স্ট্রিম ডেস্ক
জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সারাবিশ্বে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প (উইন্ড ফার্ম) গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু এক উইন্ড ফার্ম আরেকটির বাতাস নিয়মিত চুরি করছে— এমন তথ্য উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডের এক গবেষণায়।
'হুইফল' নামের একটি গবেষণা সংস্থা বিষয়টিকে সামনে এনেছে। সংস্থাটির গবেষক পিটার বাস দেখান, সমুদ্রের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় যখন পাশাপাশি বা আগেপিছে উইন্ড ফার্ম গড়ে তোলা হয়, তখন একটি আরেকটির বাতাস চুরি করে, এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
পিটার বাস বিবিসিকে বলেন, পরপর দুইটি উইন্ড ফার্ম বসানো হলে পেছনেরটির বাতাসের গতি তার সামনের চেয়ে কম থাকে। ফলে টারবাইনের ঘোরার গতি কমে যায়। এ ছাড়া একাধিক টারবাইন থাকলে পুরো এলাকা জুড়ে বাতাসের গতি কমে যেতে পারে। ফলে পাশে থাকা বা পেছনে থাকা অন্য প্রকল্পগুলো বাতাস ঠিকমতো পায় না। গবেষকেরা এই সমস্যার নাম দিয়েছেন ওয়েক ইফেক্ট।
গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, বাতাস চুরির ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
তবে বিষয়টিকে চুরি বলতে রাজি নন নরওয়ের আইনজীবী ও অফশোর উইন্ড এনার্জি বিশেষজ্ঞ এরিক ফিনসেরাস। তিনি বলেন, বাতাস চুরি কথাটা একটু বিভ্রান্তিকর, কারণ আপনি এমন কিছু চুরি করতে পারেন না, যার মালিকানা কারও নয়—আর বাতাস কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।
আগের চেয়ে এখন উইন্ড টারবাইনগুলো অনেক বড় হচ্ছে। একেকটি ব্লেড ফুটবল মাঠের মতো বড়। এসব টারবাইন কাছাকাছি বসালে ওয়েক ইফেক্ট আরও বেশি হয়। গবেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে সমুদ্রজুড়ে এত বেশি টারবাইন বসানো হবে যে অনেক জায়গা ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। তখন বাতাসের জন্য জায়গা কমে যাবে।
যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে এখন থেকেই এই সমস্যা নিয়ে উইন্ড ফার্ম কোম্পানির মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে। অনেকে বলছে, বায়ুবিদ্যুত্ প্রকল্প আর লাভজনক নাও হতে পারে।
নরওয়ের এক গবেষক দেখিয়েছেন, নরওয়ের একটি বায়ুবিদ্যুত্ প্রকল্পের কারণে ডেনমার্কের একটি বায়ুবিদ্যুত্ প্রকল্পের উত্পাদন কমে গেছে। এরকম হলে ভবিষ্যতে এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের ঝামেলা হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে থেকেই দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরের সবার সঙ্গে মিলে পরিকল্পনা করা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাস কারও ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। তাই এটাকে মাছ বা তেলক্ষেত্রের মতো একটা যৌথ সম্পদ ধরে পরিকল্পনা করা দরকার, যেন সব দেশ ও কোম্পানি ন্যায্যভাবে ব্যবহার করতে পারে।
এক ব্রিটিশ গবেষক বলেন, “আমাদের দ্রুত অফশোর উইন্ড ফার্ম বাড়াতে হবে, কিন্তু তাড়াহুড়োর মধ্যে যেন ভবিষ্যতের বড় সমস্যা তৈরি না হয়, সেটাও দেখতে হবে।”
চীনেও এখন এই সমস্যা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সমস্যা বুঝে এখনই সমাধান না খুঁজলে ভবিষ্যতে বড় বিপদ হতে পারে। কারণ বাতাস দিয়েই আমরা ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই—সেই বাতাসই যদি কমে যায়, তাহলে টারবাইন থাকবে, কিন্তু বিদ্যুৎ আসবে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সারাবিশ্বে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প (উইন্ড ফার্ম) গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু এক উইন্ড ফার্ম আরেকটির বাতাস নিয়মিত চুরি করছে— এমন তথ্য উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডের এক গবেষণায়।
