.png)

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ অক্টোবর মার্কিন যুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন ‘অবিলম্বে’ পুনরায় পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করতে। এর মাধ্যমে তিনি ১৯৯২ সালে শুরু হওয়া ৩৩ বছরের স্বেচ্ছা-নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটান।

চীন গোপনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বেইজিং বলেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত অনানুষ্ঠানিক পরমাণু পরীক্ষা স্থগিত রাখার চুক্তি লঙ্ঘন করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার মার্কিন বার্তা সংস্থা সিবিএসের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই দাবি করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ দপ্তরকে পুনরায় পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালুর নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ট্রাম্পের এই নির্দেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরান। দেশটি বলছে, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার পর এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামি।

চীন পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ভান্ডারের সমকক্ষ হতে পারে—এমন দাবি ট্রাম্প কেন করছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে এটা সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ধীরে ধীরে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ কমাচ্ছে, অন্যদিকে চীন তার ভান্ডার বাড়িয়ে চলেছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন পারমাণবিক আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি একে ‘কূটনীতি নয়, বরং চাপ ও দমননীতি’ বলে অভিহিত করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগেই চীন তাদের প্রোটোটাইপ ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। এটি প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের অস্ত্র প্রতিযোগিতার এমন একটি নতুন ধাপ দেখাচ্ছে, যেখানে নিরাপত্তার আকাঙ্ক্ষা পারমাণবিক ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

চলতি বছরের আগস্টে ভারত সফলভাবে তার অগ্নি-৫ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইআরবিএম) পরীক্ষা চালায়। নিখাদ জ্বালানি (সলিড ফুয়েল) চালিত তিন স্তরের এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি।

পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিছক সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না, বরং ছিল অস্তিত্ব রক্ষার এক মরিয়া প্রচেষ্টা। ভারতের পারমাণবিক সক্ষমতার মুখে সৃষ্ট নিরাপত্তাহীনতা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ় সংকল্প ও আন্তর্জাতিক চাপকে পাশ কাটিয়ে প্রযুক্তি হাসিলের অধ্যবসায় পাকিস্তানকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছিল।