই প্রবণতার প্রতীক। তরুণ ও প্রগতিশীল নেতাদের উত্থানের ফলে ডেমোক্রেট নেতৃত্ব বাধ্য হবে অবস্থান পরিবর্তনে। কংগ্রেসে যত বেশি ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ নির্বাচিত হবেন প্রগতিশীল ব্লক তত বড় হবে। তারা ভেতর থেকেই দলীয় নীতি পরিবর্তনের চাপ বাড়াবেন।

তবে এই প্রক্রিয়া এত দ্রুত হবে না যে তাৎক্ষণিকভাবে ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি উন্নত হবে। এমনকি গাজায় সম্ভাব্য জাতিগত গণহত্যা এবং নির্মূলও এর মাধ্যমে থামানো যাবে না। আপাতত স্বস্তি আসতে পারে আন্তর্জাতিক চাপ ও মাঠের বাস্তবতার কারণে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের কারণে নয়।

অবশ্য সামনে কংগ্রেস বা হোয়াইট হাউস থেকে সমর্থন কমে গেলে ইসরায়েলকে তার আক্রমণাত্মক নীতি কমাতে হবে। অঞ্চলজুড়ে সামরিক দুঃসাহস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। ফিলিস্তিন প্রশ্নে কিছু ছাড় দিতেও বাধ্য হতে পারে। তবে সেটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।

পলিটিকোর বিশ্লেষণ মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে থাকা ‘বিরূপ মনোভাব’ অচিরেই নীতিগত পরিবর্তনও ঘটাবে, যা ইসরায়েলি সরকারকে দুর্বল করবে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক এখন ‘অস্থির’, যা ভবিষ্যতে সহায়তার সঙ্গে শর্ত আরোপ বা জাতিসংঘে ভেটো ব্যবহারে সংযমের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

শিকাগো কাউন্সিলের পূর্বাভাস, জনমতের পরিবর্তনের ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমে আসবে।

বিবিসির মতে, জনমতের এই স্থায়ী পরিবর্তন বাস্তব জগতেও সমর্থন কমাতে পারে।

চ্যাথাম হাউস জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ জরিপগুলোতেও যুদ্ধ ক্লান্তি স্পষ্ট, যা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে জনমত রাতারাতি রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণে প্রভাব ফেলে না। রাষ্ট্রীয় নীতিতে এখনো লবিং এবং ভূরাজনৈতিক বিষয়, যেমন ইরানকে প্রতিরোধ, প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে ইতিহাস দেখায়, জনমত বৈদেশিক নীতিকেও দ্রুত বদলাতে পারে। যেমন ভিয়েতনাম ও ইরাক যুদ্ধ থেকে জনমতের চাপেই সরে এসেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে জেনারেশন জেডও ভোটের বয়সে প্রবেশ করছে এবং গাজার ক্ষতচিহ্ন দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। তাই ইসরায়েলের প্রতি শর্তহীন সমর্থন এখন আর টেকসই হবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদি এই পরিবর্তন উপেক্ষা করে, তবে অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও বৈশ্বিক বিশ্বাসযোগ্যতার ঝুঁকিও বাড়বে।

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, রেসপনসিবল স্টেটক্রাফট ডট ওআরজি

Ad 300x250

সম্পর্কিত