'হুইফল' নামের একটি গবেষণা সংস্থা বিষয়টিকে সামনে এনেছে। সংস্থাটির গবেষক পিটার বাস দেখান, সমুদ্রের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় যখন পাশাপাশি বা আগেপিছে উইন্ড ফার্ম গড়ে তোলা হয়, তখন একটি আরেকটির বাতাস চুরি করে, এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
পিটার বাস বিবিসিকে বলেন, পরপর দুইটি উইন্ড ফার্ম বসানো হলে পেছনেরটির বাতাসের গতি তার সামনের চেয়ে কম থাকে। ফলে টারবাইনের ঘোরার গতি কমে যায়। এ ছাড়া একাধিক টারবাইন থাকলে পুরো এলাকা জুড়ে বাতাসের গতি কমে যেতে পারে। ফলে পাশে থাকা বা পেছনে থাকা অন্য প্রকল্পগুলো বাতাস ঠিকমতো পায় না। গবেষকেরা এই সমস্যার নাম দিয়েছেন ওয়েক ইফেক্ট।
গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, বাতাস চুরির ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
তবে বিষয়টিকে চুরি বলতে রাজি নন নরওয়ের আইনজীবী ও অফশোর উইন্ড এনার্জি বিশেষজ্ঞ এরিক ফিনসেরাস। তিনি বলেন, বাতাস চুরি কথাটা একটু বিভ্রান্তিকর, কারণ আপনি এমন কিছু চুরি করতে পারেন না, যার মালিকানা কারও নয়—আর বাতাস কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।
আগের চেয়ে এখন উইন্ড টারবাইনগুলো অনেক বড় হচ্ছে। একেকটি ব্লেড ফুটবল মাঠের মতো বড়। এসব টারবাইন কাছাকাছি বসালে ওয়েক ইফেক্ট আরও বেশি হয়। গবেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে সমুদ্রজুড়ে এত বেশি টারবাইন বসানো হবে যে অনেক জায়গা ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। তখন বাতাসের জন্য জায়গা কমে যাবে।
যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে এখন থেকেই এই সমস্যা নিয়ে উইন্ড ফার্ম কোম্পানির মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে। অনেকে বলছে, বায়ুবিদ্যুত্ প্রকল্প আর লাভজনক নাও হতে পারে।
নরওয়ের এক গবেষক দেখিয়েছেন, নরওয়ের একটি বায়ুবিদ্যুত্ প্রকল্পের কারণে ডেনমার্কের একটি বায়ুবিদ্যুত্ প্রকল্পের উত্পাদন কমে গেছে। এরকম হলে ভবিষ্যতে এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের ঝামেলা হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে থেকেই দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরের সবার সঙ্গে মিলে পরিকল্পনা করা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাস কারও ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। তাই এটাকে মাছ বা তেলক্ষেত্রের মতো একটা যৌথ সম্পদ ধরে পরিকল্পনা করা দরকার, যেন সব দেশ ও কোম্পানি ন্যায্যভাবে ব্যবহার করতে পারে।
এক ব্রিটিশ গবেষক বলেন, “আমাদের দ্রুত অফশোর উইন্ড ফার্ম বাড়াতে হবে, কিন্তু তাড়াহুড়োর মধ্যে যেন ভবিষ্যতের বড় সমস্যা তৈরি না হয়, সেটাও দেখতে হবে।”
চীনেও এখন এই সমস্যা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সমস্যা বুঝে এখনই সমাধান না খুঁজলে ভবিষ্যতে বড় বিপদ হতে পারে। কারণ বাতাস দিয়েই আমরা ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই—সেই বাতাসই যদি কমে যায়, তাহলে টারবাইন থাকবে, কিন্তু বিদ্যুৎ আসবে না।
ওজোন স্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ দিন আগেকক্সবাজারে মহেশখালী উপজেলায় বিদ্যমান সব প্রাকৃতিক ও সৃজিত প্যারাবনে বনবিরোধী কার্যক্রম—বিশেষ করে চিংড়ি ও লবণ চাষ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। নোটিশে এ সব বনভূমিতে বিদ্যমান অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদের জোরালো দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫বাংলাদেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য অনন্য সম্পদ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। পাশাপাশি বাংলাদেশের সমুদ্রজাত মাছের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জ্ঞানভিত্তিক উদ্যোগ ও বৈশ্বিক ঐক্য ও সহমর্মিতা জরুরি। আমাদের হাতে সীমিত সময় ও সম্পদ রয়েছে, তাই যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সংকট কেবল টিকে থাকার প্রশ্ন নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা ও বহু রাষ্ট্রের
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